✍ আল্লাহর ভয় মানুষকে অন্য সকল ভয় হইতে মুক্তি দেয়। ➥ইবনে সীনা
✍ আমি ততক্ষণ পযর্ন্ত সন্তুষ্ট হব না যতক্ষণ পযর্ন্ত আমার উম্মতেরএকটি লোকও জাহান্নামে থাকবে। আল্লাহ তা’আলা আমার উম্মতসম্পর্কে আমার সুপারিশ গ্রহন করবেন এবং শেষ পযর্ন্ত জিজ্ঞাসাকরবেন, হে মোহাম্মদ! এখন কি আপনি সন্তুষ্ট হয়েছেন ? আমিবলব, হে প্রভু! আমি সন্তুষ্ট। ➥আল হাদীস
✍ বছরান্তেও যে ব্যক্তি কোন দুঃখ-বেদনার সম্মুখীন হয় না, তারউচিৎ ভেবে দেখা যে, আল্লাহ পাক তার প্রতি অসন্তুষ্ট নয়তো? ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ যে নিজেকে চিনিতে পারিয়াছে সে আল্লাহতায়ালাকে চিনিতেপারিয়াছে। ➥আল হাদীস
✍ অনেক লোকই দিনে অন্তত পাঁচবার মুখ ধোয়, কিন্তু পাঁচবছরেও একবার অন্তর ধোয়ার কথা চিন্তা করেনা। ➥ইবরাহিম আদহাম
✍ ছোটদের সঙ্গে সন্তানের ন্যায়, বড়দের সঙ্গে পিতার ন্যায় এবংসমবয়স্কদের সঙ্গে ভাই এর ন্যায় আচরন করার নামই ন্যায়বিচার। ➥ইমাম জাফর সাদেক
✍ নীচ লোকের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে অশ্লীল বাক্য। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ শক্তির দ্বারা যে আনুগত্য লাভ হয় তা ক্ষনস্থায়ী, আর ভালবাসার মাধ্যমে যে আনুগত্য অর্জিত হয় তাই চিরস্হায়ী থাকে। ➥ইবনে জরীর
✍ আকাংখাকে দীর্ঘ করার অর্থ নিজ হাতে চরিত্র বিনষ্ট করা। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ ইসলামের সেবা এবং আল্লাহর আদেশকে আগামীদিনের জন্যস্থগিত রেখো না। ➥হযরত আবুবকর (রাঃ)
✍ আত্মপ্রশংসাকারীর মতো আহমক নেই, আর বিদ্যার মতো পথপ্রদর্শক নেই। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ শান্তির সাথে জীবন যাপন করার পরও যে ব্যক্তির আকাঙ্খামিটে না, তার পক্ষে তৃপ্ত হওয়া সম্ভব না। ➥হযরত ওসমান (রাঃ)
✍ জীবন চলার পথে পড়ে আছে অসংখ্য পাথর। এতে তোমারচলার পথ যেন থেমে না যায়। বরং পাথরগুলো কুড়িয়ে তৈরি করসাফল্যের সিঁড়ি। (আরবী প্রবাদ)
✍ ঈমান এবং হিংসা এক সঙ্গে একই অন্তরে থাকতে পারে না। ➥আল হাদীস
✍ পৃথিবীটা লবণাক্ত পানির মত। যতই তা পান করবে পিপাসাততই বাড়বে। (আরবী প্রবাদ)
✍ অক্ষমের সর্বশেষ অস্ত্র পরনিন্দা। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ “আমি বৃষ্টিগর্ভ বায়ুকে চালিত করে আকাশের কছে নিয়ে যাই,অত:পর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি, এরপর তোমাদের তা পানকরাই। বস্তুত তোমাদের কাছে এর ভান্ডার নেই” ➥ সূরা হিজর:২২
✍ অন্যের নিকট হাত পাতার ফলে মানুষের সর্বোত্তম সম্পদ বিনষ্টহয়ে যায়, সে হচ্ছে আত্মমর্যাদাবোদ। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ কোন ব্যক্তি সে পযর্ন্ত মৃত্যুবরণ করবে না, যে পযর্ন্ত না তারভাগ্যে লিখিত শেষ খাদ্যকণাটুকু আহার না করে। ➥ আল হাদীস
