নবী করীম (ﷺ) সমগ্র সৃষ্টিতে সর্বাধিক বাকপটু ও মিষ্টভাষী ছিলেন। এমনকি তার কথায় মানুষের অন্তর সমূহকে আকৃষ্ট করত।
❏ তিনি বলতেন, ‘আমি সমগ্র আরবে সর্বাধিক বাকপটুর অধিকারী।’
জান্নাতবাসীরা মুহাম্মদ (ﷺ) এর ভাষায় কথা বলবেন।
وَكَانَ يَقُوْلُ عِنْدَ لُبْسِ الثَّوْبِ . اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِىْ كَسَانِىْ مَا اَسْتُـرُ بِه عَوْرَتِىْ وَاَتَجَمَّلُ بِه. كَانَ لَهُ خَاتَمُ فِضَّةٍ، فَصَّهُ مِنْهُ، وَنَقْشُهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ وَيَتَخَتَّمُ فِىْ خِنْصَرِ يَمِيْنِه وَيَسَارِه وَالْاَكْثَرُ الْاَوَّلُ وَكَانَ فَرْشُهُ مِنْ اُدْمٍ اَىْ مِنْ جِلْدٍ مَدْبُوْغٍ حَشْوُهُ لِيْفٌ وَرُبَّمَا نَامَ عَلٰى حَصِيْرٍ وَرُبَّمَا نَامَ عَلٰى الْاَرْضِ جَرْدًا اَىْ بِغَيْرِ فِرَاشٍ .
اُذْكُرْ لَـنَا بَعْضًا مِنْ فَصَاحَةِ لِسَانِه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟
كَانَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَفْصَحَ خَلْقِ اللهِ وَاَعْذَبَهُمْ كَلَامًا حَتّٰى كَانَ كَلَامُهُ يَأْخُذُ الْقُلُوْبَ وَكَانَ يَقُوْلُ اَنَا اَفْصَحُ الْعَرَبِ وَاِنَّ اَهْلَ الْجَنَّةِ يَتَكَلَّمُوْنَ بِلُغَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَنَذْكُرُ لَكُمْ جُمْلَةً مِنْ كَلَامِه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْجَامِعِ
আমি তোমাদের জন্য ইহ ও পরকালীন জীবনে কল্যাণ বহনকারী তাঁর কণ্ঠে উচ্চারিত অসংখ্য বাণী থেকে কতিপয় বাণী বর্ণনা করতেছি।
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, মানুষ আপন প্রিয়জনের সাথে থাকবে।
➥সহিহ আল-বুখারী, باب علامةُ حبّ الله عزّوجلّ পৃষ্ঠা: ১৪৫
❏ রাসূল (ﷺ) বলেন, ঈমানদারদের নিয়ত তাঁদের আমল অপেক্ষা উত্তম।
➥শু‘আবুল ঈমান লিল্-বয়হাকী, باب الخامس والاربعون من شعب পৃ: ৩৯০
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, যুদ্ধে ধোঁকাবাজির অবকাশ আছে।➥সহিহ আল্-বুখারী, باب الحرب خدعة পৃষ্ঠা: ২২৭
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, যে মানুষের থেকে জয় ছিনিয়ে নেয় সে বীর নয়, প্রকৃতপক্ষে যে আত্মার কুপ্রবৃত্তির ওপর জয় করে সে-ই বীর।
➥সহীহ ইবনে হাব্বান, باب الفقر والزهد পৃষ্ঠা: ৪২৮
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, খবর প্রত্যক্ষ করার মত নয়।➥মিশকাতুল মাসাবীহ্, باب صفة النار واهلها পৃষ্ঠা: ২৪৭
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, বিপদাপদ মানুষের কথাতে অর্পিত।
➥মুসনদ আশ্-শিহাবুল ক্বাযায়ী, باب البلاء مؤكل بالمنطق পৃষ্ঠা: ৩৬৮
❏ রাসূলে করীম (ﷺ) বলেন, লজ্জাশীলতা সম্পূর্ণই উত্তম।
➥সহীহ মুসলিম, باب بيان عدد شعب الايمان পৃষ্ঠা: ১৪৩
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, মিথ্যা শপথ এমন অশুভ যা দেয়ালসমূহ ধ্বংস করে দেয়।
➥মুসনদ আশ-শিহাবুল ক্বাযায়ী, باب اليمين الفاجرة تدع পৃষ্ঠা: ৪১৯
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, জাতির সরদারই, জাতির সেবক।➥মিশকাতুল মাসাবীহ, باب اداب السفر পৃষ্ঠা: ৩৯১
لِخَيْرِى الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ:
قَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْمَرْءُ مَعَ مَنْ اَحَبَّ وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِيَّةُ الْمُؤْمِنِ خَيْرٌ مِنْ عَمَلِه وَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلوٰةُ وَالسَّلَامُ اَلْحَرْبُ خَدْعَةٌ وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ اَلشَّدِيْدُ مَنْ غَلَبَ النَّاسَ اِنَّمَا الشَّدِيْدُ مَنْ غَلَبَ نَفْسَهُ.
وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ الْخَبْرُ كَالْمَعَايَنَةِ. وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْبَلَاءُ مُؤَكَّلٌ بِالْمَنْطِقِ، وَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلَوٰةُ وَالسَّلَامُ اَلْحَيَاءُ خَيْرٌ كُلُّهُ وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْيَمِيْنُ الْفَاجِرَةُ تَدَعُ الدِّيَارَ بِلَاقِعِ اَىْ تَتْرُكُ الدِّيَارَ خَرَابًا، وَقَالَ صَلَّى
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, সুস্থতা ও অবসর দু’টোই আল্লাহ তা‘আলার নিয়ামত।
➥সুনান আত-তিরমিযী, باب الصحة والفراغة نعمتان পৃষ্ঠা: ২৭২
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, তোমরা সমস্যার সমাধানে গোপনীয়তা অবলম্বন করে (আল্লাহর কাছে) সাহায্য প্রার্থনা কর, কেননা প্রত্যেক নি’য়ামত প্রাপ্ত ব্যক্তি হিংসা-বিদ্বেষের কেন্দ্র বিন্দু হয়।
➥আল্-মু‘জমুল আওসত লিত্-তবরানী, باب اسمه ابراهيم পৃষ্ঠা: ৬
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, ভেজালকারী আমার দলভুক্ত নয়। ➥সহীহ মুসলিম, باب قول النبىﷺ পৃষ্ঠা: ২৬৫
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, কল্যাণময় কর্মের সন্ধানদাতা বাস্তবায়নকারীর অনুরূপ।
➥সুনান আত্-তিরমিযী, باب ماجاء الدال على الخير পৃষ্ঠা: ২৭৯
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, দেরীতে সাক্ষাৎ কর, ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে।
➥আল্-মু‘জমুল কবীর লিত-তবরানী, باب قطعة من المفقود পৃষ্ঠা: ১৭৮
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, নিশ্চয় তোমরা মানুষকে তোমাদের সম্পদের মাধ্যমে কখনো ধাবিত করতে পারবে না। অতএব তোমারা তাদেরকে তোমাদের নিজ চরিত্রগুণে ধাবিত কর।
➥শামাইল শরীফ, মাওয়াহিবুল্ লুদনিয়া।
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, মন্দ স্বভাব আমল ধ্বংস করে যেমন সিরকা মধুকে ধ্বংস করে।
➥শু‘আবুল ঈমান লিল্-বয়হাকী, باب السابع والخمسون من شعب পৃষ্ঠা: ৬২
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيِّدُ الْقَوْمِ خَادِمُهُمْ، وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلصِّحَّةُ وَالْفَرَاغُ نِعْمَتَانِ . وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِسْتَعِيْنُوْا عَلٰى الْحَاجَاتِ بِالْكِتْمَانِ، فَاِنَّ كُلَّ ذِىْ نِعْمَةٍ مَحْسُوْدٌ . وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا، وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلدَّالُّ عَلٰى الْخَيْرِ كَفَاعِلِه .
وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زُرْغِبًّا تَزْدَدْ حُبًّا، وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّكُمْ لَنْ تَسَعُوْا النَّاسَ بِاَمْوَالِكُمْ فَسَعُوْهُمْ بِاَخْلَاقِكُمْ، وَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلوٰةُ وَالسَّلَامُ اَلْخُلْقُ السِّيِّئُ يُفْسِدُ اَلْعَمَلَ كَمَا يُفْسِدُ الْخَلُّ الْعَسَلَ .
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, সাধারণত নারীদেরকে বিবাহ করা হয় তাদের সৌন্দর্য, মাল, ধার্মিকতা ও বংশ দেখে। অতএব ধার্মিক মহিলাকে বিবাহ করা তোমার ওপর আবশ্যক। এ রকম না করে বিপরীত করলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ➥শামাইল শরীফ, মাওয়াহিবুল লুদনিয়া।
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, শীতকাল মু’মিনদের জন্য শুভক্ষণ। এতে দিন ছোট হয় বিধায় মুমিনরা দিনের বেলায় রোজা রাখেন এবং রাত বড় বিধায় রাত্রে ইবাদতে মগ্ন থাকেন। ➥শু‘আবুল ঈমান লিল্-বয়হাকী, باب الشتاء ربيع المؤمن পৃষ্ঠা: ৪৬৫
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, কানায়াত (অল্পে সন্তুষ্টি) এমন সম্পদ যা ক্ষয় হয় না, এমন খনি যা বিলুপ্তও হয় না।
➥মসনদ আশ-শিহাবুল ক্বাযায়ী, باب القناعة مال لاينفد পৃষ্ঠা: ১০২
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, পারিবারিক খরচে মিতব্যয়ীতা অর্ধেক উপার্জন, মানুষের সাথে ভালবাসার সম্পর্ক বোধশক্তির অর্ধেক এবং যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন জ্ঞানের অর্ধেক। ➥মিশকাতুল মাসাবিহ, باب السلام পৃষ্ঠা: ৯৮
وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِجَمَالِهَا وَمَالِهَا وَدِيْنِهَا وَحَسَبِهَا فَعَلَيْكَ بِذَاتِ اَىْ صَاحِبَةِ الدِّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ اَىْ اِفْتَقَرْتَ اِذَا خَالَفْتَ . وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلشِّتَاءُ رَبِيْعُ الْمُؤْمِنِ، قَصُرَ نَهَارُهُ فَصَامَهُ، وَطَالَ لَيْلُهُ فَقَامَهُ، وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْقَنَاعَةُ مَالٌ لَا يَنْفَدُ وَكَنْزٌ لَايَفْنٰى، وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْاِقْتِصَادُ فِى النَّفْقَةِ نِصْفُ الْمَعِيْشَةِ، وَالتَّوَدُّدُ اِلٰى النَّاسِ نِصْفُ الْعَقْلِ، وَحُسْنُ السُّوَالِ نِصْفُ الْعِلْمِ، وَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلوٰةُ وَالسَّلَامُ مَا خَابَ مَنْ اِسْتَخَارَ، وَلَا نَدِمَ مَنْ اِسْتَشَارَ، وَلَا عَالَ مَنِ اقْتَصَدَ، اَىْ لَمْ يَفْتَقِرْ مَنِ اقْتَصَدَ فِىْ
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, যে ইস্তেখারা করে সে ব্যর্থ হয় না, যে পরামর্শ করে সে লজ্জিত হয় না, যে মিতব্যয়ীতা অবলম্বন করে দৈনিক জীবিকায় অপচয় না করে সে অভাবগ্রস্থ হয় না।
➥শামাইল শরীফ, মাওয়াহিবুল লুদনিয়া।
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, সে ব্যক্তি যার রসনা ও হাত থেকে মুসলমানগণ মুক্ত থাকে, মুহাজির সে ব্যক্তি যে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক হারামকৃতকে বর্জন করে।
➥সহীহ আল্-বুখারী, باب المسلم من سلم المسلمون পৃষ্ঠা: ১৫
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, যে তোমার কাছে আমানত রাখে তুমি তা যথাযথ আদায় কর, যে তোমার খেয়ানত করে তুমি তার খেয়ানত করো না।
➥সুনান আত্-তিরমিযী, باب ماجاء فى النهى للمسلم পৃষ্ঠা: ৫৭
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, দু’ধরনের লোভী ব্যক্তি পরিতৃপ্তি লাভ করে না, জ্ঞান অন্বেষণকারী ও দুনিয়া অন্বেষণকারী।
➥মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, পৃষ্ঠা: ১৮৭
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, প্রত্যেক কর্মের বিশুদ্ধতা নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।
➥সহীহ আল্-বুখারী, باب بدء الوحى পৃষ্ঠা: ৩
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, হালালের বর্ণনা ও হারামের বর্ণনা সুস্পষ্ট।
➥সহীহ আল্-বুখারী, باب فضل من استبراء لدينه পৃষ্ঠা: ৯০
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, বাদীর জন্যে প্রমাণ ও বিবাদীর জন্যে শপথ আবশ্যক।
➥সুনানে দারে কুত্নী, باب الحدود والديات পৃষ্ঠা: ৪৮৪
النَّفْقَةِ اَىْ لَمْ يُبَذَّرْ فِيْهَا، وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُوْنَ مِنْ لِسَانِه وَيَدِه وَالْمُهَاجِرُ مَنْ هَجَرَ مَا حَرَّمَ اللهُ، وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ الصَّلوٰةُ وَالسَّلَامُ اَدِّ الْاَمَانَةَ اِلٰى مَنْ اِئْتَمَنَكَ وَلَا تَخُنْ مَنْ خَانَكَ وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْهُوْ مَانِ لَايَشْبَعَانِ طَالِبُ عِلْمٍ وَطَالِبُ دُنْيَا .
وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّمَا الْاَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلوٰةُ وَالسَّلَامُ اَلْحَلَالُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ وَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلوٰةُ وَالسَّلَامُ اَلْبَيِّنَةُ عَلٰى مَنْ اِدَّعٰى وَالْيَمِينُ عَلٰى مَنْ اَنْكَرَ، وَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلوٰةُ وَالسَّلَامُ لَايَكْمُلُ اِيْمَانُ الْمَرْءِ حَتّٰى يُحِبَّ
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, মানুষের ঈমান ততক্ষণ পর্যন্ত পরিপূর্ণতা লাভ করবে না, যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের জন্য পছন্দ করবে না যা নিজের জন্য পছন্দ করে।
➥আল্ মু‘জমুল আউসত্ লিত -তাবরানী, باب من اسمه: مقدام পৃষ্ঠা: ১৯০
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, উপকারীর প্রতি ভালবাসা ও অনিষ্টকারীর প্রতি রাগান্বিত হওয়া আত্মার স্বভাবে পরিণত হয়েছে।
➥শু‘আবুল ঈমান লিল্-বায়হাকী, باب كيف لاتحب واجدك পৃষ্ঠা: ৩৭
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে তার পরিচিতি ঐ সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হয়।
➥সুনানে আবি দাউদ, باب فى لبس الشهرة পৃষ্ঠা: ৪৮
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, যে যাকে ভালবাসে তার স্মরণ বেশী করে।
➥শু‘আবুল ঈমান লিল্-বায়হাকী, باب علامة حب الله دوام ذكره পৃষ্ঠা: ৭২
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, ঐ ব্যক্তির ইসলামই উত্তম যে নিরর্থক কার্যকলাপ পরিহার করে।
➥সুনানে তিরমিযী, باب فيمن تكلم بكلمة يضحك পৃষ্ঠা: ২৯৪
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, কিয়ামত দিবসে অত্যাচারের পরিণতি অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই নয়।
➥সহীহ বুখারী শরীফ, باب الظلم ظلمات يوم القيامة পৃষ্ঠা ৩১৯
لِاَخِيْهِ مَايُحِبُّ لِنَفْسِه وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُبِلَتْ اَىْ طُبِعَتِ الْقُلُوْبُ عَلٰى حُبِّ مَنْ اَحْسَنَ اِلَيْهَ وَبُغْضِ مَنْ أَسَاءَ اِلَيْهَا، وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ، وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اَحَبَّ شَيْئًا اَكْثَرَ مِنْ ذِكْرِه .
وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حُسْنِ اِسْلَامِ اَلْمَرْءِ تَرْكُهُ مَالَا يَعْنِيْهِ وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلظُّلْمُ ظُلْمَاتُ يَوْمِ الْقِيَامَـةِ .
وَبِالْجُمْلَةِ فَقَدْ عَلِمَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْسِنَةَ الْعَرَبِ فَكَانَ يُخَاطِبُ كُلَّ اُمَّةٍ بِلِسَانِهَا وَيُحَاوِرُهَا بِلُغَاتِهَا وَكَانَ كَلَامُهُ صَلَّى اللهُ تَعَالٰى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
এক কথায় নবী করীম (ﷺ) আরবের সব ভাষাভাষীদের ভাষা সম্পর্কে অবগত ছিলেন। তাই প্রত্যেক সম্প্রদায়ের তাদের নিজ নিজ ভাষায় হুযূর (ﷺ) সম্বোধন ও প্রয়োজনীয় বিষয়াদি উপস্থাপন করতেন। তাঁর (ﷺ) ভাষা ছিল অধিক বিজ্ঞান সম্মত পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু।
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, দুগ্ধপান স্বভাবের পরিবর্তন ঘটায়।
➥মুসনদে আশ-শিহাবুল ক্বাযায়ী, باب الرضاع يتغير الطباع পৃষ্ঠা: ৫৮
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, জমিনে নিহিত রুজি চাষাবাদের মাধ্যমে তালাশ কর।
➥আল্-মু‘জমুল আউস্ত লিত্-তবরানী, باب من اسمهُ احمد পৃষ্ঠা: ৪০৬
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, তোমার ভাইয়ের বিপদাপদের খবরা-খবর প্রচার করে তুমি আনন্দিত হইও না। হয়ত: আল্লাহ তা‘আলা তাকে উহা থেকে মুক্ত করে তোমাকে এতে লিপ্ত করতে পারে।
➥আল্ মু‘জমুল আউসত্ লিত্-তবরানী, باب من اسمهُ على , পৃষ্ঠা: ৪৩৪
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, দয়ালু খোদা দয়াশীল ব্যক্তিদেরকে দয়া করেন। তোমরা জমিনের অধিবাসীদেরকে দয়া কর, আসমানে অবস্থানকারী (আল্লাহ) তোমাদেরকে দয়া করবেন।
➥সুনানে তিরমিযী, باب ماجاء فى رمحة الناس , পৃষ্ঠা: ১৬১
حِكَمًا بَالِغَةً جَامِعَةً لِعِلْمِ الْاَوَّلِيْنَ وَالْاٰخِرِيْنَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ . قَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلرِّضَاعُ يُغَيِّرُ الطِّبَاعَ وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلْتَمِسُوْا اَلرِّزْقَ فِىْ خَبَايَا الْاَرْضِ اَلْمُرَادُ اَلزَّرْعُ، قَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تُظْهِرِ الشَّمَاتَةَ بِاَخِيْكَ فَيُعَافِيَهُ اللهُ وَيَبْتَلِيْكَ .
قَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلرَّاحِمُوْنَ يَرْحَمُهُمُ الرَّحْمٰنُ تَبَارَكَ وَتَعَالٰى اِرْحَمُوْا مَنْ فِى الْاَرْضِ يَرْحَمُكُمْ مَنْ فِىْ السَّمَاءِ، وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَسْبِ اِبْنِ اٰدَمَ لَقِيْمَاتُ اَىْ يَكْفِيْهِ اَكَـلَاتٌ يُقِمْنَ صُلْبَهُ اَىْ ظَهْرَهُ فَاِنْ كَانَ لَامُحَالَـةَ اَىْ لَابُـدَّ
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, মানব জাতি তাদের মেরুদন্ড সোজা রাখার (সু-স্বাস্থ্যের জন্য) জন্যে কয়েক গ্রাস খাবার যথেষ্ট। হ্যাঁ যদি তাদের আরও অধিক খাবারের প্রয়োজন হয় তাহলে এক তৃতীয়াংশ খাদ্যের জন্যে, এক তৃতীয়াংশ পান করার জন্যে এবং এক তৃতীয়াংশ আত্মার জন্যে।
➥সুনানে তিরমিযী, باب ماجاء فى كراهية كثيرة , পৃষ্ঠা: ৩৮৭
❏ নবী করীম (ﷺ) বলেন, হে আল্লাহর বান্দাগণ চিকিৎসা কর। কেননা আল্লাহ তা‘আলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেনি, যার বিপরীতে ঔষধ সৃষ্টি করা হয়নি। তবে মরণ ব্যাধি ব্যতীত।
➥আল্ মুসতাদরাক আলাস্-সহীহাইন, باب الله وضع الحرج الامن পৃষ্ঠা: ৮৮