হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সর্বশেষ নবী। দুনিয়াতে যারা তাঁর দেখানো পথে চলবে, পরকালে তারাই জান্নাতে যাবে ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। আমরা তাঁরই উম্মত তাঁর দেখানো পথে চলিব। তার দেখানো পথে চলার জন্যে তিনি আমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে গেছেন। একটি হলো আল্লাহর কুরআন। আর অপরটি হলো তাঁর সুন্নত বা সুন্নাহ। নবীর সুন্নাহ সম্পর্কে জানা যায় হাদীস থেকে। হাদীসের অনেকগুলো বড় বড় গ্রন্থ আছে। নবীর বাণীকে হাদীস বলে। নবীর কাজ কর্ম এবং চরিত্রের বর্ণনাকেও হাদীস বলে। নবীর সমর্থন এবং আদেশ নিষেধের বর্ণনাকেও হাদীস বলে। ইসলামের সত্য ও সঠিক পথকে জানবার জন্যে আমাদেরকে আল্লাহর বাণী কুরআন মজীদকে বুঝতে হবে এবং মানতে হবে। ঠিক তেমনি আমাদেরকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী হাদীস পড়তে হবে এবং সে অনুযায়ী চলতে হবে। তবেই মহান আল্লাহ খুশী হবেন আমাদের প্রতি। আমরা হতে পারবো সত্যিকার মুসলিম। সে জন্যেই আমরা সংকলন করেছি প্রিয় নবী সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কিছু হাদীস। এসো আমরা সবাই প্রিয় নবীর এই বাণীগুলো পড়ি এবং মেনে চলি।
হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর উক্তিও বাণী
• কারো উপর অত্যাচার করা হলে সে যদি সবর করে চুপ থাকতে পারে, আল্লাহ তার সম্মান বৃদ্ধি করে দেন।
• অত্যাচারী শাসক কেয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা অধম হবে।
• অত্যাচার ও কৃপণতাকে ভয় কর, কেননা কৃপণতা তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করেছে।
• অত্যাচার কেয়ামতের দিনসমূহ অন্ধকারের কারণ হবে।
• যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে চড়ুই পাখির ন্যায় একটি ছোট পাখিকেও হত্যা করে, আল্লাহ সেই হত্যা সম্বন্ধে তাকে প্রশ্ন করবেন।
• দুষ্কর্মের প্রকৃত অনুতাপকারী এবং যে কখনো দুষ্কর্ম করেনি – এদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
• নিশ্চয় আল্লাহ তার বিশ্বাসী বান্দাকে তওবা দ্বারা পরীক্ষা করতে ভালোবাসেন।
• সমস্ত মানব সন্তান পাপী এবং পাপীদের মধ্যে যারা অনুতাপ করে তারাই উৎকৃষ্ট।
• যখন কেউ দুষ্কর্ম করে দুঃখিত ও অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ তা’আলার দিকে প্রত্যাবর্তন করে, তখন আল্লাহ তার প্রতি সুপ্রসন্ন হন এবং তার সমস্ত পাপ মার্জনা করেন।
• হে স্ত্রীলোকেরা। তোমাদের জন্য কি রুপার গহনা নেই। তোমাদের মধ্যে যে স্ত্রীলোক সোনার গহনা পরে নিজেকে প্রকাশিত করে, তাকে তার দ্বারাই শান্তি প্রদান করা হবে।
• ঈর্ষা করা মাত্র দুটি ক্ষেত্রে সঙ্গত, (১) যাকে আল্লাহ সম্পদ এবং ক্ষমতা দিয়েছেন তা সৎপথে ব্যয় করার; (২) যাকে আল্লাহ জ্ঞান দান করেছেন, সে তদানুযায়ী মীমাংসা করে এবং শিক্ষা দেয়।
• ঈর্যা ও পরশ্রীকাতরতা থেকে দূরে থাকবে, কারণ অগ্নি যেমন কাঠ পুড়িয়ে খেয়ে ফেলে, সেইরূপ ঈর্যাও সৎকার্য খেয়ে নিঃশেষ করে ফেলে।
• তোমরা পরস্পর করমর্দন করো, কারণ এতে মনোমালিন্য দূরীভূত হয়। একে অন্যের নিকট উপহার প্রেরণ করো, কারণ এতে পরস্পরের মধ্যে প্রীতি ও ক্ষমতা অন্তর্হিত হয়।
• যার দ্বারা মানবতা উপকৃত হয়, মানুষের মধ্যে তিনি উত্তম পুরুষ।
• না চাওয়া সত্ত্বেও যখন তোমাকে কিছু দেয়া হয়, তা গ্রহণ করো এবং তার প্রতিদান দিও।
• মানুষ যতো প্রকারের খাদ্য ভক্ষণ করবে তন্মধ্যে তার হাতের কাজের দ্বারা যে খাদ্য আসবে, সেই খাদ্যই তার জন্য অধিক পবিত্র এবং হালাল। অবশ্য সন্তানের উপার্জন পিতার উপার্জনের মধ্যেই গণ্য।
• নিজের জন্য, নিজের ছেলেমেয়ে ও মা-বাপের জন্য উপার্জন করা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়। অহঙ্কার ও প্রদর্শনের জন্য উপার্জন করা শয়তানী উপার্জন।
