(প্রসঙ্গ ২য় খলিফা হতে ইমাম আযমের হাদীস বর্ণনার সনদ)

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে…  (প্রসঙ্গ ২য় খলিফা হতে ইমামআযমের হাদীস বর্ণনার সনদ) লিখতে গেলে আমি অধমেরজীবন ফুরিয়ে যাবেকিন্তু ইমামে আযমেরজুতা মোবারাকের ধুলির পরিমান ও লিখতেপারবোনা আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তাকে এত ইলম দান করেছেন.ইমামে আযম যে ইসলামের ২য় খলিফাহযরত উমর (রা:)থেকে যে হাদীসবর্ণনা করেছেন তা সংক্ষেপে আমি আলোচনা করব ইসলামের ২য় খলিফা থেকেইমামে আযম ২ টি ভিন্ন পদ্ধতিতে হাদীস রচনা করেছেন ১ম পদ্ধতি : ইমামে আযম আবু হানিফা আবু সালেহ বিন আব্দুল্লাহ থেকে তিনি হযরতআব্দুল্লাহ বিন ওমর থেকে তিনি হযরতওমর বিন খাতাবথেকে. ১ম পদ্ধতির ছক:-হযরতআব্দুল্লাহ বিন ওমর+সালেম বিন আব্দুল্লাহ বিন ওমর+ইমামেআযম আবু হানিফা ১ম পদ্ধতির তাহকীক বা যাচাই:-ইমাম আবু হানীফা হযরত ফারুকআযমের নাতি হযরতসালেম ইবনে আব্দুল্লাহ (ওফাত-১০৬হি:)এর সরাসরি শিষ্য ছিলেন.তার মাধ্যমে তিনিহযরত ওমর ফারুক(রা:)থেকে হাদীসশিক্ষা গ্রহন করেন.হযরত সালেম নিজ পিতা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর ব্যতীত নিম্নোক্ত সাহাবায়ে কেরাম থেকেও হাদীস গ্রহণকরেছেন যেমন-হযরতআবু হুরাইরা (রা:)থেকে হযরত আবু আযুব আনসারী (রা:)থেকে হযরত আবু লুবাবা ইবনে আব্দুল মুনযির (রা:)থেকেহযরত রাফে ইবনেখদীজ (রা:)থেকেএবং উম্মুল মুমিনীন মা আয়শা সিদ্দীকা (রা:)থেকে ও হাদীস গ্রহণ করেছেন-সুবহানাল্লাহ ২য় পদ্ধতি : ইমামে আযম আবু হানীফা হযরতযায়দ বিন আসলামথেকে তিনি হযরতওমরের মওলা আসলামথেকে তিনি হযরতওমর বিন থাত্তাব থেকে ২য় পদ্ধতির ছক : হযরতআসলাম মাওলা ওমর+যায়দ বিন আসলাম+ইমামে আযম আবু হানিফা ২য় পদ্ধতির তাহকীক বা যাচাই:-হযরত যায়দ(ওফাত-১৩৬ হি:)এর পিতা আসলামতিনি হযরত ওমর ফারুক (রা:)থেকেহাদীস বর্ণনা করতেনসে কথাকে ইমামমুসলিম ও ইবনেহিব্বানের মত প্রখ্যাত মুহাদ্দিস গণ বর্ণনা করেছেন. হাদীসের প্রসিদ্ধ ইমাম, ইমাম ইবনেহাতেম, ইমাম ইবনেহিব্বান, ইমাম যাহাবী ইমাম সূয়ুতী হযরতযায়দের আলোচনা করতেগিয়ে বলেন, তিনিনিম্নোক্ত সাহাবায়ে কেরাম থেকে হাদীস সংগ্রহ করেছেন যেমন-নিজ পিতা হযরত আসলাম(রা:)থেকে হযরতআব্দুল্লাহ ইবনে ওমর(রা:)থেকে হযরতআনাস ইবনে মালেক(রা:)থেকে হযরতজাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা:)থেকে এবং উম্মুল মুমিনীন মা আয়শা সিদ্দীকা (রা:)থেকে ও হাদীসগ্রহণ করেছেন-সুবহানাল্লাহ আশাকরি সম্মানীত পাঠকগণ একটুহলেও ইমামে আযমেরকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পেরেছি যা অনেক বাতিলদের শায়েস্তা করারজন্য এই পোষ্ট গুলি যত্নে তুলেরাখবেন আশাকরি আল্লাহ হাফেজ-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ সূত্র- মিযযী-তাহযীবুল কমাল-১৬/৫৫৭ যাহাবী-সিয়ারু আলামিন নুবালা-৫/৭১ মুফেত-মানাবিকুল ইমাম আযম আবী হানীফা-১/৫০ করদরী-মানকিবুল ইমাম আযম আবী হানীফা-১/৮৬ মিযযী-তাহযীবুল কমাল-১০/১৪৬ হাসকাফী-মুসনাদুল ইমাম আযম পৃষ্ঠা-১৮৯ নং হা:-৩৮৭ সালেহী-উকদুল জিমান ফি মানকিবুল ইমাম আযম আবী হানীফা-৭২ পৃ: … Read More

হানাফী মাযহাবের সাথে ইমাম বুখারীর সম্পর্ক

হানাফীমাযহাবের সাথে ইমাম বুখারীর সম্পর্কএই পোস্টে আমরা ইমাম বুখারীর সাথে হানাফী মাযহাবের সম্পর্ক কেমন, তা একটু দেখব ইনশাল্লাহ। ১।ইমাম বুখারীর নাম হল-মুহাম্মদ বিন ইসমাইল রহঃ। ইমাম বুখারীর পিতার নাম হল ইসমাইল। সিয়ারু আলামিন নুবালা নামক রিজালশাস্ত্রের গ্রন্থে ইমাম বুখারী রহঃ এর বরাতে বর্ণনা করা হয়েছে- إسحاقبنأحمدبنخلف،أنهسمعالبخارييقول: سمعأبيمنمالكبنأنس،ورأىحمادبنزيد،وصافحابنالمباركبكلتايديه(سيراعلامالنبلاء،الطبقةالرابعةعشر،أبوعبداللهالبخاري،رقم-171) অনুবাদ-ইসহাক বিন আহমাদ খালফ বলেন-আমি ইমাম বুখারী রহঃ কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন-আমার পিতা মালেক বিন আনাস থেকে শুনেছেন, আর তিনি হাম্মাদ বিন জায়েদকে দেখেছেন, আর তিনি ইবনুল মুবারকের সাথে দুই হাতে মুসাফাহা করেছেন। {সিয়ারু আলামিন নুবালা, ১৪ তম তবক্বা, নং-১৭১, রাবী ইমাম বুখারী} ইমাম বুখারীর পিতা ইবনুল মুবারক রহঃ এর সাথে দুই হাতে মুসাফাহা করেছেন। হানাফী মাযহাবেও দুই হাতে মুসাফাহা করার কথা বলা হয়েছে। ২। ইমাম বুখারী সর্বপ্রথম উস্তাদ কে? পাঁচ বছর বয়সে তার পিতা তাকে কুরআন পড়ান। ক) তারপর সর্বপ্রথম মক্কী বিন ইবরাহীম রহঃ এর কিতাব পড়েন।খ) ইমাম আব্দুল্লাহ বিন মুবারকের কিতাব পড়েন।গ) ইমাম সুফিয়ান সাওরীর আল জামেউল কুবরা পড়েন।ঘ) আবু হাফস রহঃ এ কিতাব পড়েন। এখানে লক্ষ্য করুন মক্বী বিন ইবরাহীম ইমাম আবু হানীফা রহঃ এ ছাত্র।আব্দুল্লাহ বিন মুবারক রহঃ ও ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র ।ইমাম সুফিয়ান সাওরীও হানাফী।ইমাম আবু হাফস রহঃ হানাফী। তাহলে ইমাম বুখারী রহঃ এর পড়াশোনা শুরু হানাফী মাযহাবের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কিতাব পড়ার মাধ্যমে। যার কাছে পড়েছেন তিনিও ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র। ৩। ক) ইমাম বুখারী রহঃ এর বয়স যখন ১৫/১৬ বছর হয় তখন আরো পড়াশোনা করার জন্য ২১০ হিজরীতে নিজের পিতার ও তার ভাই আহমাদের সাথে মক্কায় গিয়ে হজ্ব করেন। তারপর সেখানে হাদীস পড়েন, তাদের মাঝে সবচেয়ে বড় উস্তাদ হল আবু আব্দুর রহমান আল মুকরীর কাছে। যিনি হলেন ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র। খ) ইমাম বুখারী যখন বসরায় গেলেন। তখন সেখানে যাদের কাছে হাদীস পড়েন, তাদের মাঝে বড় উস্তাদ হলেন ইমাম আবু আসেম রহঃ, যিনি ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র। তারপর আরো একজন বড় উস্তাদ হলেন-মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল আনসারী রহঃ। তিনিও আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র। গ) তারপর কুফা গেলেন সেখানে যাদের কাছে কিতাব পড়লেন, তাদের মাঝে বড় উস্তাদ হলেন উবায়দুল্লাহ বিন মুসা। তিনিও ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র। আরেক উস্তাদের নাম আবুল ফুজাইল রহঃ তিনিও ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র। ঘ) তারপর পড়ার জন্য বাগদাদ গেলেন, সেখানে যাদের কাছে পড়েছেন। তাদের মাঝে বড় উস্তাদের নাম হল ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহঃ। যিনি ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ এর ছাত্র। আর ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর খাস ছাত্র। লক্ষ্য করুন ইমাম বুখারী রহঃ নিজের শহরে পড়াশোনা করেছেন তো ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্রদের কাছে পড়েছেন। অন্য শহরে গিয়ে পড়াশোনো করেছেন ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্রদের কাছেই পড়েছেন। কুফা নগরীর সাথে ইমাম বুখারীর সম্পর্কঃ … Read More

নামাজে একামতের সময় কখন দাড়াতে হবে

ইমামআবু হানিফা (রহ) মত :- যখন “হাইয়্যা আলাস সালাহ” কিংবা “হাইয়্যা আলাল ফালাহ” বলবেন তখনই মুসল্লী দাড়াবেন তার আগে নয়। হানাফী মাযহাবের মতে তার পুর্বে দাড়ানো মাকরুহ। ★ ইমাম শাফেয়ী (রহ) এর মত হল :- মুয়াজ্জিন ইকামাত শেষ করার পর মুসল্লীগন দাড়াবেন। ★ ইমাম মালেক (রহ) এর মাযহাব :- যখন ইকামত বলা শুরু করবেন তখনই মুসল্লীগন দাড়াবেন। ★ ইমাম আহমদ (রহ) এর মত হল :- মুয়াজ্জিন যখন ইকামত শুরু পর “ক্বাদ কামাতিস সালাতু” পড়বে তখনই মুসল্লীগন দাড়াতে হবে।

প্রসঙ্গ সূরা আল ইমরানের ১০৪ নং আয়াতের ভিত্তিতে তাবলীগ করা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে…  (প্রসঙ্গ সূরাআল ইমরানের ১০৪ নং আয়াতের ভিত্তিতে তাবলীগ করা সবার জন্যপ্রযোজ্য নয়) রাসূল (সা:)অনেক আগেইএকটি ভবিষ্যত বাণীকরে গিয়েছেন এই দলটির সম্পর্কে আসূণ দেখি আমার প্রিয়নবী (সা:)কি বলেছেন-সাহাবী আবু সাঈদ খুদরী ও হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা উনারা বলেন যে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন.আমার বিদায়ের পর পূর্ব দেশগুলির মধ্যে হতে কোন একটি দেশ হতে আমার উম্মতের ভিতরহতে একটি দল বের হবে.এই দলের সদস্যগন হবে অশিক্ষিত এবং মূর্খ.এদের মধ্যে কোন শিক্ষিত লোক গেলেসেও হয়ে যাবেমূর্খের মত.তাদেরবক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের.তাদের মত বক্তৃতা বা বয়ানকারো হবে না.তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুতও সুন্দর.তাদেরনামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজাদেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে.তাদের আমল দেখেতোমাদের আমলকে হেয়মনে করবে.তারাকুরআন শরীফ পড়বেকিন্তু তা তাদেরগলার নিচে যাবেনা.তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না.এদের আমল তোমাদের যতই আকৃষ্ট করুকনা কেন,কখনোইএদের দলে যাবেনা. কারন প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলামথেকে খারীজ.দ্বীনহতে বহির্ভূত.তীর যেমন ধনুক হতে বের হয়ে যায়,সে আর কখনোধনুকের নিকট ফিরেআসে না.তেমনিএরা দ্বীন থেকেবেরিয়ে যাবে,আর কখনো দ্বীনের পথে,কুরআন সুন্নাহর পথে ফিরে আসবে না-দলীল-ফতহুল বারী১২ তম খন্ড৩৫০ পৃষ্ঠা.মিরকাত শরীফ ৭ম খন্ড১০৭ পৃষ্ঠা.এবং মজার বিষয় উল্লেখ্য হাদীস শরীফ খানাবাংলাদেশের দেওবন্দী দের অন্যতম শায়খুল হাদীসমৃত আজিজুল হক তার মাসিক পত্রিকা ” রহমানী পয়গাম” এপ্রিল/২০০৩ সংখ্যার ১২৪৭ নং জিজ্ঞাসা-জবাবে সহীহ বলে উল্লেখ করছে.সম্মানত পাঠকগণ আশাকরি এই হাদীসের ভিত্তিতে এই দলটির আগমন ও তাদের আমীরগন কেমনহবেন তা খুব সুন্দর ভাবে প্রকাশ পেয়েছে এখন আমি সূরা আল ইমরানের ১০৪ নয় আয়াতটির তাফসীর এর ব্যখ্যা লিখছি তাফসীরে মাযহারী তাফসীরে ইবনে কাসিরতাফসীরে তাবারী এবং তাফসীরে কানযুল ঈমানএর পরিপ্রেক্ষিতে আমি শুধুআমার মত করে লিখলাম ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন-সূরা আল ইমরানে বলা আছে-তোমাদের মধ্যে এমন এক দল হউক যাহারা কল্যানের দিকে আহবানকরিবে এবং সতকার্য়ের নির্দেশ দিবে ও অসতকার্য়ের নিষেধ করিবেইহারাই সফলকাম-ইহারমুল তাফসীর বা মর্ম হলো-সত কাজের আদেশ দেওয়াএবং অসত কাজেনিষেধ দেওয়া হলোফরযে কেফায়া.ফরযেকেফায়া হলো যেই কাজটি সকল মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যাক প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কিন্তু সবাইনা করে কিছুসংখ্যাক লোক সেই কাজটি করলে সবারপক্ষ থেকে সেটিআদায়া হয়ে যায়.কেননা এ কাজ সকলের উপর ফরজ নয় কারণ আদেশও নিষেধ জারিকরার জন্য এলমেশরীয়তের মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়ের উপর যাচাইবাচাই যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন আর সবাইএই যোগ্যতার অধিকারী নয়.যদি ও এই আয়াত সকল মুসলিমদের উদ্দেশ্য বিবৃতী হয়েছেকিন্তু এই আয়াতের মাঝখানে-তোমাদের মধ্যে একটি দল-একথাবলে নির্দিষ্ট এলমে শরীয়তের সকল প্রকার হুকুম আহকাম জানেওয়ালা লোকদেরকে বুঝানো হয়েচেযেমন তাফসীরে ইবনেকাসিরে ইস: ফা:এর ২য় খন্ডে৫৬৬ পৃ:বলা আছে এই আয়াতটি মুলত ফকীহগণ-মুজতাহিদ বা আলেম সমাজজাতীয় শ্রেণীর লোকদের জন্য প্রযোজ্য হয়েছে যেমন-আমাদের ভারতবর্ষে হযরত খাজা মঈন উদ্দিন চিশতী (র:)এবং আমাদের বাংলাদেশে ৩৬০ আওলিয়ার প্রধান হযরত শাহজালাল (র:)এবং আরো অনেকেই.মুলত ওনারাই আমাদের দেশে এসে ইসলামের শরীয়তের হুকুম আহকামসহ খানকার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় গিয়ে ইসলাম প্রচার করে গিয়েচেন. কিন্তু আফেসাস বর্তমান যামানার যারা তাবলীগ করেনতাদের অধিকাংশ লোককেই দেখি মুর্খ যারাজীবনে কোরান হাদীসখুলেচে কিনা আমারসন্দেহ আছে আবারতাদের দেখা যায় মাস দুয়েক গেলেপড়ে তারা আবারসেই দলের আমিরশায়খ হয়ে যায় এটাই কি তাবলীগ. আর এটা কি কোরান ও হাদীসপরিপন্থী নয় যারাইসলামের লেবাশ পড়ে এ সকল কর্মকান্ড করে যাচ্ছে তাদের কি অবস্থা হবে আল্লাহ পাক ভাল জানেন.সম্মানিত পাঠকগণ আশাকরি আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন তাবলীগ কাদের জন্যপ্রযোয্য আর কাদেরজন্য প্রযোয্য না গাট্টি নিয়ে স্ত্রী সন্তান সন্তানাদির খোজ খবর না নিয়েমসজিদে মসজিদে মাসেরপর মাস দৌড়ানোর নাম তাবলীগ নয়.আসূল আমরা সবাইআমাদ্রর প্রাণ প্রিয়রাসূল (সা:) ওনারতাবলীগ কি ছিল কিভাবে আমরা সেই তাবলীগের মাধ্যমে ইসলামপেলাম ভারতবর্ষে কাদের কারণে আমার আজ মুসলিম বলে পরিচয়দেয় এবং কাদেরকারণে আজ আমরামুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করি আসূনআমরা তাদের তাবলীগকে অনুসরণ করে আল্লাহ রাসূলকে পাওয়ার আশাকরি-আল্লাহ আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূ্ন্নী খানকাশরীফ

প্রসঙ্গ তারাবী নামায ২০ রাকাত এবং সূন্নত (ফতোয়ায়ে আলমগীরী)

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে…(প্রসঙ্গ তারাবী নামায২০ রাকাত এবং সূন্নত) তারাবীর রাকাত নিয়ে আজকালআহলে হাদিস নামকদলটি সাধারণ মুসলিদের মাঝে ফ্যাতনা সৃষ্টি করেছে কিন্তু ওদেরকে আজীবন পর্যন্ত চ্যলেঞ্জ করে দিলাম যদি হিম্মত থাকে তাহলে৮ রাকাতের দলিলদেখাও ওরা আজীবনচেষ্ট করবে সত্যকে কোন দিন মিথ্যা দিয়ে ঢাকাযায়না আরে যাবেও না আমরাঅনকেই প্রসিদ্ধ ইমামগণের ফতোয়ার কিতাব পড়ি তবে আমি অধম এত আরবী জানিনা মাঝেমধ্যে বাংলা লেখাকিতাব বা হাদীসগুলি থেকে দলিলদেয় যার বেশীরভাগ আমাদের সনামধন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত কিতাব গুলিযার একটি হলোজগত বিখ্যাত কিতাবফতেয়ায়ে আলমগীরী সেই ফতোয়ায়ে আলমগীরীতে স্পষ্টভাবে বলা আছে তারাবী ২০ রাকাত কিভাবে বলা আচে দেখুন নিচেরছবিতে সেটা বুঝানোর জন্য আমি একটুব্যখ্যা করলাম- তারাবীহ تراويح শব্দটি ترويح  এর বহুবচন, যার অর্থ হলো শরীরকে আরাম দেয়া। তারবীহের নামাযে চার রাকাতের পর কিছুণের জন্যবসে আরাম করা হয়। সেই বসাটার নাম তরবীহা। এ জন্য এই নামাযকে তারাবীহ অর্থাৎ আরামের সমষ্টি বলা হয়,পাঠকগণ খুব মনোযোগ সহকারে নিচেরছবিটি দেখেন সেখানে বলা আছে তারাবীর সালাত ৫ তরবীহায় আদায় করতে হবে আর প্রত্যেক তরবীহাতে আছে ৪ রাকাত মানেহলো ৪ রাকাতপড়ে আমরা কিছুক্ষণ আরাম/বিশ্রাম করি এবং বিশ্রাম শেষেআবার নামাযে দাড়ায়এরকম ভাবে ৫ বার নামায আদায়করলে ২০ রাকাতআদায় হয় যা তারাবীর ২০ রাকাতনামায হয় কিন্তু ৮ রাকাত আর হয়না যারা ৮ রাকাত বলে তারাভ্রান্ত তাদের কাছেদুরে সড়ে থাকুন,সম্মানীত পাঠকগন আরেকটু পরিষ্কার করছি আমারাপ্রতি দিন বিশ রাকাত নামায অত্যাবশ্যক-সতের রাকাত ফরয ও তিন রাকাতবিতর, যথা- ফজরেদু’রাকাত, যুহরেচার রাকাত, আসরেচার রাকাত, মাগরিবে তিন রাকাত এবং ইশায় চার রাকাতফরয ও তিন রাকাত বিতর। পবিত্র রমযান মাসে আল্লাহ তা’আলা এ বিশ রাকাতের পরিপূর্ণতার জন্য আরও বিশ রাকাত তারাবীহের নামায নির্ধারণ করেছেন। ২০ রাকাত তারাবীহ সমর্থনে দলীল সমূহ দলিল-১ হযরত সাঈব ইবনে ইয়াযীদ (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) বলেন, “খলীফা হযরত উমর ফারূক (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর আমলে (রমযান মাসে) মুসলমান সমাজ ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামাযএবং বিতরের নামাযও পড়তেন।” — ইমাম বায়হাকী প্রণীত ‘মা’রেফত-উস-সুনান ওয়াল্ আসার’, ৪র্থ খণ্ড, ৪২ পৃষ্ঠা, হাদীসনং ৫৪০৯ হাদিসের মান সম্পর্কে •       ইমাম বায়হাকী (রহ:) অপর এক সনদে অনুরূপ একখানি রওয়ায়াত লিপিবদ্ধ করেছেন। •       হযরত সাঈব ইবনেইয়াযীদ (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) বলেন, খলীফা হযরত উমর ইবনেআল-খাত্তাব (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর শাসনামলে রমযান মাসেমুসলমানগণ ২০ রাকআত(তারাবীহ) নামায পড়তেন।” তিনি আরও বলেন, “তাঁরা মি’ঈন পাঠ করতেনএবং খলীফা হযরতউসমান ইবনে আফফান(রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর শাসনামলে (নামাযে) দণ্ডায়মান থাকার অসুবিধা থেকে স্বস্তির জন্যে তাঁরা নিজেদের লাঠিরওপর ভর দিয়েদাঁড়াতেন। — ইমাম বায়হাকী রচিত ‘সুনান আল-কুবরা’, ২য় খণ্ড, ৬৯৮-৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৪৬১৭ ইমাম নববী (রহ:) বলেন, এটির এ সনদ সহীহ। — ‘আল-খুলাসাতুল আহকাম’, হাদীসনং ১৯৬১ •       ইমাম বদরুদ্দীন আয়নী (রহ:) বলেন, ইমাম বায়হাকী (রহ:) সহীহসনদে সাহাবী হযরতসাঈব ইবনে এয়াযীদ (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) থেকে বর্ণনা করেছেন যে খলীফা হযরতউমর ফারূক (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর শাসনামলে মুসলমান সমাজ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামায পড়তেন এবং তা খলীফা হযরতউসমান (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর শাসনামলেও প্রচলিত ছিল। … Read More

তারাবীর রাকাত নিয়ে তাওহীদ পাবলিকেশন এর বূখারী শরীফে প্রসিদ্ধ ইমামদের নামে জালীয়াতীর মুখোশ উন্মোচন (ভিডিও লিংকে দেখুন)

আহলে হাদীস দলটি যে বাটপার তাদের হাদীসগ্রন্থটিতে তা প্রকাশ পেল পাঠকগণ আপনারাই চিন্তা করুনএরা হাদীস নিয়েইমামদের নামে পর্যন্ত মিথ্যাচার করে যাচ্ছে যা কল্পনার বাহিরে তেমনি আহলে হাদীসদের এক বিশাল জালিয়াতী যা ওদের রচিততাওহিদ পাবলীকেশন প্রকাশিত সহীহুল বূখারী নামক হাদীসগ্রন্থটিতে তারাবীর রাকাতনিয়ে প্রশিদ্ধ ইমামগনদের নামেডাহা মিথ্যবাদী করেছে যেমন আল্লামা ইবনেআবী শায়বা,আল্রামা বদরুদ্দীন আইনি,শায়খমুহাদ্দেস দেহলভী,আল্লাম ইবনে হুমাম,আল্লামা আনোয়ার সাহ কাশ্মীরী,ইবনে হাজার আসকালানী এবং এমনকি মোল্লা আলী কারী যিনিবূখারী শরীফের ব্যখ্যা তার নামেও তারামিথ্যাবাদী করেছে এই হাদীসগ্রন্থে এই বাটপারদের থেকে দুরে থাকুনতারা সহীহ হাদীসের দোহাই দিয়ে সহীহমিথ্যা কথা গুলোহাদীসে লিপিবদ্ধ করেছে যা খুবই নিতান্ত দু:খ জনক ব্যপার আর তাদেরএই বাটপারী গ্রন্থটি সাধারণ মুসলিম দিন দিন ফরমালীনের মত গিলে নিচ্ছে আফসোস আমাদের এরা বৃটিশসরকার সৌদি আরবেরকাছ থেকে রিয়েলনিয়ে মানুষের ঈমানধবংসের খেলায় মেতেউঠেছে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন আর ঐ সকল মিথ্যাচারদের উপর আপনার রহম বর্ষনকরুন-আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূণ্নী খানকাশরীফ

লা মাযহাবীদের বুখারী শরীফে আলবানী মাযহাব

লেবাশধারী শয়তানদের মুখোশ উন্মোচন পোষ্ঠ সাবধান সকল লা মাযহাবীদের কাছ থেকে (প্রসঙ্গ লা মাযহাবীদের বুখারী শরীফে আলবানী মাযহাব) সকল লা মাযহাবীদের জবাবে লিখছি যারা ৪ মাযহাবকে কটাক্ষ্য করে চলেন আপনাদের মতে কোন মাযহাব বা কারো কোন মতকেগ্রহণ করা যাবেনা তার মানেমাযহাব হচ্ছে একটিমত আর ৪ মাযহাব হচ্ছে ৪টি মত আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর জবাব আপনাদের.আর আপনারা সব সময় বলেন আমরা কারোকোন মতকে মানিনা শুধু কোরান ও সহীহ হাদীসকে মানিভাল কথা আমারপ্রখম প্রশ্ন আপনাদের বূখারী শরীফে যে কাঠ মিস্ত্রী আলবানীর মত দেওয়া হয়েছে বুখারী শরীফ খুলুন তাওহীদ পাবলিকেশনের ২য় খন্ডে৩৪২ ৩৪৩ পৃ: সেখানে আপনারা কমপক্ষে রাবীসহ ১০ জন মুহাদ্দিসগণের নামে ডাহামিথ্যা জালীয়াতী করেছেন শুধু তাদের নামেজালীয়াতী করেই ক্ষান্ত হন নি ২০ রাকাত তারাবীকে বাদ দিতে গিয়ে কাঠ মিস্ত্রী আলবানির মতকেপ্রাধান্য দিয়েছেন আপনারা সবাই বলেন আমরাকোন কারো মত কে মানিনা কোরান আর সহীহ হাদীসমানি তাহলে আমরাকি ধরে নিব মি:কাঠ মিস্ত্রী আলবানীকে আপনারা রাসূল(সা:)কে বাদ দিয়ে এই কাঠ মিস্ত্রী কে সবকিছুর গুরু মানেন .নাকিসৌদী ও বৃটিশদের কাছে রিয়াল ও ডলারের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন, নাকিনিজেরাই নতুন মাযহাব সৃষ্টি করেছেন তা মনে মনে মানেনকিন্তু প্রকাশ করেতপারেন না নিজেদের মুখোশ খুলে যাবেবলে. আপনাদের এই বুখারী শরীফের ১টি হাদীসে কমপক্ষে ৫টি স্থানে নাসির উদ্দিন আলবানীর মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন কেন তার জবাব কি দিতেপারবেন .আপনারা কেয়ামত পর্যন্ত চ্যল্যাঞ্জ করে গেলাম পারলে দেখিয়ে দেন তারাবী নামায৮ রাকাত সহীহমতে .আর ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর হাদীসথাকতে আপনাদের আবারআলাদা বুখারী শরীফকেন লাগে নাকিআলবানীর মতকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সাধারণ মুসলিমদের কে নিয়েতাদের ঈমান নিয়েখেলছেন এর কোনজবাব আছে কি আপনাদের কাছে আর কত বাটপারী করবেনআপনারা সরলপ্রাণ মুসলমানদের কে নিয়ে. কি জবাবদিবেন উপর ওয়ালার কাছে এই দুনিয়ায় না চলে যাবেনমানুষকে ধোকা দিয়েওপারে কাকে ধোকাদিবেন এই কথা কি আপনাদের মনে একবার ও স্মরণহয় না লা মাযহাবী ভাইয়েরা.আমি ধিক্কার জানাই আপনাদের এই বাটপারীকে আমি ধিক্কার জানাই বুখারী শরীফের মত একটিপবিত্র গ্রন্থকে অপবিত্র করারজন্য আমি ধিক্কার জানাই সকল মুহাদ্দিসগণদের নামেজালীয়াতী করার জন্যছি: ছি: ছি আপনাদের এই লেবাশধারী মুখোশ আমরা প্রকাশ করব ইনশাল্লাহ-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূণ্নী খানকা শরীফ

২০ রাকাত তারাবীহ সমর্থনে দলীল সমূহ

২০ রাকাত তারাবীহ সমর্থনে দলীল সমূহ দলিল-১ হযরতসাঈব ইবনে ইয়াযীদ (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) বলেন, “খলীফা হযরতউমর ফারূক (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর আমলে(রমযান মাসে) মুসলমান সমাজ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামাযএবং বিতরের নামাযওপড়তেন।” — ইমাম বায়হাকী প্রণীত‘মা’রেফত-উস-সুনান ওয়াল্আসার’, ৪র্থ খণ্ড, ৪২ পৃষ্ঠা, হাদীসনং ৫৪০৯ হাদিসের মান সম্পর্কে  খলীফাহযরত উমর ইবনেআল-খাত্তাব (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর শাসনামলে রমযানমাসে মুসলমানগণ ২০রাকআত (তারাবীহ) নামাযপড়তেন।” তিনি আরওবলেন, “তাঁরা মি’ঈন পাঠকরতেন এবং খলীফাহযরত উসমান ইবনেআফফান (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর শাসনামলে (নামাযে) দণ্ডায়মান থাকার অসুবিধা থেকেস্বস্তির জন্যে তাঁরানিজেদের লাঠির ওপরভর দিয়ে দাঁড়াতেন। — ইমাম বায়হাকী রচিত‘সুনান আল-কুবরা’, ২য় খণ্ড, ৬৯৮-৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৪৬১৭ ইমামনববী (রহ:) বলেন, এটিরএ সনদ সহীহ। — ‘আল-খুলাসাতুল আহকাম’, হাদীস নং ১৯৬১ ইমামবায়হাকী (রহ:) সহীহসনদে সাহাবী হযরতসাঈব ইবনে এয়াযীদ (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) থেকে বর্ণনা করেছেনযে খলীফা হযরতউমর ফারূক (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর শাসনামলে মুসলমান সমাজ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামাযপড়তেন এবং তাখলীফা হযরত উসমান(রাদ্বিয়াল্লাহুতা’য়ালা আনহু)-এর শাসনামলেও প্রচলিত ছিল। — ’উমদাতুল ক্কারী শরহেসহীহ আল-বোখারী’, ৫ম খণ্ড, ২৬৪পৃষ্ঠা; দারুল ফিকর, বৈরুত, লেবানন হতেপ্রকাশিত ’সালাফী’ আলেমআল-মোবারকপুরীও এইহাদীসটির সনদকে ’সহীহ’ বলেছে এবং এরপক্ষে ইমাম নববী(রহ:)-এর সমর্থনের কথাউদ্ধৃত করেছে। — ’তোহফাতুল আহওয়াযী’, ৩য়খণ্ড, ৪৫৩ পৃষ্ঠা; দারুল ফিকর, বৈরুত, লেবানন থেকে প্রকাশিত ইমামনববী (রহ:) বলেন, … Read More

তারাবী ও তাহাজ্জুদ নামায আলাদা

নব্যফিতনাকথিত আহলে হাদিস ,তারা দাবী করে তাহাজ্জুদ ও তারাবীহ নামাজ নাকি এক।অর্থাৎ রমজানে তাহাজ্জুদ বলতে আলাদা কিছু নাই বরং তাহাজ্জুদই তারাবীহ । এ বেপারে তারা যে দলিল দেয় তা হচ্ছে বুখারী শরিফের আম্মাজান আয়শা রাঃ এর হাদিস—-হযরত আবু সালমা বিন আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত তিনি আয়েশা রাঃ এর কাছে জানতে চান নবীজী সাঃ এর নামায কেমন হত রামাযান মাসে? তিনি বললেন-রাসূল সাঃ রামাযান ও রামাযান ছাড়া ১১ রাকাত থেকে বাড়াতেন না। তিনি ৪ রাকাত পড়তেন তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা। তারপর পড়তেন ৪ রাকাত তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা বিষয়ে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন ৩ রাকাত। হযরত আয়েশা রাঃ বলেন-তখন আমি বললাম-হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি বিতর পড়ার পূর্বে শুয়ে যান? তিনি বললেন-হে আয়েশা! নিশ্চয় আমার দু’চোখ ঘুমায় আমার কলব ঘুমায়না। (সহীহ বুখারী-১/১৫৪)অতচ ইমাম বুখারী রাহঃ রামজানে তারাবীহ নামাজ পড়ে তাহাজ্জুদ ও পড়তেন ।প্রমান সরূপ নিচে মুল কিতাবের স্কেন তুলে দরলাম কিতাবটির নাম হচ্ছে :تيسيرالبارىشرحبخاريج١/ 49هدىالسارشرحبخاري٥٠٥নিচে বাংলা ট্রান্সলেট রয়েছে:-ইমাম হাকিম আব্দুল্লাহ রাহঃ সনদের সাথে মুস্তাকিম ইবনে সায়ীদ রাহঃ থেকে বর্ণনা করেন যে যখন রামজানের প্রথম আরম্ব হইত তখন মানুষেরা আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে ইস্মায়ীল বুখারী রাহঃ এর নিকট একত্রিত হইত , এবং তিনি মানুষদের নিয়ে তারাবীহ নামাজ পড়তেন যেখানে তিনি প্রতি রাকাতে ২০ আয়াত করে পড়তেন এ ভাবেই তিনি কুরআন খতম করতেন । এর পর তিনি সেহরির সময় আবার তাহাজ্জুদ পড়তেন প্রতিদিন তাহাজ্জুদে কুরানের এক ৩য়াংশ তিলাওয়াত করতেন এ ভাবে প্রতি ৩ দিনে কুরআন খতম করতেন । এই কথা ধারা প্রমান হল যে তারাবীহ এবং তাহাজ্জুদ এক নয় ।