ফরয নামাযের পর মুনাজাত সম্পর্কে

মুনাজাতের স্বপক্ষে কুরআন ও হাদীসের দলীলসমূহ:কুরআনে কারীমের বিভিন্ন আয়াতে বলা হয়েছে যে নবী কারীম (সঃ) কুরআনের হুকুম আহকামের ব্যাখ্যা ও বাস্তব নমুনা উম্মতের সামনে পেশ করবেন, এটা তার নবুওয়াতের দায়িত্ব। যেমন আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ وَاَنْزَلْنَا اِلَیْک الذِّکْرَ لِتُبَیِّنَ لِلنَّاسِ مَانُزِّلَ اِلَیْہِمْ وَلَعَلَّہُمْ یَتَفَکَّرُوْنَ আর আমি আপনার উপর কুরআন অবতির্ণ করেছি যাতে আপনি লোকদের সামনে তাদের উপর নাযিলকৃত বিষয়গুলোকে স্পষ্ট বর্ণনা করেন এবং তারা চিন্তা-ভাবনা করে। এই আয়াতের আলোকে এখন আমাদের দেখতে হবে যে, কুরআনে কারীমের উক্ত আয়াতের উপর তিনি নিজে কিভাবে আমল করেছেন এবং হাদীস শরীফের মধ্যে উম্মতকে কিভাবে আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন।  নামাযের পর মুনাজাত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলার নির্দেশ: (عن الضحاک فإذا فرغت قال من الصلاۃ … Read More

আল্লাহর ওলিদের নিয়ে সূরা আরাফের ৩নং আয়াতে কারীমার অপব্যাখ্যার জবাব

আল্লাহরওলিদের নিয়ে সূরা আরাফের ৩নং আয়াতে কারীমার অপব্যাখ্যার জবাব====================কিছু লোক সূরা আরাফের ৩নং আয়াতে কারীমার ভুল অর্থ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তারা এর অর্থ করছে, “তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে তোমাদের কাছে যা নাযিল হয়েছে – তার অনুসরণ করো এবং তাঁকে ছাড়া কোন ওলি বা পীরের অনুসরণ করো না।”আসলে এই আয়াতে কারীমার প্রকৃত তরজমা হবে, “তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে তোমাদের কাছে যা নাযিল হয়েছে – তার অনুসরণ করো এবং তাঁকে ছাড়া ওলীদের (আওলিয়ার) অনুসরণ করো না। তোমরা কমই খেয়াল করে থাকো।”প্রথমত, তাফসীরে ইবনে আব্বাসে এ আয়াতে কারীমার তাফসীরে হুবহু যা লেখা আছে – তার বাংলা হচ্ছে, “তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে তোমাদের কাছে না নাযিল হয়েছে – তার অনুসরণ করো”, এর মানে হচ্ছে, কুরআনে নিদের্শিত হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জানো। আর “তাঁকে ছাড়া ওলীদের (আওলিয়ার) অনুসরণ করো না”, এর মানে হলো, আল্লাহুতা’লা ছাড়া মূর্তিদের প্রভু হিসেবে গ্রহণ করে তাদের ইবাদত করবে না। আর “তোমরা কমই খেয়াল করে থাকো”, এর মানে হচ্ছে, তোমরা অল্প বা বেশি কোনো উপদেশই গ্রহণ করো না।” সুতরাং রইসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসের (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) এ তাফসীরের মোকাবেলায় এই আয়াতে কারীমার অন্য কোনো তাফসীর আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।দ্বিতীয়ত, ওলী বা আওলিয়া শব্দকে কোনো আয়াতে আল্লাহুতা’লা টার্গেট করলে – কেউ ভয় পাবেন না। জেনে রাখুন, ওলী (বহুবচনে আওলিয়া) শব্দটিকে আল্লাহুতা’লা আল-কুরআনে তাঁর নিজের এবং শয়তান – উভয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন। যেমন-যারা ঈমান এনেছে – তাদের ওলী হচ্ছেন, আল্লাহ; তিনি তাদের আঁধার রাশি থেকে নূরের দিকে বের করে আনেন; আর যারা কুফরি করেছে – তাদের আওলিয়া হচ্ছে, তাগুতরা (শয়তানরা); ওরা ওদের নূর থেকে আঁধার রাশির দিকে নিয়ে যায়। ওরাই দোযখবাসী (আসহাবুন নার) – সেখানে ওরা চিরকাল থাকবে (সূরা আল-বাকারাহ: ২৫৭)কাজেই, “ওলী” শব্দটি আল-কুরআনে ভালো-মন্দ সবার ক্ষেত্রে কম-বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। উল্লিখিত আয়াতে কারীমায় (সূরা আরাফ:৩) মন্দের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। আবার ওলীআল্লাহদের ক্ষেত্রেও বলা হয়েছে,আল্লাহর ওলীদের (আওলিয়াউল্লাহু) কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। (সূরা ইউনুস:৬২)সুতরাং ওলী শব্দ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনোই অবকাশ নেই। আল-কুরআনে এর প্রয়োগবিধি লক্ষ্য করলেই এ সংক্রান্ত সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিরসন হয়ে যায়।তৃতীয়ত, আল্লাহুতা’লা পরিষ্কার করেই বলেছেন: যারা ঈমান এনেছো – তাদেরকে বলছি! তোমরা আল্লাহর তাবেদারী করো এবং রাসূল ও তোমাদের হুকুমদাতাদের তাবেদারী করো। তবে কোন ব্যাপারে তোমাদের মাঝে মতবিরোধ হলে – তোমরা যদি আল্লাহ্ ও আখেরাতে বিশ্বাসী হও – তাহলে তা (মতবিরোধের বিষয়টি) আল্লাহ ও রাসূলের সমীপে পেশ করো। ওটাই কল্যাণকর এবং এর ফলাফল খুবই ফলপ্রসূ। (৪:৫৯)এ আয়াতে কারীমায় ৩টি আনুগত্য বা তাবেদারীর কথা পরিষ্কার করেই বলা আছে। কাজেই, আল-কুরআনে ওলী শব্দের নেতিবাচক প্রয়োগের উদাহরণ টেনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কোনোই সুযোগ নেই। ধন্যবাদ।

রাসুলুল্লাহ (সা) এর শান এবং ওনার একাধিক বিবাহের ইতিহাস ও কারন :-

যা যা আলোচিত হয়েছে : ১) নবী বিদ্বেষীদের দাঁতভাঙা জবাব :আমরা হলাম নফসের তাড়নায় কামভাবে জর্জড়িত মানুষ, হাজার হাজার দোষ-গুনে ভরা সাধারন মানুষ,,সেখানে যারা পরম পবিত্র মানব … Read More

আল্লাহ রাসূলের দিদার পেতে হলে কামেলে মোকাম্মেল ওলীদের সাথে থাকতে হবে

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই কে অন্তরে রেখে  (প্রসঙ্গ আল্লাহ রাসূলের দিদার পেতেহলে কামেলে মোকাম্মেল ওলীদের সাথে থাকতেহবে) প্রথমে একটি কথা না বলে পারছি না যেমন আল্লাহ সুবাহানু তাআলা যুগ যুগ ধরে অসংথ্য নবী রাসূলগণ পাঠিয়েছেন আমাদের মাঝে তারই সন্ধানের জন্য যতদিন নবী রাসূল গণ এসেছেন এবং শেষ নবী মুহাম্মদ (সা:)পর্যন্ত এসেছেন ততদিন পর্যন্ত নবী রাসুলগনের দরজা বা নবুয়াতের দরজা খোলা ছিল কিন্তু ওনাদের ওফাতের পর কি আর ইসলামচলবে না বা পড়ে থাকবে এ টা কি হয়.না..তাই আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ওনি আমাদের অধম পাপীদের হেদায়াতের জন্য বেলায়তের যুগে সূরা ফাতিহার ৬ এবং ৭ আয়াতের অনুসারে হেদায়াতপ্রাপ্ত লোকগুলিদের দুনিয়াতের পাঠিয়েছেন আল্রাহ রাসূলের প্রেমের বেলায়ত দিয়ে যার পরিপ্রেক্ষীতে তারাশরীয়তের পাল তুলেতরীকতের নৌকা নিয়েহাকীকতে থেকে মারফতের মাঝি হয়ে আছেনআমাদের পথ দেথাতে যেমন আমাদের বাংলাদেশে আমরা ইসলাম পেলামকেমন করে তখন তো কোন নবী রাসূলগণ ও সাহাবী ছিলেন না আমরাইসলাম পেয়েছি বেলায়াত প্রাপ্ত ওলিগণদের কাছ থেকে..হাদীশ শরীফেআছে যে ব্যক্তি কোন কামেলে মোকাম্মেল ওলি বা ইমামবা মুর্শীদ ব্যতিত মৃতুবরণ করবে সে যেন জাহেলী যুগেরমত মৃত্যুবরণ করল (মুসলিমঃ হাদীস নং- ৪৮৯৯, ত্বাবরানী শরীফ-আবু দাউদ শরীফ)এখন কথা হলোআল্লাহ সুবাহানু তাআলা কে কি মাধ্যম ব্যতীত পাওয়া যাবেএক কথায় অসম্ভব কারণ ঈসা (আ:)বলেছেন যে ব্যক্তি আমাকে বাদ দিয়েসরাসরি আল্লাহ কে পাওয়ার আশা করে সে ব্যক্তি মোনাফেক-বাণী-ঈসা (আ:)-এ কথাটি পর্যবেক্ষন করলে বুঝা যায় যে আল্লাহ কখেনাকারো কাছে সরাসরি এসে ইসলামের দাওয়াত দেননি বরং যুগেযুগে ১,২৪,০০০ হাজার পয়গম্বর পাঠিয়েছেন  পাপীদের পথ দেখানোর জন্য যদি মাধ্যমই না থাকতো তাহলেএতো নবী রাসূলগণ পাঠানোর কোন উদ্দেশ্য হতো না সুতরাং এ কথা গুলিথেকে পরিষ্কার হলো যে আল্লাহ কে পেতে হলে অবশ্যই মাধ্যম গ্রহণ করতেহবে আর সেই মাধ্যম কামেলে মোকাম্মেল ওলি আওলিয়াগণ..যেমন আল্লাহকে ভালবাসতে হলে প্রথমে রাসূল (সা:)কে ভালবাসতে হবে রাসুল (সা:)কে ভালবাসতে হলে ওলী আওলিয়া বা উলিলআমরকে ভালবাসতে হবে..উদাহরণ স্বরুপ আমরাযে কারেন্ট দিয়েআমাদের ঘড়ের বাতিজ্বালিয়ে থাকি সেই কারেন্ট তৈরীর কারখানা থেকে যদি সরাসরি তার দিয়ে আমরাবাতি জালাতে চাই তাহলে ভাই সেই বাতি আর জলবেনা জলবেন আপনিএবং আপনার ঘড় কারন সেখানে হাজারহাজার ভোল্ট কারেন্ট উতপাদন হচ্ছে প্রতিসেকেন্ডে সেটা সরাসরি কোন বাতির পক্ষেধরে রাখা সম্ভবনয় সেখানে বাতিজালাতে গেলেই আপনাদেরকে ট্রান্সমিটার ব্যবহার করতেহবে এবং সেই ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে পরিমাপ অনুযায়ী কারেন্ট সাপ্লাই করলেই বাতি জালানো সম্ভব হয়ে থাকেঠিক আল্লাহ কে সরাসরি দেখতে গেলেনিজেই জ্বলে পুড়েছাই হয়ে যাবেনতাই আল্লাহ কে পেতে হলে অবশ্যই ট্রান্সমিটার বা মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে কোরানে উল্লেখিত মূসা (আ:)ওনার একটিঘটনা আপনাদের সামনেপেশ করছি-একদামুসা (আ:)সব সময় বলতেন আল্লাহ আমি আপনাকে দেখতেচাই আল্লাহ বলেনহে মুসা তা সম্ভব নয় মুসা(আ:)আল্লাহ একবারদেখা দিয়েই দেখেননা সম্ভব নাকিতখন আল্লাহ মুসা(আ:)এর নিকট৭০০০০ হাজার পর্দার ভিতর বেদ করে তার সামনে প্রকাশ হলেন কিন্তু আল্লাহর নূরের তাজ্জালী এতই ছিল যে সে নুরের তাজ্জালীতে সমস্ত পাহাড় পর্বত পুড়েছাই হয়ে মুসা(আ:)বেহুশ হয়ে পড়ে গেলেন কিছুক্ষণ পড়ে হুশ ফিরেআসলে আল্লাহ সুবাহানু তাআলা জিঙ্গাসা করেন হে মুসা কেমনদেখলে তোমার আল্লাহ কে মুসা (আ:)বলেন আল্লাহ কি আর তোমাকে দেখলাম শুধু দেখলাম একটিঝিলিক মারলো আর আমি বেহুশ হয়ে গড়ে গেলাম পাঠকগণ ভালভাবে খেয়াল করুনমুসা (আ:)ওনারকি দশা হয়েছেএটা আরো বড় কাহিনী সেখানে গেলামনা আরেকটি ঘটনাহলো মেরাজ রাতরেসেখানে আল্লাহ সুবাহানু তাআলার সাথে সাক্ষাত করেন আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা:)এবং মুসা (আ:)রাসুল (সা:)ওনারমাধ্যমেই আল্লাহ কে দেখতে পেয়েছিলেন সুবাহানাল্লাহ পাঠকগণ দেখেন একজন নবী আরেকজন নবীর মাধ্যমেই আল্লাহ কে দেখতেপেল আর সে জায়গায় আমি আর আপনি কেমন করে ট্রান্সমিটার বা মাধ্যম ছাড়া আল্লাহ কে দেখতে পাব তা কি করে আশা করেন..যদি দেখতেচাই তাহলে মুসা(আ:)ওনার মত বেহুশ হয়ে পড়ে থাকেত হবে এছাড়াআর কোন উপায়নাই তাই ভাই আপনাদের সবাইকে আমি অধম অনুরোধ করব শরীয়তী বিধান মেনেকোন কামেলে মোকাম্মেল ওলীর নিকট বায়াতহয়ে আল্লাহ রাসুলের দিদার লাভ করি আর সেই দিদারলাভের একমাত্র বাতিহলো বাকাবিল্লাহ আর সেই বাকাবিল্লাহ অর্জন করতে হলে প্রথমে আপনাকে ফানাফিস শায়েখদ্বীতয়তে ফানাফির রাসূলতৃতীয়তে ফানাফিল্লাহ এবং সবশেষে বাকাবিল্লায় গিয়ে খোদার সাথে দিদারফায়েজে উর্ত্তীন্য হবেন,তাই পরিশেষে সবাইকে আবার ও অনুরোধ করছি কোন কামেলে মোকাম্মেল ওলীর নিকটবায়াত হউন বায়াতহয়ে নিজেকে জানুনকে আপনি কেন এসেছেন এই দুনিয়াতে কেনই বা আপনাকে পাঠানো হয়েছে এবং নিজের সূরত দেখুনএবং মোর্শেদের সূরত নিজের ক্বালবে ধারনকরুন তাহলেই কেবলআল্লাহ কে পাবেনসেই মোর্শেদের মাধ্যমে-আল্লাহ-আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ

মু’মিনের কলব আল্লাহর আরশ” এটি কি জাল হাদিস?

মু’মিনের কলব আল্লাহর আরশ” এটি কি জাল হাদিস?পর্ব নং -১ এটিকে ওহাবীদের ইমাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া হাদিসটি কে জাল বলেছেন। জাল সে বলতে পারে, কারন সে যেহেতু তাসাওফে বিশ্বাসী নয় । মাওলানা মতিউর রহমান কওমী তার প্রচলিত জাল হাদিস বইয়ের ৮৯ পৃষ্ঠায় এ হাদিসটি কে জাল বলে এ বিষয়টি কে অস্বিকার করেছে। তার মত বহু প্রতারক মৌলভী এ বিষয়টি অস্বিকার করে বসেছে। সমস্ত মুহাদ্দিসগন বলেছেন যে এ শব্দগত হাদিসটির বর্ণনা পাওয়া না গেলেও এটির মর্মার্থ সঠিক। ( সুত্রঃ১. ইমাম সাখাভী, মাকাসিদুল হাসানা, ৪২৯পৃ.হাদিসঃ৯৮৮(,২.) আজলুনী, কাশফুল খাফা,২/১৯৫পৃ.হাদিসঃ২২৫৪) আমরা এ গভেষনা করে হাদিসটির সমর্থনে তিনটিরও বেশী হাদিস পাই।হাদিস নং ১.হযরত আবি ইনাবাতাল খোলানী (রা.) হতে বর্নিত রাসুল (দ.) ইরশাদ করেন ” যমিন বাসী থেকে অবস্থানের পাত্র রয়েেছ তোমাদের প্রভুর সেই অস্থানের পাত্র হলো মু’মিনের ক্বলব বা অন্তর। ( সুত্রঃ তাবরানী, মুসনাদে সামীন,২/১৯পৃ.হাদিসঃ ৮৪০,(২) জালালুদ্দিন সুয়ূতী, জামেউস সগীর,১/৩৬৪পৃ. হাদিসঃ ২৩৭৫ ও জামিউল আহাদিস, ৯/১৯৬পৃ.৮২৩৩ (৩) সাখাভী, মাকাসিদুল হাসানা, ৩৮০পৃ.হাদিসঃ ৯৯০(৪) আজলূনী, কাশফুল খাফা, ২/১৭৫পৃ.হাদিসঃ২২৫৪ (৫) ইরাকী, তাখরীজে ইহইয়াউল উলূমুদ্দিন, ১/৮৯০পৃ. (৬) শায়খ ইউসুফ নাবহানী,ফতহুল কাবীর,১/৩৭৭পৃ. হাদিসঃ৪০৯১ (৭) মানাভী, ফয়যুল কাদীর,২/৬২৯পৃ. (৮) আহলে হাদিস নাসিরুদ্দীন আলবানী তার সহিহ হাদিসের গ্রন্থ ” সিলসিলাতুল আহাদিসুস সহিহা,হাদিসঃ ১৬৯১ ও সহিহুল জামে, হাদিসঃ ২১৬৩ এ তার দু’টি গ্রন্থের মধ্যে হাদিসটি কে হাসান বা গ্রহনযোগ্য বলে উল্লেখ করতেছেন, কিন্তু আহলে হািদসরা আবার সুযোগ বুঝে তাদের ইমামের কথাও অস্বীকার করে বসে।হাদিস নং ২চার মাযহাব এর অন্যতমএকজন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বর্ণনা করেন হযরত ওহ্হাব ইবনে মুনাব্বাহ (রা.) হতে বর্নিত তিনি বলেন ” নিশ্চয় মহান আল্লাহ তা’য়ালা আসমান সমূহকে খুলে দিয়েছেন হিযকিল নামক এক ফিরেশতার জন্য। তিনি আরশ পর্যন্ত দেখতে পেলেন এবং বললেন আল্লাহ তুমি পাকত পবিত্র, তোমার শান মহান। অতঃপর মহান আল্লাহ বললেন নিশ্চই আসমান সমূহ ও আরশ দূর্বলতা প্রকাশ করছে আমাকে স্থান দিতে কিন্তু মু’মিনের কলব বা অন্তর নম্রতা প্রকাশ করে আমাকে গ্রহন করতেছেন। ( সুত্রঃ১. ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, কিতাবুল যুহুদ,১/৬৯পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন,(২) সাখাভী, মাকাসিদুল হাসানা,৪২৯পৃ.হাদিসঃ৯৮৮(৩) আজলূনী,কাশফুল খাফা,২/১৯৫পৃ. হাদিসঃ ২২৫৪(৪) মোল্লা আলী ক্বারী,আসারুল মারফূআ ফি আখবারিল মাওদ্বুআত,৩১০পৃ.(৫) মানাভী, ফয়যুল কাদীর, ১/২৮২পৃ.(৬) ইবনুল ইরাক,তানযিহুশ শরিয়াহ,১/১৪৮পৃ.(৭) আব্দুল হাই লাখনৌভি, আসারুল মারফূআ, ৩১০পৃ.(৮) সুয়ূতী, লা-আলিল মাসনূ, ১/২৯৩পৃ. ইমাম সাখাভী, আজলূনী হাদিসটি কে গ্রহনযোগ্য বলেছেন। তাই প্রমানিত হয়ে গেল এ বিষয়টি প্রমানিত। এ বিষয়ে আরও অনেক হাদিস রয়েেছ যা সামনে দেয়া হবে। (চলবে ইনশাআল্লাহ)

প্রসঙ্গ নবী এবং ওলী আওলিয়াদের নিকট রুহাণী সাহায্য চাওয়া যাবে কি না?

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে… (প্রসঙ্গ নবী এবং ওলী আওলিয়াদের নিকট রুহাণী সাহায্য চাওয়া যাবে কি না) আমি প্রথমে একটি কথা বলতে চায় তা হলো আল্লাহ নিজেইকোরানে বলেছেন, যে আমার রাসূল কে অনুসরণ করে সে যেন আমাকে অনুসরণ করে আর যে আমার রাসূলের হাতেবায়াত হয় সে যেন আমি আল্লাহর হাতে বায়াত হয় পাঠকগন দেখুন আল্লাহ নিজেই কত সুন্দর উপমা দিয়েছেন আমাররাসূল সম্পর্কে সুতরাং এই আয়াত থেকেপ্রমান হয় যে আল্লাহ কে আগে ভালবাসার কথা না বলে আল্লাহ নিজেইবলেছেন তার রাসূলকে ভালবাসতে তাই এ থেকে বুঝাযায় শূধু আল্লাহকে মানলেই হবে না আল্লাহ ভালবাসলেই রাসূল কে ভালবাসা হয় না রাসূল কে ভালবাসলে আল্লাহ কে ভালবাসা হয় এটাইআল্লাহ কত সুন্দর বুঝিয়েছেন পাক কোরানে কিন্তু আমরা নির্বোধ তা অস্কীকার করে কোরানের ব্যখ্যাকে ভূল বুঝিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছি এটা কি মহাপাপ নয়, আসূনএবার + আমার প্রসঙ্গে যাই আমরাদৈনন্দিন জীবনের প্রতিমুহূর্তে অন্যের অর্থাৎ, গায়রুল্লাহ-র সাহায্য প্রার্থী হয়ে থাকি। যেমন – সন্তান পিতা-মাতারনিকট, প্রজা বাদশাহ বা সরকারের নিকট, মাদ্রাসা ও মসজিদের চাঁদার জন্য জনসাধারনের নিকট সাহায্য প্রার্থী হই।এটা শিরক্ নয়। এরা সবাই গায়রুল্লাহ্। বস্তুত তার কাছেইচাওয়া যায় যিনিদেয়ার বা দান করার ক্ষমতা রাখেন।ক্ষমতা দুই প্রকার – ‘জাতিগত বা স্বত্ত্বাগত’ যা একমাত্র আল্লাহ্পাকের জন্য খাস এবং ‘আতাইবা আল্লাহ্ কর্তৃক প্রদত্ত’ -যা আল্লাহ্ পাক তাঁরসকল বান্দাকে প্রদান করে থাকেন। এটা আবার দু’প্রকার – ‘সাধারণ ক্ষমতা’ – যা সকল বান্দাকে আল্লাহ্পাক কমবেশী দিয়ে থাকেন, এবং বিশেষ ক্ষমতা (রুহানী) – যা আল্লাহ্পাক তাঁর খাস বান্দাদের মধ্যে যাকেইচ্ছা দিয়ে থাকেনযেমন – ‘নবী’ ও ‘ওলীআল্লাহ্গণ কারণ আল্রাহ নিজেই বলেছেন যে ব্যক্তি আমার ওলিরবিরুদ্ধে কটুক্তি করে আমি আল্রাহ তার বিরুদদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করি তাই সাবধান তাছাড়া আল্লাহ আরোএরশাদ করেন- অর্থাৎ, “তিনি (আল্লাহ্) নিজ অনুগ্রহ প্রদানের জন্য যাকে ইচ্ছা বেছেনেন (সূরা – আল্-বাক্বারাহ : আয়াত – ১০৫)।আরো এরশাদ হচ্ছেঃ অর্থাৎ, “আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছাস্বীয় ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব বা প্রভুত্ব দান করে থাকেন। আল্লাহ্ প্রাচুর্যময় ও প্রজ্ঞাময়। (বলতে প্রভুত্ব, কর্তৃত্ব ও মালিকানা ইত্যাদি বুঝায়)। (সূরা – আল্-বাক্বারাহ : আয়াত- ২৪৭) পাঠকগণ দেখেন আল্লাহ সুবাহানু তাআলা উপরের ২ আয়াতে বলেছেন ওনারযাকে ইচ্ছা তাকেউনার ক্ষমতা দান করেন তো আমি আর আপনি কেন মাঝখান থেকে অহেতুক মাতাব্বরি করি আর আল্লাহ যাকে তার ক্ষমতা দান করেন নবী রাসূলের পরে ওলি আওলিয়ারাই একমাত্র সেই ক্ষমতার উত্তরাধিকারী চাই জীবীত হোক বা উফাতের বেলায় হোকবরং উফাতের পর তাদের ক্ষমতা আল্লাহ আরো বাড়িয়ে দেন বিভিন্ন হাদীস এবং ফতোয়ার কিতাবে পাওয়াযায় কারণ আল্লাহ পাক কোরানে বলেছেন“যদি কখনও তারানিজেদের আত্নার প্রতিজুলুম করে হে মাহবুব আপনার দরবারে হাজির হয় অতঃপরআল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করে আর রাসুলসাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরপক্ষে সুপারিশ করেন, তবে অবশ্যই তারাআল্লাহকে তাওবা কবুলকারী ও দয়ালু পাবে(সূরা আন নিসা, আয়াত ৬৪ । ) ইমাম কুরতুবী (রহ:) হযরতআবূ সাদেক (রা:) থেকে বর্ণনা করেনযে ইমাম আলী(ক:) বলেন, “মহানবী (দ:)-এর বেসালের (পরলোকে আল্লাহর সাথে মিলিতহবার) তিন দিন পর জনৈক আরব এসে তাঁর রওযামোবারকের ওপর পড়ে যান এবং তা থেকে মাটি নিয়েমাথায় মাখতে থাকেন। তিনি আরয করেন, ‘এয়া রাসূলাল্লাহ (দ:)! আপনি বলেছিলেন আর আমরাওশুনেছিলাম, আপনি আল্লাহর কাছ থেকে জেনেছিলেন আর আমরাও আপনারকাছ থেকে জেনেছিলাম;। আমি একজনপাপী, আর এক্ষণে আপনার-ই দরবারে আগত, যাতে আপনারসুপারিশ আমি পেতেপারি। এই আরযিরপরিপ্রেক্ষিতে রওযা মোবারক থেকে জবাব এলো, ‘কোনো সন্দেহ-ই নেই তুমি ক্ষমাপ্রাপ্ত!’ … Read More

কোরান ও হাদীস মতে কামেলে মোকাম্মেল ওলী বা পীরদের সাথে থাকার নির্দেশ

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে…  (প্রসঙ্গ কোরান ও হাদীস মতে কামেলে মোকাম্মেল ওলী বা পীরদের সাথেথাকার নির্দেশ) আমরা মানুষ খুব যুক্তি তর্ক প্রিয় কিন্তু আল্লাহ প্রাপ্তির পথে কোন যুক্তি তর্কচলেনা তার পর ও অনেকে বুঝেনা বুঝে তর্ককরে থাকি আসলেতা ঠিক না এতে নিজের হালতকমে কিন্তু অনেকসময় আবার না করে ও পারাযায় না তার জন্য অধমকে খোদাযেন মাফ করেন..একটি কথা বলি আমাদের জন্মটাই তো মাধ্যম ছাড়া হয়নিতাহলে আপনে কি করে শিখবেন মাধ্যম ব্যতিত প্রথমে মা বাবা পরিবারবর্গ থেকে আমাদের শিক্ষা শরু হয় তারপর ও মাধ্যম এটা ব্যতীত কেই কখোনা শিক্ষা অর্জন করা অসম্বযদি একা একা কোন কিছু শিখতেচান তাহলে হোচটখেয়ে পস্তাতে হবে.তাই আল্লাহ রাসূল (সা:)ওনাদের পাওয়ার জন্য কোরানে যে পীর ধরতে হবে তার অসংখ্য দলিলআছে আমি কিছুদলিল পেশ করলামআপনাদের সামনে আপনারাই বিচার করুন তবে পীর শব্দটি পবিত্র কোরআন পাকে নেই কারন পীর শব্দটি ফার্সি ভাষা হতে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে যেমনঃ নামাজ, রোজা, ফিরিস্তা, খোদা, ইত্যাদি শব্দগুলো কোরআন শরীফে-এ নেই কারন উহা ফার্সি শব্দ  তবে এর প্রতিটি ফার্সি শব্দেরই প্রতিশব্দ কোরআন শরীফ আছে, যেমন ঃ নামাজ-সালাত, রোজা- সাওম, ফিরিশ্তা-মালাকুন ইত্যাদি আবার সালাত আরবিশব্দটি স্থান বিশেষবিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয় অনুরূপভাবে পীর ফার্সি শব্দের প্রতিশব্দ পবিত্র কোরআন শরীফের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শব্দে প্রকাশ করেছেন, যথা ঃ’অলি’ বহুবচনে আউলিয়া, মুর্শিদ, ইমাম, বহুবচনে আইম্মা, হাদি, ছিদ্দিকিন, ইত্যাদি আশাকরি এটুকু থেকেই বুঝতেপেরেছেন পীর শব্দকোরানে আছি কিনাএ নিয়ে আর কোন তর্ক থেকেবিরত থাকি। পীর-মুরীদ কাকে বলে? পীর শব্দটি ফার্সি। আরবীতে বলা হয় মুরশীদ। মুরশীদ শব্দের অর্থহল পথপ্রদর্শক। যিনি আল্লাহর শরীয়ত তরীকতহাকীকত ও মারেফত এর আদেশ নিষেধআল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালনকরার প্রশিক্ষণ দেন তার নাম মুরশীদ বা পথপ্রদর্শক। যাকে ফার্সীতে বলে পীর। “মুরীদ” শব্দটিও আরবী। যার অর্থহল ইচ্ছাপোষণকারী। যে ব্যক্তি আল্লাহর  শরীয়ত তরীকতহাকীকত ও মারেফত এর আদেশ নিষেধআল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালনকরার ইচ্ছা পোষণকরে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির হাত ধরে শপথ করে সে ব্যক্তির নাম হল “মুরীদ”। এ ব্যাখ্যা থেকে একথাস্পষ্ট হল যে, পীর হবেন আল্লাহর শরীয়ত তরীকত হাকীকত ও মারেফত এর  আদেশ নিষেধ পালনকরার প্রশিক্ষণদাতা। আর যিনিসে প্রশিক্ষণ নিতে চায় সে শিক্ষার্থীর নাম হল “মুরীদ”। সুতরাং যে ব্যক্তি নিজেইশরীয়ত তরীকত হাকীকত ও মারেফত বিধানমানে না, নামাযপড়ে না, পর্দাকরে না, সতর ঢেকে রাখে না বা শরীয়ত তরীকতহাকীকত ও মারেফত আবশ্যকীয় কোন বিধানপালন করে না, সে ব্যক্তি কিছুতেই পীর তথা মুর্শীদ হতে পারে না। কারণ তার নিজেরমাঝেই যখন শরীয়ততরীকত হাকীকত ও মারেফত নেই, সে কিভাবে অন্যকে শরীয়ততরীকত হাকীকত ও মারেফত উপর আমল করা প্রশিক্ষণ দিবে? নিজেইতো প্রশিক্ষিত নয়।এই চারটি দীক্ষা … Read More

