খেজুর একটি মিষ্টি জাতীয় ফল, উৎকৃষ্ট খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পটাসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে সহ প্রচুর খাদ্য গুণ রয়েছে । যা প্রতিদিনের ক্যালরির চাহিদা পূরন করতে সাহায্য করে।
প্রিয় পাঠক
প্রতিদিন সকালে ৭টি করে খেজুর খেলে কি হয় তা আমরা হাদিস দ্বারা জানবো । তার পূর্বে বিজ্ঞানভিত্তিক কিছু উপকারের কথা জানব যা প্রমাণিত হয়েছে ।
(১) খেজুর পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দূর করতে সাহায্য করে ।
(২) খেজুর শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের সমতা রক্ষা করে ।
(৩) খেজুরের ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করে।
(৪) খেজুর হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে।
(৫) খাদ্যে অরুচি দূর করতে সহায়তা করে।
(৬) খেজুরে থাকা ভিটামিন এবং ভিটামিন সি দৃষ্টিশক্তি ভালো করতে সহায়তা করে।
(৭) খেজুরে থাকা পুষ্টি উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
(৮) খেজুরে থাকা ডায়েটরি ফাইবার কলেস্টরেল এর সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
(৯) খেজুর তারুণ্য, যৌবন, চেহারার সৌন্দর্য ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
(১০) খেজুরে থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করে ।
ইত্যাদি বহু গুণ রয়েছে এই খেজুরের মধ্যে মূলত খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের মধ্যে মাল্টি ভিটামিন সঞ্চিত হয় ।
মনে রাখবেন :- যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা খেজুর গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন ।
এবার জানবো প্রতিদিন সকালে ৭টি করে খেজুর খেলে কি হয় ?
সা’দ (রাঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন,
রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন সকালে সাতটি আজওয়া (উৎকৃষ্ট) খেজুর খাবে, সেদিন কোন বিষ ও যাদু তার ক্ষতি করবে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৮)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৪৪৫
প্রতিদিন নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে প্রচন্ড পরিমাণ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হয় এমনকি বিষ ও জাদু পর্যন্ত ক্ষতি করতে পারেনা । (কাউকে যদি জাদু করা হয় বা তার অজান্তে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয় তাহলে আল্লাহর রহমতে সে ক্ষতি থেকে বেঁচে যাবে )
আশা করি এই তথ্যগুলি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে । তাই অনুরোধ করবো বেশি বেশি করে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন ।