প্রসঙ্গ সূরা নামল ৮০ নং আয়াতের সঠিক তাফসীর

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে…  (প্রসঙ্গ সূরানামল ৮০ নং আয়াতের সঠিক তাফসীর) পাঠকগণ কথায় আছে অল্পবিদ্যা এবং না বুঝে ফতোয়া দেওয়াখুবই ভয়ংকর আজকালফেইসবুকে দেখছি সূরানামলের ৮০ নং আয়াতটির অপব্যাখ্য করে মানুষকে কিছু গোমরাহী বুঝাচ্ছে যে রওযাশরীফে যারা আচে তারা সবাই মৃত নাউযুবিল্লাহ কত বড় বেয়াদব ও নবীজীর দুশমন হলে এ কথা বলা যায় আল্লাহ মাবুদ জানেনআল্লাহ সুবাহানু তাআলা পাক কোরানে এরশাদকরেছেন (আল্লাহর পথে যারা শহীদ হয় তাদের তোমরা মৃত বল না। বরং তারা জীবিত। তবে তা তোমরা উপলব্ধি করতে পারো না)। {সূরা বাকারা-১৫৪} কোরানের এই একটি আয়াত কি আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগেনা যেখানে আল্লাহ নিজেই বলছেন আল্লাহর পথে যারা শহীদহয় তারা জীবীত.. তাদের দেহ মোবারক পর্যন্ত মাটির জন্যহারাম করে দেওয়াহয়েছে আল্লাহর পক্ষথেকে.. ইবনে মাযাহ ও আবু দাউদশরীফে তা উল্লেখ করা আছে।এখন আপনাদের কাছে আমি অধমেরপ্রশ্ন যারা এই আয়াত ও হাদীসের বিরোধিতা করেন তারাকি কোন নবীরউম্মত হতে পারেজবাব দিবেন দয়া করে..এবার আসি সূরা নামলের ৮০ নং আয়াত নিয়েএখানে বলা আছে মৃতদেরকে ও বধিদেরকে  আপনি কোন কথা বা আহবানশুনাতে পারবেন না পাঠকগণ এখানে মৃত বা বধির বলতেজীবিত মানুষেকই বুঝানো হয়েছেকোন মৃত মানূষকে নয় কারণ মৃত মানুষকে কি আপনিউপদেশ দিতে পারবেন আরেকটু পরিষ্কার করি এই আয়াতটি কাফিরও মৃত অন্তরদের জন্য নাযিল হয়েছেএখানে রাসূল (সা:)যখন কোন কাফিরদের বুঝাতে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন তাকে কোনকিছুতে ইসলামের পথে আনা আর সম্ভবহচ্ছে না তখন আল্লাহ পাক বলেছেন যাদের অন্তুর মৃত তাদেরকে আপনি কোনকিছুতে আহবান করতেপারবেন না এখানেমৃত বলতে অন্তরসমুহ কে বুঝানো হয়েছেতাই সাবধান না জেনে শুনে কিছুবলা থেকে কারণকাফিরদের জন্য নাযিলকৃত আয়াত গুলি যদি কেউ মুসলিমদের উপর প্রয়োগ করে সে হাদীস মতে ইসলামথেকে খারিজ তাই আবারো বলছি সাবধান হউন সময় থাকতে-পরিশেষে আমি অধম এ টুকুই বলতেচায় দয়া করে কেউ না বুঝেকোন ফতোয়া দিবেননা কারণ আপনারদল ভারী করারজন্য যে কাজটিআপনি করছেন সেটিইআপনাকে পরকালে বিপদেফেলবে-আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিকদান করুক-আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূণ্নী খানকা শরীফ

যারা বলেন ৩ মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন জায়গা যিয়ারত করা যাবেন এবং রওযা যিয়ারতের সূন্নত

