মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাঃ কিতাবুল ফিতান (হাদিস ৪১-৮০) (পর্ব ২)

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাঃ কিতাবুল ফিতান (হাদিস ৪১-৮০)

হাদিস – ৪১

আবু সাইদ খুদরী রা: লোকদেরকে বলেছেন,

: সাবধান! অন্ধ কতল আর জাহেলিয়াতের উপর মৃত্যু থেকে।

: অন্ধ কতল কি?

: যখন বলা হয় হে অমুকের লোক! হে অমুকের বংশ!

: আর জাহেলিয়াতের মৃত্যু কি?

: তুমি যদি মারা যাও এমন অবস্থায় যে তোমার কোনো ইমাম নেই।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৫১ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٥١

حدثنا أبو خالد الاحمر عن حميد عن أبي المتوكل الناجي عن أبي سعيد الخدري قال : إياكم وقتال عمية وميتة جاهلية ، قال : قلت : ما قتال عمية ؟ قال : إذا قيل : يا لفلان ، يا بني فلان ، قال : قلت : ما ميتة جاهلية ؟ قال : أن تموت ولا إمام عليك

হাদিস – ৪২

হাসান রা: বলেছেন:

অন্ধ যুদ্ধে যে মারা যাবে, তার মৃত্যু জাহেলিয়াতের উপর হলো।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৫২ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٥٢

حدثنا أبو خالد عن عوف عن الحسن قال : من قتل في قتال عمية فميتته ميتة جاهلية.

হাদিস – ৪৩

আব্দুল্লাহ বিন আমর রা: বলছেন,

যখন উথমান রা: এর বিরোধিতায় মানুষ বিভক্ত হয়ে গেলো তখন আমার পিতা দাড়িয়ে গেলেন।

রাতে নামাজ পড়লেন।

এর পর ঘুমালেন।

তাকে বলা হলো,

: দাড়াও! আর আল্লার কাছে চাও যেন উনি তোমাকে ফিতনা থেকে রক্ষা করেন। যে ফিতনা থেকে উনি উনার নেক বান্দাদের রক্ষা করেন।

উনি দাড়ালেন।

এক সময় অসুস্থ হয়ে গেলেন।

মৃত্যু পর্যন্ত উনাকে আর বের হতে দেখি নি।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৫৩ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٥٣

حدثنا أبو خالد الاحمر عن يحيى بن سعيد عن عبد الله بن عامر قال : لما تشعب الناس في الطعن على عثمان قام أبي يصلي من الليل ثم نام ، قال : فقيل له : قم فاسأل الله أن يعيذك من الفتنة التي أعاذ منها عباده الصالحين ، قال : فقام فمرض فما رئي خارجا

حتى مات.

تشعب الناس في الطعن : أكثروا فيه القول.

হাদিস – ৪৪

আলী রা: বলেছেন:

ইসলাম কমে যেতে থাকবে।

এমন কি “আল্লাহ, আল্লাহ” বলার মত মানুষ থাকবে না।

এ অবস্থা হলে দ্বীনের এক শীর্ষ নেতা দাড়িয়ে যাবে তার পাপ নিয়ে।

এর পর মানুষ বেরিয়ে তার চারিদিকে জড়ো হত থাকবে যেভাবে শরৎ কালে মেঘ জমা হয়।

ওয়াল্লাহ! আমি তাদের আমিরের নাম জানি এবং তাদের ঘোড়ার জাতও জানি।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৫৪ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٥٤

حدثنا أبو معاوية عن الاعمش عن إبراهيم التيمي عن الحارث بن سويد عن علي قال : ينقص الاسلام حتى لا يقال : الله الله ، فإذا فعل ذلك ضرب يعسوب الدين بذنبه ، فإذا فعل ذلك بعث قوم يجتمعون كما يجتمع فرع الخريف ، والله إني لاعرف اسم أميرهم ومناخ ركابهم.

اليعسوب : ذكر النحل لا خير فيه.

হাদিস – ৪৫

হুজাইফা রা: বলেছেন,

যে জামাত থেকে এক হাত দূরে চলে গেলো, সে নিজের গলা থেকে ইসলামের বেড়িকে খুলে ফেললো।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৫৫ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٥٥

حدثنا أبو الأحوص عن أبي إسحاق عن سعد بن حذيفة قال : قال حذيفة : من فارق الجماعة شبرا خلع ربقة الاسلام من عنقه.

হাদিস – ৪৬

আলী রা: বলেছেন:

নেতৃত্ব হবে কুরাইশ থেকে।

আর যে জামাত থেকে এক হাত দূরে চলে গেলো সে যেন নিজের ঘাড় থেকে ইসলামের বন্ধনকে খুলে ফেললো।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৫৬ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٥٦

حدثنا وكيع عن إبراهيم بن مرثد قال حدثني عمي أبو صادق عن علي قال : الائمة من قريش ، ومن فارق الجماعة شبرا فقد نزع ربقة الاسلام من عنقه.

হাদিস – ৪৭

আব্দুল্লাহ রা: বলেছেন,

: তখন তোমাদের কি অবস্থা হবে যখন ফিতনার কাপড় তোমাদের পড়ানো হবে?

অল্প বয়সীরা সে সময় সীমা ছাড়াবে, এবং বয়স্করা দুর্বল হয়ে পড়বে।

মানুষ এটাকে সুন্নাহ হিসাবে নিবে।

এর মাঝে কিছু পরিবর্তন করলে মানুষ বলবে, “তুমি সুন্নাহকে বদলাচ্ছো।”

লোকেরা জিজ্ঞাসা করলো,

: এটা কখন হবে, আবি আব্দুর রহমান?

: যখন তোমাদের মাঝে লিখাপড়া জানা লোক বেড়ে যাবে কিন্তু বিশ্বস্ত লোক কমে যাবে।

যখন তোমাদের মাঝে নেতা বেড়ে যাবে কিন্তু ফকিহ কমে যাবে।

যখন তোমরা আখেরাতের আমল দ্বারা দুনিয়ার সন্ধান করবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৫৭ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٥٧

حدثنا أبو معاوية عن الاعمش عن أبي وائل قال : قال عبد الله : كيف أنتم إذا لبستكم فتنة يربو فيها الصغير ويهرم فيها الكبير ويتخذها الناس سنة ، فإن غير منها شئ قيل : غيرت السنة ، قالوا : متى يكون ذلك يا أبا عبد الرحمن ، قال : إذا كثرت قراؤكم وقلت أمناؤكم ، وكثرت أمراؤكم وقلت فقهاؤكم ، والتمست الدنيا بعمل الآخرة.

হাদিস – ৪৮

আলী রা: বলেছেন,

এই উম্মার জন্য আল্লাহ তায়ালা পাচটি ফিতনা রেখেছেন।

সর্বসাধারনদের ফিতনা,

এর পর বিশেষ ব্যক্তিদের ফিতনা,

এর পর সর্বসাধারনদের ফিতনা,

এর পর বিশেষ ব্যক্তিদের ফিতনা,

এর পর ঢেউয়ের মত ফিতনা, সমূদ্রের ঢেউয়ের মত।

মানুষ তাতে সাতার কাটবে গরু-ছাগলের মত।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৫৮ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٥٨

حدثنا أبو أسامة عن منذر عن عاصم بن ضمرة عن علي قال : وضع الله في هذه الامة خمس فتن : فتنة عامة ثم فتنة خاصة ثم فتنة عامة ثم قتنة خاصة ، ثم فتنة تموج كموج البحر ، يصبح الناس فيها كالبهائم.

হাদিস – ৪৯

ইবনে আব্বাস রা: মিম্বরে দাড়িয়ে বলেছেন:

যে জামাত থেকে এক হাত দূরে চলে গেলো এর পর মারা গেলো, সে জাহেলিয়াতের উপর মরলো।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৫৯ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٥٩

حدثنا غندر عن شعبة قال : سمعت أحمر أو ابن أحمر يحدث عن أبي رجاء العطاردي قال : سمعت ابن عباس يخطب على المنبر يقول : من فارق الجماعة شبرا فمات

مات ميتة جاهلية.

হাদিস – ৫০

জাইদ বিন উথাইয়ি বলেছেন:

হুজাইফা রা: বলেছেন,

: তোমরা তখন কি করবে যখন তোমাদের কাছে অন্যে হক চাবে তখন তোমরা তাকে দিয়ে দেবে, কিন্তু তোমাদের হক তোমাদেরকে দিতে তারা আস্বিকার করবে?

লোকেরা জবাব দিলো,

: আমরা সবর করবো।

হুজাইফা রা: বললেন,

: তোমরা প্রবেশ করেছো! কাবার রবের শপথ।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৬০ ]

___________________________________

শেষ দুটো লাইন প্রিন্টেড বইয়ের PDF এ ভিন্ন রকমে আছে। ওখানে আছে:

তারা জবাব দিলো, “আমরা সবর করি, কাবার রবের শপথ।” [এখানেই শেষ]

প্রবেশ করেছো: জান্নাতে প্রবেশ করেছো।

অন্যেরা: মূলতঃ ক্ষমতাসীনরা।

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٦٠

حدثنا أبو الأحوص عن أبي إسحاق عن زيد بن يثيع قال : قال حذيفة : كيف أنتم سئلتم الحق فأعطيتموه ، ومنعتم حقكم ، قال : إذا نصبر ورب الكعبة.

হাদিস – ৫১

হুজাইফা রা: এবং আবু মাসউদ রা: মসজিদে বসে ছিলেন। ঐ সময়ে কুফাবাসীরা সাইদ ইবনে আস রা: কে মাত্র বহিস্কার করেছে।

এক লোক উনাদের দুজনের কাছে আসলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন,

: আপনাদের কি জিনিস আটকিয়ে রেখেছে? অথচ সমস্ত মানুষ বেরিয়ে পড়েছে! ওয়াল্লাহ আমরাই সুন্নাহর উপর আছি।

তারা জবাব দিলো,

: তোমরা কি করে সুন্নাহর উপর আছো, যেখানে তোমরা তোমাদের ইমামকে বহিস্কার করেছো? ওয়াল্লাহ তোমরা সুন্নাহর উপর নেই যতক্ষন না তোমাদের নেতারা দুঃখ প্রকাশ করে জনগনকে নসিহা করে।

: যদি নেতারা দুঃখ প্রকাশ না করে, এবং জনগনকে নসিহা না করে — তবে আমাদের কি বলেবেন?