পীর হওয়ার পূর্ব শর্ত গুলো

হযরত ইমাম মালেক (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি ফিকাহের ইল্ম হাসিল করল। কিন্তু তাসাওউফের ইল্ম শিক্ষা করল না, সে ফাসেক। আর যে ব্যক্তি তাসাওউফের ইল্ম হাসিল করল, কিন্তু ফিকাহের ইল্ম শিক্ষা করল না, সে জিন্দিক। তবে যে ব্যক্তি জাহেরী ও বাতেনী উভয় ইল্ম শিক্ষা করল। সেই সত্যিকারের হক্কানী আলেম।(মেশকাত শরিফের শরাহ মেরকাত, কাহেরার ১ খ. ৩১৩ পৃ. এবং বাইরুত ২ খ. ৪৭৮ পৃ.)* হযরত জুনাইদ বোগদাদী (র:)বলেন- তুমি আলেম হয়ে সুফী হও,সুফী হয়ে আলেম হয়োনাধ্বংস হয়ে যাবে । * তাছাউফ নিয়ে হাফেজ ইবনে কাইয়্যূম (এর অভিমতহাফেজ ইবনে কাইয়্যূম “আল ওয়াবিলুস’সায়্যিব মিনাল কালিমিত তায়্যিব” নামক কিতাবের ৬৯ পৃষ্ঠায় তাছাউফ নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন। তাঁর এ কিতাব সম্পূর্ণভাবে বুযুর্গগণের বিভিন্ন অবস্থা ও তাঁদের যিকির আযকার ও ওজীফার বর্ণনা প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে। এ কিতাবের মধ্যে তিনি পীর ও শায়েখ হওয়ার জন্য এ শর্ত লিখেছেন যে, কেউ যদি কারো কাছে মুরীদ হতে চায় তাহলে সর্ব প্রথম তাকে লক্ষ করতে হবে, শায়েখ যেন (১) যিকির কারী হন (২) যিকির থেকে উদাসীন না হন (৩) সুন্নতের অনুসারী হন (৪) নফস পুজারী না হন (৫) দ্বীন ও দুনিয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ার হন। এমন শায়েখ যদি তুমি পাও তাহলে তাঁর আচলকে মজবুতভাবে ধরো।হাফেজ ইবনে কাইয়্যূম এ কিতাবের ৭১ পৃষ্ঠায় হযরত আল্লামা ইবনে তাইমিয়া এর কথা উল্লেখ করেছেন। হাফেজ ইবনে কাইয়্যূম (রহ.) বলেন, একবার আমি শায়েখের খিদমতে উপস্থিত হলাম। তিনি ফজরের নামায পড়ে ঐ স্থানে বসেই ঠিক দুপুরের কাছাকাছি সময় পর্যন্ত আল্লাহ আল্লাহ যিকির করছিলেন। তিনি আমাকে বললেন, এই যিকির হল আমার সকালের নাস্তা। আমি যদি সকালের যিকিরের নাস্তা না খাই। তাহলে আমার শক্তি শেষ হয়ে যায়। তবে কিছু সময় আমি যিকির করা এজন্য বন্ধ রাখি, যাতে করে নফসকে একটু আরাম দিয়ে পুনরায় যিকিরের জন্য প্রস্তুত করে নিতে পারি। *ইলমে ফিকাহ কি ? ফিকহে হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালামইলমে-ফিকাহ-উনার-পরিচিতি-ও-প্রয়োজনীয়তা উসওয়াতুন হাসানাহ | ১শা’বান, ১৪৩৫হি: ফিকহ শাস্ত্র সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় আলোচনা‘ইলমুল ফিকহ’-এরআভিধানিক অর্থইল্ম শব্দটি একবচন, বহুবচনে উলূম বাবেসামিয়া-.এর মাছদারঅর্থ-জ্ঞান, শাস্ত্র, তত্ত্বইত্যাদি। ফিক্হ শব্দটিও বাবে‘সামিয়া’-এর মাছদার। শাব্দিক অর্থ- ছহীহ বুঝ, বিচক্ষণতা, সূক্ষদর্শিতা, গভীরজ্ঞান ও উন্মুক্ত করাইত্যাদি। সুতরাং একত্রে‘ইলমুল ফিক্হ’ এরঅর্থ ফিকাহ শাস্ত্র। “দূররুলমুখতার” গ্রন্থে রয়েছে- “ফিক্হ বলা হয়কোনো জিনিস সম্পর্কে জানা।সাইয়্যিদ মুফতী আমীমুলইহসান রহমতুল্লাহি আলাইহিতিনি বলেন “বক্তব্য হতেবক্তার উদ্দেশ্য অনুধাবন করাকেফিক্হ বলা হয়।” ‘ইলমুলফিক্হ’-এর পারিভাষিক সংজ্ঞা:মুজাদ্দিদে যামান, আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়ূতীরহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিবলেন, কুরআন শরীফও হাদীছ শরীফহতে ছহীহ্  বুঝ বা(বিবেক-বুদ্ধি দ্বারাপ্রাপ্ত) ইল্মকে ফিক্হবলা হয়। অর্থাৎ বাস্তব জীবনের কর্মপন্থা সংক্রান্ত শরয়ীবিধানাবলী দলীল প্রমাণের ভিত্তিতে অবগতহওয়ার নাম ফিকহ।এক কথায় ইসলামীশরীয়তকেই ‘ফিক্হ’ বলাহয়। ‘ইলমুলফিকহ’-এর আলোচ্যবিষয়মানব জীবনের মাথারতালু থেকে পায়েরতলা, হায়াত থেকেমউত পর্যন্ত সকলস্তর তথা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আধ্যাত্মিক সর্বস্তরের যাবতীয়কর্মকা- সম্পর্কে ইসলামীবিধানসমূহ আলোচনা এবংএসব বিধানের দলীলপ্রমাণ ও যুক্তিসমূহ উপস্থাপন করাই‘ফিক্হ শাস্ত্রের’ আলোচ্যবিষয়। ‘ইলমুলফিক্হ’ উনার লক্ষ্যও উদ্দেশ্যমানব জীবনের প্রতিটি স্তরেও কর্মকা-েমহান আল্লাহ পাকও উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম উনাদেরপ্রদর্শিত বিধানসমূহ অবগতহয়ে সে মতেআমল করে হক্বকুল্লাহ ওহক্বকুল ইবাদ যথাযথআদায় করে মহানআল্লাহ পাক ওউনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম উনাদেরহাক্বীকী সন্তুষ্টি মুবারকহাছিল করাই ইলমুলফিক্হ উনার লক্ষ্যও উদ্দেশ্য।  ইলমুল ফিকহউনার উৎপত্তিমহান আল্লাহ পাকতিনি ইরশাদ মুবারককরেন, “নিশ্চয়ই নূরেমুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম তিনিওহী মুবারক ছাড়ানিজ থেকে কোনোকিছুই বলেন না।”অর্থাৎ, মহান আল্লাহপাক উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম উনারবিদায়ের পর হযরতছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালাআনহুমগণ পবিত্র কুরআনশরীফ ও পবিত্রসুন্নাহ শরীফ উনারপরিপূর্ণ অনুসরণ করতেন।নতুন কোনো সমস্যাদেখা দিলে পরামর্শের ভিত্তিতে ফায়সালা করতেন।মহান আল্লাহ পাকউনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম তিনিইরশাদ মুবারক করেন, “আমার প্রত্যেক ছাহাবায়ে কিরামতারকা সাদৃশ্য, তোমরাযে কাউকে অনুসরণকরবে, হিদায়েত পেয়েযাবে।”অর্থাৎ প্রত্যেক ছাহাবায়ে কিরামরদ্বিয়াল্লাহুতায়ালা আনহুমগণ পৃথকপৃথক মাযহাবের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।অর্থাৎ প্রত্যেক ছাহাবায়ে কিরামরদ্বিয়াল্লাহুতায়ালা আনহুম উনারাআলাদা আলাদা একএকটা  মাযহাব।হযরত ছাহাবায়ে কিরামরদ্বিয়াল্লাহুতায়ালা আনহুম যুগেরপরবর্তীতে আরো ব্যাপকভাবে পবিত্রদ্বীন ইসলাম উনারআলোকরশ্মি দিক দিগন্তে ছড়িয়েপড়ে।প্রায় সমস্ত পৃথিবীর দেশও জাতি মুসলমানদের সংস্পর্শে আসে।ফলে মানব জীবনেরবহু নিত্য-নতুনসমস্যার উদ্ভব হতেথাকে। যেহেতু ইসলামীজীবন ব্যবস্থার হুকুম-আহকাম ওনিয়ম কানুনসমূহ পবিত্রকুরআন শরীফ ওপবিত্র সুন্নাহ শরীফউনার নানা স্থানেবিস্তৃত পরিসর জুড়েবর্ণিত রয়েছে। তাইউদ্ভূত সমস্যার সমাধানপবিত্র কুরআন শরীফও পবিত্র সুন্নাহ শরীফখুঁজে বের করাবহু সময় সাপেক্ষ ওকষ্টসাধ্য বটে, এমনকিঅনেক ক্ষেত্রে সাধারণের পক্ষেতা সহজ সাধ্যহয়ে উঠে না।অতএব, সম্মানিত ইসলামীশরীয়ত উনাকে অল্পায়াসে সমস্যার সঠিকসমাধান করার জন্যএকটি ধারাবাহিক শ্রেণীবদ্ধ ফিক্হশাস্ত্রের প্রয়োজন অনুভূতহচ্ছিলো। মহান আল্লাহপাক ও উনারপ্রিয়তম রসূল, নূরেমুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম উনারঅশেষ দয়া ওইহসানে উক্ত অভাবচিরতরে দূরীভূত হয়েযায়।উল্লেখ্য, পবিত্র কুরআনশরীফ উনার পবিত্রআয়াত শরীফ ওহাদীছ শরীফসমূহের শানেনযূল, উৎস, পরিবেশ ও পরস্পরসম্পর্কে, নাসেখ মানসুখইত্যাদি সম্বন্ধে পূর্ণইলম না থাকলেইসলামী শরীয়ত উনারযে কোনো বিষয়সমাধান দেয়া কোনোক্রমেই শুদ্ধহবে না। আরসম্মানিত আহলে সুন্নতওয়াল জামায়াত উনাদেরইমাম তথা ফকীহগণের এবিষয় পরিপূর্ণ ইলমছিল। উনারা এসববিষয় পবিত্র কুরআনশরীফ ও সমস্তপবিত্র হাদীছ শরীফপূর্ণাঙ্গভাবেতাহক্বীক করে ফিক্হশাস্ত্র সম্পাদন করেন(মাযহাব নির্ধারণ করেন)। পবিত্রদ্বীন ইসলাম উনারপ্রাথমিক যুগে ফিক্হশাস্ত্রের কোনো শাস্ত্র অস্তিত্ব ছিলনা। তখন পবিত্রকুরআন শরীফ ওপবিত্র হাদীছ শরীফউনার সঙ্গে একীভূতছিল। হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দীর শুরুতেইলমুল ফিকাহ একটিস্বতন্ত্র শাস্ত্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে।হযরত ইমাম আ’যম আবূহানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহিতিনি সুগভীর ইলম, প্রজ্ঞা ও ইলমেলাদুন্নির দ্বারা পবিত্রকুরআন শরীফ ওসমস্ত পবিত্র হাদীছশরীফ পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা ওবিশ্লেষণ করে ফিক্হশাস্ত্র সংকলন করেন।হযরত ইমাম আবূহানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহিতিনি উনার ১০০০ছাত্রেরও বেশি ছাত্রদের নিয়েফিক্হ শাস্ত্র সম্পাদনায় কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহণকরেন। এজন্য তিনিছাত্রদের মধ্যে যুগশ্রেষ্ঠ চল্লিশজন ফিক্হতত্ত্ববিদকে নিয়ে একটিসম্পাদনা পরিষদ গঠনকরেন, যাদের প্রত্যেকেই হক্কানী আলিমও মুজতাহিদগণের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।উনাদের মধ্যে হযরতইমাম আবূ ইউসুফরহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমামহযরত মুহম্মদ রহমতল্লাহি আলাইহিও ইমাম যুফাররহমতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখযোগ্য। এপরিষদের মাসয়ালা রচনারপদ্ধতি এরূপ ছিল, প্রথমত, মাসয়ালার সমাধানপবিত্র কুরআন শরীফেঅনুসন্ধান করা হতএবং প্রত্যক্ষ কিংবাপরোক্ষ সূত্রে সমাধানপেলেই তা লিপিবদ্ধ করাহতো। পবিত্র হাদীছশরীফ উনার বিভিন্নমুখী উক্তিপরিলক্ষিত হলে তারশানে নুযুল, নাসেখ, মানসুখ, পরিবেশ ওউৎস সমন্ধেবিস্তারিত আলোচনার পরযা সঠিক বলেসকলে বিবেচনা করতেন, ঐ সমাধানই লিপিবদ্ধ করতেন।বিতর্কমূলক মাসয়ালাসমূহে হযরতইমাম আ’যমআবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহিতিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম উনারশেষ জীবন মুবারকের পবিত্রহাদীছ শরীফকে গ্রহণকরতেন। পবিত্র সুন্নাহ শরীফদ্বারা সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীতনা হতে পারলেইজমার প্রতি দৃষ্টিদিতেন। সর্বশেষে ক্বিয়াস ওইসতিহসান দ্বারা মীমাংসা করতেন।যেহেতু ফিক্হ পবিত্রদ্বীন ইসলাম উনারমূল বুনিয়াদ বাউৎস চারটিযথাঃ ১। পবিত্রকুরআন শরীফ ২।পবিত্র সুন্নাহ শরীফ৩। পবিত্র ইজমায়েউম্মাহ ৪। পবিত্রছহীহ্ ক্বিয়াস। হযরতইমামে আ’যমআবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহিতিনি প্রত্যেকটি মাসয়ালা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পর্যালোচনার পরলিপিবদ্ধ করতেন। সুদীর্ঘ ২২বছর এরূপ অক্লান্ত কোশেশের পর১২৪ হিজরীতে সম্পাদনের কাজসমাপ্ত করেন এবংপাঁচ লক্ষ মাসয়ালা সন্নিবেশিত হয়।যা ফিকহে হানীফীয়ামে সর্বত্র প্রসিদ্ধি লাভকরে। সূত্র : আল বাইয়্যিনাত শরীফ *ইলমে তাসাউফ কি ? -এদেশের মানুষ সাধারণত ধর্মপরায়ণ । তাদের ধর্ম পরায়ণতার সুযোগ নিয়ে সমাজে বেশ কিছু ব্যবসায়ী পীরের আবির্ভাব ঘটেছে- যাদের ভিতর হক্কানী পীর (যারা আল্লাহর রাস্তায় সঠিক পথ প্রদর্শক)-এর দশটি আলামতের কোন একটিও পাওয়া যায় না ।** কামেল পীরের বৈশিষ্ট্য: ইমাম গা্জ্জালী (র:)——————১, একজন কামেল পীরের বৈশিষ্ট্যগুলোরমধ্যে প্রথমটি হলো তাঁকে আল্লাহ্ তা’লার নৈকট্যপ্রাপ্তবান্দা (কুরবাত) ও রাসূলুল্লাহ্ (দ:)-এর নায়েব (প্রতিনিধি)হিসেবে দ্বীনের (ধর্মের) যাহেরী (প্রকাশ্য)এবং বাতেনী (আধ্যাত্মিক) জ্ঞানে একজন আলেম বা জ্ঞানবিশারদ হতে হবে। মোট কথা, ইসলামী জ্ঞানের সকলশাখায় তাঁর অগাধ জ্ঞান থাকতে হবে। তাঁকে আহলে সুন্নাতওয়াল জামাতের আকিদা-বিশ্বাস সম্পর্কেও জানতে হবে।২, দ্বিতীয়তঃ তাঁকে আরেফ বা ভেদের রহস্যসম্পর্কে জ্ঞানী হতে হবে। তাঁর ইহ্সানঅবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে, যেমন মহানবী (দ:)এরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর এবাদত এমনভাবে করো যেনতুমি তাঁকে দেখতে পাচ্ছো, আর যদি না দেখতে পাওতবে এটি জানো যে তিনি তোমাকে দেখছেন” (আলহাদীস)। একজন আরেফ তাঁর অন্তরে সাক্ষ্য দেবেনযে আল্লাহ্ তা’লা তাঁর যাত মোবারক, গুণাবলী ও কর্মে এক ওঅনন্য।৩, তৃতীয়তঃ কামেল পীর তাঁর পীরেরতত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যেই পরিশুদ্ধ। তাঁকে নফসতথা একগুঁয়ে সত্তার বিভিন্ন স্তর বা পর্যায়, রোগ ও ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে ওয়াকেফহাল হতে হবে। শয়তান কোন্কোন্ পদ্ধতিতে কলব্ বা অন্তরে প্রবেশকরতে পারে তাও তাঁকে জানতে হবে। তাঁর মুরীদদেরপরিশুদ্ধ করা এবং কামেলিয়াত বা পূর্ণতার পর্যায়ে উন্নীত করারসকল পদ্ধতিও তাঁর জানা থাকা প্রয়োজন।৪, চতুর্থতঃ তরীকতেরপথে অনুসারীদের পথ দেখানোর ক্ষেত্রে একজনকামেল পীরের প্রয়োজন তাঁর পীর কেবলার এজাযতবা অনুমতি।৫, বস্তুতঃ একজন কামেল পীরের বৈশিষ্ট্য ও গুণহলো তাঁকে দেখলেই আল্লাহর কথা স্মরণ হবে, তাঁরকথাবার্তা শুনলে ঈমান সজীব ও চাঙ্গা হয়ে উঠবে। ** হযরত বড়পীর (রহ.) পীর বা মুর্শিদের জন্য নিম্নোক্ত পাঁচটি গুণ থাকা অবশ্য কর্তব্য বলে বর্ণনা করেছেন।———(১) শরীয়তে পরিপূর্ণ জ্ঞানসম্পন্ন আলেম হওয়া।(২) ই’লমে হাকীকত সম্পর্কে পূর্ণজ্ঞান থাকা।(৩) সাক্ষাত্ প্রার্থীর সাথে স্নিগ্ধ ও মার্জিত ব্যবহার এবং প্রফুল্ল বদন ও সন্তুষ্টচিত্তে দর্শন দান করা।(৪) দীন-হীনদের সাথে কথায় ও কাজে নম্রতাপূর্ণ ব্যবহার করা।(৫) ভক্তবৃন্দের অন্তরের ব্যাধিসমূহ নির্ধারণপূর্বক তা দূরীকরণের উপায় সম্বন্ধে অভিজ্ঞ হওয়া। নিজেকে রিয়া, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, গর্ব-অহমিকা ইত্যাদি থেকে মুক্ত রাখা, কর্তব্যকর্মে শৈথিল্য এবং আরামপ্রিয়তা দূরীভূত করা।বড়পীর (রহ.)-কে একদা এক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, ফকীর সম্পর্কে। জবাবে তিনি বললেনঃ “ফকীর” শব্দের “ফে” হরফ বলে যে, তুমি মহান আল্লাহর ইচ্ছার ওপরে নিজেকে ফানা করে দাও এবং আল্লাহ্ ব্যতীত যাবতীয় সৃষ্ট বিষয়বস্তু হতে হূদয়কে মুক্ত করে ফেল। “ক্কাফ” হরফ বলে যে, তোমার ক্বলবকে আল্লাহ-প্রেমের শক্তি দ্বারা মজবুত কর এবং তাঁর সন্তুষ্টিতেই সদাসর্বদা নিয়োজিত থাক। “ইয়া” বলে যে, প্রত্যাশা আল্লাহরই নিকট কর এবং তাঁরই। অবলম্বন এবং লোভ-লালসা, কামনা-বাসনা প্রভৃতি হীন প্রবৃত্তি হতে নিজেকে মুক্ত করে আল্লাহর দিকে রুজু কর। অন্যত্র বলেছেন, পরিপূর্ণভাবে রাসূলে মকবুল (স.)-এর অনুসারী হও। তাঁর নসীহতসমূহ মেনে চল এবং সাবধানতার সাথে বেদায়াতসমূহ হতে মুক্ত থাক। ধৈর্যধারণ করাকে আপন অভ্যাসে পরিণত কর। জেনে রেখো, প্রত্যেক দুঃখের পর সুখ নিশ্চয়ই আসবে। বিপদাপদে আশা হারিয়ে ফেল না। আল্লাহর যিকিরে মশগুল থাক। পাপে লিপ্ত হয়ো না; বরং তওবা করে পাপরাশি ধৌত করে পবিত্র হয়ে যাও। আল্লাহর দরজায় সর্বদা পড়ে থাক। এ দরজা কখনো পরিত্যাগ করো না। **শায়েখ ও পীর হওয়ার জন্য যে সব শর্ত জরুরী…………..শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবী (র:) … Read More

পীর-মুরীদ কাকে বলে

 পীর-মুরীদ কাকে বলে?পীর শব্দটি ফার্সি। আরবীতে বলা হয় মুরশীদ। মুরশীদ শব্দের অর্থ হল পথপ্রদর্শক। যিনি আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালন করার প্রশিক্ষণ দেন তার নাম মুরশীদ বা পথপ্রদর্শক। যাকে ফার্সীতে বলে পীর।“মুরীদ” শব্দটিও আরবী। যার অর্থ হল ইচ্ছাপোষণকারী। যে ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালন করার ইচ্ছা পোষণ করে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির হাত ধরে শপথ করে সে ব্যক্তির নাম হল “মুরীদ”।এব্যাখ্যা থেকে একথা স্পষ্ট হল যে, পীর হবেন শরীয়তের আদেশ নিষেধ পালন করার প্রশিক্ষণদাতা। আর যিনি সে প্রশিক্ষণ নিতে চায় সে শিক্ষার্থীর নাম হল “মুরীদ”।সুতরাং যে ব্যক্তি নিজেই শরীয়তের বিধান মানে না, নামায পড়ে না, পর্দা করে না, সতর ঢেকে রাখে না বা শরীয়তের আবশ্যকীয় কোন বিধান পালন করে না, সে ব্যক্তি কিছুতেই পীর তথা মুর্শীদ হতে পারে না। কারণ তার নিজের মাঝেই যখন শরীয়ত নেই, সে কিভাবে অন্যকে শরীয়তের উপর আমল করা প্রশিক্ষণ দিবে? নিজেইতো প্রশিক্ষিত নয়।আর পীর মুরীদির এ পদ্ধতি রাসূল (সাঃ) থেকে চলে আসছে। রাসূল (সাঃ) সাহাবাদের আল্লাহমুখী হওয়ার প্রশিক্ষণ দিতেন। সাহাবারা রাসূল (সাঃ) এর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতেন। বলা যায় রাসূল (সাঃ) হলেন সবচেয়ে প্রথম ও বড় পীর, ও সাহাবায়ে কিরাম হলেন প্রথম মুরীদ।# কুরআন হাদীসে পীর মুরিদীর প্রমাণঃ-আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন-يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَঅনুবাদ-হে মুমিনরা! আল্লাহকে ভয় কর, আর সৎকর্মপরায়নশীলদেরসাথে থাক। {সূরা তাওবা-১১৯)এ আয়াতে কারীমায় সুষ্পষ্টভাবে বুযুর্গদের সাহচর্যে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْঅনুবাদ- আমাদের সরল সঠিক পথ [সীরাতে মুস্তাকিম] দেখাও। তোমার নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দাদের পথ। {সূরা ফাতিহা-৬,৭}সূরায়ে ফাতিহায় মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর নিয়ামাতপ্রাপ্ত বান্দারা যে পথে চলেছেন সেটাকে সাব্যস্ত করেছেন সীরাতে মুস্তাকিম।আর তার নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা হলেন-الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيِّينَ … Read More