নবীজিকে আওয়াল আখেরের ইলিম দেওয়া হয়েছে
নবীজিকে আওয়াল আখেরের ইলিম দেওয়া হয়েছে وفي رواية فعلمت علم الأولين والآخرين -“আল্লাহর রাসূল ( ﷺ) বলেন: আওয়াল থেকে আখের … Read More
A Blogg by Md. Emran Khan
নবীজিকে আওয়াল আখেরের ইলিম দেওয়া হয়েছে وفي رواية فعلمت علم الأولين والآخرين -“আল্লাহর রাসূল ( ﷺ) বলেন: আওয়াল থেকে আখের … Read More
ইলমে গায়েব (২য় অংশ) দলিল দেবার পরও যারা সন্দেহ পোষণ করে আর বলে আল্লাহ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে হয়তো সামান্য জ্ঞান দিয়েছেন, তাদের জন্য সহীহ মুসলিমের এ হাদিসটি ইমাম মুসলিম (রহঃ) হযরত ‘আমর ইবনে আখতাব (আবু যায়দ) আল–আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “মহানবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাথে ফজরের নামায আদায় করেন; অতঃপর তিনি মিম্বরে আরোহণ করেন এবং আমাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন, যতোক্ষণ না যোহরের নামাযের সময় হয়; তিনি মিম্বর হতে অবতরণ করে নামায আদায় করেন এবং নামায শেষে আবার তাতে উঠে আমাদের উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন। ইতোমধ্যে আসরের নামাযের সময় হয় এবং তিনি মিম্বর হতে অবতরণ করে নামায আদায় করেন; অতঃপর তিনি নামাযশেষে আবারও মিম্বরে আরোহণ করেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত তাঁর বয়ান রাখেন। পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত যা যা ঘটবে, তার সবই তিনি আমাদের বলেন। আমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি–ই সবচেয়ে জ্ঞানী যিনি এর অধিকাংশ মনে রাখতে পেরেছিলেন।” [সহীহ মুসলিম: ৪১/৬৯১৩, মুসনাদে ইমাম আহমদ] ইলমে গায়েবের পক্ষে সহীহ হাদিস “রাসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হয়রত আলী (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) কে বলেন, রাওযা খাখ নামক স্থানে পৌঁছালে একজন স্ত্রীলোককে দেখতে পারবে। তার কাছে মুশরিকদের নিকট লেখা একটি গোপন পত্র আছে। পত্রটি নিয়ে আসো। আলী (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সঃ) বর্নিত জায়গায় পৌঁছালে উটের উপর আরোহীত একজন নারীকে দেখতে পাই। আমরা তার কাছে গিয়ে সেই গোপন পত্রটি আমাদের কাছে অর্পণ করতে বলি। সে বলল, আমার কাছে কোন পত্র নেই। আমরা উটকে বসিয়ে তল্লাসী নিলাম। কিন্তু কোন পত্র পেলাম না। তখন আমরা বললাম, রাসূলুল্লাহ মিথ্যা কথা বলেন নি। তোমাকে পত্র বের করতেই হবে। নতুবা আমরা তোমাকে উলঙ্গ করে ছাড়ব। যখন সে আমাদের কঠোর মনোভাব লক্ষ্য করলো তখন সে তার কোমরে পরিধেয় বস্ত্রের গিঁটে কাপড়ের পুটলির মধ্য থেকে পত্রখানা বের করে দিল।” [সহীহ বুখারী, ৬ষ্ঠ খন্ড, হাদিস নং ৩৬৯৪] নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সব ইলমে গায়েব কি আল্লাহর ওহী? নীচের সহীহ হাদিসের ঘটনাবলী কোন ওহীর মাধ্যমে এসেছে? “ওহে ওহুদ পাহাড়, সুদৃঢ় থাকো। তোমাতে একজন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), একজন সিদ্দিক ও দুইজন শহীদ ছাড়া আর কেউই চড়েনি!” উমর ও উসমান ((রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু)) শহীদ হন এবং আবু বকর ((রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু)) স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বেসালপ্রাপ্ত হন। [বুখারী ৩৪৩৪, তিরমিযী (সহীহ), আবু দাউদ, আন্ নাসায়ী ও ইমাম আহমদ।] রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আমি শপথ করে বলছি যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভালোবাসেন এমন কাউকে আগামীকাল আমি পতাকা প্রদান করবো (খায়বার যুদ্ধে), যার মাধ্যমে আল্লাহ বিজয় দান করবেন।” পরদিন সকালবেলা তিনি আলী ((রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু)) এর খোঁজ করেন। তিনি চোখের রোগে আক্রান্ত ছিলেন। রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থুথু মুবারক দিলে তাঁর চোখ ভাল হয়ে যায়। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে পতাকা হস্তান্তর করেন এবং আল্লাহ তাঁর মাধ্যমে বিজয় মন্ঞ্জুর করেন।” (বুখারী ৩৪৩৭) রাসূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদেরকে হাবশা (বর্তমানের ইথিওপিয়া)-এর বাদশা নাজাশী’র মৃত্যু সংবাদ সেই দিনই শুনালেন যেদিন তিনি মারা গিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের (দীনী) ভাইয়ের জন্য মাগফেরাত কামনা কর। (বুখারী ৩৬০১) “কাতার সোজা করে দাড়াও কারণ আমি পিছনেও দেখি।” (বুখারী ৬৮; মুসনাদ আহমাদ ৩/১৮২) আবু মুসা আশয়ারী ((রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু)) বর্ননা করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আমাকে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল বিষয়ের সমস্ত ইলিম দান করা হয়েছে”। (কানযুল উম্মাল ৩১৯২৬; ত্ববরানী শরীফ; মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বা; আবু ইয়ালা! আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আল্লাহর প্রিয় হাবীব (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দুনিয়ার শুরু হতে শেষ পযর্ন্ত যা কিছু অতীতে হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যা কিছু হবে সবকিছু জানেন। হযরত আমর ইবনে আখতার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন আমাদেরকে নিয়ে ফজরে নামাজ পড়লেন । অতঃপর মিম্বরে আরোহন করলেন এবং আমাদের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ বক্তব্য প্রদান করলেন; এমনকি যোহরের নামাজের সময় হয়ে গেল; এক পর্যায়ে তিনি মিম্বর হতে নেমে এসে যোহরের নামাজ পড়ালেন । অতঃপর আবারো আরোহন করলেন মিম্বরে, আর বক্তব্য দেয়া শুরু করলেন, এমনকি আসরের নামাজের সময় উপস্থিত হল । অতঃপর মিম্বর হতে নেমে আসরও পড়লেন, পুণরায় মিম্বরে আরোহন করে বক্তব্য দিতে দিতে সূর্য অস্তমিত হয়ে গেল সেদিন নবীজী আমাদের সামনে অতীতে যা কিছু ছিল এবং ভবিষ্যতে যা কিছু হবে সকল বিষয়ে আমাদেরকে সংবাদ জানিয়ে দিয়েছেন । আমাদের মধ্যে যাদের স্মরণশক্তি অধিক তারা সেসব (অদৃশ্য) সংবাদ বেশি মনে রাখতে পেরে। [সূত্রঃ সহীহ বোখারী শরীফ, হাদীস নম্বর–৬২৩০, কিতাবুল কদর; সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদীস নম্বর–২৮৯১, কিতাবুল ফিতান; সহীহ তিরমিযী শরীফ, হাদীস নম্বর–২১৯১, কিতাবুল ফিতান] আল্লাহ কুরআনে বলছেন নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ইলমে গায়েব আছে। অথচ মিথ্যাবাদীরা পোস্ট দেয় নবীজি(সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ইলমে গায়েব নেই। আল্লাহর ও তাঁর রাসুল(সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কে তারা চরম মিথ্যাবাদিতার আহস্রয় নিচ্ছে। রাব্বুল আলামিন বলেন, “আপনি যা জানতেন না – তা (আল্লহ) আপনাকে শিখিয়েছেন। কেননা, আপনার প্রতি আল্লাহর অপরিসীম করুণা রয়েছে” (৪:১১৩)। “আর তিনি (নবী) গায়েবের ব্যাপারে কৃপণ নন” (সূরা তাকভীর: ২৪)। “তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না। তাঁর মনোনীত রসূল ব্যতীত।” (৭২:২৬–২৭)। তাছাড়া অসংখ্য হাদিসে নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ইলমে গায়েবের প্রমাণ বিদ্যমান। আল–বেদায়া ওয়ান–নেহেয়ায় অসংখ্য ভবিষ্যৎ বাণীগুলো পড়লেই প্রমাণ পাওয়া যায়। … Read More
ইলমে গায়েব (২য় অংশ) দলিল দেবার পরও যারা সন্দেহ পোষণ করে আর বলে আল্লাহ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে হয়তো সামান্য জ্ঞান দিয়েছেন, তাদের জন্য সহীহ মুসলিমের এ হাদিসটি ইমাম মুসলিম (রহঃ) হযরত ‘আমর ইবনে আখতাব (আবু যায়দ) আল–আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “মহানবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাথে ফজরের নামায আদায় করেন; অতঃপর তিনি মিম্বরে আরোহণ করেন এবং আমাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন, যতোক্ষণ না যোহরের নামাযের সময় হয়; তিনি মিম্বর হতে অবতরণ করে নামায আদায় করেন এবং নামায শেষে আবার তাতে উঠে আমাদের উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন। ইতোমধ্যে আসরের নামাযের সময় হয় এবং তিনি মিম্বর হতে অবতরণ করে নামায আদায় করেন; অতঃপর তিনি নামাযশেষে আবারও মিম্বরে আরোহণ করেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত তাঁর বয়ান রাখেন। পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত যা যা ঘটবে, তার সবই তিনি আমাদের বলেন। আমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি–ই সবচেয়ে জ্ঞানী যিনি এর অধিকাংশ মনে রাখতে পেরেছিলেন।” [সহীহ মুসলিম: ৪১/৬৯১৩, মুসনাদে ইমাম আহমদ] ইলমে গায়েবের পক্ষে সহীহ হাদিস “রাসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হয়রত আলী (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) কে বলেন, রাওযা খাখ নামক স্থানে পৌঁছালে একজন স্ত্রীলোককে দেখতে পারবে। তার কাছে মুশরিকদের নিকট লেখা একটি গোপন পত্র আছে। পত্রটি নিয়ে আসো। আলী (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সঃ) বর্নিত জায়গায় পৌঁছালে উটের উপর আরোহীত একজন নারীকে দেখতে পাই। আমরা তার কাছে গিয়ে সেই গোপন পত্রটি আমাদের কাছে অর্পণ করতে বলি। সে বলল, আমার কাছে কোন পত্র নেই। আমরা উটকে বসিয়ে তল্লাসী নিলাম। কিন্তু কোন পত্র পেলাম না। তখন আমরা বললাম, রাসূলুল্লাহ মিথ্যা কথা বলেন নি। তোমাকে পত্র বের করতেই হবে। নতুবা আমরা তোমাকে উলঙ্গ করে ছাড়ব। যখন সে আমাদের কঠোর মনোভাব লক্ষ্য করলো তখন সে তার কোমরে পরিধেয় বস্ত্রের গিঁটে কাপড়ের পুটলির মধ্য থেকে পত্রখানা বের করে দিল।” [সহীহ বুখারী, ৬ষ্ঠ খন্ড, হাদিস নং ৩৬৯৪] নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সব ইলমে গায়েব কি আল্লাহর ওহী? নীচের সহীহ হাদিসের ঘটনাবলী কোন ওহীর মাধ্যমে এসেছে? “ওহে ওহুদ পাহাড়, সুদৃঢ় থাকো। তোমাতে একজন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), একজন সিদ্দিক ও দুইজন শহীদ ছাড়া আর কেউই চড়েনি!” উমর ও উসমান ((রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু)) শহীদ হন এবং আবু বকর ((রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু)) স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বেসালপ্রাপ্ত হন। [বুখারী ৩৪৩৪, তিরমিযী (সহীহ), আবু দাউদ, আন্ নাসায়ী ও ইমাম আহমদ।] রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আমি শপথ করে বলছি যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভালোবাসেন এমন কাউকে আগামীকাল আমি পতাকা প্রদান করবো (খায়বার যুদ্ধে), যার মাধ্যমে আল্লাহ বিজয় দান করবেন।” পরদিন সকালবেলা তিনি আলী ((রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু)) এর খোঁজ করেন। তিনি চোখের রোগে আক্রান্ত ছিলেন। রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থুথু মুবারক দিলে তাঁর চোখ ভাল হয়ে যায়। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে পতাকা হস্তান্তর করেন এবং আল্লাহ তাঁর মাধ্যমে বিজয় মন্ঞ্জুর করেন।” (বুখারী ৩৪৩৭) রাসূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদেরকে হাবশা (বর্তমানের ইথিওপিয়া)-এর বাদশা নাজাশী’র মৃত্যু সংবাদ সেই দিনই শুনালেন যেদিন তিনি মারা গিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের (দীনী) ভাইয়ের জন্য মাগফেরাত কামনা কর। (বুখারী ৩৬০১) “কাতার সোজা করে দাড়াও কারণ আমি পিছনেও দেখি।” (বুখারী ৬৮; মুসনাদ আহমাদ ৩/১৮২) আবু মুসা আশয়ারী ((রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু)) বর্ননা করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আমাকে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল বিষয়ের সমস্ত ইলিম দান করা হয়েছে”। (কানযুল উম্মাল ৩১৯২৬; ত্ববরানী শরীফ; মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বা; আবু ইয়ালা! আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আল্লাহর প্রিয় হাবীব (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দুনিয়ার শুরু হতে শেষ পযর্ন্ত যা কিছু অতীতে হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যা কিছু হবে সবকিছু জানেন। হযরত আমর ইবনে আখতার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন আমাদেরকে নিয়ে ফজরে নামাজ পড়লেন । অতঃপর মিম্বরে আরোহন করলেন এবং আমাদের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ বক্তব্য প্রদান করলেন; এমনকি যোহরের নামাজের সময় হয়ে গেল; এক পর্যায়ে তিনি মিম্বর হতে নেমে এসে যোহরের নামাজ পড়ালেন । অতঃপর আবারো আরোহন করলেন মিম্বরে, আর বক্তব্য দেয়া শুরু করলেন, এমনকি আসরের নামাজের সময় উপস্থিত হল । অতঃপর মিম্বর হতে নেমে আসরও পড়লেন, পুণরায় মিম্বরে আরোহন করে বক্তব্য দিতে দিতে সূর্য অস্তমিত হয়ে গেল সেদিন নবীজী আমাদের সামনে অতীতে যা কিছু ছিল এবং ভবিষ্যতে যা কিছু হবে সকল বিষয়ে আমাদেরকে সংবাদ জানিয়ে দিয়েছেন । আমাদের মধ্যে যাদের স্মরণশক্তি অধিক তারা সেসব (অদৃশ্য) সংবাদ বেশি মনে রাখতে পেরে। [সূত্রঃ সহীহ বোখারী শরীফ, হাদীস নম্বর–৬২৩০, কিতাবুল কদর; সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদীস নম্বর–২৮৯১, কিতাবুল ফিতান; সহীহ তিরমিযী শরীফ, হাদীস নম্বর–২১৯১, কিতাবুল ফিতান] আল্লাহ কুরআনে বলছেন নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ইলমে গায়েব আছে। অথচ মিথ্যাবাদীরা পোস্ট দেয় নবীজি(সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ইলমে গায়েব নেই। আল্লাহর ও তাঁর রাসুল(সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কে তারা চরম মিথ্যাবাদিতার আহস্রয় নিচ্ছে। রাব্বুল আলামিন বলেন, “আপনি যা জানতেন না – তা (আল্লহ) আপনাকে শিখিয়েছেন। কেননা, আপনার প্রতি আল্লাহর অপরিসীম করুণা রয়েছে” (৪:১১৩)। “আর তিনি (নবী) গায়েবের ব্যাপারে কৃপণ নন” (সূরা তাকভীর: ২৪)। “তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না। তাঁর মনোনীত রসূল ব্যতীত।” (৭২:২৬–২৭)। তাছাড়া অসংখ্য হাদিসে নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ইলমে গায়েবের প্রমাণ বিদ্যমান। আল–বেদায়া ওয়ান–নেহেয়ায় অসংখ্য ভবিষ্যৎ বাণীগুলো পড়লেই প্রমাণ পাওয়া যায়। … Read More
দলিল নং ১ ইমাম কাজী ইউসুফ নাবহানী (রহ:) বলেন: প্রথমত আপনাদের জানতে হবে যে এলমে গায়ব তথা অদৃশ্য জ্ঞান মহান … Read More
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমপ্রিয় সুহৃদআসসালামু আলাইকুম ইলমে গায়ব বিষয়ে আনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে , সে কারনে এই বিষয়ে কোরআন শরীফ থেকে … Read More
দলিল দেবার পরও যারা সন্দেহ পোষণ করে আর বলে আল্লাহ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে হয়তো সামান্য জ্ঞান দিয়েছেন, … Read More
ইলমে গায়েব এর সংজ্ঞা গায়েব হচ্ছে এমন এক আদৃশ্য বস্তু বা বিষয় যা মানুষ চোখ নাক, কান ইত্যাদে দ্বারা উপলব্দি … Read More
ইলমে গায়ব বিষয়ে আনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে , সে কারনে এই বিষয়ে কোরআন শরীফ থেকে ও সহীহ বুখারী শরিফ ও … Read More
ইলমে গায়ব তিন ধরনের রয়েছে এবং এদের পৃথক বৈশিষ্ট্য রয়েছে । (খালিসুল ইতেকাদ গ্রন্থের ৫ পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত) ।প্রথম প্রকারঃ- ১) মহান আল্লাহ তাআলা … Read More
ইলমে গায়বে অবিশ্বাসীগণ যখন তাদের বক্তব্যের সমর্থনে প্রমাণাদি উপস্থাপন করে তখন নিম্নলিখিত বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা প্রয়োজন ।(এজহাতুল গায়ব গ্রন্থের ৪র্থ পৃষ্ঠা … Read More