: তবে আমরা বেরিয়ে যাবো, এবং তোমাদের বিদায় জানাবো।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৬১ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٦١

حدثنا علي بن مسهر عن إسماعيل عن أبي صالح الحنفي قال : جاء رجل إلى حذيفة وإلى أبي مسعود الانصاري وهما جالسان في المسجد وقد طرد أهل الكوفة سعيد بن العاص فقال : ما يحبسكم وقد خرج الناس ؟ فو الله إنا لعلى السنة ، فقالا : وكيف تكونون على السنة وقد طردتم إمامكم ، والله لا تكونون على السنة حتى يشفق الراعي

ونتصح الرعية ، قال : فقال له رجل : فإن لم يشفق الراعي وتنصح الرعية فما تأمرنا ؟ قال : نخرج وندعكم.

أي تصبحون قطيعا لا راعي له يسرح فيه الذئب ويمرح.

হাদিস – ৫২

ইয়াজিদ বিন সুহাইব আল-ফকির বলেছেন:

আমার কাছে এই কথা পৌছেছে যে, ফিতনার সময় যে তার তলোয়ারের অনুসরন করবে সেই ভুলের মাঝে পড়ে গিয়ে আফসো করবে এবং সে লাঞ্চিত হবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৬২ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٦٢

حدثنا كثير بن هشام عن جعفر عن يزيد بن صهيب الفقير قال : بلغني أنه ما تقلد رجل سيفا في فتنة إلا لم يزل مسخوطا عليه حتى يضعه.

হাদিস – ৫৩

সুলাইমান বিন আমর বর্ননা করেছে উনার পিতা থেকে:

নবী ﷺ বিদায়ী হজ্জে বলেছেন,

: এটা কোন দিন?

তিন বার জিজ্ঞাসা করলেন।

লোকেরা জবাব দিলো,

: বড় হজ্জের দিন।

: নিশ্চই, তোমাদের রক্ত, মাল, সম্মান হারাম, যেরকম হারাম তোমাদের এই দিন, তোমাদের এই মাসে, তোমাদের এই শহরে।

সাবধান! অপরাধির অপরাধের দায়িত্ব শুধু তার উপর। পিতার অপরাধের দায়িত্ব সন্তানের উপর না, আবার সন্তানের অপরাধের দায়িত্ব পিতার উপর না।

সাবধান! হে উম্মতেরা আমি কি তোমাদের কাছে পৌছেছি?

তারা বললো,

: হ্যা।

উনি ﷺ বললেন,

: হে আল্লাহ! সাক্ষি থাকবেন।

তিন বার বললেন।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৬৩ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٦٣

حدثنا أبو الأحوص عن شبيب بن غرقدة عن سليمان بن عمرو عن أبيه قال : سمعت النبي (ص) يقول في حجة الوداع : (أي يوم هذا ؟ ثلاث مرات ، فقالوا : يوم الحج الاكبر ، قال : فإن دماءكم وأموالكم وأعراضكم حرام كحرمة يومكم هذا في شهركم هذا في بلدكم هذا ، ألا لا يجني جان إلا على نفسه ، لا يجني والد على ولده ولا مولود على والده ، ألا يا أمتاه هل بلغت ؟ قالوا : نعم ، قال : اللهم اشهد) – ثلاث مرات.

হাদিস – ৫৪

আদ্দা বিন খালিদ বিন হাওদাহ রা: বলেছেন:

নবী ﷺ এর সংগে আমি বিদায় হজ্জ করেছি। দেখেছি নবী ﷺ দুটো বাহনের উপর দাড়িয়ে বলছেন,

: তোমরা জানো এটা কোন মাস? এটা কোন শহর?

তাহলে জেনে রাখো, তোমাদের রক্ত, তোমাদের মাল হারাম যেরকম হারাম তোমাদের এই দিন, তোমাদের এই মাসের মাঝে, তোমাদের এই শহরের মাঝে।

তোমাদের কাছে কি কথাটি পৌছেছি?

: হ্যা।

: হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষি থাকেন।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৬৪ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٦٤

حدثنا وكيع عن عبد المجيد عن أبي عمرو قال : سمعت العداء بن خالد بن هوذة قال : حججت مع النبي (ص) حجة الوداع ، فرأيت النبي (ص) قائما في الركابين وهو

يقول : (تدرون أي شهر هذا ؟ أي بلد هذا ؟ قال : فإن دماءكم وأموالكم عليكم حرام كحرمة يومكم هذا في شهركم هذا في بلدكم هذا ، هل بلغت ؟ قالوا : نعم ، قال : اللهم اشهد).

হাদিস – ৫৫

আবু বকর রা: বলেছেন,

রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাদের বলেছেন,

: এটা কোন মাস?

: আল্লাহ ও উনার রাসুল ﷺ ভালো জানেন।

এর পর এত লম্বা সময় উনি চুপ করে থাকলেন, যে আমাদের ধারনা হলো উনি হয়তো নতুন কোনো নাম দিবেন।

এর পর উনি বললেন,

: এটা কি জিলহজ্জ মাস না?

: নিশ্চই।

: এটা কোন শহর?

: আল্লাহ ও উনার রাসুল ﷺ জানেন।

এর পর উনি আবার এত লম্বা সময় চুপ থাকলেন যে আমার ধারনা করলাম উনি হয়তো নতুন কোনো নাম রাখবেন।

এর পর বললেন,

: এটা কি হারাম শহর না?

: হ্যা।

: এটা কোন দিন?

: আল্লাহ ও উনার রাসুল ﷺ জানেন।

এর পর উনি আবার এত লম্বা সময় চুপ থাকলেন যে আমরা ধারনা করলাম উনি হয়তো নতুন কোনো নাম রাখবেন।

এর পর বললেন,

: এটা কি কোরবানীর দিন না?

: নিশ্চই, ইয়া রাসুলুল্লাহ!

: তাহলে নিশ্চই তোমাদের রক্ত, তোমাদের মাল, তোমাদের সম্মান তোমাদের উপর হারাম যেরকম হারাম তোমাদের এই দিন, তোমাদের এই শহরে, তোমাদের এই মাসে। এর পর তোমাদের আমলের ব্যপারে তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৬৫ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٦٥

حدثنا الثقفي عن أيوب عن ابن سيرين عن ابن أبي بكرة عن أبي بكرة عن النبي (ص) أنه قال : (أي شهر هذا ؟ قلنا : الله ورسوله أعلم ؟ قال : فسكت حتى ظننا أنه سيسميه بغير اسمه ، قال : أليس ذا الحجة ؟ قلنا : بلى ، قال : فأي بلد هذا ؟ قلنا : الله ورسوله أعلم ، فسكت حتى ظننا أنه سيسميه بغير اسمه ، قال : أليس البلد ؟ قلنا : نعم ، قال : أي يوم هذا ؟ قلنا : الله ورسوله أعلم ، قال : فسكت حتى ظننا أنه سيسميه بغير اسمه ، قال : أليس يوم النحر ، قلنا : بلى يا رسول الله ! قال : فإن دماءكم وأموالكم – قال محمد : وأحسبه قال : وأعراضكم – عليكم حرام كحرمة يومكم هذا في بلدكم هذا في شهركم هذا ، وستلقون ربكم فيسألكم عن أعمالكم).

হাদিস – ৫৬

হযরত জাবের রা: বলেছেন,

নবী ﷺ হজ্জে বলেছেন,

: তোমরা জানো কোন দিন সবচেয়ে বেশি হারাম?

আমরা বললাম,

: আমাদের এই দিনটি।

: কোন শহর সবচেয়ে বেশি হারাম?

: আমাদের এই শহর।

: কোন মাস সবচেয়ে বেশি হারাম?

: আমাদের এই মাস।

তখন রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন,

: নিশ্চই তোমাদের রক্ত আর মালও হারাম, যেরকম হারাম তোমাদের এই দিন, তোমাদের এই শহরে, তোমাদের এই মাসে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৬৬ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٦٦

حدثنا أبو معاوية عن الاعمش عن أبي صالح عن جابر قال : قال نبي (ص) في حجة : (أتدرون أي يوم أعظم حرمة ؟ قال : فقلنا : يومنا هذا ، قال : فأي بلد أعظم حرمة ؟ قال : قلنا : بلدنا هذا ، قال : فأي شهر أعظم حرمة ؟ قلنا : شهرنا هذا ، قال :

قال رسول الله (ص) : فإن دماءكم وأموالكم حرام كحرمة يومكم هذا في بلدكم هذا في شهركم هذا).

হাদিস – ৫৭

মুররাহ একজন সাহাবী থেকে শুনে বলেছেন:

রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাদের মাঝে দাড়ালেন একটা বয়স্ক লাল উটনির উপর। এর পর বললেন,

: তোমরা কি জানো এটা তোমাদের কোন দিন? তোমরা কি জানো এটা তোমাদের কোন মাস? তোমরা কি জানো এটা তোমাদের কোন শহর?

নিশ্চই তোমাদের রক্ত, মাল তোমাদের উপর হারাম যেরকম হারাম এই এই দিন, এই শহরে, এই মাসে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৬৭ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٦٧

حدثنا غندر عن شعبة عن عمرو بن مرة عن مرة عن رجل من أصحاب النبي (ص) قال : قام فينا رسول الله (ص) على ناقة حمراء مخضرمة ، فقال : (أتدرون أي يومكم هذا ؟ أتدرون أي شهركم هذا ؟ أتدرون أي بلدكم هذا ؟ قال : فإن دماءكم وأموالكم عليكم حرام كحرمة يومكم هذا في بلدكم هذا في شهركم هذا).

হাদিস – ৫৮

যাইদ বলেছেন:

ইমুল যারআর দিনে হুজাইফা রা: কে কেউ বললেন,

: আপনিও কি মানুষদের সঙ্গে বের হবেন না?

উনি বললেন,

: তাদের সাথে আমার বের হওয়ায় কি? আমি জেনেছি যে তাদের মাঝে সামান্য রক্তপাত হবে না, যতক্ষন না তারা ফিরে আসে। তিনি ﷺ যারআর কথা বলেছেন হাদিসে। অনেক হাদিসে।

আমি চাই না যে এর কিছু আমার গায়ে লাগুক, যা তোমাদের ঘরে আছে।

ফিতনার দিকে যে তাকিয়ে দেখবে তাকে ফিতনায় ধরবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৬৮ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٦٨

حدثنا أبو معاوية عن الاعمش عن زيد قال : لما كان يوم الجرعة قيل

لحذيفة : ألا تخرج مع الناس ؟ قال : ما يخرجني معهم ؟ قد علمت أنهم لم يهريقوا بينهم محجما من دم حتى يرجعوا ، ولقد ذكر في حديث الجرعة حديث كثير : ما أحب أن لي به ما في بيتكم ، إن الفتنة تستشرف من استشرف لها.

হাদিস – ৫৯

হুজাইফা রা: বলেছেন,

: আমার ইচ্ছে হয় আমার সাথে ১০০ জন লোক থাকবে যাদের অন্তর হবে স্বর্নের।

এর পর আমি একটা পাথরের উপর উঠে তাদেরকে হাদিস বর্ননা করবো যে এর পর তারা আর কখনো ফিতনায় পড়বে না।

এর পর অল্প অল্প করে আমি চলে যাবো। আমি আর তাদের দেখবো না, তারাও আমাকে দেখবে না।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৬৯ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٦٩

حدثنا أبو معاوية عن الاعمش عن عدي عن زر بن حبيش عن حذيفة قال : وددت أن عندي مائة رجل قلوبهم من ذهب فأصعد على صخرة فأحدثهم حديثا لا تضرهم فتنة بعده أبدا ثم أذهب قليلا قليلا فلا أراهم ولا يرونني.

قلوبهم من ذهب : أي تعي ما تسمع وتحفظ وتتعظ.

হাদিস – ৬০

হুজাইফা রা: বলেছেন:

আমি যদি তোমাদের বলি যা আমি জানি, তবে তোমরা তিন ভাগে ভাগ হয়ে যাবে।

এক ভাগ আমাকে কতল করবে।

এক ভাগ আমাকে কোনো সাহায্য করবে না।

আর এক ভাগ আমাকে মিথ্যাবাদী বলবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৭০ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٧٠

حدثنا أبو بكر قال حدثنا وكيع قال حدثنا الاعمش عن المنهال عن أبي البختري عن حذيفة قال : لو حدثتكم ما أعلم لافترقتم على ثلاث فرق : فرقة تقاتلني ، وفرقة لا تنصرني ، وفرقة تكذبني.

হাদিস – ৬১

হুজাইফা রা: বলেছেন,

এক লোকের বিজয়ে যদি উম্মাহ ময়লা হয়, তবে দুই লোক থাকে।

তাদের একজন আশাতীত করেন।

অন্যজন মুশকিলে পড়েন।

যিনি আশাতীত করেছেন, উনি হলেন উমর রা:।

যিনি মুশকিলে পড়েছেন উনি হলেন আলী রা:।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৭১ ]

___________________________________

বিজয়ের দ্বারা ময়লা: আরবী টিকাতে লিখা আছে — বিজয়ে এমন জায়গা থেকে সাহায্য পাওয়া যেটা আসা উচিৎ না।

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٧١

حدثنا عبد الله بن نمير عن الاعمش قال حدثني ضرار بن مرة عن عبد الله بن حنظلة قال : قال حذيفة : ما من رجل إلا به أمة ينجسها الظفر إلا رجلين : أحدهما قد برز والآخر فيه منازعة ، فأما الذي برز فعمر ، وأما الذي فيه منازعة فعلي.

ينجسها الظفر : أي إذا ظفرت أنت من الامور ما لا يحل لها أن تأتيه.

হাদিস – ৬২

ইবনে হানাফীয়া রা: বলেছেন:

আল্লাহ রহম করুন ঐ লোকের উপর যে

তার হাত গুটিয়ে রাখে,

জিহ্বাকে আটকিয়ে রাখে,

অন্তরকে চাহিদাশূন্য রাখে

নিজের ঘরে বসে থাকে

আর তার নিজ দায়িত্ব নিজের উপর।

সে কিয়ামতের দিন ঐ লোকদের সাথে থাকবে, যাদেরকে ভালোবাসা হবে।

সাবধান! মুমিনদের তলোয়ার তাদের দিকে সবচেয়ে দ্রুত আসে।

সাবধান! বিজয় হক্বের জন্য। আল্লাহ তায়ালা যখন চান দিবেন।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৭২ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٧٢

حدثنا معاوية بن هشام قال حدثنا سفيان الثوري عن الحارث الازدي عن ابن الحنيفة قال : رحم الله امراء كف يده وأمسك لسانه وأغني نفسه وجلس في بيته ، له ما احتسب ، وهو يوم القيامة مع من أحب ، ألا إن الاعمال أسرع إليهم من سيوف المؤمنين ، ألا إن للحق دولة يأتي بها الله إذا شاء.

হাদিস – ৬৩

সুনাবিহ রা: বলেছেন,

আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

: আমি তোমাদের আগে হাউজে থাকবো। আমি তোমাদের সংখ্যাধিক্য দেখে আনন্দিত হবো। আমার পরে তোমরা একে অন্যকে হত্যা করো না।

দ্বিতীয় একটা সুত্র থেকে একই হাদিস বর্নিত হয়েছে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৭৩ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٧٣

حدثنا عبدة بن سليمان ووكيع وابن المبارك عن إسماعيل عن قيس عن

الصنابحي قال : سمعته يقول : سمعت رسول الله (ص) يقول : (أنا فرطكم على الحوض ، وإني مكاثر بكم الامم فلا تقتتلن بعدي).

