রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পিতা-মাতা ইমানদার ছিলেন

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

عَنِ ابْنِ  عَبَّاسٍ، رَضِيَ  اللَّهُ   عَنْهُمَا ،   قَالَ   : قَالَ   رَسُولُ اللَّهِ ﷺ  مَا   وَلَدَنِي مِنْ سِفَاحٍ أَهْلُ  الْجَاهِلِيَّةِ  شَيْءٌ،  مَا  وَلَدَنِي إِلا نِكَاحٌ   كَنِكَاحِ    الإِسْلامِ.   رواه    الطبرني    و   البيهقي    و   ابن عساكر

উচ্চারণঃ ’আন ইবনে ‘আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুমা  ক্বালাঃ  ক্বালা    রাসুলুল্লাহি    ছাল্লাল্লাহু    ‘আলাইহি    ওয়াসাল্লামাঃ    “মা  ওলাদানী  মিন   সিফাহী  আহলুলজাহিলিয়্যাতি  শাই-উন,   মা ওলাদানী   ইল্লা   নিকাহুনকা-নিহাহিল   ইসলামি।   রাওয়াহুত   ত্বাবরানী, ওয়ালবায়হাক্বী, ওয়া ইবনে আসাকির।

অনুবাদ:      হযরত      ইবনে     আব্বাস     (রাদ্বিয়াল্লাহু     ’আলা আনহু)  থেকে  বর্ণিত।  তিনি  বলেন, নবীজী   (ﷺ)  এরশাদ করেছেন,    আমার    সম্মানিত   পিতা-মাতার    মধ্যে     জাহেলী যুগের বিন্দু পরিমান খারাপ কিছু ছিলনা তারা মুমিন ছিলেন। এবং  আমার জন্ম ইসলাম সম্মত বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে হয়েছে।

[তাবরানী মুজামুল কাবির ১০/৩২৯, হা: ১০৮১২; বাযহাকী সুনানে  কুবরা-     ৭/১৯০   হা:    ১৩৮৫৪;   ইবনে     আসাকির তারিখে দামেস্ক- ৩/৪০০] 

নবিজি ﷺ তার পিতা-মাতা পূর্বের ধর্ম গ্রন্থ অনুযায়ী মিল্লাতে হানিফ এর অন্তর্ভূক্ত ছিলেন, ইমানদার যা তাদের নাম দেখেও বুঝা যায়।

فَقَالَ: ذَهَبْتُ لِقَبْرِ أُمِّي فَسَأَلْتُ اللَّهَ أَن يُحْيِيَهَا فَأَحْيَاهَا فَآمَنَتْ بِي وَرَدَّهَا اللَّهُ

আবার নবিজি ﷺ তার পিতা-মাতাকে পুনরায় জীবিত করে নবিজি ﷺ দ্বীন ইসলামের কালিমা পড়িয়ে তাদেরকে মুসলিম ও মুমিন করেছিলেন।  

রেফারেন্স:

 ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৭৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ-১৪২৪হিজরি। ইমাম কুরতুবী, তাযকিরাহ, ১৫ পৃষ্ঠা, ইমাম কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, ১/১০৩ পৃষ্ঠা, ইবনে সালেহ শামী, সবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ২/১২২ পৃষ্ঠা, দিয়ার বকরী, তারীখুল খামীস, ১/২৩০ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ- বুরহানুদ্দীন হালবী, সিরাতে হালবিয়্যাহ,১/১৫৫ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ- জুরকানী, শরহুল মাওয়াহেব, ১/৩১৫ পৃষ্ঠা

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment