একসময় গোটা বিশ্ব শাসন করেছে মুসলমান শাসকরা। মুসলিম নেতা ও যোদ্ধাদের বীরত্বের গল্প যে কাউকে বিস্মিত করবে। ইতিহাস সেরা মুসলিম বীর যোদ্ধার তালিকায় নিঃসন্দেহে প্রথমে নবী ও সাহাবিদের নাম আসে। তাদের দেখানো পথেই হেঁটেছেন অন্যরা। যুগে যুগে বহু মুসলিম শাসক, সেনাপতি জীবনবাজি রেখে লড়াই করেছেন। মুসলিম সাম্রাজ্য বিস্তার করেছেন বিশ্বজুড়ে। মুসলমানদের এই গৌরব ইতিহাস লিখেছেন অসংখ্য বীর যোদ্ধা। রণকৌশল, দুঃসাহস ও বীরত্বে তারা অতুলনীয়। তেমনই কয়েকজন মুসলিম যোদ্ধার কথা লিখেছেন— তানভীর আহমেদ
সম্রাট বাবর
মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবর। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে পরাক্রমশালী শাসক ছিলেন। ভাষা, সংগীত, চিত্রকলা, স্থাপত্য, পোশাক এবং খাবার-দাবারের উন্নত ও বিচিত্র সংস্কৃতি তার হাত ধরেই এই উপমহাদেশে বিস্তৃত হয়েছে। সম্রাট বাবর তৈমুর লং-এর সরাসরি বংশধর এবং মাতার দিক থেকে চেঙ্গিস খানের বংশধর ছিলেন। পানিপথের প্রথম যুদ্ধে দিল্লির লোদি রাজবংশের সুলতান ইবরাহিম লোদিকে পরাজিত করে তিনি মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। ১৪৯৪ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে বাবর প্রথম ক্ষমতা লাভ করেন। তার চাচা অনবরত তাকে সিংহাসনচ্যুত করার চেষ্টা করে এক পর্যায়ে সফল হন। এরপর বাবর আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন। যাযাবর জীবনে তার সঙ্গে শুধু তার বন্ধু ও চাষিদের যোগাযোগ ছিল। ১৪৯৭ সালে বাবর সমরকন্দের উজবেক শহরে আক্রমণ চালান এবং সাত মাস পরে শহর দখল করতে সমর্থ হন। ১৫০৪ সালে হিন্দুকুশ পর্বত অতিক্রম করে কাবুল দখল করে নেন। এখান থেকেই তিনি ধনী শাসক হিসেবে বাদশাহ উপাধি লাভ করেন। এরপর তিনি সমরকন্দ পুনরুদ্ধার করেছিলেন। উত্তর ভারত জয় তাকে এই উপমহাদেশে অপ্রতিরোধ্য করে তোলে। তার শাসনামলে বড় যুদ্ধ সংঘটিত হয় ইবরাহিম লোদির বিপক্ষে। ইবরাহিম লোদি প্রায় এক লাখ সৈন্য এবং ১০০টি হাতিসহ বাবরের দিকে এগিয়ে যান। সে সময় বাবরের সৈন্যসংখ্যা লোদির অর্ধেকেরও কম ছিল। পানিপথের প্রথম যুদ্ধে ইবরাহিম লোদি নিহত হন এবং তার বাহিনীকে পরাজিত করে তাড়িয়ে দেন। বাবর দিল্লি ও আগ্রা দখল করে নেন।
উসমান গাজী
উসমান গাজী ছিলেন প্রথম উসমানীয় সুলতান। উসমানীয় তুর্কিদের এই নেতা বিশাল মুসলিম সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। সেলজুকদের ভাঙনের পর আনাতোলিয়ায় ছোট ছোট যে কয়টি তুর্কি রাজ্য গড়ে উঠেছিল তার একটি ছিল উসমানীয় রাজ্য। মোঙ্গলরা পশ্চিম দিকে রাজ্য বিস্তার করতে শুরু করলে মুসলিমরা উসমানের রাজ্যে আশ্রয় নেয়। উসমান গাজীর দূরদর্শিতা ও রণকৌশলের ফলে মুসলমানরা সামরিকভাবে ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। উসমানের বাবার মৃত্যুর পর রাজ্যের দায়িত্ব কাঁধে নেন উসমান। বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য তারা মরিয়া ছিল। উসমানের দক্ষ নেতৃত্বে এই যোদ্ধারা জীবনবাজি রাখে। উসমান প্রথম দিকে বাইজেন্টাইনদের দিকে সীমানা বাড়াতে চাইলেন। এ সময় তুর্কি প্রতিবেশীদের সঙ্গে যুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল নিয়ে তিনি সবাইকে চমকে দেন। এই যুদ্ধগুলোয় বিজয় লাভের মাধ্যমে সাম্রাজ্য বাড়াতে থাকেন তিনি। পরাজিত অঞ্চল দখল ছাড়াও, বিভিন্ন চুক্তির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে রাজ্য তার অধীন হয়। স্ট্যানফোর্ড-এর বক্তব্য অনুযায়ী সেলজুকদের আধিপত্য ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় উসমান গাজী সামরিকভাবে তার প্রভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেন। তিনি এসকিশেহির ও কারাজাহিসার দুর্গ দখল করেন। ইয়েনিশেহির নিজের করে নিয়ে উসমানীয়দের রাজধানী ঘোষণা করেন।
উসমানীয় সুলতান ‘মুহাম্মদ ফাতেহ’
ইতিহাসবেত্তারা তাকে ডাকেন মুহাম্মদ ফাতেহ নামে। উসমানীয় সুলতান ‘দ্বিতীয় মুহাম্মদ’ ছিলেন রণকৌশলে অদ্বিতীয়। অল্প সময়ের জন্য শাসনভার নিলেও তার গুরুত্ব মুসলিম যোদ্ধাদের ইতিহাসে অনন্য। দুই দফায় উসমানীয় সুলতান হিসেবে তিনি ছিলেন অনমনীয়। মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি কনস্টান্টিনোপল জয় করে গোটা বিশ্বের চেহারাই বদলে ফেলেন। মুহাম্মদ ফাতেহ আনাতোলিয়া এবং বসনিয়া পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ অভিযান পরিচালনা করে ইউরোপে মুসলিম আধিপত্য বিস্তার করেন। এই সময়ের যে তুরস্ক এবং ওই অঞ্চলে মুসলিমদের যে গৌরব এখনো বেঁচে আছে তার কারিগর ছিলেন তিনি। ১৪৪৪ সালের আগস্টে দ্ব্বিতীয় মুহাম্মদ মাত্র ১২ বছর বয়সে সুলতান হন। এরপর ১৪৫১ সালে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর তিনি সমরশক্তি বাড়ানোর দিকে মন দেন। প্রথমেই তিনি নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করতে শুরু করেন এবং কনস্টান্টিনোপল আক্রমণের জন্য সেনা প্রস্তুত করেন। তার এই সাহসী সিদ্ধান্ত যে গোটা মুসলিম সাম্রাজ্যের ইতিহাস নতুন করে লিখবে, কে জানত? ১৪৫৩ সালে দ্বিতীয় মুহাম্মদ কনস্টান্টিনোপল অবরোধ করেন। এ সময় তার বাহিনীতে সেনা সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ এবং জাহাজ ছিল ৩২০টি। অবরোধের সময় উসমানীয়রা উরবানের নির্মিত প্রকাণ্ড কামান থেকে গোলাবর্ষণ করে। ২৯ মে শহরের পতন হয়।
টিপু সুলতান
ভারতবর্ষে মুসলিম বীর যোদ্ধাদের খোঁজ করলে সবার আগে আসবে টিপু সুলতানের নাম। ব্রিটিশ-ভারতের মহীশূর রাজ্যের শাসনকর্তা ছিলেন তিনি। ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ সেনাপতি হেক্টর মুনরোর ও তার বাহিনীর কাছে দ্বিতীয় মহীশূর যুদ্ধে টিপু ও তার বাবা পেরে উঠতে পারেননি। এই পরাজয়ে টিপু সুলতান আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। মহীশূরের স্থানীয় ভাষায় ‘টিপু’ শব্দের অর্থ হলো বাঘ। টিপু সুলতানের রাজ্যের প্রতীক ছিল বাঘ। এই বাঘ ছিল তার অনুপ্রেরণার মতো। কিশোর বয়সে টিপু সুলতান বাঘ পুষতে শুরু করেন। তার বাবা মহীশূর রাজ্যের সেনাপতি ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর তিনি সিংহাসনে বসেন। তিনি নতুন একটি সিংহাসন বানান। আট কোনা ওই সিংহাসনটির ঠিক মাঝখানে ছিল একটি বাঘের মূর্তি। তার সমস্ত পরিধেয় পোশাক ছিল হলুদ-কালো রঙে ছাপানো আর বাঘের শরীরের মতো ডোরাকাটা। তিনি যে তলোয়ার ব্যবহার করতেন, তার গায়েও ছিল ডোরা দাগ এবং হাতলে ছিল খোদাই করা বাঘের মূর্তি। সৈন্যদের ব্যবহার্য তলোয়ার, বল্লমেও আঁকা থাকত বাঘের প্রতিরূপ। বাঘের মতো দুর্ধর্ষ ও ক্ষিপ্র ছিলেন টিপু সুলতান। ব্রিটিশ বাহিনীও যুদ্ধ-ময়দানে তার ক্ষিপ্রতা, বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করত। যুদ্ধ-ময়দানে তার দুর্ধর্ষ চেহারার কারণে তাকে ডাকা হতো শের-ই-মহীশূর মানে মহীশূরের বাঘ। তার যুদ্ধ বীরত্বগাথা এখনো মুসলমানদের প্রেরণা জোগায়।
খালিদ বিন ওয়ালিদ
মক্কার কুরাইশ বংশের বনু মাখজুম গোত্রে খালিদ বিন ওয়ালিদের জন্ম হয়। হুদাইবিয়ার সন্ধির পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মদিনায় হিজরত করেন। তিনি মুসলিমদের কাছে জাতীয় বীর হিসেবে গণ্য হতেন। জনসাধারণ তাকে সাইফুল্লাহ বা ‘আল্লাহর তলোয়ার’ বলে ডাকত। খিলাফতের সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে খালিদ একশটিরও বেশি যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছেন। আজীবন অপরাজিত যোদ্ধা হওয়ায় তাকে ইতিহাসের সেরা সেনাপতিদের একজন হিসেবে মানা হয়। তার কৌশলগত অর্জনের মধ্যে রয়েছে রিদ্দার যুদ্ধে আরব উপদ্বীপকে ঐক্যবদ্ধকরণ এবং ৬৩২ থেকে ৬৩৬ সালের মধ্যে পার্সিয়ান মেসোপটেমিয়া এবং রোমান সিরিয়া বিজয়। এ ছাড়া তার নামের পাশে রয়েছে ইয়ামামা, উলাইস, ফিরাজে ফলাফল নির্ধারণী বিজয়। ওয়ালাজা ও ইয়ারমুকে তার কৌশলগত সাফল্যের জন্যও তিনি অমর হয়ে আছেন।
সুলেমান দ্য গ্রেট
উসমানীয় সাম্রাজ্যের দশম এবং সবচেয়ে দীর্ঘ সময় শাসন করেছেন প্রথম সুলেমান। ১৫২০ সাল থেকে ১৫৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি পারস্য, মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল অংশ, আফ্রিকা, লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগরের নিকটবর্তী অঞ্চলগুলো শাসন করেন। উসমানীয় সাম্রাজ্যকে সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শীর্ষে পৌঁছে দেন। সুলতান সুলেমানের সেনাবাহিনী রোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটায়। উত্তর আফ্রিকার প্রধান শহরগুলো রোমানদের কাছ থেকে দখল করে নেন। যোদ্ধা হিসেবে তিনি যতটা না খ্যাতি কুড়ান, তার চেয়ে বেশি খ্যাতি অর্জন করেন শাসক হিসেবে। তিনি শিক্ষা ব্যবস্থা, খাজনা ব্যবস্থা ও অপরাধের শাস্তি ব্যবস্থার বিষয়গুলোতে আইন তৈরি করে সুশাসন নিশ্চিত করেছিলেন। ২০০ বছরের অটোমান ঐতিহ্যকে ভঙ্গ করে তিনি এক সাবেক উপপত্নীকে বিয়ে করেছিলেন। যা ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করেছিল।
তৈমুর লং
তৈমুর লং তৈমুরীয় রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। যুদ্ধ ময়দানে তিনি এক পায়ে মারাত্মক আঘাত পাওয়ায় খুঁড়িয়ে হাঁটতেন। তার আসল নাম তৈমুর বেগ হলেও অনেকে তাকে ডাকত তৈমুর লং বলে।
১৪ শতকের তুর্কি-মোঙ্গল সেনাপ্রধান হিসেবে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়।
দুর্ধর্ষ এই যোদ্ধার রণকৌশল এখনো যুদ্ধ-বিশারদদের কাছে পাঠ্য। তৈমুর তার সাম্রাজ্য আধুনিক তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক, কুয়েত, ইরান থেকে মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ অংশ যার মধ্যে রয়েছে কাজাখস্তান, আফগানিস্তান, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজিস্তান, পাকিস্তান, ভারতবর্ষ এমনকি চীনের কাশগর পর্যন্ত ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। এই মানচিত্রই বলে দিচ্ছে মুসলিম বিশাল সাম্রাজ্যের অধিপতি হিসেবে তিনি কতটা মরিয়া ছিলেন। সামরিক শক্তিতে তার ধারে-কাছেও ছিল না সে সময়। তিনি ‘তুজুক ই তৈমুরী’ নামে একটি আত্মজীবনীও লিখেছেন।
নাদির শাহ
নাদির শাহকে বলা হয় পারস্যের নেপোলিয়ন। অনেকে তাকে আলেক্সান্ডারের মতো ইতিহাস সেরা যোদ্ধা হিসেবে মেনে নেন। প্রচলিত রয়েছে, নাদির শাহ ও তার মাতা উজবেক বা তুর্কি দাস হিসেবে জীবন কাটিয়েছেন। পরে নাদির শাহ পালাতে সক্ষম হন। তিনি এরপর একটি সৈন্যবাহিনীতে যোগদান করেন ও পরবর্তীকালে এর প্রধান হয়ে ওঠেন। ইরানের শাহ হিসেবে শাসন করেছেন তিনি। তার শাসনে আসার সময়টি ছিল খুব চ্যালেঞ্জিং। পারস্যের বিভিন্ন অঞ্চল তখন উসমানীয় ও রাশিয়া দখল করে নিয়েছে। নাদির শাহ ক্ষমতায় এসে এই অঞ্চলগুলোর স্বাধীনতা ফিরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পারস্যের অঞ্চলে সব বিভেদ দূর করে মানুষদের একত্রিত করেন। দখলদারদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন তিনি। সে সময় দুঃসাহসী এক পদক্ষেপ নেন তিনি। ২০০ বছর ধরে পারস্য শাসন করা সাফাভিদ রাজবংশের শেষ শাসককে পদচ্যুত করার পরিকল্পনা করেন। ১৭৩৬ সালে সাফাভিদ রাজবংশের শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজেকে ইরানের শাহ হিসেবে ঘোষণা করেন। তার সামরিক অভিযানগুলোর সাফল্য ছিল ঈর্ষণীয়। তিনি তার সাম্রাজ্য বাড়িয়ে বর্তমান ইরান, ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, ভারত, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, রাশিয়া, ওমান ও পারস্য উপসাগর পর্যন্ত ছড়িয়ে দেন।
মুহাম্মদ বিন কাসিম
উমাইয়া খেলাফতে সবচেয়ে প্রভাবশালী শাসক ছিলেন মুহাম্মদ বিন কাসিম। তার যুদ্ধনৈপুণ্য মুসলিম শাসকদের মধ্যে ছিল সেরা। বর্তমান সৌদি আরব অঞ্চলে তার জন্ম। মুহাম্মদ বিন কাসিম তাইফের সাকিফ গোত্রের সদস্য ছিলেন। ছোটবেলায় বাবাকে হারানোর পর চাচার কাছ থেকে যুদ্ধবিদ্যা শেখেন তিনি। হাজ্জাজের পৃষ্ঠপোষকতায় মুহাম্মদ বিন কাসিম পারস্যের গভর্নর হন। সেখানে তিনি বিদ্রোহ দমন করে সবার নজর কাড়েন। উমাইয়া সেনাপতি হিসেবে তিনি মুসলিম সাম্রাজ্য বিস্তারে ছিলেন ব্যস্ত। সিন্ধু নদসহ সিন্ধু ও মুলতান অঞ্চল জয় করেছিলেন তিনি। এই জয়ে উমাইয়া খিলাফত আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে এই গুরুত্বপূর্ণ দুটি অঞ্চল নিজেদের করে নেওয়ায় মুসলমানরা ভারতীয় উপমহাদেশ জয়ের পরিকল্পনা করে। এই উপমহাদেশে মুসলমানদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পেছনে তিনি স্মরণীয়।