حدثنا ابن نمير وأبو أسامة عن إسماعيل عن قيس عن الصنابحي الاحمسي عن النبي (ص) بمثله.

হাদিস – ৬৪

আব্দুল্লাহ বিন ওমর রা: বলেছেন,

রাসুলুল্লাহ ﷺ বিদায় হজ্জে বলেছেন,

সাবধান! আমার পরে তোমরা একে অন্যের ঘাড়ে আঘাত করে কুফরিতে ফিরে যেও না।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৭৪ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٧٤

حدثنا غندر عن شعبة عن واقد بن محمد بن زيد أنه سمع أباه يحدث عن عبد الله بن عمر عن النبي (ص) أنه قال في حجة الوداع : (ويحكم ، أو قال : ويلكم ، لا ترجعوا بعدي كفارا يضرب بعضكم رقاب بعض).

হাদিস – ৬৫

জারির বলেছেন,

রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে বলেছেন,

: মানুষ শান্ত হোক।

এর পর মানুষ শান্ত হলে বললেন,

: আমি তোমাদের আশংকা জানাচ্ছি যেটা আমি ভবিষ্যতে দেখছি। তোমরা আমার পরে কুফরিতে ফিরে যাবে। এক দল লোক অন্য দলের গলায় আঘাত করে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৭৫ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٧٥

حدثنا عبد الله بن نمير عن إسماعيل عن قيس قال : بلغنا أن جريرا قال : قال لي رسول الله (ص) : (استنصت الناس ثم قال عند ذلك : لاعرفنكم بعد ما أرى ، ترجعون بعدي كفارا ، يضرب بعضكم رقاب بعض).

لاعرفنكم : الارجح أنها لا أعرفنكم أي إن رجعتم بعدي كفارا يضرب بعضكم رقاب بعض.

হাদিস – ৬৬

আবা জুরআহ বিন আমর বিন জারির রা: বলেছেন,

রাসুলুল্লাহ ﷺ বিদায়ী হজ্জে বলেছেন,

: হে মানুষ, চুপ করে মনোযোগ দিয়ে শুনো। আমার পরে তোমরা একে অন্যের গলায় আঘাত করে কুফরিতে ফিরে যেও না।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৭৬ ]

___________________________________

গলায় আঘাত করা: হত্যা করা।

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٧٦

حدثنا غندر عن شعبة عن علي بن مدرك قال : سمعت أبا زرعة بن عمرو بن جرير يحدث أن رسول الله (ص) قال في حجة الوداع : (استنصت الناس ، وقال : لا ترجعوا بعدي كفارا يضرب بعضكم رقاب بعض).

হাদিস – ৬৭

হুজাইফা রা: বলেছেন,

রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে বলেছেন,

আমি তোমাদের আগে হাউজে পৌছে যাবো। আমার কওম নিয়ে আমি ঝগড়া করবো এবং তাদের উপর জয়ী হবো। আমি বলবো,

: ইয়া রব! আমার আসহাব!

আমাকে বলা হবে,

: আপনি জানেন না, আপনার পরে তারা কি করেছে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৭৭ ]

___________________________________

ঝগড়া করবো: আরবী টিকায় বলা আছে, আযাবের ফিরিস্তারা যখন তাদের আগুনের দিকে নিয়ে যেতে থাকবে তখন আমি তাদের আমার সংগে রাখতে চাইবো।

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٧٧

حدثنا ابن فضيل عن حصين عن شقيق عن حذيفة قال : قال لي رسول الله (ص) : (أنا فرطكم على الحوض ولانازعن أقواما ثم لاغلبن عليهم ، فأقول : يا رب ! أصحابي ، فيقال : إنك لا تدري ما أحدثوا بعدك).

أنازعن أقواما : أي أطلب أن يكونا معي وملائكة العذاب تسحبهم إلى النار.

হাদিস – ৬৮

আনাস বিন মালিক রা: বলেছেন:

রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে বলেছেন:

কাউছার হলো একটা নহর যেটা আমার রব আমাকে দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন।

এতে অনেক ভালো কিছু আছে।

ওটা আমার হাউজ।

কিয়ামতের দিন এখান থেকে আমি আমার উম্মাহর জবাব দেবো।

এর পাত্রের সংখ্যা হলো তারকার সংখ্যার সমান।

কিছু আবদদের এখানে আসতে বাধা দেয়া হবে।

আমি বলবো: এরা তো আমার উম্মত!

আমাকে বলা হবে: আপনি জানেন না আপনার পরে তারা কি করেছিলো।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৭৮ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٧٨

حدثنا علي بن مسهر عن المختار بن فلفل عن أنس بن مالك قال : قال لي رسول الله (ص) : (الكوثر نهر وعدني ربي ، عليه خير كثير ، هو حوضي ترد عليه أمتي يوم القيامة ، آنيته عدد النجوم ، فيختلج العبد منهم فأقول : رب ، إنه من أمتي ، فيقول : لا تدري ما أحدث بعدك).

يختلج أو يختلج العبد : يسحب إلى النار.

