সালাফি তথা আহলে হাদিসরা এ বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, বিশেঃষত নামায নিয়ে। অথচ ইমাম যাহাবি (رحمة الله) বলেন- هذا قول أهل السُّنّة والجماعة-‘‘এটাই আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আক্বিদা যে কবিরা গুনাহের দরুন (ফাসেক হবে) কেউ কাফির হবে না।’’
➤যাহাবি, তারীখুল ইসলামী, ২৯/১৭২ পৃষ্ঠা, মাকতুবাতুল তাওফিকহিয়্যাহ, কাহেরা, মিশর।
ইমাম সুয়ূতী (رحمة الله) বলেন-
لِأَنَّ مَذْهَبَ أَهْلِ السُّنَّةِ أَنْ لَا يَكْفُرَ أَحَدٌ بِذَنَبٍ
-‘‘আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের মাযহাব হলো কেউ গুনাহে কারণে কাফের হয় না।’’
➤সুয়ূতি, ফাতওয়ায়ে হাদিসয়্যিাহ, ১/৩০২ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।
আহলে হাদিসদের মুহাদ্দিস মোবারকপুরী বলেন-
وَقَالَ الْقَاضِي عِيَاضٌ وَهُوَ مَذْهَبُ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ وَأَمَّا الْكَبَائِرُ فَلَا يُكَفِّرُهَا إِلَّا التَّوْبَةُ
-‘‘ইমাম কাজী আয়ায (رحمة الله) এর এবং আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের মাযহাব হল কবিরাহ গুনাহের জন্য কেউ কাফির হবে না; যদিও তা তাওবা ছাড়া মাফ হয় না।’’
➤মোবারকপুরী, তুহফাতুল আহওয়াজি, ৩/৩৭৭ পৃষ্ঠা।
তাই নামাযসহ বিভিন্ন ইবাদত কেহ না করলে তাকে কাফির বলা যাবে না; যতক্ষণ না সে এগুলো অস্বীকার না করবে।