৩য় পর্ব
মুসলিম সংসারের বউ,
লেখিকাঃবিনতে আলম
আয়শাঃ আপনি??
সাজ্জাদঃ স্যার চলে আসতে বলছে!
আয়শাঃওহ.
সাজ্জাদঃচলুন লিফটে করে নিচে যায়,,,!
আয়শাঃআমি সিড়ি বেয়ে যাব
সাজ্জাদঃ কেন?? লিফটে বেশি সময় লাগবেনা তো?
আয়শাঃআসলে আমার ভয় লাগে..!
ওকে চলুন তাহলে…
কি বজ্জাত মেয়েরা এত সময় হাটা যায় নাকি…
যাই বলো…
তোমার কথা,আচরণে আমায় মুগ্ধ করেছে না হয়,,লিফট ছাড়া নামতাম না(সাজ্জাদ মনে মনে)
এদিকে আয়শা আনমনে নিছে এসে সিটে চলে যায়,,,
আর সাজ্জাদ হাফাতে হাফাতে আয়শার কাছে এসে বলে,,আপনাকে এতটা প্রশ্ন করলাম কোনো উত্তর দেননি যে???
আয়শাঃকখন?
সাজ্জাদঃকখন মানে আমি আপনার অনেক সিনিয়র এমন আচরণ করার সাহস কই পান আপনি,,,??
কি বলে হতচ্ছাড়া আমি তো কিছুই শুনিনি তার মানে বলে দিতেই হবে গোপনীয় বিষয়টা(মনে মনে আয়শা)
আয়শাঃআসলে আমি নিছে নামার দোয়া পড়ে পড়ে আসছি তো তাই হয়তো খেয়াল করিনি…!!
সাজ্জাদঃনিছে নামার দোয়া কি??
আয়শাঃ আপনি যানেননা?? নিছে নামার দোয়া হলো
সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ..
সাজ্জাদঃএটা কেন পড়তে হয়,,আর শুধুই তিনবার নাকি??
আয়শাঃ এটা বলা সুন্নত আর তিনবার না যতক্ষণ নিছে পৌছাননি ততক্ষণ পড়তে হবে….
ওহ আচ্ছা (সাজ্জাদ)
আচ্ছা বলুন,,,আমি যে বললাম আপনাকে আমার পছন্দ তো…….(সাজ্জাদ)
ক্রিং ক্রিং ক্রিং…
হ্যালোঃআসসালামু আলাইকুম?(রিমা)
স্যারঃ ওয়ালাইকুমুস সালাম..!
রুমা কে আর আয়শাকে আমার কেবিনে আসতে বলো??
ওকে স্যার…(রিমা)
রুমা,,আয়শা স্যার আপনাদের কেবিনে যেতে বলেছে…(রিমা)
সাজ্জাদঃকেন?? একটু আগেই তো আসলো!
রিমাঃ জানিনা হঠাৎ কেন ডাকলেন!!
রুমা আপু চলেন??(আয়শা)
হুম চলুন(রুমা)
আপনার আনসার টা তো দিয়ে যাবেন? (সাজ্জাদ)
আয়শাঃ…….এটা শয়তানের ধোকা ছাড়া কিছুই না…
সাজ্জাদঃ কি ভাবে বুঝলেন?
আয়শাঃআমি আসছি…!
লিফটে যায়(রুমা)
আচ্ছা…..(আয়শা)
আপনি?….(রুমা)
সিড়ি দিয়ে(আয়শা)
বিরক্ত লাগেনা(রুমা)
না….
কেন যানতে পারি..?
কারণ,,ভাল লাগে..
এই কেমন ভাল লাগা….
তাসবিহ জপার সুযোগ আছে তাই…
যেমন…
উপরে উটতে…আল্লাহু আকবর বলতে বলতে উটতে হয় তো তাই…
কি বলেন যানতাম না তো..
এখন থেকে যে কোন সময়,,যে কোন জায়গায় উপরে উটার সময় আল্লাহু আকবর বলেই উটবেন মনে প্রশান্তি অনুভব হবে..
নিমিষেই ক্লান্তি চলে যাবে….
ধন্যবাদ,,গুরুজনেরা এইজন্যই বলে “”সৎ সঙ্গ সর্গবাস””
ধন্যবাদ নই জাযাকাল্লাহু খায়রান(অর্থ আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিধান দান করুক)
আচ্ছা এখন এগানো যাক..
হুম..
স্যার আসবো??(রুমা)
স্যারঃ শিউর,,আয়শা কই
এইতো স্যার (আয়শা)
২-৩দিনের কাজ আপনি রুমাকে বুঝিয়ে দিন আর চেয়ারম্যান থাকা অবধি আপনার ছুটি,,তবে হ্যাঁ গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুরে আসুন ভাল লাগবে…(স্যার)
আয়শাঃ হাসবে না কি কাধঁবে বুঝতে পারছিনা…(মনে মনে ভাবছে আাবারও আল্লাহ আমায় সাহায্য করলো তিনি যে দয়াবান,,,যাকে খুশি সম্মান আর যাকে খুশি অপমান করেন তা আবার প্রমান পেলাম,,,শুকরিয়া মালিক আপনার দরবাবে..)
&এটাইতো নিয়ম যে আল্লাহ ও আল্লাহর হুকুমের উপর অঠল থাকবে থাকে সাহায্য করেন এইভাবে!
জাযাকাল্লাহু খায়রান স্যার(রুমা)
স্যার আর আয়শা পুরায় অবাক,,
আপনি তো আগে কখনও এটা বলেননি আর আজ..(স্যার)
আজ থেকে এইটাই বলবো স্যার(রুমা)
আলহামদুলিল্লাহ(স্যার, আয়শা)
রুমাঃআয়শা আপু চলেন..
আয়শাঃআল্লাহ হাফেজ স্যার…
স্যারঃফি-আমানিল্লাহ..
রুমা আপু আয়শা কে জরিয়ে ধরে আছে…
কি হলো আপনার(আয়শা)
কিছুনা চলেন…(রুমা)
আচ্ছা আপনি কি সুন্নী আকিদার(আয়শা)
না এখানে কেউ সুন্নী না থাকলেই খুব কম(রুমা)
সাজ্জাদ ভাইয়াও(আয়শা)
হুম(রুমা)
এরে শেষ পর্যন্ত ওহাবির বাচ্চা তাই তো বলি আমাকে সাপোর্ট করলো কেন(মনে মনে)
কেন(রুমা)
এমনি চলেন নিছে নামার দোয়া জানেন তো?(আয়শা)
জ্বি ম্যাডাম??(রুমা)
কি বলুনতো(আয়শা)
(সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ)এই সুযোগে আপনারাও পড়ে নিন..(রুমা)
মাশাআল্লাহ মাশাআল্লাহ(আয়শা)
একটা কথা বলি,
কেন নই,,বলুন(রুমা)
আমাকে ছুটি দিছে কাউকে না বললে খুশি হবো…(আয়শা)
কেন?(রুমা)
পড়ে বলবো(আয়শা)
আচ্ছা ঠিক আছে(রুমা)
সাজ্জাদ এখনও ওই জায়গাতে দাড়ানো..
মহারানীর এতক্ষনে আসার সময় হলো বুঝি…(সাজ্জাদ)
একটা কথা বলি আপনাকে,,(আয়শা)
একটা না হাজারটা বলুন(সাজ্জাদ)
সামনে তো ঈদে মিলাদুন্নবী(দরুদ) হুজুর কেবলার সঙ্গে নবী(দরুদ) আগমন উপলক্ষে জসনে জুলুসে যাবেন??(আয়শা)
এটা তো দেখছি সুন্নী,,মানে বেদাতি,,মাজার পুজারী,,হাটতে বসতে শিরিক করে(মনে মনে সাজ্জাদ)
যেদিন দুনিয়াতে বিশ্বনবী এসেছেন সেদিনিই তো তিনি মারা গেছেন(নাউজুবিল্লাহ)
তাহলে ওইদিন এতো আনন্দের কি আছে,?
আর ওইসব আমার ভাল লাগে না..(সাজ্জাদ)
ওমা আরসালনাকা ইল্লা রাহমাতুল্লিল আলামীন!
অর্থঃআমি সারা জাহানের জন্য আপনাকে রহমত হিসাবে প্রেরণ করেছি,
(আল-কুরআন)
বিশ্বনবী মানে উনি সারা জাহানের নবী,,কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা,,আল্লাহর প্রিয় নবী ইমামুল আম্বিয়া সৈয়্যাদিনা হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সারা জাহানের নবী ঘোষনা করেছেন,,তাই আমাদের নবী বিশ্বনবী নই দোজাহানের নবী এটাই বলবেন পরবর্তী সময়ে।
এই মেয়েটার কথায় এতো যাদু যত বলে তত শুনতে ইচ্ছে করে…(মনে মনে সাজ্জাদ)
আর আপনি বললেন,,,আমাদের নবী মারা গেছেন(নাউজুবিল্লাহ)
এটা আর কখনও বলিয়েননা,,নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহেরী হায়াত থেকে পর্দা করেছেন,, মনে রাখবেন আপনি যদি মনে করেন সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মারা গেছেন তাহলে আপনার ঈমান থাকবে না কারণ তিনিই ঈমান,,তাছাড়া নবী মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াতে থাকলেও যেমন রহমতওয়ালা ছিলেন,,,দুনিয়া থেকে পর্দা করার পরেও তিনি রহমতওয়ালা তাতে বিন্দু পরিমান সন্দেহ নেই..(.আয়শা)
আমি একটা জিনিস বুঝিনা,,,মিলাদুন্নবী করতে গিয়ে কেউ নামাজ পড়েনা অনেকের নামাজ ছুটে যায়,,সারাদিন কি যেন নাম হুজুর কেবলার পিছনে পিছনে ঘুরে সময়টা নষ্ট করা ছাড়া কোনো কাজ নেই…
আর বাংলাদেশে কি হুজুরের অভাব পড়ছে পাকিস্তান থেকে হুজুর ভাড়া করে আনতে হবে মিলাদুন্নবী পালন করার জন্য,,শুনলাম তিনি নাকি আওলাদে রাসুল তো আমাদের নবীর তো পুত্র সন্তান ছিল না তাহলে কিভাবে আওলাদ হয়…????
ভন্ডামী ছাড়া কিছুই না…!!!! (সাজ্জাদ)
না মানেন কিন্তু বেয়াদবী করবেননা মুখ সামলে কথা বলুন…
আর প্রমান লাগবে আমার মুর্শিদ কেবলা কিভাবে আওলাদে রাসূল(দরুদ) হয় সেটার…(আয়শা)
জ্বী…(সাজ্জাদ)
প্রমাণ দিলে বিশ্বাস করবেন?…(আয়শা)
১০০% করবো…
যদি না করেন?
দেখুননা করি কিনা…
ওয়াদা বদ্ধ হোন যে আপনি জসনে জুলুসে যাবেন তাহলেই প্রমান দিব(আয়শা)
কথা দিলাম আল্লাহর ওয়াস্তে প্রমাণ পেলেই জসনে জুলুসে শরীক হবো ইনশাআল্লাহ….!
আলহামদুলিল্লাহ……..(আয়শা)
চলবে…
নেক্সট পর্বে শাজরা দিয়া হবে সাথে থাকবেন
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন.৷





Users Today : 509
Users Yesterday : 677
This Month : 7084
This Year : 178955
Total Users : 294818
Views Today : 8507
Total views : 3514636