
গ্রামের বাড়ি। কোথাও যাচ্ছি। রাস্তায় দু’জন ৪/৫ বছরের শিশু নজরে পরল। তাদেরকে অতিক্রম করে গেলাম। হঠাৎ তাদের থেকে একটা শব্দ শুনে খুবই ব্যথিত হলাম।
একজন আরেকজনকে বলছে- ‘এই …….. এদিকে আয়!’। শব্দটা খুব অশ্লীল ছিল। সে এমন একটা শব্দ উচ্চারণ করল যার অর্থ সে নিজেও জানে না। শুধুই পরিবার, প্রতিবেশীর কাছ থেকে শুনা মাত্র।
একটা শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য গ্রামের পরিবেশ খুবই উপযুক্ত। প্রকৃতির নির্মূল বাতাস থেকে সে পরিশুদ্ধ নিশ্বাস গ্রহণ করতে পারে। খেলা-ধুলার মাধ্যমে, সবার সাথে মিলেমিশে থাকার মাধ্যমে গড়ে ওঠে একটা শিশুর জীবন। গ্রামের পরিবেশ অবশ্যই মুগ্ধ করে আমাকে। মানুষের সরলতা, সুন্দর প্রকৃতি অনেক কিছুই যা শহরে অনুভব করা দুষ্কর।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্য। স্বল্প শিক্ষিত ফ্যামিলি, প্রতিবেশীগুলো থেকে শিশুরা খুব কমই সু-শিক্ষা পায়। তাদের অশ্লীল ভাষা নিত্য ব্যবহার্য হওয়ার কারণে শিশুরাও খুব সহজেই এগুলো রপ্ত করে ফেলে। এবং তারাও ব্যবহার শুরু করে স্কুলে, খেলার মাঠে ইত্যাদি স্থানে। যার একটা খারাপ প্রভাব সমাজের ওপর পরে। এর দায় একটা পরিবারের সচেতনতার অভাব এর ওপর।
আপনার শিশুর প্রথম শিক্ষক আপনি। সে আপনাকে ফলো করে। যা করছেন সেও সেগুলো করার চেষ্টা করছে। তাই শিশুকে এমন শিক্ষা দিবেন না যাতে তার মানবিক মূল্যবোধ এর অবক্ষয় হয়! তাকে সু-শিক্ষায় গড়ে তুলতে পারলে আপনারও সম্মান, মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।
সবচেয়ে ভালো হয় তাকে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ মোতাবেক গড়ে তুলার চেষ্টা করা। তাতে সে কোথাও লাঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বরং মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। সাথে সাথে অভিভাবক হিসেবে আপনার সম্মানও বৃদ্ধি পাবে তার জীবনের প্রতিটি ধাপে।
শিশুর মানসিক বিকাশে যত্নশীল হোন। ইসলামী তালিমাত অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করুন।





Users Today : 351
Users Yesterday : 767
This Month : 14773
This Year : 186644
Total Users : 302507
Views Today : 37693
Total views : 3614437