একদল লোক একটি হাদিসে মুবারকার ভুল ব্যাখ্যা করে মক্কা মদিনার বর্তমান আলেমদের শ্রেষ্ঠ আলেম প্রমাণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের জ্ঞাতার্থে তাদেরই অ্যাপ হতে উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যা তুলে ধরলাম। জানিনা, এরা এভাবে আর কত অপব্যাখ্যা করে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিবে..!
গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
অধ্যায়ঃ পর্ব-২ঃ ‘ইলম (বিদ্যা) (كتاب العلم)
হাদিস নম্বরঃ ২৪৬
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৪৬-[৪৯] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এমন সময় খুব বেশি দূরে নয়, মানুষ যখন জ্ঞানের সন্ধানে উটের কলিজায় আঘাত করবে (অর্থাৎ- উটে আরোহণ করে দুনিয়া ঘুরে বেড়াবে)। কিন্তু মাদীনার ‘আলিমদের চেয়ে বড় কোন ‘আলিম কোথাও খুঁজে পাবে না।[1]
জামি‘ আত্ তিরমিযীতে ইবনু ‘উআয়নাহ্ হতে বর্ণিত হয়েছে, মাদীনার সে ‘আলিম মালিক ইবনু আনাস। ‘আবদুর রাযযাক্বও এ কথা লিখেছেন। আর ইসহাক ইবনু মূসার বর্ণনা হলো, আমি ইবনু ‘উআয়নাহকে এ কথা বলতে শুনেছি, মাদীনার সে ‘আলিম হলো ‘উমারী জাহিদ। অর্থাৎ- ‘উমার ফারূক (রাঃ)-এর খান্দানের লোক। তার নাম হলো ‘আবদুল ‘আযীয ইবনু ‘আবদুল্লাহ।
Chapter- 2 اَلْفَصْلُ الثَّانِيْ وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رِوَايَةً يُوشِكُ أَنْ يَضْرِبَ النَّاسُ أَكْبَادَ الْإِبِلِ يَطْلُبُونَ الْعِلْمَ فَلَا يَجِدُونَ أَحَدًا أَعْلَمَ مِنْ عَالِمِ الْمَدِينَةِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَفِيْ جَامِعِه قَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ إِنَّه مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَمِثْلَه عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ قَالَ إِسْحَقُ بْنُ مُوسى وَسَمِعْتُ ابْنَ عُيَيْنَةَ أَنَّه قَالَ هُوَ الْعُمَرِيُّ الزَّاهِدُ وَاسْمُه عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ [1] য‘ঈফ : তিরমিযী ২৬৮০, য‘ঈফুল জামি‘ ৬৪৪৮, হাকিম ১/৯১, য‘ঈফাহ্ ৪৮৩৩। যদিও ইমাম তিরমিযী এটিকে হাসান বলেছেন। কারণ এর সানাদে ইবনু জুরায়য এবং আবুয্ যুরায়য নামে দু’জন মুদাল্লিস রাবী রয়েছে।
ব্যাখ্যা: এ হাদীসটি বর্ণনা করে ইমাম হাকিম বলেন, ইমাম মুসলিমের শর্তে হাদীসটি সহীহ। হাদীসটি দ্বারা বুঝা যায়, মানুষ বিদ্যার্জনের জন্য এক দেশ হতে অন্য দেশে ভ্রমণ করবে। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ ধরনের উক্তি বিদ্যা অর্জনের প্রতি উৎসাহ প্রদান করে। হাদীসে ‘‘মাদীনার ‘আলিম অপেক্ষা অধিক বড় ‘আলিম বলে কাউকে পাওয়া যাবে না’’ বলে সাহাবী ও তাবি‘ঈদের যুগের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। কেননা তাদের যুগের পর মাদীনার বড় ‘আলিম এর সংখ্যা অপেক্ষা এর বাইরে ইসলামী বিশ্বের ‘আলিমের সংখ্যা বেশি ছিল।