হাদিস – ৬৯

উম্মে সালমা রা: বলেছেন,

আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ কে শুনেই এই মিম্বরের উপর বলতে

আমি কাউছারে তোমাদের আগেই থাকবো।

যখন আমি সেখানে থাকবো তখন আমি তোমাদের কাছে যেতে গেলে তোমাদের মাঝে একটা দূরত্ব চলে আসবে। আমি ডাক দিবো, তোমরা আসো!

তখন একজন ডেকে বলবে,

: না! তারা আপনার পরে বদলিয়ে গিয়েছিলো।

এর পর আমি বলবো,

: এসো না! তোমরা দুরের লোক! তোমরা দুরের লোক!

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৭৯ ]

___________________________________

বদলিয়ে গিয়েছিলো: ধর্মান্তরিত হয়ে গিয়েছিলো।

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٧٩

حدثنا عبد الرحيم بن سليمان عن محمد بن إسحاق عن عبد الله بن رافع عن أم سلمة قالت : سمعت رسول االله (ص) يقول : على هذا المنبر : (إني سلف لكم على الكوثر ،

فبينا أنا عليه إذ مر بكم أرسالا مخالفا لكم ، فأنادي : هلم ، فينادي مناد فيقول : ألا إنهم قد بدلوا بعدك ، فأقول : ألا سحقا).

হাদিস – ৭০

মুররাহ বলেছেন:

রাসুলুল্লাহ ﷺ এর একজন সাহাবি বলছেন:

রাসুলুল্লাহ ﷺ একবার আমাদের মাঝে দাড়ালেন, এবং বললেন:

সাবধান! আমি তোমাদের আগে হাউজে পৌছে যাবো।

তোমাদের দেখবো, এবং তোমাদের বিশাল সংখ্যা দেখে অনন্দিত হবো।

তাই তোমরা আমার মুখকে কালো করো না।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৮০ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٨٠

حدثنا غندر عن شعبة عن عمرو بن مرة عن مرة عن رجل من أصحاب النبي (ص) ، قال : قام فينا رسول الله (ص) فقال : (ألا إني فرطكم على الحوض ، أنظركم وأكاثر بكم الامم فلا تسودوا وجهي).

হাদিস – ৭১

উমর রা: আবি মুসা রা: কে লিখে পাঠান,

স্বভাবতঃ মানুষ তাদের সুলতানকে অপছন্দ করে। তাই আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই আমার আর তোমার মাঝে ঘৃনা আসা থেকে,

দুনিয়া দ্বারা প্রভাবিত হওয়া থেকে,

মনের ইচ্ছার অনুসরন করা থেকে।

কাবিলাগুলো একটা অন্যটার বিরুদ্ধে লাগতে যাচ্ছে।

এটাই হলো অহংকার যে শয়তান থেকে আসে।

এরকম হলে: তখন তলোয়ার তলোয়ার, কতল কতল হবে।

তারা বলবে: হে ইসলামের পরিবার, হে ইসলামের পরিবার।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৮১ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٨١

حدثنا محمد بن فضيل عن عطاء بن السائب عن أبي البختري قال : كتب عمر إلى أبي موسى : إن للناس نفرة عن سلطانهم ، فأعوذ بالله أن تدركني وإياكم ضغائن محمولة ودنيا مؤثرة وأهواء متبعة ، وإنه ستداعي القبائل ، وذلك نخوة من الشيطان ، فإن كان ذلك فالسيف السيف ، القتل القتل ، يقولون : يا أهل الاسلام ! يا أهل الاسلام.

হাদিস – ৭২

উবাই বিন কাব রা: বলেছেন,

আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

যে তার নিজের গোত্রে দিকে ডাকে, সে যেন তার পিতার অঙ্গ কামড় দিলো। এবং এটা সরাসরি বলো।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৮২ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٨٢

حدثنا وكيع عن كهمس عن الحسن عن أبي بن كعب قال : سمعت رسول الله (ص) يقول : (من اتصل بالقبائل فأعضوه بهن أبيه ولا تكنوا).

حدثنا عيسى بن يونس عن عوف عن الحسن عن عتي بن ضمرة عن أبي عن النبي (ص) بمثله.

اتصل بالقبائل : استشارهن إلى القتال ، والقبائل تحركها العصبية.

হাদিস – ৭৩

উমর রা: বলেছেন,

যে তার গোত্রের জন্য গর্বিত হলো সে অংগ কামড় দিয়ে চুষলো।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৮৩ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٨٣

حدثنا وكيع عن عمران عن أبي مجلز قال : قال عمر : من اعتز بالقبائل فاعضوه أو فامضوه.

হাদিস – ৭৪

তালহা বিন উবাইদিল্লাহ বিন কুরাইজ বলেছেন:

উমর রা: সেনাপ্রধানদের লিখে দিয়েছিলেন:

যদি গোত্রগুলো একে অন্যের সংগে সংঘর্ষে নামে তবে তলোয়ার দিয়ে তাদের তাড়া করো যতক্ষন না তারা ইসলামের শিক্ষার দিকে ফিরে আসে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৮৪ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٨٤

حدثنا وكيع عن موسى بن عبيدة عن طلحة بن عبيد الله بن كريز قال : كتب عمر إلى أمراء الاجناد : إذا تداعت القبائل فاضربوهم بالسيف حتى يصيروا إلى دعوة الاسلام.

হাদিস – ৭৫

আবি সালেহ বলেছেন,

যে বললো: হে ওমুকের বংশধর!

তবে সে আগুনের শাস্তির দিকে ডাকলো।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৮৫ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٨٥

حدثنا وكيع عن مسعر عن سهل أبي الاسد عن أبي صالح قال : من قال : يا آل بني فلان ، فإنما يدعو إلى جثاء النار.

হাদিস – ৭৬

মাসরুক রা: বলেছেন:

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

আমি যেন তোমাদেরকে এই ভাবে না পাই যে আমার পরে তোমরা একদল অন্যদলের ঘাড়ে আঘাত করে কুফরিতে ফিরে গিয়েছো।

কোনো মানুষকে তার ভাইয়ের পাপ বা পিতার পাপের জন্য ধরা হবে না।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৮৬ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٨٦

حدثنا حفص عن الاعمش عن مسلم عن مسروق قال : قال رسول الله (ص) : (لا ألفينكم به ، ترجعون بعدي كفارا يضرب بعضكم رقاب بعض ، لا يؤخذ الرجل بجريرة أخيه ولا بجريرة أبيه).

أي لا يتحمل المرء وزر أخيه وأبيه وابن قبيلته كما في الجاهلية.

হাদিস – ৭৭

আব্দুল্লাহ রা: বলেছেন,

শিগ্রই উপেক্ষা করা হবে এবং ঘটনার পূনরাবৃত্তি হবে।

তখন তুমি ধীরে চলবে এবং ভালোর অনুসরন করবে।

খারাপ রাষ্ট্রপ্রধানের মাঝে যতটুকু ভালো আছে, সেটার।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৮৭ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٨٧

حدثنا أبو خالد الاحمر عن الاعمش عن خيثمة قال : قال عبد الله : إنها ستكون هنات وأمور مشبهات ، فعليك بالتؤدة فتكون تابعا في الخير خير من أن تكون رأسا في الشر.

হাদিস – ৭৮

শায়বি বলেছেন,

এক লোক অন্যকে ডাকলো,

: এই! যে দাব্বার জন্য!

ওমর রা: কে এটা লিখে পাঠনো হলো। উনি জবাব দিলেন,

: তাকে শাস্তি দাও। আর তাকে আদব শিখাও।

দাব্বা তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আর কোনো উপকারও তাদের থেকে নিতে পারে না।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৮৮ ]

___________________________________

দাব্বা হলো আরবদের একটা গোত্রের নাম। তাদের পূর্বপুরুষ একজনের নাম থেকে এসেছে।

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٨٨

حدثنا شريك عن أبي حصين عن الشعبي أن رجلا قال : يا لضبة ، قال : فكتب إلى عمر ، قال : فكتب إليه عمر أن عاقبه ، أو قال : أدبه ، فإن ضبة لم يدفع عنهم سوءا قط ولم يجر إليهم خيرا قط.

ضبة اسم قبيلة من العرب تنسب إلى جدها الذي يحمل هذا الاسم.

হাদিস – ৭৯

জাইদ বিন থাবিত রা: বলেছেন,

রাসুলুল্লাহ ﷺ একবার বললেন,

আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও প্রকাশ পাওয়া আর গোপন থাকা ফিতনা থেকে।

আমরা বললাম,

আমরা আশ্রয় চাইছি আল্লাহর কাছে, প্রকাশ পাওয়া আর গোপন থাকা ফিতনা থেকে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৮৯ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٨٩

حدثنا ابن علية عن الجريري عن أبي نضرة عن أبي سعيد الخدري قال : حدثنا زيد بن ثابت عن رسول الله (ص) قال : (تعوذوا بالله من الفتن ما ظهر منها وما بطن ، قلنا : نعوذ بالله من الفتن ما ظهر منها وما بطن).

হাদিস – ৮০

আব্দুল্লাহ রা: বলেছেন,

যখন উসমান রা: উনার কাছে হুকুম পাঠালেন মদিনার দিকে বেরিয়ে যেতে।

তখন মানুষেরা উনার কাছে আসলো।

তারা তাকে বললো:

দাড়ান। আপনি বের হবেন না। আমরা আপনাকে নিষেধ করছি।

উনার কাছ থেকে আপনার কাছে অপছন্দনীয় কিছু আসবে না।

আব্দুল্লাহ বললেন:

শিগ্রি ঘটনা ঘটবে এবং ফিতনা দেখা দিবে।

আমি এটা পছন্দ করি না যে আমি প্রথম এটা খুলবো, অথচ উনি আমার আনুগত্য প্রাপ্য।

মানুষ এর পর একে একে চলে গেল এবং উনি বের হলেন।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৯০ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٩٠

حدثنا أبو معاوية عن الاعمش عن زيد بن وهب عن عبد الله قال : لما بعث عثمان إليه يأمره بالخروج إلى المدينة اجتمع الناس إليه فقالوا له : أقم لا تخرج ، فنحن نمنعك ، لا يصل إليك منه شئ تكرهه ، فقال عبد الله : إنها ستكون أمور وفتن ، لا أحب أن أكون أنا أول من فتحها وله علي طاقة ، قال : فرد الناس وخرج إليه.

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment