৯. অধ্যায়ঃ
আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জন্য ‘হাওয’ (কাওসার) প্রমাণিত হওয়া এবং হাওযের বিবরণ
৫৮৬০
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ جُنْدَبًا، يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ أَنَا فَرَطُكُمْ، عَلَى الْحَوْضِ ” .
জুনদাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছি, ‘আমি হাওয’-এর নিকট তোমাদের জন্য অগ্রগামী হব। (ই.ফা. ৫৭৬৬, ই.সে. ৫৭৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৬১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ بِشْرٍ، جَمِيعًا عَنْ مِسْعَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ جُنْدَبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
জুনদাব (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৭৬৭, ই.সে. ৫৭৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৬২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيَّ – عَنْ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَهْلاً، يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” أَنَا فَرَطُكُمْ، عَلَى الْحَوْضِ مَنْ وَرَدَ شَرِبَ وَمَنْ شَرِبَ لَمْ يَظْمَأْ أَبَدًا وَلَيَرِدَنَّ عَلَىَّ أَقْوَامٌ أَعْرِفُهُمْ وَيَعْرِفُونِي ثُمَّ يُحَالُ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ ” . قَالَ أَبُو حَازِمٍ فَسَمِعَ النُّعْمَانُ بْنُ أَبِي عَيَّاشٍ وَأَنَا أُحَدِّثُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ هَكَذَا سَمِعْتَ سَهْلاً يَقُولُ قَالَ فَقُلْتُ نَعَمْ .
সাহ্ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আমি ‘হাওয’ (কাওসার)-এর নিকট তোমাদের জন্য অগ্রগামী হব। যে সেখানে আসবে সে তা পান করবে এবং যে তা পান করবে, সে কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না। আর আমার নিকট এমন কতিপয় দল আসবে, যাদের আমি চিনতে পারব এবং তারাও আমাকে চিনতে পারবে। অতঃপর আমার ও তাদের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হবে।
বর্ণনাকারী আবূ হাযিম (রহঃ) বলেন, আমি যখন তাঁদের নিকট এ হাদীস পেশ করি, তখন নু’মান ইবনু আবূ ‘আইয়্যাশ শুনে বললেন, তুমি কি সাহ্ল (রাঃ)-কে এমনই বলতে শুনেছ? তিনি বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ! (ই.ফা. ৫৭৬৮, ই.সে. ৫৭৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৬৩
قَالَ وَأَنَا أَشْهَدُ، عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ لَسَمِعْتُهُ يَزِيدُ فَيَقُولُ ” إِنَّهُمْ مِنِّي . فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا عَمِلُوا بَعْدَكَ . فَأَقُولُ سُحْقًا سُحْقًا لِمَنْ بَدَّلَ بَعْدِي ” .
নু’মান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আর আমি আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ)–এর ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমি অবশ্যই তাকে বর্ধিত বর্ণনা করতে শুনেছি যে, তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলবেন, এরা তো আমার উম্মাত! তখন বলা হবে, আপনি তো জানেন না, তারা আপনার পরে কি ‘আমাল করেছে। তখন যারা আমার পরে (দীনে) পরিবর্তন-পরিবর্ধন করেছে; আমি তাদের বলবঃ দূর হও, দূর হও। (ই.ফা. ৫৭৬৮, ই.সে. ৫৭৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
ব্যাখ্যাঃ
বিদআতী কারা?
নাফি‘ (রঃ) বলেন, এক লোক ইবনে ‘উমর (রাঃ)-এর নিকট এসে বলল, অমুক লোক আপনাকে সালাম দিয়েছে। উত্তরে ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমি শুনেছি, সে নাকি দ্বীনের মধ্যে নতুন মত তৈরি করেছে (অর্থাৎ- তাক্বদীরের প্রতি অবিশ্বাস করছে)। (অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি বললেন, আমি জানতে পারলাম, সে নাকি বিদ’আতী)।
যদি প্রকৃতপক্ষে সে দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু তৈরি করে থাকে, তাহলে আমার পক্ষ হতে তাকে কোন সালাম পৌঁছাবে না। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমার উম্মতের অথবা এ উম্মতের মধ্যে জমিনে ধ্বসে যাওয়া, চেহারা বিকৃত রূপ ধারণ করা, শিলা পাথর বর্ষণের মতো আল্লাহর কঠিন ‘আযাব পতিত হবে, তাদের ওপর যারা তাক্বদীরের প্রতি অস্বীকারকারী হবে।
[মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১১৬, তিরমিযী ২১৫২, ইবনু মাজাহ্ ৪০৬১, আবূ দাঊদ ৪৬১৩]
যাদেরকে হাউজে কাউসারের নিকট থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে তারাও হল দ্বীনের মধ্যে নতুন বিষয়/ আকীদা সৃষ্টিকারী বা দ্বীন পরিবর্তনকারী। এক কথায় আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাহ এর বিপরীত মতাদর্শীরা হল আহলুল বিদ’আত। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হল তারাই আজকাল আহলুস সুন্নাহ এর মতাদর্শীকে বিদআতী বলে অপবাদ ছড়িয়ে থাকে।
বুখারী শরীফে স্পষ্টভাবে ইমাম বুখারী উল্লেখ করেছেন, এরা হল তারা, যারা হযরত আবূ বকর রাঃ এঁর খিলাফতকালে মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধও করেছিলেন (এরা ছিল দুই ধরণের- মিথ্যা নবুয়্যত দাবীকারী এবং যাকাত অস্বীকারকারী)। (আহ! যারা সারাক্ষণ বুখারী বুখারী আর সহিহ হাদিসের বুলি ছুঁড়ে তারা যদি অন্তত বুখারীটা হলেও তো ভালো করে পড়ত))
৫৮৬৪
وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَنِ النُّعْمَانِ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، الْخُدْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ يَعْقُوبَ .
আবূ হাযিম (রহঃ)-এর মাধ্যমে সাহল (রাঃ)-এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এবং নু’মান ইবনু আবূ ‘আইয়্যাশ (রহঃ)-এর মাধ্যমে আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ)-এর সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে (পূর্ববর্তী) ইয়া‘কূব (রহঃ)-এর হাদীসের অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৭৬৯, ই.সে. ৫৮০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৬৫
وَحَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَمْرٍو الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ الْجُمَحِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” حَوْضِي مَسِيرَةُ شَهْرٍ وَزَوَايَاهُ سَوَاءٌ وَمَاؤُهُ أَبْيَضُ مِنَ الْوَرِقِ وَرِيحُهُ أَطْيَبُ مِنَ الْمِسْكِ وَكِيزَانُهُ كَنُجُومِ السَّمَاءِ فَمَنْ شَرِبَ مِنْهُ فَلاَ يَظْمَأُ بَعْدَهُ أَبَدًا ” .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার ‘হাওয’-এর ব্যবধান এক মাসের রাস্তা, তার সকল কোণ এক সমান, তার পানি রূপার চেয়ে শুভ্র, তার ঘ্রাণ মিশ্ক-এর চেয়ে সুগন্ধযুক্ত এবং তার পাত্রের পরিমাণ আসমানের তারকার ন্যায়। যে লোক তা থেকে পান করবে, সে তার পরে কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না।
(ই.ফা. ৫৭৭০, ই.সে. ৫৮০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৬৬
قَالَ وَقَالَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنِّي عَلَى الْحَوْضِ حَتَّى أَنْظُرَ مَنْ يَرِدُ عَلَىَّ مِنْكُمْ وَسَيُؤْخَذُ أُنَاسٌ دُونِي فَأَقُولُ يَا رَبِّ مِنِّي وَمِنْ أُمَّتِي . فَيُقَالُ أَمَا شَعَرْتَ مَا عَمِلُوا بَعْدَكَ وَاللَّهِ مَا بَرِحُوا بَعْدَكَ يَرْجِعُونَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ ” . قَالَ فَكَانَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ أَنْ نَرْجِعَ عَلَى أَعْقَابِنَا أَوْ أَنْ نُفْتَنَ عَنْ دِينِنَا
ইবনু আবূ মুলাইকাহ থেকে বর্ণিতঃ
আর আসমা বিনতু আবূ বকর (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি হাওযের সন্নিকটে থাকব, যাতে দেখতে পারি যে, তোমাদের মাঝে কারা আমার নিকট আসলো। আর আমার সম্মুখ থেকে কতক ব্যক্তিকে আটকানো হবে, তখন আমি বলব- ইয়া রাব্ব্! এরা তো আমার লোক এবং আমার উম্মাত। তখন বলা হবে, আপনি কি জানেন না যে, আপনার পরে এর কি করেছে? আল্লাহর শপথ! এরা আপনার পরে এদের পিছনের দিকেই প্রত্যাবর্তন করেছে।
বর্ণনাকারী (নাফি’) বলেন, তাই বর্ণনাকারী ইবনু আবূ মুলাইকাহ্ (রহঃ) বলতেন, হে আল্লাহ! আমরা আপনার আশ্রয় চাচ্ছি, আমাদের পশ্চাতে ফিরে যাওয়া হতে এবং আমাদের দ্বীনের বিষয়ে ফিতনায় আপতিত হওয়া থেকে। (ই.ফা. ৫৭৭০, ই.সে. ৫৮০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৬৭
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنِ ابْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ، اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّهُ سَمِعَ عَائِشَةَ، تَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَهُوَ بَيْنَ ظَهْرَانَىْ أَصْحَابِهِ “ إِنِّي عَلَى الْحَوْضِ أَنْتَظِرُ مَنْ يَرِدُ عَلَىَّ مِنْكُمْ فَوَاللَّهِ لَيُقْتَطَعَنَّ دُونِي رِجَالٌ فَلأَقُولَنَّ أَىْ رَبِّ مِنِّي وَمِنْ أُمَّتِي . فَيَقُولُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا عَمِلُوا بَعْدَكَ مَا زَالُوا يَرْجِعُونَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ ” .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর সাহাবীগণের সামনে বলতে শুনেছি যে, আমি ‘হাওয’-এর নিকট তোমাদের মধ্য হতে যারা আমার নিকট আসবে তাদের প্রতীক্ষায় থাকব। আল্লাহর শপথ! আমার কাছ থেকে অবশ্যই কিছু ব্যক্তিকে আলাদা করে দেয়া হবে। তখন আমি বলব, হে রব্ব্! (এরা তো) আমার-ই এবং আমার উম্মাতেরই (লোক)। আল্লাহ বলবেন, আপনি অবশ্যই জানেন না, তারা আপনার পরে কি ‘আমাল করেছে। তারা তো তাদের পশ্চাতের দিকেই প্রত্যাবর্তন করেছে। (ই.ফা. ৫৭৭১, ই.সে. ৫৮০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৬৮
وَحَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّدَفِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، – وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ – أَنَّ بُكَيْرًا، حَدَّثَهُ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبَّاسٍ الْهَاشِمِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، رَافِعٍ مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ أَسْمَعُ النَّاسَ يَذْكُرُونَ الْحَوْضَ وَلَمْ أَسْمَعْ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا كَانَ يَوْمًا مِنْ ذَلِكَ وَالْجَارِيَةُ تَمْشُطُنِي فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” أَيُّهَا النَّاسُ ” . فَقُلْتُ لِلْجَارِيَةِ اسْتَأْخِرِي عَنِّي . قَالَتْ إِنَّمَا دَعَا الرِّجَالَ وَلَمْ يَدْعُ النِّسَاءَ . فَقُلْتُ إِنِّي مِنَ النَّاسِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنِّي لَكُمْ فَرَطٌ عَلَى الْحَوْضِ فَإِيَّاىَ لاَ يَأْتِيَنَّ أَحَدُكُمْ فَيُذَبُّ عَنِّي كَمَا يُذَبُّ الْبَعِيرُ الضَّالُّ فَأَقُولُ فِيمَ هَذَا فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ . فَأَقُولُ سُحْقًا ” .
উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি হাওযের (কাওসারের) ব্যাপারে লোকদেরকে আলোচনা করতে শুনতাম। কিন্তু আমি (নিজে) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ সম্পর্কে কিছু শুনিনি। পরে যখন একদিন ঐ ব্যাপারে আলোচনা আসলো- এ সময় একটি মেয়ে আমার চুল আঁচড়িয়ে দিচ্ছিল, তখন আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্বোধন করতে শুনলাম, হে লোক সকল …..! তখন স্ত্রীলোকটিকে আমি বললাম, তুমি আমার হতে দূরে চলে যাও। সে বলল, তিনি তো পুরুষদের ডাক দিয়েছেন এবং স্ত্রীলোকদের ডাকেননি। আমি বললাম, আমিও, তো লোকদের একজন। তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি তোমাদের জন্য ‘হাওয’-এর নিকট অগ্রগামী হব। তাই হুঁশিয়ার! আমার নিকট তোমাদের এমন কেউ যেন না আসে, যাকে আমার নিকট হতে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়, যেমন হারানো উটকে ভাগিয়ে দেয়া হয়। আর আমি বলতে থাকব, কেন তাদের তাড়ানো হচ্ছে? তখন বলা হবে- আপনি তো জানেন না, তারা আপনার পরে কী নতুন বিষয়ের আবিষ্কার করেছে? তখন আমিও বলব, দূর হও!
(ই.ফা. ৫৭৭২, ই.সে. ৫৮০৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
ব্যাখ্যাঃ
বিদআতী কারা?
নাফি‘ (রঃ) বলেন, এক লোক ইবনে ‘উমর (রাঃ)-এর নিকট এসে বলল, অমুক লোক আপনাকে সালাম দিয়েছে। উত্তরে ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমি শুনেছি, সে নাকি দ্বীনের মধ্যে নতুন মত তৈরি করেছে (অর্থাৎ- তাক্বদীরের প্রতি অবিশ্বাস করছে)। (অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি বললেন, আমি জানতে পারলাম, সে নাকি বিদ’আতী)।
যদি প্রকৃতপক্ষে সে দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু তৈরি করে থাকে, তাহলে আমার পক্ষ হতে তাকে কোন সালাম পৌঁছাবে না। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমার উম্মতের অথবা এ উম্মতের মধ্যে জমিনে ধ্বসে যাওয়া, চেহারা বিকৃত রূপ ধারণ করা, শিলা পাথর বর্ষণের মতো আল্লাহর কঠিন ‘আযাব পতিত হবে, তাদের ওপর যারা তাক্বদীরের প্রতি অস্বীকারকারী হবে।
[মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১১৬, তিরমিযী ২১৫২, ইবনু মাজাহ্ ৪০৬১, আবূ দাঊদ ৪৬১৩]
যাদেরকে হাউজে কাউসারের নিকট থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে তারাও হল দ্বীনের মধ্যে নতুন বিষয়/ আকীদা সৃষ্টিকারী বা দ্বীন পরিবর্তনকারী। এক কথায় আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাহ এর বিপরীত মতাদর্শীরা হল আহলুল বিদ’আত। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হল তারাই আজকাল আহলুস সুন্নাহ এর মতাদর্শীকে বিদআতী বলে অপবাদ ছড়িয়ে থাকে।
৫৮৬৯
وَحَدَّثَنِي أَبُو مَعْنٍ الرَّقَاشِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ – وَهُوَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو – حَدَّثَنَا أَفْلَحُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ كَانَتْ أُمُّ سَلَمَةَ تُحَدِّثُ أَنَّهَا سَمِعَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ وَهِيَ تَمْتَشِطُ “ أَيُّهَا النَّاسُ ” . فَقَالَتْ لِمَاشِطَتِهَا كُفِّي رَأْسِي . بِنَحْوِ حَدِيثِ بُكَيْرٍ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبَّاسٍ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু রাফি’ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বর্ণনা করতেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলতে শুনলেন, হে লোক সকল …..। এ সময় উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) চুল আঁচড়াচ্ছিলেন, তখন তিনি কেশ বিন্যাসকারিণীকে বললেন, আমার মাথা আঁচড়ানো বন্ধ রাখো। ….. অবশিষ্টাংশ বর্ণনাকারী কাসিম ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর সানাদে বুকায়র (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অবিকল। (ই.ফা. ৫৭৭৩, ই.সে. ৫৮০৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৭০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ يَوْمًا فَصَلَّى عَلَى أَهْلِ أُحُدٍ صَلاَتَهُ عَلَى الْمَيِّتِ ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ “ إِنِّي فَرَطٌ لَكُمْ وَأَنَا شَهِيدٌ عَلَيْكُمْ وَإِنِّي وَاللَّهِ لأَنْظُرُ إِلَى حَوْضِيَ الآنَ وَإِنِّي قَدْ أُعْطِيتُ مَفَاتِيحَ خَزَائِنِ الأَرْضِ أَوْ مَفَاتِيحَ الأَرْضِ وَإِنِّي وَاللَّهِ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ أَنْ تُشْرِكُوا بَعْدِي وَلَكِنْ أَخَافُ عَلَيْكُمْ أَنْ تَتَنَافَسُوا فِيهَا ” .
উকবাহ্ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন বাইরে এসে উহুদবাসীদের জন্য জানাযার সলাতের মতো সলাত আদায় করলেন। তারপর মিম্বারের দিকে ফিরে এসে বললেন, আমি তোমাদের জন্য অগ্রগামী এবং তোমাদের ব্যাপারে সাক্ষী। আল্লাহর শপথ! আমি এ মুহূর্তে আমার ‘হাওয’ দেখতে পাচ্ছি। আর আমাকে অবশ্যই দুনিয়ার ধন-ভান্ডারসমূহের চাবিকাঠি কিংবা বলেছেন, দুনিয়ার চাবিসমূহ দেয়া হয়েছে। আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদের সম্বন্ধে এ আশঙ্কা করি না যে, তোমরা আমার পরে শির্কে জড়িয়ে পড়বে। তবে, আমি তোমাদের সম্বন্ধে এ সংশয় করি যে, তোমরা দুনিয়ার প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়ব। (ই.ফা. ৫৭৭৪, ই.সে. ৫৮০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
টিকাঃ আহলে বিদআতীরা এখন আহলুস সুন্নাহকে সর্বদা শিরকের অভিযোগে অভিযুক্ত করে।
৫৮৭১
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، – يَعْنِي ابْنَ جَرِيرٍ – حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ أَيُّوبَ، يُحَدِّثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مَرْثَدٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى قَتْلَى أُحُدٍ ثُمَّ صَعِدَ الْمِنْبَرَ كَالْمُوَدِّعِ لِلأَحْيَاءِ وَالأَمْوَاتِ فَقَالَ “ إِنِّي فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ وَإِنَّ عَرْضَهُ كَمَا بَيْنَ أَيْلَةَ إِلَى الْجُحْفَةِ إِنِّي لَسْتُ أَخْشَى عَلَيْكُمْ أَنْ تُشْرِكُوا بَعْدِي وَلَكِنِّي أَخْشَى عَلَيْكُمُ الدُّنْيَا أَنْ تَنَافَسُوا فِيهَا وَتَقْتَتِلُوا فَتَهْلِكُوا كَمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ ” . قَالَ عُقْبَةُ فَكَانَتْ آخِرَ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ .
উকবাহ্ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (একদিন) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উহুদের শহীদগণের জন্য সলাত আদায় করলেন তারপর মিম্বারে চড়ে জীবিতদের ও মৃতদের বিদায় দানকারীর মতো বলেনঃ আমি হাওযের দিকে তোমাদের অগ্রগামী। আর জেনে রাখো! তার প্রস্থ যেমন ‘আয়লা’ হতে ‘জুহ্ফা’র ব্যবধান। আমি তোমাদের সম্বদ্ধে ভয় করি না যে, তোমরা আমার পরে শির্কে লিপ্ত হবে। তবে, আমি তোমাদের সম্বন্ধে দুনিয়াকে ভয় করি যে, তা অর্জনের প্রতিযোগিতায় তোমরা জড়িয়ে পড়বে এবং হানাহানি করবে; ফলে তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে। যেমন, তোমাদের পূর্ববর্তীরা ধ্বংস হয়েছে।
‘উক্বাহ্ (রাঃ) বলেন, এ ছিল মিম্বারের উপরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমার সর্বশেষ দেখা। (ই.ফা. ৫৭৭৫, ই.সে. ৫৮০৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৭২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَابْنُ نُمَيْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَنَا فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ وَلأُنَازِعَنَّ أَقْوَامًا ثُمَّ لأُغْلَبَنَّ عَلَيْهِمْ فَأَقُولُ يَا رَبِّ أَصْحَابِي أَصْحَابِي . فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ ” .
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি ‘হাওযে’র নিকট তোমাদের অগ্রগামী। আর আমি অবশ্যই কিছু দলের সম্বন্ধে বাক-বিতণ্ডা করব এবং আমি অবশ্যই তাদের ব্যাপারে পরাজিত হয়ে যাব। তখন আমি বলব, হে রব্ব্! (এরা তো) আমার সহচর, আমার সঙ্গী। তখন বলা হবে, আপনি তো জানেন না যে, তারা আপনার পরে কি নিত্য-নতুন (বিষয়াদি) আবিষ্কার করেছে? (ই.ফা. ৫৭৭৬, ই.সে. ৫৮০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
ব্যাখ্যাঃ যাদেরকে হাউজে কাউসারের নিকট থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে তারাও হল দ্বীনের মধ্যে নতুন বিষয়/ আকীদা সৃষ্টিকারী বা দ্বীন পরিবর্তনকারী। এক কথায় আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাহ এর বিপরীত মতাদর্শীরা হল আহলুল বিদ’আত। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হল তারাই আজকাল আহলুস সুন্নাহ এর মতাদর্শীকে বিদআতী বলে অপবাদ ছড়িয়ে থাকে।
৫৮৭৩
وَحَدَّثَنَاهُ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَلَمْ يَذْكُرْ “ أَصْحَابِي أَصْحَابِي ” .
আ‘মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি ‘আমার সহচর, আমার সঙ্গী’ – উক্তিটি বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৫৭৭৭, ই.সে. ৫৮০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৭৪
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، كِلاَهُمَا عَنْ جَرِيرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، جَمِيعًا عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِنَحْوِ حَدِيثِ الأَعْمَشِ وَفِي حَدِيثِ شُعْبَةَ عَنْ مُغِيرَةَ، سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، .
আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর সানাদে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে ….. পূর্বোল্লিখিত আ‘মাশ (রহঃ)-এর হাদীসের হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু শু‘বাহ্ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে মুগীরাহ্ (রাঃ)-এর সানাদে রয়েছে ….. আমি আবূ ওয়ায়িল (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি। (ই.ফা. ৫৭৭৮, ই.সে. ৫৮০৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৭৫
وَحَدَّثَنَاهُ سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي، شَيْبَةَ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، كِلاَهُمَا عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ الأَعْمَشِ وَمُغِيرَةَ .
হুযাইফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে মুগীরাহ্ ও আ‘মাশ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের হুবহু হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫৭৭৯, ই.সে. ৫৮১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৭৬
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَعْبَدِ، بْنِ خَالِدٍ عَنْ حَارِثَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” حَوْضُهُ مَا بَيْنَ صَنْعَاءَ وَالْمَدِينَةِ ” . فَقَالَ لَهُ الْمُسْتَوْرِدُ أَلَمْ تَسْمَعْهُ قَالَ ” الأَوَانِي ” . قَالَ لاَ . فَقَالَ الْمُسْتَوْرِدُ ” تُرَى فِيهِ الآنِيَةُ مِثْلَ الْكَوَاكِبِ ” .
হারিসাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন যে, তাঁর হাওয মাদীনাহ্ এবং সান’আর মাঝামাঝি ব্যবধানের সমান।
অতঃপর মুস্তাওরিদ (রহঃ) তাঁকে বললেন, আপনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে পাত্রের ব্যাপারে আলোচনা শুনেছেন কি? হারিসাহ্ (রাঃ) উত্তর দিলেন, না। তখন মুস্তাওরিদ (রহঃ) বললেন, সেখানে তারকার মতো পাত্রসমূহ লক্ষ্য করা যাবে।
(ই.ফা. ৫৭৮০, ই.সে. ৫৮১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৭৭
وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَرْعَرَةَ، حَدَّثَنَا حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَعْبَدِ بْنِ خَالِدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ حَارِثَةَ بْنَ وَهْبٍ الْخُزَاعِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ . وَذَكَرَ الْحَوْضَ بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ الْمُسْتَوْرِدِ وَقَوْلَهُ .
হারিসাহ্ ইবনু ওয়াহ্ব খুযা’ঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে শুনেছি এবং তিনি অবিকলরূপে হাওযের বিবরণ দিলেন। কিন্তু তিনি মুস্তাওরিদ ও তাঁর উক্তির বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৫৭৮১, ই.সে. ৫৮১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৭৮
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، – وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ – حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ أَمَامَكُمْ حَوْضًا مَا بَيْنَ نَاحِيَتَيْهِ كَمَا بَيْنَ جَرْبَا وَأَذْرُحَ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের সম্মুখে একটি হাওয থাকবে যার উভয় দিকের ব্যবধান হবে জারবা ও আযরুহার মাঝামাঝি জায়গার সমান। (ই.ফা. ৫৭৮২, ই.সে. ৫৮১৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৭৯
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِنَّ أَمَامَكُمْ حَوْضًا كَمَا بَيْنَ جَرْبَا وَأَذْرُحَ ” . وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ الْمُثَنَّى ” حَوْضِي ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের সম্মুখে এমন একটি হাওয থাকবে যার প্রশস্ততা জারবা এবং আযরুহার মাঝামাঝি ব্যবধানের সমান। ইবনুল মুসান্নার বর্ণনা মতে, ‘আমার হাওয’ বর্ণিত হয়েছে।
(ই.ফা. ৫৭৮৩, ই.সে. ৫৮১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৮০
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ، بِشْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ وَزَادَ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ قَرْيَتَيْنِ بِالشَّامِ بَيْنَهُمَا مَسِيرَةُ ثَلاَثِ لَيَالٍ . وَفِي حَدِيثِ ابْنِ بِشْرٍ . ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ .
ইবনু নুমায়র ও আবূ বক্র (রহঃ) উভয়ে ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত হাদীসের হুবহু হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তবে ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) বর্ধিত রিওয়ায়াত করেন। ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, আমি তাকে [নাফি’ (রহঃ)-কে] (জারবা ও আযরুহা সম্বন্ধে) জিজ্ঞেস করলাম, তখন তিনি বললেন, শাম (সিরিয়িা) দেশের সন্নিকটে দু’টি গ্রামের নাম, উভয়ের মধ্যবর্তী ব্যবধান তিন রাতের রাস্তার সমান দূরত্ব। আর ইবনু বিশ্রের বর্ণনাতে ‘তিন দিনের রাস্তা’। (ই.ফা. ৫৭৮৪, ই.সে. ৫৮১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৮১
وَحَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে ‘উবায়দুল্লাহ্র বর্ণিত হাদীসের হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৮২
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ أَمَامَكُمْ حَوْضًا كَمَا بَيْنَ جَرْبَا وَأَذْرُحَ فِيهِ أَبَارِيقُ كَنُجُومِ السَّمَاءِ مَنْ وَرَدَهُ فَشَرِبَ مِنْهُ لَمْ يَظْمَأْ بَعْدَهَا أَبَدًا ” .
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের সম্মুখে একটা হাওয হবে যার প্রশস্ততা জারবা ও আযরুহার মাঝামাঝি ব্যবধানের সমান। সেখানে আকাশে তারকার ন্যায় অনেক পাত্র থাকবে। যে লোক এখানে এসে ঐ হাওযের পানি পান করবে, পরবর্তীতে সে কক্ষনো তৃষ্ণার্ত হবে না। (ই.ফা. ৫৭৮৬, ই.সে. ৫৮১৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৮৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ أَبِي شَيْبَةَ – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ، الصَّمَدِ الْعَمِّيُّ عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا آنِيَةُ الْحَوْضِ قَالَ “ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لآنِيَتُهُ أَكْثَرُ مِنْ عَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ وَكَوَاكِبِهَا أَلاَ فِي اللَّيْلَةِ الْمُظْلِمَةِ الْمُصْحِيَةِ آنِيَةُ الْجَنَّةِ مَنْ شَرِبَ مِنْهَا لَمْ يَظْمَأْ آخِرَ مَا عَلَيْهِ يَشْخُبُ فِيهِ مِيزَابَانِ مِنَ الْجَنَّةِ مَنْ شَرِبَ مِنْهُ لَمْ يَظْمَأْ عَرْضُهُ مِثْلُ طُولِهِ مَا بَيْنَ عَمَّانَ إِلَى أَيْلَةَ مَاؤُهُ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ ” .
আবূ যার গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে প্রশ্ন করেছি, হে আল্লাহর রসূল! হাওযের পাত্র কত হবে? তিনি বললেন, যার কব্জায় আমার জীবন তাঁর শপথ! সে হাওযের পাত্র মেঘবিহীন আঁধার রাতের আকাশের নক্ষত্র ও তারকারাজির চাইতেও বেশী। সে সব পাত্র জান্নাতেরই পাত্র। যে ঐ পাত্র হতে পান করবে শেষ পর্যন্ত আর তৃষ্ণার্ত হবে না। ঐ হাওযের মধ্যে জান্নাত হতে প্রবাহিত দু’টো নালার সংমিশ্রণ রয়েছে। যে লোক ঐ হাওয হতে পান করবে সে আর তৃষ্ণার্ত হবে না, সে হাওযের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমান হবে। সে হাওযের প্রশস্থতা ‘আম্মান থেকে আয়লার মাঝামাঝি ব্যবধানের সমতুল্য। তার পানি দুধের চেয়েও সাদা এবং মধুর চেয়েও বেশি মিষ্টি। (ই.ফা. ৫৭৮৭, ই.সে. ৫৮১৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৮৪
حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ – قَالُوا حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، – وَهُوَ ابْنُ هِشَامٍ – حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِنِّي لَبِعُقْرِ حَوْضِي أَذُودُ النَّاسَ لأَهْلِ الْيَمَنِ أَضْرِبُ بِعَصَاىَ حَتَّى يَرْفَضَّ عَلَيْهِمْ ” . فَسُئِلَ عَنْ عَرْضِهِ فَقَالَ ” مِنْ مَقَامِي إِلَى عَمَّانَ ” . وَسُئِلَ عَنْ شَرَابِهِ فَقَالَ ” أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ يَغُتُّ فِيهِ مِيزَابَانِ يَمُدَّانِهِ مِنَ الْجَنَّةِ أَحَدُهُمَا مِنْ ذَهَبٍ وَالآخَرُ مِنْ وَرِقٍ ” .