আজকাল একদল লোকবিশেষ করে ইবনেতাইমিয়া ও তারসমর্থকরা নিয়ত করেমাজার জিয়ারতের জন্যসফর করার ব্যাপারে হাদীসশরীফের ভুল বামনগড়া ব্যাখ্যা করেথাকে। এমনকি ইবনেতাইমিয়া তার ফতওয়ায়ে কোররাতে হুজুরপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম এররওজা শরীফও নিয়তকরে জিয়ারতের জন্যসফর করা নিষেধকরেছে। (অথচ তাদেরব্যক্তিগত আমল ছিলএর বিরোধী)তারা এ ব্যাপারে নিম্নোক্ত হাদীসশরীফ বর্ণনা করেথাকে॥ হযরত আবু সাঈদখুদরী রাদিআল্লাহু আনহুবলেন, হুজুর পাকসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তিনমসজিদ ছাড়া সফরকরো না, মসজিদুল হারাম, মসজিদুল আক্বছা ওআমার এই মসজিদ।অথচ উপরোক্ত হাদীসশরীফ কবর বামাজার শরীফ জিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফরকরা সংক্রান্ত নয়, ইহা মসজিদে সফরকরা সম্পর্কিত। আমাদেরফতওয়ার বিষয়ে অপ্রাসঙ্গিক।উক্ত হাদীস শরীফেরব্যাখ্যায় নিম্নোক্ত হাদীসশরীফে হুজুর পাকসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন॥: হযরত আনাস ইবনেমালিক রাদিআল্লাহু আনহুহতে বর্ণিত যে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বলেনকোন ব্যক্তি যদিঘরে নামাজ পড়েতবে তার একনামাজে॥ এক নামাজের সওয়াবপাবে। আর যদিপাঞ্জেগানা মসজিদে নামাজপড়ে তবে একনামাজে॥ পঁচিশ নামাজের সমানসওয়াব পাবে। আরযদি জুমুআর মসজিদেএক নামাজ পড়েতবে পাঁচশ নামাজের সওয়াবপাবে আর যদিমসজিদুল আক্বছায় একনামাজ পড়ে তবেপঞ্চাশ হাজার নামাজের সওয়াবপাবে। আর মসজিদুল নববীতেযদি এক নামাজপড়ে তবেও পঞ্চাশহাজার নামাজের সওয়াবপাবে। এবং যদিক্বাবা শরীফে একনামাজ পড়ে তবেএক লাখ নামাজের সওয়াবপাবে। (ইবনে মাজা, মেশকাত) উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় আল্লামা মুহম্মদ ইউসুফবিন নূরী বলেন:জমহুর উম্মত এরমাযহাব হল রওজামোবারক জিয়ারত করাউত্তম ইবাদত, আরনিয়ত করে সফরকরা শুধু জায়েজইনয় বরং মোস্তাহাব হওয়ারব্যাপারে সকলেই একমতএতে কোন প্রকারঅসুবিধা নাই। (মাআরিফুস সুনান, শরহেতিরমিযী, খন্ড ৩, পৃঃ৩২৯) এই হাদীসের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে আল্লামা ইবনেহাযার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহিবলেন, উক্ত হাদীসদ্বারা সাধারণভাবে সফরনিষিদ্ধ হওয়া বুঝায়না। কেননা কোনকোন সফর ওয়াজিবযেমন॥ হজ্বের নিয়তেসফর করা, জ্বিহাদের জন্যসফর, ইলম অর্জনের জন্যসফর, হিজরতের জন্যসফর এবং আরোওঅন্যান্য সফর সকলেরঐ মতে জায়েজহয়। তা হলহুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম এররওজা মোবারক জিয়ারতকি করে নাজায়েজ হবে? (ফতহুল বারী ৩য়খন্ড, পৃঃ৫০, উমদাতুল ক্বারী৮ খন্ড পৃঃ২৫৩) হাফিজে হাদীস শায়েখআল্লামা ইবনে হাযারআসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহিবলেন॥:এ হুকুমের উদ্দেশ্য হলোশুধু মসজিদের সাথেসস্পৃক্ত। এ মসজিদত্রয় ব্যতীতঅন্যান্য মসজিদে নামাজের জন্যসফর করা নিষিদ্ধ। তবেযদি মসজিদ ব্যতীতসালেহগণের (কবর) জিয়ারত, জীবিত-গণের সাথেসাক্ষাৎ, ইলম অর্জন, ব্যবসায় ও ভ্রমনের জন্যসফর করে তাএ হাদীসের হুকুমের অন্তর্ভুক্ত হবেনা। (ফতহুল বারী৩য় খন্ড, ৬৫পৃষ্ঠা) শায়েখ আব্দুল হকমোহাদ্দেস দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহিবলেন॥অর্থঃ কতক আলেমেরমতে, এখানে মসজিদের কথাবলা হয়েছে অর্থাৎ তিন মসজিদ ব্যতীতঅন্য কোন মসজিদের দিকেভ্রমন করা জায়েজনহে, মসজিদ ব্যতীতঅন্যত্র ভ্রমন এহুকুমের অন্তর্ভূক্ত নহে।(আশআতুল লোমআত ১মখন্ড ৩২৪ পৃঃ তাই আমরা এখানেবিস্তারিত দলিল॥আদিল্লাসহ নিয়তকরে কবর বামাজার শরীফ জিয়ারতকরার জন্য সফরকরার উপর ফতওয়াপ্রকাশ করলাম। (১) কবর জিয়ারতসম্বন্ধে হাদীস শরীফেআছে(২): হযরত বুরহিদাহ্ রাদিআল্লাহু আনহুহতে বর্ণিত রসুলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদেরকে কবরজিয়ারত করতে নিষেধকরেছিলাম, এখন তোমরাতা করতে পারো(মুসলিম শরীফ)।(২) অন্য হাদিসশরীফ উনার মধ্যেআছে: হযরত ইবনেমসউদ রাদিআল্লাহু আনহুহতে বর্ণিত, নিশ্চয়ই রসুলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদেরকে কবরজিয়ারত করতে নিষেধকরেছিলাম, এখন তোমরাতা করতে পার।কেননা উহা দুনিয়ার আসক্তিকে কমায়এবং আখিরাতকে স্মরণকরায়। (ইবনে মাযাহ) (৩) কবর জিয়ারতের বৈধতাপ্রসঙ্গে বিভিন্ন হাদীসপরিলক্ষিত হয়, আরএ সমস্ত হাদীসের ব্যাখ্যা হাফেজেহাদীস আল্লামা ইবনেহাযার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহিউনি দিয়েছেন এভাবে:জেনে রাখুন পুরুষও মহিলাদের জন্যকবর জিয়ারত করাএ সমস্ত হাদীসের রায়অনুযায়ী মোস্তাহাব প্রমাণিত, তবেমহিলাদের ব্যাপারে মতানৈক্য আছে।(ফতহুল বারী ফিশরহে বোখারী ৩য়খন্ড ১১৮ পৃষ্ঠা) বিখ্যাত হাদীস বিশারদআল্লামা বদরুদ্দিন আইনীরহমতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখকরেন: সাইয়্যিদাহ্ ফাতিমারাদিআল্লাহু আনহু প্রতিশুক্রবার হযরত হামযাহ্ রাদিআল্লাহু আনহুএর কবর জিয়ারতকরতে যেতেন, অনুরূপভাবে হযরতআয়েশা সিদ্দীকা রাদিআল্লাহু আনহুস্বীয় ভ্রাতা আবদুররহমান রাদিআল্লাহু আনহুএর কবর জিয়ারতকরার জন্য মক্কাশরীফ যেতেন। (উমদাতুল ক্বারীফি শরহে বোখারী) তাবেয়ী মুহম্মদ বিননোমান রহমতুল্লাহি আলাইহিহতে বর্ণিত রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বলেছেন॥ যেব্যক্তি প্রত্যেক শুক্রবার আপনমা॥বাপের অথবা তাঁদেরমধ্যে একজনের কবরজিয়ারত করবে, তাকেক্ষমা করে দেয়াহবে এবং মা॥বাপের সহিতসদ্ব্যব্যবহারকারীবলে লেখা হবে।(বায়হাকী) এ হাদীসেও এককভাবে কবরজিয়ারত করার কথাবলা হয়েছে। যেব্যক্তি তাঁর মাতা॥পিতার কবরজিয়ারত করতে যাবেসে বাড়ী থেকেনিয়ত করেই রওয়ানাহবে অর্থাৎ জিয়ারতকারী একমাত্র কবরজিয়ারত করার জন্যইকবরস্থানে গমন করবে।আর এ ক্ষেত্রে দূরবা নিকট এরকোন পার্থক্য নাই।নিকটের যে হুকুম, দূরেরও একই হুকুম। এ প্রসঙ্গে ইমামশাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিবলেন:অর্থঃ নিশ্চয়ই আমিইমাম আযম আবুহানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহিহতে বরকত হাসিলকরি। যখন আমারকোন সমস্যা দেখাদেয় আমি তাঁরমাজার শরীফে এসেপ্রথমে দু’রাকাতনামাজ আদায় করি।অতঃপর তাঁর উসিলাদিয়ে আল্লাহ্ পাকেরনিকট সমস্যা সমাধানের জন্যপ্রার্থনা করি। তাঅতি তাড়া তাড়িসমাধান হয়ে যায়।(মুকাদ্দিমা,শামী ১মখন্ড ৫৫ পৃঃ) হুযূর পাক (দ:) এরশাদ ফরমান: “আমিযদি সেখানে থাকতাম, তাহলে আমি তোমাদেরকে মূসা(আ:)-এর মাযারটি দেখাতাম, যেটিলাল বালির পাহাড়ের সন্নিকটে পথেরধারে অবস্থিত।”বোখারী শরীফ, ২য়খণ্ড, বই নং২৩, হাদীস নং৪২৩এই হাদীস আবারওরাসূলে খোদা (দ:)-এর কাছথেকে একটি ‘নস’ (স্পষ্ট দলিল) এইমর্মে যে তিনিআম্বিয়া (আ:)-গণেরমাযার-রওযা যেয়ারতপছন্দ করতেন; উপরন্ত, তিনি সাহাবা-এ-কেরাম (রা:)-এর কাছেজোরালোভাবে তা ব্যক্তও করেছেন। উপলব্ধির জন্যে নিম্নেপেশকৃত হাদীসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরএটি মাযার-রওযাযেয়ারতের আদব পালনেসাহাবা-এ-কেরাম(রা:)-এর আকীদা-বিশ্বাসেরও প্রতিফলন করে।হযরত সাইয়্যেদাহ আয়েশা(রা:) বর্ণনা করেন: “যে ঘরে মহানবী(দ:) ও আমারপিতা (আবূ বকর- রা:)-কে দাফনকরা হয়, সেখানেযখন-ই আমিপ্রবেশ করেছি, তখনআমার মাথা থেকেপর্দা সরিয়ে ফেলেছিএই ভেবে যেআমি যাঁদের যেয়ারতে এসেছিতাঁদের একজন আমারপিতা ও অপরজনআমার স্বামী। কিন্তুআল্লাহর নামে শপথ! যখন হযরত উমরফারূক (রা:) ওইঘরে দাফন হলেন, তখন থেকে আমিআর কখনোই ওখানেপর্দা না করেপ্রবেশ করি নি; আমি হযরত উমর(রা:)-এর প্রতিলজ্জার কারণেই এরকম করতাম।” [মুসনাদে আহমদইবনে হাম্বল, ৬ষ্ঠখণ্ড, ২০২ পৃষ্ঠা, হাদীস # ২৫৭০১] … Read More

মানুষ পানি থেকে সৃষ্টি এবং শুধুমাত্র আদম (আ:)মাটির সৃষ্টি আর কেউ নন

☆ জীবের আদি উৎস পানি থেকে ☆…………………………………………………………………..ණ: অবিশ্বাসীরা কি দেখে না আমি সকল প্রানবান জিনিসকে পানিথেকে সৃষ্টি করেছি। তবুও কি তারাঈমান আনবে না?? ( সূরাঃ- আম্বিয়া, আয়াতঃ- ৩০ )আর তিনিই আল্লাহ্‌ পানি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আতঃপর তিনিতাকে বংশগতি ও বৈবাহিক সম্পর্কযুক্ত করেছেন। আর তোমার বর প্রত্যেক বস্তুর ওপর প্রভুত ক্ষমতাবান ।(সূরাঃ- ফুরকান,আয়াতঃ- ৫৪) (সূরাঃ-আন নুর,আয়াতঃ- ৪৫, ৪৬)(বিঃদ্রঃ- আল্লাহ্‌ আমরা যতদিন বাঁচবো ততদিন যেন কোরআন ও হাদীস অনুযায়ী চলতে পারি এ দোয়া হুজুর পাক (সাঃ) এর ওসিলা করে কবুল করুনঃ- আমীন! আমীন! আমীন!

নজর ও মানত ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ কিনা?

নজর ও মানত ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ কিনা?===========================‘নজর’ আরবী শব্দ। ইহার অর্থ বিনা চাওয়াতে কোন কিছু প্রদান করা এবং আরবী ‘মানত’ শব্দের অর্থ ওয়াদা পূরণ করা। কোন পীর কিংবা মোর্শেদ তথা অলী-আল্লাহ্গণের নিকটে গেলেও তাঁকে নজর দেয়া একান্ত কর্তব্য। কেননা পীর বা মোর্শেদ হলেন হযরত রাসূল (সঃ)-এর উত্তরাধিকারী এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষাগুরু। তাঁর শিক্ষা পদ্ধতি অনুশীলনের মাধ্যমেই আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হয়ে থাকে। তাই মুরীদের পক্ষ থেকে মোর্শেদকে সন্তুষ্টচিত্তে যা প্রদান করা হয়, কুরআনের ভাষায় উহাই ‘নজর’ বলে গণ্য।‘মানত’ আদায় করার প্রতিও ইসলামে যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কোন ব্যক্তি যদি রোজা অথবা হজ্ব পালন এবং পশু কোরবানী করার জন্য মানত করে, তাহলে তার জন্য উক্ত মানত পূর্ণ করা ওয়াজিব হয়। উহা আদায় করা না হলে ওই ব্যক্তি আল্লাহ্র নিকট অপরাধী বলে গণ্য হয়। মানত আদায়ের জন্য পবিত্র কুরআন ও হাদীসে কঠোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহ্ এরশাদ ফরমানÑ “স্মরণ কর ইমরানের স্ত্রী যখন বলেছিলোÑ হে প্রভু! আমার উদরে যা আছে তোমার নামে উৎসর্গ করলাম। সুতরাং আমার মানত কবুল কর, তুমি সব কিছুই শোন এবং জ্ঞাত আছ” (৩ পারা, সূরা আল্ ইমরান ৩৫ আয়াত)।উল্লেখ্য যে, ইমরানের স্ত্রীর গর্ভে হযরত মরীয়ম (আঃ) জন্ম গ্রহণ করেন। যদিও তিনি মেয়ে ছিলেন, তথাপি তাঁর পিতা-মাতা মানত পূর্ণ করার উদ্দেশ্যে তাঁকে ‘বায়তুল মোকাদ্দাসের’ খেদমতে উৎসর্গ করেছিলেন। কেননা, মানত যেহেতু আল্লাহ্র কাছে অঙ্গীকার, সেহেতু মকসুদ হাসিল শেষে তা পূর্ণ করা অপরিহার্য কর্তব্য। মানত আদায়ের গুরুত্ব সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদীসে যথেষ্ট বর্ণনা পাওয়া যায় এবং ফতোয়ার কিতাবে এ সম্পর্কে একটি অধ্যায়ও রয়েছে।পরিশেষে একথা বলা যায় যে, অলী-আল্লাহ্গণ আল্লাহ্র বন্ধু এবং হযরত রাসূল (সঃ)-এর ওয়ারেছ। তাঁদের দরবারে আল্লাহ্র নামে কিছু মানত করে মানুষ বহু বিপদ থেকে মুক্তি পেয়ে থাকে। সুতরাং আল্লহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে অলী-আল্লাহ্গণের দরবারে নজর বা মানত সম্পূর্ণ বৈধ এবং তা আদায় করা কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে ওয়াজিব।

মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত “

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে… ” মায়ের পায়েরনিচে সন্তানের বেহেশত”আমরা যারা মুসলিমছোট বেলা থেকেইশুনে এসেছি মায়েরপায়ের নিচে সন্তানের বেহেশতবর্তমান যমানায় শুনছিএটা নাকি ভুলবাপ দাদারা নাকিসব কুসংস্কারের কথাবার্তা বলে তাইমনে মনে হাদীসটি অনেকদিন ধরে খুজতেছিলাম তারপর অ্যমেরিকা তেএক ভাইয়ে সাহায্যের মাধ্যমে এইহাদীসটি খুজে পেলামএবং আপনাদের মাঝেপেশ করব.যত্নকরে তুলে রাখবেনভবিষ্যতের জন্য.যারাবলবে এখন মায়েরপায়ের নিচে সন্তানের বেহেশতএটা জাল হাদিসবা ভুয়া কথাতাদের মুখে ছুড়েমারবেন এই দলিলটিদিয়ে বলবেন তোরাইহলি ইসলামের প্রধানশত্রু-আমি সবকটিহাদীস আপনাদের সামনেতুলে ধরালাম–।হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত রাসুল(দ.) ইরশাদ করেন”আল জান্নাতু তাহতাআকদামুল উম্মুহাত” মায়ের পায়েরনিচে সন্তানের বেহেশত। এসুত্রটি ইমাম কদ্বায়ী তার” মুসনাদে শিহাব” গ্রন্থের প্রথমখন্ডের ১০২ পৃ. হাদিসঃ119, মুসলিম আনসারী,আল-কুনীওয়াল আসমা,৩/১০৯১পৃ. হাদিস.1912, দারুল ইবনে হাযম,বয়রুত। এহাদিসটি এ মতনবা শব্দ পরিবর্তন হয়েহযরত মুয়াবিয়া বিনজাহিমাতা আস্- সালামী(রা.) হতে বর্নিতরাসুল(দ.) এখানে”আকদাম” এর স্থানে”রিজলিহা” অর্থাৎ তাদেরপা মূলত একইঅর্থ বহন করে।এ হাদিসটি রয়েছে১. সুনানে নাসাঈশরিফ, ৬/১১পৃ.হাদিসঃ৩১০৪. (২.) বায়হাকী, শুয়াবুল ঈমাণ,১০/২৪৮পৃ. হাদিসঃ৭৪৪৯(৩) হাকিম, আল- মুস্তাদরাক,২/১১৪পৃ. হাদিসঃ২৫০২ ও ৪/১৬৭পৃ. হাদিসঃ৭২৪৮ ইমামহাকিম নিশাপুরী হাদিসটি সহিহবলেছেন আর যাহাবীতার সাথে একমতপোষন করেছেন।(৫) আবি শায়বাহ, মুসান্নাফ,৫/২১৯ পৃ. হাদিসঃ২৫৪১১ ও ৬/৫১৮ পৃ. হাদিসঃ ৩৩৪৬০ (৬) নাসাঈ,আস্-সুনানিল কোবরা,৪/২৭২পৃ.হাদিসঃ৪২৯৭ (৭) মুসনাদে আহমদ, ২৪/২৯৯ পৃ. হাদিসঃ১৫৫৩৮ হাদিসটিকে আলবানীসুনানে নাসাঈ এরতাহক্বীকে হাসান, সহিহবলেছেন। (সুত্রঃ সুনানেনাসাঈ,হাদিসঃ৩১০৪)পরিশেষ সবার উদ্দেশ্য এটুকুই বলতে চায়আমাদের বাপ দাদারাযা করেছেন তাইঠিক বর্তমাস কাঠমোল্লারা যা করছেতাই শির্ক–আসূণআমরা সবাই ওলিআওলিয়াদের পথের ধূলোজীবনটাকে পার করি-আমিন-প্রচারে-মোখেলছিয়া সূন্নীখানকা শরীফ

কিয়াম বা কারো সম্মানে দাড়ানো

কিয়াম অর্থাৎ দন্ডায়মান হওয়া ছয় প্রকার- জায়েয, ফরয, সুন্নাত, মুস্তাহাব, মাকরূহ ও হারাম। প্রত্যেক প্রকারের কিয়ামকে সনাক্ত করার নিয়ম আমি … Read More

রাসূল (সা:)কেন দাড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন সেই হাদীস গুলির সঠিক ব্যখ্যা

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহশরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীব শাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদা হুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমার মূর্শীদ কেবলা দয়াল মোখলেছ সাই এর সরণে… (প্রসঙ্গ রাসূল (সা:)কেন দাড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন সেই হাদীস গুলির সঠিক ব্যখ্যা)আজকাল বাতিলরা কিছু কোরানের আয়াত আর হাদীস দেখলেই টেংরা মাছের মত লাফাতে থাকে লাফাতে লাফাতে নিজের বিপদ যে নিজেই ডেকে আনে তার টের ও পায়না কি বলতে গিয়ে কি যে বলে ওই খাটাশী জানে না কারণ কোরানের আয়াত এবং হাদীস পড়লেই হবেনা এগুলি প্রত্যেকটার ব্যখ্যা জানতে হবে তা না হলে বিপদে আছে কপালে যেমন ইমাম মুহাদ্দিন সুফিয়ান সাওরী (রা:)বলেন হাদীসের সঠিক ব্যখ্যা হাদীস শ্রবণ থেকে উত্তম-সূত্র-জামিউ বারামিল ইলমি ওরা কাদলিহী-২-১৭৫ পৃ: এবং ইমাম আবু হানীফা (রা:)বলেন যে ব্যক্তি হাদীস অনেস্বণ করল অতছ হাদীসের সঠিক ব্যখ্যা জানলো না সে তার পারিশ্রমকে মাটি করে দিলো এবং নিজের উপর বিপদ ডেকে আনলো-সূত্র-মানাকিবু ইমাম আবু হাণীফা-৩৭৭ পৃ:-সুবাহানাল্লাহ, পাঠকগণ আপনারাই চিন্তা করেন কত বড় মাপের এই দুই মুহাদ্দিস এত বড় কথা বলেছেন তা কল্পনা করা যায়না যারা নাকি হাদীস শাস্ত্রের শায়খন তারা যদি হাদীসের ব্যখ্যার উপর এত জোড় দেয় আর আজকালের কিছু কাঠ মোল্লা এবং তার চেলারা ও দেখি কথায় কথায় ফতোয়া দেয় সাবধান এসব কাঠ মোল্লা থেকে তেমনি ৩ টি হাদীসের ব্যখ্যা নিয়ে আমি অধম আপনাদের সামনে কিয়াম বা দাড়িয়ে সম্মান করতে রাসূল (সা:) কেন নিষেধ করেছেন তার ব্যখ্যাগুলি তুলে ধরলাম ভূল হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন-হাদীস গুলোর আলোচনা- ★ প্রথমত যে হাদীসটি তারা কিয়াম করার বিরুদ্ধে দলীল হিসেবে উল্লেখ করে, সেটার জবাবঃ-عن انس قال لم يكن شخص احب اليهم من رسول الله صلى الله عليه وسلم وكانوا اذا رأوه … Read More

প্রসঙ্গ মোনাজাত বা সম্মিলিত মোনাজাত “

শরু করছি পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে হাবীবআহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে… ” প্রসঙ্গ মোনাজাত বা সম্মিলিত মোনাজাত “ লেখার প্রথমে একটি কবিতার কথা মনে পড়ে গেল ছোটবেলায় এই কবিতাটি আমাদের শিক্ষক আমাদের শিখাতে বাধ্যকরতেন এখন তো দেখিনা কবিতা টি হল সূফিয়া কামালের সাথে আমার কিছুকথা যোগ করেছিভূল হলে মাফ করবেন——— তুলি দুই হাত করি মোনাজাত–হে রহিমরহমান–কত সুন্দর করিয়া ধরণী মোদের করেছ দান–মোরাআজ সেই ধরণীতে সৃষ্টি করিয়াছী হিংসার গ্রাণ–এক দলে বলি মোনাজাত ম্লান–আরেক দলে বলি মোনাজাত অম্লান–এ থেকে উদ্ধার কর দয়াময় হাবীব রহমান…আজ দু:খ ভরা ক্রান্ত হৃদয়েলেখছি খোদার কাছেদুহাত তুলে মোনাজাত করবো তা ও নাকি বেদাত এ কোন যুগে বাস করছি সরল প্রাণমুসলমানরা দেখি এখন মসজিদে নামায শেষেউঠে চলে যায়…উনারা যে খোদার কাছে নামায পরল সেই নামায হল কিনা ভূল হল কিনা নিজের জন্যবা পরিবারের জন্য বা দেশের জন্যহাত তুলে মোনাজাত করবে সেই জিনিসটা পারছে না কেন এই অনিহা .আল্লাহর হাবীব কি নামাযশেষে দু হাত তুলে মোনাজাত করেন নি.আসুন দেখেনেই. প্রত্যেকটা ইবাদতের সকল অংশ কোন একটাআয়াত বা হাদীসদ্বারা প্রমাণিত হতে হবে। নতুবা তা অগ্রহণযোগ্য হবে। عنالضحاک فإذا فرغت قال من الصلاۃ المکتوبۃ، وإلی ربک فارغب، قال في المسئلۃ والدعاء۰ (الدر المنثور : ۶/۳۶۵ ১।- হযরত যাহ্হাক (রাঃ) সূরা ইনশিরাহ তথা আলাম নাশরাহ এর উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন, যখন তুমিফরজ নামায থেকেফারেগ হবে তখন আল্লাহর দরবারে দু’আতে মশগুল হবে। (তাফসীরে দূররে মানছূর ঃ ৬/৩৬৫) (إذا فرغت من الصلاۃ المکتوبۃ فانصب في الدعاء۰ (تفسیر ابن عباس : ۵۱۴ ২। -হযরত ইবনে আব্বাস- (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনিউক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন, “যখন তুমি ফরজ নামায হতে ফারেগ হও, তখন দু’আয় মশগুলহয়ে যাবে।” (তাফসীরে ইবনে আব্বাস (রাঃ), ৫১৪ পৃঃ ) قال ابن عباس وقتادۃ والضحاک ومقاتل والکلبي : إذا فرغت من الصلاۃ المکتوبۃ أو مطلق الصلاۃ فانصب إلی ربک والدعاء، وار غب إلیہ في المسئلۃ۰ (تفسیر مظہري : ۱/۲۹۴) ৩। -হযরত কাতাদাহ, যাহহাক ও কালবী (রাঃ) হতে উক্ত আয়াতের তাফসীরে বর্ণিত আছে, তাঁরা বলেন-‘ফরজ নামায সম্পাদন করারপর দু’আয় লিপ্তহবে’। (তাফসীরে মাযহারী, ১০/২৯৪ পৃঃ) ৪/ -হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) নবী কারীম সল্লাল্লাহু ‘আলাইহী ওয়া সাল্লাম থেকেবর্ণনা করেছেন, আল্লাহ তাআলা তাকীদ করে বলেছেন যে, হে মুহাম্মাদ! যখন আপনিনামায থেকে ফারিগহবেন তখন এ দু’আ করবেন, হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট ভাল কাজের তৌফিক কামনাকরছি এবং মন্দকাজ থেকে বিরতথাকার ব্যাপারে সাহায্য চাচ্ছি এবং আপনার দরবারের মিসকীন অর্থাৎ আল্লাহ ওয়ালাদের মুহাব্বত কামনাকরছি….। (তিরমিযী শরীফ ঃ ২/১৫৯ হাঃ নং ৩২৪৯) ৫। হযরত মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, ‘আমি আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর (রাঃ) কে দেখেছি যে, তিনিএক ব্যক্তিকে সালাম ফিরানোর পূর্বে হাত তুলে মুনাজাত করতেদেখে তার নামাযশেষ হওয়ার পর তাকে ডেকে বললেন, ‘রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু ‘আলাইহী ওয়া সাল্লাম কেবল নামায শেষ করার পরই হস্তদ্বয় উত্তোলন করে মুনাজাত করতেন; আগে নয়।’ (ই’লাউস সুনান, ৩/১৬১) … Read More