✍ তোমরা মৃত্যু সম্পর্কে যেমন জান পশু-পাখিরা যদি তদ্রুপজানতে পারত, তবে মানুষেরা কখনও মোটাতাজা পশু-পাখিরমাংস ভক্ষণ করতে পারতে না। (আল হাদিস)
✍ ফেরেশতারা মেঘমালা পযর্ন্ত অবতরণ করে এবং সেখানে তারাআল্লাহর নির্দেশসমূহ বাস্তবায়ন করা সম্পর্কে পরস্পর আলোচনাকরে। শয়তানরা এখান থেকে গোপনে এগুলো শুনেঅতীন্দ্রিয়বাদীদের কাছে পৌছে দেয় এবং তাতে নিজেদের পক্ষথেকে কাঁড়িকাঁড়ি মিথ্যা ঢুকিয়ে দেয়। – (বোখারী)
✍ গোপনে দান-খয়রাত আল্লাহর ক্রোধকে নিবারণ করে। বান্দাগোপনে কোন কাজ করলে আল্লাহ তা গুপ্ত খাতায় লিখে রাখেন।পরে বান্দা যদি তা প্রকাশ করে, তবে আল্লাহ তাকে গোপন খাতাথেকে মুছে প্রকাশ্য খাতায় লিখেন। তারপর বান্দা যদি তার সে কাজের কথা আরও প্রকাশ করে, আল্লাহ তার নাম প্রকাশ্যখাতা থেকে মুছে রিয়ার (লোক দেখানো) খাতায় লিখে দেন। (আল হাদিস)
✍ “সত্য প্রত্যাখানকারীরা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলি ওপৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে; অত:পর আমি উভয়কে পৃথককরে দিলাম” (আম্বিয়া:৩০)।
✍ তিনিই আল্লাহ যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান এবং পৃথিবীসেই একই পরিমানে”। (সূরা তারেক:১২)
✍ মোমেন বান্দার মৃত্যুর পর কবরস্থান নিজেকে সেই মোমেনেরজন্য সজ্জিত করে এবং কবরস্থানের প্রতিটি অংশই চায় যে তারমধ্যে সেই বান্দাকে দাফন করা হউক। -আল হাদীস
✍ যে ব্যক্তি লজ্জা-শরমের বাঁধন ছুড়ে ফেলেছে, তার গীবত হবেনা। (আল হাদিস)
✍ কোন ব্যভিচার ব্যতিত সত্রীদের তালাক দিও না। কেননা, যেসব নরনারী (বিয়ে করে) কেবল মজা লুটার জন্য, আল্লাহ তাদেরপছন্দ করেন না। (আল হাদিস)
✍ মানুষের উপর এমন একটা সময় আসবে যখন তার ধর্মেরওপর প্রতিষ্টিত থাকাটা হাতে জ্বলন্ত কয়লা হাতে ধরে রাখার মতোকঠিন হবে। – (তিরমিযী শরীফ)
✍ সৃষ্টি জগতের সকল মানুষই আল্লাহর পরিজন স্বরূপ। তাইআল্লাহর নিকট সেই ব্যক্তি সর্বাধিক প্রিয় যে তাঁর পরিজনদেরনিকট অধিক প্রিয়। – (আল হাদীস)
✍ কেয়ামতের পূর্বে মানুষ যে সব বিপদের সম্মুখীন হবে, তারমধ্যে দাজ্জালের আবির্ভাব সবচেয়ে বড়। ➥ (মুসলিম শরীফ)
✍ আল্লাহর নিকট কল্যাণ ও বরকত লাভের নিমিত্তে প্রার্থনা নাকরা দুর্ভাগ্যের লক্ষণ। – (আল হাদীস)
✍ পাঁচটি প্রশ্নের জবাব না দেওয়া পযর্ন্ত হাশরের মাঠে কেউ একপা-ও সম্মুখে অগ্রসর হতে পারবে না (১) জীবনের দিনগুলো সে কিকাজে ব্যয় করেছে (২) সে তার যৌবন কি কাজে ব্যয় করেছে (৩) সেতার ধন-সমপদ কোন পন্থায় উপার্জন করেছে (৪) সে তার উপার্জিতঅর্থ কোন পথে ব্যয় করেছে (৫) অর্জিত এলেম অনুযায়ী কতটুকুআমল করেছে। (বোখারী)
✍ জ্বর-জ্বালা জাহান্নামের উত্তাপের আঁচস্বরূপ। যে মুসলমানদুনিয়াতে জ্বরের তাপ ভোগ করেছে তাহাকে দোযখের উত্তাপ ভোগকরতে হবে না। (আল হাদিস)
✍ কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম মানুষকে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রশ্নকরা হবে। বলা হবে: আমি কি তোমাকে সুস্বাস্থ্য প্রদান করিনি,আমি কি তোমাকে ঠান্ডা পানি পান করতে দেইনি ? (তিরমিযী)
✍ অসৎ লোকের ধন-দৌলত পৃথিবীতে সৃষ্টি জীবের বিপদ-আপদের কারণ হয়ে দাড়ায়। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ কৃপন কোনদিন ধন সম্পদের মালিক হতে পারে না বরংধনসম্পদই কৃপনের মালিক হইয়া বসে। ➥ইয়াহইয়া বারমকি
✍ কারো প্রতি ভালবাসায় অন্ধ হওয়া এবং মতবিরোধ হলেই যা-তাসমালোচনা করা নিজের হাতে ঈমান ধ্বংস করার আলামত। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ কোরআন এমন একটি জানালা, যা দ্বারা আমরা পরবর্তীদুনিয়ার দৃশ্য দেখিটে পাই। ➥ইবনে হাম্বল
✍ আমল বিহীন এলেম অনেক সময় উপকারী হতে পারে কিন্তুএলেম বিহীন আমল কখনও উপকারী হয় বলে আমার জানা নেই। ➥হযরত ওসমান (রাঃ)
✍ নিজের বোঝা যত কমই হোক তা অন্যের উপর চাপাতে চেষ্টাকরোনা। ➥হযরত ওসমান (রাঃ)
✍ ব্যক্তি বিশেষের একটি আচরণ দেখেই তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ো না,তার অন্যান্য আচরণ সম্পর্কেও খোঁজ-খবর নিও। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ ঈমান এবং হিংসা এক সঙ্গে একই অন্তরে থাকতে পারে না। ➥আল হাদীস
✍ পরশ্রীকাতর ও লোভী ব্যক্তি কখনো শান্তি পায় না। ➥রাবেয়া বসরী
✍ সততা এবং ন্যায়পরায়নতা আল্লাহর রাহে কুরবানি করারচাইতেও অনেক বেশী পুন্যের কাজ। ➥হযরত সোলায়মান (আঃ)
✍ সবচেয়ে গরীব সেই ব্যক্তি, যে বিদ্যা থেকে বঞ্চিত। ➥হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ)
✍ জালেমকে ক্ষমা করা মজলুমের উপর জুলুম করার সামিল। ➥হযরত ওমর (রাঃ)
✍ দুনিয়াকে যে যত বেশী চিনেছে, সে এর দিক থেকে ততবেশীনিস্পৃহ হয়েছে। ➥হযরত ওসমান (রাঃ)
✍ মানুষের হক সম্পর্কে যে ব্যক্তি সচেতন নয়, সে আল্লাহর হকসম্পর্কে সচেতন হতে পারে না। ➥হযরত ওসমান (রাঃ)
✍ মানুষের মধ্যে যতগুলি মারাত্নক দোষের সমাবেশ ঘটে, এর মধ্যেকার্পন্য দোষটি উল্লেখযোগ্য। ➥ইমাম গাজ্জালি (রাঃ)
✍ সুস্হ থাকার জন্য হলেও হিংসা পরিত্যগ কর। কারন হিংসামানুষকে ভিতর হতে গলিয়ে দেয়। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ ধৈর্য্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব। যারা এই দুই গুনে গুনান্বিত হবেতারাই প্রকৃত বীর পুরুষ। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ যে ব্যক্তি গরীব দু:খীর আর্তনাদ শুনে কান বন্দ করে রাখে, সেওএকদিন আর্তনাদ করবে কিন্তু কেউ শুনবে না। ➥হযরত সোলায়মান (আঃ)
✍ অন্যের প্রতি কুধারনা করাও অন্যায়। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ প্রয়োজনের সময় মুখ না খোলা এবং অপ্রয়োজনে কথা বলা,সমান দোষের কাজ। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ অল্পেতুষ্টি এমন একটি সম্পদ যা কখনো ফুরায় না। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ হাসিখুশি ব্যবহার সৎকর্মের সুচনা বিশেষ। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ ব্যাভিচারী হইতে ঈমান দূরে পলায়ন করে। কিন্তু সে ব্যাভিচারত্যাগ করিলেই ঈমান আবার তাহার নিকট প্রত্যাবর্তন করিবে। ➥আল হাদীস
✍ স্রষ্টার সৃষ্টি রহস্য নিয়ে চিন্তা করাও একটি এবাদত। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ কেউ স্বীকৃত না দিলেও তুমি তোমার সদাচরন অব্যাহত রাখবে। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ কৃপনের দরজা শুধু একজন মেহমানের জন্যই খোলা থাকে,তিনি মালাকুল-মউত। ➥মা আন
✍ যে তোমার উপদেশ শুনিতে চাহে তাকে ছাড়া আর কাহাকেওউপদেশ দিও না। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ যে যতটুকু অভিজ্ঞতা সম্পন্ন তদপেক্ষা বেশী উপদেশ দিতেযাওয়া তার পক্ষে অনুচিত। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ কোন পিতা তার সন্তানের জন্য সৎ আদর্শ ছাড়া আর কোন ভালউপহার রেখে যেতে পারে না। ➥আল হাদীস
✍ কর্জ পৃথিবীতে আল্লাহতায়ালার দন্ডস্বরুপ, যখন তিনি কোনলোককে অপমানিত করতে চান তখন তাহার ঘারে কর্জের বোঝারাখিয়া দেন। ➥ আল হাদীস
✍ মুসলমান যে পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ না করে সে পর্যন্ত বেহেস্তেপ্রবেশ করিতে পারিবে না এবং পুণ্যত্মদের সঙ্গে মিলিত হইতেপারিবে না। ➥ আল হাদীস
✍ আজকের কাজ কালকের জন্য কখনো অবহেলা করে রেখেদিবে না। ➥হযরত ওমর (রাঃ)
✍ অভ্যাসকে জয় করাই পরম বিজয়। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ যদি তুমি কারো প্রতি অনুগ্রহ কর, তবে তা গোপন রাখবে।আরঅন্যে যদি তোমার প্রতি অনুগ্রহ করে তবে তা সাধ্যমত প্রচার করবে। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ দুই শত্রুর মধ্যে এমন ভাবে কথাবার্তা বল, তারা পরস্পরে মিলেগেলেও যেন তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়। ➥শেখ সাদী (রঃ)
✍ কথা বেশী বললে তার মধ্যে দোষ ধাকা অবশ্যম্ভাবী, তাইবুদ্ধিমত্তার পরিচয় হল বাক্যকে যথা সম্ভব সংযত রাখা। ➥হযরত সোলায়মান (আঃ)
✍ প্রকৃত সাহসী তাহারা, যাহারা সাহস না হারাইয়া বিপদ ও দুঃখেরমধ্যেও যুদ্ধক্ষেত্রে দৃঢ়তা অবলম্বন করে এবং ধৈর্য ধারণ করে। ➥আল-কোরআন।
✍ অজ্ঞের পক্ষে নীরবতাই সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এটা যদি কেউজানত তাহলে কেউ অজ্ঞ হত না। ➥ শেখ সাদী
✍ মুখ বন্ধ করে ফেলাই ক্রোধের সর্বোত্তম চিকিৎসা। ➥হযরত ওসমান (রাঃ)
✍ ক্ষমাই হচ্ছে সর্বাপেক্ষা বড় প্রতিশোধ। ➥হযরত আলী (রাঃ)
✍ যতদিন লেখাপড়ার অভ্যাস থাকে ততদিনই মানুষ আলেমথাকে আর যখনই ধারনা জন্মিয়া যায় যে , আমি আলেম হইয়াগিয়াছি তখনই মুর্খতা তকে ঘিরিয়া ধরে। ➥ফারাবি