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি আমার হাওযের পাশে থাকবো। ইয়ামানবাসীদের জন্য সর্বসাধারণ লোককে সরিয়ে দেব। আমি আমার লাঠি দিয়ে হাওযের পানির উপর করাঘাত করবো যাতে তাদের উপর তা প্রবাহিত হয়। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সে হাওযের প্রশস্ততা সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, আমার এ স্থান থেকে ‘আম্মানের ব্যবধানের সমান। পুনরায় সে হাওযের পানি সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, দুধের চেয়ে অধিক শুভ্র ও মধুর চেয়ে অতি মিষ্ট। জান্নাত থেকে প্রকাহিত দু’টো নালা দিয়ে সে হাওযের মাঝে পানি আসতে থাকবে। তার একটি (নালা) সোনার এবং অপরটি রূপার। (ই.ফা. ৫৭৮৮, ই.সে. ৫৮১৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৮৫
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، بِإِسْنَادِ هِشَامٍ . بِمِثْلِ حَدِيثِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ” أَنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِنْدَ عُقْرِ الْحَوْضِ ” .
যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কাতাদাহ্ (রহঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে সাওবান (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তবে এতটুকু পার্থক্য যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি কিয়ামাতের দিন হাওযের পাশেই থাকবো। (ই.ফা. ৫৭৮৮, ই.সে. ৫৮২০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৮৬
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ، بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ مَعْدَانَ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدِيثَ الْحَوْضِ فَقُلْتُ لِيَحْيَى بْنِ حَمَّادٍ هَذَا حَدِيثٌ سَمِعْتَهُ مِنْ أَبِي عَوَانَةَ فَقَالَ وَسَمِعْتُهُ أَيْضًا مِنْ شُعْبَةَ فَقُلْتُ انْظُرْ لِي فِيهِ فَنَظَرَ لِي فِيهِ فَحَدَّثَنِي بِهِ .
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাওযের হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তারপর তিনি ইয়াহ্ইয়া ইবনু হাম্মাদ (রহঃ)-কে বললেন, আমি আবূ ‘আওয়ানাহ্ (রাঃ) হতেও এ হাদীস শুনেছি। ইয়াহ্ইয়া ইবনু হাম্মাদ (রহঃ) বললেন, আমি শু’বাহ্ (রাঃ) হতে এ হাদীস শুনেছি। তারপর আমি বললাম যে, আপনি এ হাদীস সম্বন্ধে আমাকে একটু সময় দিন, তিনি আমাকে সময় দিলেন এবং আমাকে হাদীসটি শুনালেন। (ই.ফা. ৫৭৮৯, ই.সে. ৫৮২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৮৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَلاَّمٍ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ، – يَعْنِي ابْنَ مُسْلِمٍ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لأَذُودَنَّ عَنْ حَوْضِي رِجَالاً كَمَا تُذَادُ الْغَرِيبَةُ مِنَ الإِبِلِ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আমি আমার হাওয থেকে কতক সংখ্যক ব্যক্তিকে সরিয়ে দেব, যেরূপে অচেনা উটকে সরিয়ে দেয়া হয়।
(ই.ফা. ৫৭৯০, ই.সে. ৫৮২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৮৮
وَحَدَّثَنِيهِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পূর্বেকার হাদীসের হুবহু হাদীস বলেছেন।
(ই.ফা. ৫৭৯০, ই.সে. ৫৮২৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৮৯
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّحَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ قَدْرُ حَوْضِي كَمَا بَيْنَ أَيْلَةَ وَصَنْعَاءَ مِنَ الْيَمَنِ وَإِنَّ فِيهِ مِنَ الأَبَارِيقِ كَعَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার হাওযের প্রশস্ততার পরিমাণ হলো আয়লা এবং ইয়ামানের সান’আর ব্যবধানের সমান। আর সেখানে পানির পাত্রগুলো আসমানের নক্ষত্রের ন্যায় অগণিত। (ই.ফা. ৫৭৯১, ই.সে. ৫৮২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৯০
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ الصَّفَّارُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الْعَزِيزِ بْنَ صُهَيْبٍ، يُحَدِّثُ قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لَيَرِدَنَّ عَلَىَّ الْحَوْضَ رِجَالٌ مِمَّنْ صَاحَبَنِي حَتَّى إِذَا رَأَيْتُهُمْ وَرُفِعُوا إِلَىَّ اخْتُلِجُوا دُونِي فَلأَقُولَنَّ أَىْ رَبِّ أُصَيْحَابِي أُصَيْحَابِي . فَلَيُقَالَنَّ لِي إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই হাওযের পাশে এমন কতিপয় লোক আসবে যারা পৃথিবীতে আমার সাহচর্য পেয়েছিল। এমন কি যখন আমি তাদের দেখতে পাব এবং তাদেরকে আমার সামনে নিয়ে আসা হবে, তখন আমার কাছে আসতে তাদের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। অতঃপর আমি বলব, হে প্রভু! এরা আমার সঙ্গী, এরা আমার সঙ্গী। তখন আমাকে বলা হবে, নিশ্চয়ই আপনি জানেন না, আপনার পর এরা কিভাবে দ্বীনের মধ্যে নব উদ্ভাবন করেছে। (ই.ফা. ৫৭৯২, ই.সে. ৫৮২৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৯১
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، جَمِيعًا عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْمَعْنَى وَزَادَ “ آنِيَتُهُ عَدَدُ النُّجُومِ ” .
আনাস (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
অর্থানুরূপ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। অতিরিক্ত রয়েছে যে, ‘তার পাত্রগুলোর পরিমাণ নক্ষত্রের ন্যায়’। (ই.ফা. ৫৭৯৩, ই.সে. ৫৮২৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৯২
وَحَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ التَّيْمِيُّ، وَهُرَيْمُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، – وَاللَّفْظُ لِعَاصِمٍ – حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَا بَيْنَ نَاحِيَتَىْ حَوْضِي كَمَا بَيْنَ صَنْعَاءَ وَالْمَدِينَةِ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমার হাওযের দু’ পাশের ব্যবধান এতটুকু যতটুকু মাদীনাহ্ ও সান’আর মাঝে। (ই.ফা. ৫৭৯৪, ই.সে. ৫৮২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৯৩
وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، ح وَحَدَّثَنَا حَسَنُ، بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، كِلاَهُمَا عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُمَا شَكَّا فَقَالاَ أَوْ مِثْلَ مَا بَيْنَ الْمَدِينَةِ وَعَمَّانَ . وَفِي حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ “ مَا بَيْنَ لاَبَتَىْ حَوْضِي ” .
আনাস (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হুবহু রিওয়ায়াত করেন। শুধু ব্যবধান এতটুকু যে, এ হাদীসে বর্ণনাকারীদ্বয় সংশয় প্রকাশ করেছেন, ‘কিংবা মাদীনাহ্ ও আম্মানের (জর্ডানের রাজধানী) ব্যবধানের সমান’। আবূ ‘আওয়ানার বর্ণনায় (আরবি) জায়গায় রয়েছে (আরবি)। (ই.ফা. ৫৭৯৫, ই.সে. ৫৮২৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৯৪
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرُّزِّيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا خَالِدُ، بْنُ الْحَارِثِ عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ قَالَ أَنَسٌ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” تُرَى فِيهِ أَبَارِيقُ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ كَعَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হাওযের কাছে আকাশের তারকারাজির মতো অগণিত স্বর্ণ ও রূপার পানপাত্র দেখতে পাবে।
(ই.ফা. ৫৭৯৬, ই.সে. ৫৮২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৯৫
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مِثْلَهُ وَزَادَ ” أَوْ أَكْثَرُ مِنْ عَدَدِ نُجُومِ السَّمَاءِ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর সানাদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। এতে অতিরিক্ত রয়েছে যে, ‘কিংবা আকাশের নক্ষত্রের সংখ্যার চেয়েও বেশি’। (ই.ফা. ৫৭৯৬, ই.সে. ৫৮৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৯৬
حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعِ بْنِ الْوَلِيدِ السَّكُونِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، – رَحِمَهُ اللَّهُ – حَدَّثَنِي زِيَادُ بْنُ خَيْثَمَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَلاَ إِنِّي فَرَطٌ لَكُمْ عَلَى الْحَوْضِ وَإِنَّ بُعْدَ مَا بَيْنَ طَرَفَيْهِ كَمَا بَيْنَ صَنْعَاءَ وَأَيْلَةَ كَأَنَّ الأَبَارِيقَ فِيهِ النُّجُومُ ” .
জাবির ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, হাওযের আছে আমি তোমাদের অগ্রগামী হব। তার দু’পাশের দূরত্ব সান’আ ও আয়লার ব্যবধানের সমান। তার পাত্রগুলো যেন নক্ষত্রের ন্যায়। (ই.ফা. ৫৭৯৭, ই.সে. ৫৮৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
৫৮৯৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ الْمُهَاجِرِ بْنِ مِسْمَارٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ كَتَبْتُ إِلَى جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ مَعَ غُلاَمِي نَافِعٍ أَخْبِرْنِي بِشَىْءٍ، سَمِعْتَهُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ – فَكَتَبَ إِلَىَّ إِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ “ أَنَا الْفَرَطُ عَلَى الْحَوْضِ ” .
‘আমির ইবনু সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার গোলাম নাফি’র মাধ্যমে জাবির ইবনু সামুরার কাছে লিখে পাঠালাম যে, আপনি আমাকে এমন কোন হাদীস সম্বন্ধে অবহিত করুন যা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে শুনেছেন। তিনি বলেন, এরপর তিনি আমাকে লিখেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, ‘আমি হাওযের উপর তোমাদের অগ্রগামী থাকবো’। (ই.ফা. ৫৭৯৮, ই.সে. ৫৮৩২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস