সুরা কাফেরুন: ৩টি শিক্ষা ও নির্দেশনা

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

সুরা কাফিরুন কোরআনের ১০৯তম সুরা। মক্কায় অবতীর্ণ এ সুরাটির আয়াত সংখ্যা ৬টি। সুরাটি অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট হলো, এ সময় কাফেররা বিভিন্নভাবে নবিজিকে (সা.) দ্বীন প্রচারের ব্যাপারে নমনীয় করার চেষ্টা করছিলো। বিভিন্ন রকম আপসের প্রস্তাব দিচ্ছিলো। যেমন তারা প্রস্তাব দিয়েছিলো, তুমি রাজি থাকলে এক বছর তোমার রবের ইবাদত করা হবে, এক বছর আমাদের দেব-দেবীর। এ সুরা নাজিল করে আল্লাহ তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন শিরক ও অবিশ্বাসের পথ আর ইমান ও বিশ্বাসের পথ আলাদা।

রাসুল (সা.) বলেছেন, সুরা কাফেরুন কোরআনের এক চতুর্থাংশ। (সুনানে তিরমিজি) নবিজি (সা.) প্রায়ই ফজরের সুন্নাত ও মাগরিবের সুন্নাত নামাজে সুরা কাফেরুন ও সুরা ইখলাস পাঠ করতেন।

সুরা কাফেরুন
(১)
قُلۡ یٰۤاَیُّہَا الۡکٰفِرُوۡنَ 

কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরূন।
বলো, হে কাফিররা!

(২)
لَاۤ اَعۡبُدُ مَا تَعۡبُدُوۡنَ 
লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদূন।
আমি তার ইবাদত করি না যার ইবাদত তোমরা করো

(৩)
وَلَاۤ اَنۡتُمۡ عٰبِدُوۡنَ مَاۤ اَعۡبُدُ 
ওয়ালাআনতুম আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।
এবং তোমরাও তার ইবাদতকারী নও যার ইবাদত আমি করি,

(৪)
وَلَاۤ اَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدۡتُّمۡ 
ওয়ালাআনা আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম,
এবং আমি ইবাদতকারী নই তার যার ইবাদত তোমরা করে আসছ।

(৫)
وَلَاۤ اَنۡتُمۡ عٰبِدُوۡنَ مَاۤ اَعۡبُدُ 
ওয়ালাআনতুম আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।
এবং তোমরাও তার ইবাদতকারী নও যার ইবাদত আমি করি।

(৬)
لَکُمۡ دِیۡنُکُمۡ وَلِیَ دِیۡنِ 
লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।
তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।

শিক্ষা ও নির্দেশনা

১. ইমান ও কুফরের পথ, বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের পথ আলাদা। একজন মুমিনের পক্ষে কখনোই আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত বা উপাসনা করা সম্ভব নয়।

২. দ্বীনের ক্ষেত্রে কাফেরদের সাদৃশ্য অবলম্বন করা, কাফেরদের অনুকরণ করা বা তাদের অনুগামী হওয়া বৈধ নয়। ‍মুসলমান হিসেবে নিজের সাতন্ত্র্য বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য।

৩. মৃত্যুর পর মানুষ পুনর্জীবন লাভ করবে এবং প্রত্যেককেই নিজের কর্মফল ভোগ করতে হবে। এ কথা মাথায় রেখে নিজের প্রত্যেকটা কাজ ভেবেচিন্তে করা উচিত।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment