শিয়ারাই হুসাইন (রা:)হত্যাকারী
আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে… সম্মানীত পাঠকগণ আজ আপনাদের সামনে প্রকাশ করব বর্তমান শিয়াদের মাতম নামের মায়াকান্নার নাটক এবং তারাই যে ইমামহুসাইন (রা:)হত্যাকারী তা তাদেরই রচিতও তাদেরই প্রকাশনী কিতাব থেকে দলিলভিত্তিক আলোচনা করে প্রমান করে দিব এদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে ইমামহুসাইন (রা:)নির্মমভাবে নিষ্ঠুরভাবে শহীদ হয়েছেন।এই ইতিহাস নিয়ে সারাবিশ্বের মুসলিম সমাজআজ অনেক বিভ্রান্তির মধ্যে। এ কোনমায়া কান্না যারানিজেরাই হত্যা করে আবার নিজেরাই মাতমকরে এটা কি মাতম নাকি মাতমনামে নাটক করে আহলে বাইতের প্রতিভালবাসা ও ইমামহুসাইন (রা:)কে হত্যা করে আবারতারই প্রতি হায় হুসেইন হুসেইন বলে হুসাইন (রা:)প্রতিভালবাসা প্রকাশ করে ইতিহাসে এক ঘৃণ্যনিকৃষ্ট ঘটনা।আমি প্রমান করে দিব বর্তমানে যারা সাধারণ মুসলিমদের সামনে মাতম করে নিজের শরীরকে ক্ষতবিক্ষত করে ইমামহুসাইন (রা:)কে ডেকে এনে বিশ্বাসঘাতকতা করে হত্যা করে আবারইমাম হুসাইনের প্রতি শোক প্রকাশ করে ও আহলে বাইতের প্রতি তাদের ভালবাসা প্রকাশ তাদের হাকীকত ও তাদের আসল রহস্য তাদের রচিতগ্রন্থ থেকে প্রমান করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ…….. হযরত হুসাইন (রা:)যখন কুফায় আসলেন কুফারসন্নিকটে কারবালার ময়দানে কতিপয় ঘৃণ্য নিকৃষ্ট ও জাহান্নামের কীট এবং ইতিহাসের নিষ্ঠুর ব্যক্তির যড়যন্ত্রের কারণে ও তাদের নিষ্ঠুর আক্রমণের কারণে জান্নাতের সরদার নবীর প্রাণ প্রিয়দৌহিদ্র ইমাম হুসাইন (রা:)কে শহীদহতে হয়েছিল। হযরত হুসাইন (রা:)যখন কুফায় আসলেন কুফারসন্নিকটে কারবালার ময়দানে কতিপয় ঘৃণ্য নিকৃষ্ট ও জাহান্নামের কীট এবং ইতিহাসের নিষ্ঠুর ব্যক্তির যড়যন্ত্রের কারণে ও তাদের নিষ্ঠুর আক্রমণের কারণে জান্নাতের সরদার নবীর প্রাণ প্রিয়দৌহিদ্র ইমাম হুসাইন (রা:)কে শহীদহতে হয়েছিল। কিন্তু সম্মানীত পাঠকগণ আপনাদের কাছে কিছু প্রশ্ন……. ১.হুসাইন (রা:)কে এই ভয়াভহ ঘৃন্যতম স্থানে,নিকৃষ্টতম স্থানে ও মর্মান্তিক স্থানে কারা ডেকে এনেছিলেন,কি উদ্দেশ্যে ডেকে এনেছিলেন,ডেকে আনারপর তারা কোখায় পালিয়ে গিয়েছিলো কাদের হাতে ইমাম হুসাইন (রা:)শহীদ হয়েছেন…? এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সম্মানীত পাঠকগণ। প্রিয় পাঠকগণ উক্ত প্রশ্নের জবাব শিয়াদের লিখিতকিতাব (শোকার্থের দীর্ঘশ্বাস)এটি ২ খন্ডে সমাপ্ত কারবালার ইতিহাস ভিত্তিক বই যেটি ইতিহাস নির্ভর একটি বই,লেখক-শায়খ আব্বাস উম্মী,পাঠকগণ আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতেপারে এই বইটিকারা বের করেছেন শুনে আশ্চর্জ হবেনলেখক-শায়খ আব্বাস উম্মী একজন কটোরশিয়া আর এটা কোন সূন্নীদের বের করা বই নয় এটা শিয়ারাই তাদেরনিজস্ব লেখক ও প্রকাশনী এবং ইরানচালিত ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় থেকেবের হয়েছে।মোটকথা এটি শিয়ারাই বের করেছেএ বিষয়ে কোনসন্দেহ নেই।যেহেতু এটি কারবালার ইতিহাস রচিতবই এবং শিয়ারা নিজেরাই বের করেছেসেহেতু এটি একটিসত্যিকার ইতিহাস বলে ধরে নেওযা যায় এখন আসূণ আমরাচলে যাই কারবালার ইতিহাস সম্পর্কে এই বইয়ে তাদের বক্তব্য (শিয়াদের) টা কি…? এই বইয়ের প্রথমখন্ডে ৬১ পৃ: শিয়ারা লিখেছেন..ইমামের শিয়ারা (অনুসারীরা)সোলায়মান বিন সূরাব খোযাইনের বাড়িতে জড়ো হলো এবং মুযাবিয়া (রা:)মৃত্যু নিয়ে আলোচনা করতেলাগল এবং আল্লাহর প্রসংশা করতে লাগল।সোলায়মিন উঠে দাড়ালেন এবং বললেন মুয়াবিয়ার মৃত্য হয়েছে ও ইমামহুসাইন ইয়াযীদের প্রতি আনুগত্যের শপথ নিতেঅস্বীকার করেছেন ও মক্কায় চলে গিয়েছেন।তোমরা তার ও তার বাবার শিয়া(অনুসারী)তাই যদি তোমরা তাকে সাহায্য করতেচাও এবং তার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাও তাকে(হুসাইনকে)চিঠি লিখ ও এ বিষয়তাকে জানাও কিন্তু তোমরা যদি ভয় পাও যে ঢিলেমি করবে এবং পিছুহটবে তাহলে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকাত করোনা এবং তাকে এখানে আমন্ত্রণ জানিয়োনা।প্রত্যকে ঐক্যবদ্ধভাবে শপথ করলো যে তারাতাকে সাহায্য করবেএবং তার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেতার (হুসাইনের)আদেশে এবং তাদের জীবনকে এগিয়ে দিবে কুরবান করতে।যখন সোলায়মান তা শুনলেন তখন তাদেরআহবান জানালেন ইমামহুসাইন কে চিঠিলিখার জন্য এবং তারা (শিয়ারা) লিখলো।এই হলো শোকার্থের দীর্ঘশ্বাস বইয়েরবক্তব্য…..। পাঠকগণ এই বক্তব্য থেকেকি বুঝা যায় যে শিয়ারাই নিজেরাই সবাই দলবদ্ধ হয়ে শপথ নিয়ে বলল আমারাতো শিয়া তোমরা হযরত হুসাইনকে চিঠি লিখ তোমরা তার জন্য জীকন কুরবান করবে তোমরা তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না এরপর তারা চিঠিলিখলো হুসাইন (রা:)কাছে।সম্মানীত পাঠকগণ আমাদের কাছে দিবা লোকের মত পরিষ্কার হয়ে গেলো যে কুফারশিয়ারা হুসাইন (রা:)সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবেনা. তারা হুসাইনের জন্য তাদেরে জীবন বিলিয়ে দিবেএই মর্মে এই আশ্বাস দিয়ে তারাহুসাইন (রা:)কাছেচিঠি পাঠালো।পাঠকগন বুঝেনিন চিঠি পাঠালো শিয়ারাই আবার আশ্বাস ও দিয়েছে তারাবিশ্বাসঘাতকতা করবে না। সম্মানীত পাঠকগণ এবার চলুনআমরা হুসাইন (রা:)নিজ বক্ত্যবে শুনি তারা (শিয়ারা)কি তাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছিলো কি না…? শোকার্থের দীর্ঘশ্বাস এই বইয়ের১ম খন্ডের ১৯৯ পৃ:হুসাইন (রা:)সেই সকল কুফাবাসীদের প্রতি সম্বোধন করে বলতেছেন..হে জনতা কুফাবাসী তোমরা যেন ধবংস হও দুর্ধশাগ্রস্ত হও তোমরা উতসাহের সাথে আমাদের আমন্ত্রন জানিয়েছিলে তোমাদের সাহায্য করার জন্য আমরাদীর্ঘ অগ্রসর হয়েছিকিন্তু তোমরা এখন তরবারীগুলি লুকিয়ে রেখেছযা আমরা তোমাদের দিয়েছি আমাদের জন্যআগুন জালিয়েছ যা তোমাদের এবং আমাদের শত্রুদের জন্য জালিয়েছিলাম তোমরা তোমাদের শত্রুদের পক্ষনিয়েছ এবং তাদেরসাথে থেকে তোমরা তোমাদের বন্ধুদের সাথে যুদ্ধ করতে অগ্রসর হয়েছ।এই হলো হুসাইন (রা:)বক্তব্য যা শিয়াদের কিতাব শোকার্থের দীর্ঘশ্বাসে লিপিবদ্ধ।সম্মানীত পাঠকগণ আমরাএই বইয়ের ৬১ নং পৃষ্ঠায় দেখেছি যে শিয়ারাই হুসাইন (রা:)কে আশ্বাস ও দীর্ঘ প্রয়াস দিয়ে আম্নত্রন জানিয়ে ছিলো কুফা আসতে। সম্মানীত পাঠকগণ এবার চলুনআমরা এই বইয়ের২য় খন্ডে ২০ নং পৃ: হযরতযয়নাব বীনতে আলি(রা:)কি বলেছেন উক্ত আমন্ত্রন প্রদানকারী কুফারশিয়াদের প্রসঙ্গে….. হে কুফাবাসীরা হে অহংকারী ব্যক্তিরা হে প্রতারক ব্যক্তিরা হে পেছনেপলায়নকারী ব্যক্তিরা মুনে রাখো তোমাদের কান্না যেন কখনো না থামে এবং তোমাদের বিলাপ যেন কখনোশেষ না হয় নিশ্চয় তোমাদের উদাহরণ হচ্ছে সেই নারীরমত যে তার সূতার পেছ নিজেইখুলে ফেলে তা পেছানোর পর তোমরা তোমাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছো প্রতারণার মাধ্যমে এবং তোমাদের মধ্যে লোকদেখানো আত্নগরীমা সীমা অতিক্রম করে অসততাছাড়া আর কিছুবাকী নেই।সম্মানীত পাঠকগণ এই হলো সেই সকল কুফার শিয়াদের প্রতি যয়নাব বিনত আলী (রা:)বক্তব্য।আমরা উক্ত গ্রন্থের ৬১ নং পৃষ্ঠায় দেখেছিলাম তারা বিশ্বাসঘাতকতা করবেনা বলে ইমাম হুসাইন (রা:)কে চিঠিলিখেছিলো অতচ এখন তারাই বিশ্বাসঘতকতা করে ইমাম হুসাইন (রা:)সহ ৭২ জন কে নির্মম ভাবেহত্যা কন্ড করেছেযা সারা বিশ্বে মুসলিম জাহানের জন্যএক হৃদয়বিদারক করুন কাহিনী। সম্মানীত পাঠকগণ এখন আমরাদেখবো উক্ত বইয়ের২য় খন্ডে ইমামহুসাইন (রা:)ছেলেইমাম যয়নাল আবেদীন (রা:)বলেতেছেন…. হে জনতা আমি আল্লাহর নামে বলছি তোমরা কি জান না যে তোমরা আমারপিতাকে একটি চিঠিলিখেছিলে তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তোমারা থাকেধোকা দিয়েছো অঙ্গীকারের মাধ্যমে তোমরা থাকেসাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং তার কাছেআনুগত্যের শপথ করে এর পরিবর্তে তোমরা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছো।তোমরা যেন তার মাধ্যমে ধবংসহও তোমরা যাকেজন্ম দিয়েছ এবং তোমাদের আদর্শ যেন অধর্য্য হয়ে যায় তোমরা কিভাবে রাসূল(দ:)ওনার সামনেদাড়াবে যকণ তিনিবলেবন তোমরা আমারসন্তানকে হত্যা করেছতোমরা আমার দলভুক্ত নও।সম্মানীত পাঠকগণ তারা১ম খন্ডের ৬১ পৃ: আশ্বাস দিয়েছিলো তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে না আর তারাই হত্যা করল। প্রিয় পাঠকগণ লিখনি অনেকবড় হয় যাবেবিদায় আমি অধম আর বক্তব্য পেশ করালাম না এখানেতিন জনের বক্তব্য প্রদান করলাম এ থেকে দিবালোকের মত পরিষ্কার হয়ে যায় যে যারা আজ হুসাইনি ভালবাসার নামে আহলে বাইতের ভালবাসার নামে রাস্তা ব্লককরে হায় হুসাইন হায় হুসাইন করে মাতম করে নিজেদের শরীরে আঘাত করে বেড়ায় তারাই প্রাণপ্রিয় রাসূল (দ:)ও জান্নাতের সর্দার হযরতেইমাম হুসাইন (রা:)হাত্যাকারী তাদের বিশ্বাস ঘাতকতার কারণে ইমামহুসাইন সহ ৭২ জনকে নির্মম ভাবেশহীদ হয়েছিলো কারবালার ময়দানে।আর সেই শোকে তোমরা শিয়ারা এখন মাতমনামে নাটকে বিশ্ববাসীকে বুঝাচ্ছ যে তোমরাই হুসাইনি প্রেমিক বাহ কি নিদারুন ভালবাসা যা দেখলেই সাধারণ মানুষ কাদতেকাদতে দিশেহারা হয়ে যায়।আর কত কাল এই রকম ভন্ডামী করবে তাই আমি সমগ্র মুসিলম বাসীকে আবেদন জানাচ্ছি যাদের কারণে নিষ্পাপ ইমামহুসাইন সহ ৭২ জনকে শহীদ হয়েছেতাদের মাতম নামেরএই ড্রামাকে বন্ধ করার চেস্টা করুন…আল্লাহ আমিন…প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকাশরীফ. আমি অধম যার মাধ্যমে এটা লিখেছি তার এ বিসয় সম্পর্কে একটি ভিডিও লেকচারের লিংক দিলাম আরোভালভাবে বুঝতে পারবের এবং অন্যজনকে সটিক ইতিহান জানাতে পোষ্টটি দ্রুত শেয়ার করুন।