• যে মানুষ কুশিক্ষা পেয়েছে, সেই মানুষ নিকৃষ্ট। আর যে মানুষ সুশিক্ষা পেয়েছে, সেইজনই শ্রেষ্ঠ।
• যে মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ নয়, সে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ নয়।
• কৃপণতা একটি ধ্বংসকারী স্বভাব, এটা মানুষকে দুনিয়া এবং আখেরাতে উভয়লোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
• কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ হতে দূরে লোকসমাজে ঘূণিত, দোজখের নিকটবর্তী।
• তোমরা কার্পণ্য হতে দূরে থাকো। কেননা, তোমাদের পূর্ববর্তী সম্প্রদায়গুলো এ কার্পণ্যের কারণেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।
• কবরের উপর বসও না এবং তার দিকে মুখ করে নামাজ পড়ও না।
• হযরত (স) কবর পাকা করতে, তার উপর সৌধ বা ঘর বানাতে এবং ফকির বনে বসতে নিষেধ করেছেন।
• কবর এবং গোসলখানা ব্যতীত সমগ্র দুনিয়াই নামাজের স্থান।
• যারা পরপঞ্চরদের (নবীদের) কবর পূজা করে, তারা অভিশপ্ত হউক।
• যে লোক কম কথা বলে বা চুপ করে থাকে সে অনেক বিপদ-আপদ থেকে বেঁচে যায়।
• যে ভিক্ষাবৃত্তির দ্বার খুলেছে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য দরিদ্রতার দ্বার খুলবেন।
• যারা ধনী কিংবা সবলকার, তাদের ভিক্ষা করা অনুচিত। যারা অতি অভাবগ্রস্ত, দীন-দরিদ্র কেবল তারা ভিক্ষা করতে পারে।
• ভিক্ষা করা অভাবহীন সুস্থ ব্যক্তির জন্য পাপ।
• যে ব্যক্তি অত্যন্ত অভাবগ্রস্ত, ঋণগ্রস্ত, সে ভিক্ষা করতে পারে।
• যে ব্যক্তি (অভাবগ্রস্ত না হয়ে) ভিক্ষা করে, কেয়ামতের দিন তার কপালে একটি প্রকাশ্য যা হবে।
• ভিক্ষা করা ক্ষত-বিক্ষতের চিহ্ন, যা দ্বারা মানুষ আপন বদন (দেহ) ক্ষত-বিক্ষত করে। সুতরাং যে ব্যক্তি ক্ষতচিহ্ন হতে বদনমণ্ডল রক্ষা করতে চায়, ক্ষুধা ও খাদ্যাভাসের সময় উপায়হীন অবস্থায় ছাড়া সে কখনও ভিক্ষা করবে না।
• দাতার হাত ভিক্ষুকের হাত অপেক্ষা উত্তম। যে ব্যক্তি স্বাবলম্বী ও তৃপ্ত হতে চায়, আল্লাহ তাকে স্বাবলম্বন ও তৃপ্তি দান করেন।
• যে মুসলমান অবৈধ (হারাম) বস্থু হতে দূরে থাকে ও ভিক্ষাবৃত্তি হতে দূরে থাকে, যার শুধু একটি পরিবার (স্ত্রী), আল্লাহ তা’আলা তাকেই ভালোবাসেন।
• যারা গচ্ছিত ধন রক্ষা করে, কথামতো কার্য করে এবং প্রতিশ্রুতি পালন করে, তারাই মুসলমান।
• মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া-ফ্যাসাদ করো না, ওয়াদা ভঙ্গ করো না।
• যে ব্যক্তি আকণ্ঠ ভোজন করে এবং প্রতিবেশী ক্ষুধায় কষ্ট পেলেও তার কথা ভাবে না, সে কখনই প্রকৃত মুসলমান নয়।
• যে ব্যক্তি মুসলমান, তার হৃদয় ভালোবাসায় পূর্ণ। যে অন্যকে ভালোবাসে না এবং অন্যেও যাকে ভালোবাসে না, তাকে কখনও মুসলমান বলা যেতে পারে না।
• মুসলমানরা পরস্পরের ভাই, তারা পরস্পরের প্রতি অত্যাচার করবে না, পরস্পরকে সাহায্য করতে বিরত থাকবে না এবং পরস্পর ঘৃণার চোখে দেখবে না। অন্তঃকরণই পুণ্য কাজের আবাসস্থল। অতএব, সেই ব্যক্তিই পুণ্যবান যে অন্য মুসলমানকে ঘৃণা করে না। এক মুসলমানের জিনিস অন্য মুসলমানের জন্য হারাম তার রক্ত, সম্পত্তি ও সম্মান।
• যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে (অর্থাৎ মুসলমান বলে দাবি করে) সে ব্যক্তি যেন তার প্রতিবেশীর কোন প্রকার অনিষ্ট না করে।
• কাউকে অভিশাপ দেয়া সত্যপরায়ণ ব্যক্তির উচিত নয়।
• যার রসনা ও হস্তদ্বয় হতে কোন মুসলমানের কোন প্রকার অনিষ্ট না হয়, সেই প্রকৃত মুসলমান এবং যে আল্লাহর নিষিদ্ধ কার্য হতে পলায়ন করে সে প্রকৃত মুহাজির।
• যার হাত এবং জবান থেকে মানবজাতি নিরাপদ, তিনি খাঁটি মুসলমান।
• মুসলমানদের মধ্যে যার স্বভাব সবচেয়ে ভালো সে সর্বাপেক্ষা ভালো ব্যবহার করে, তারাই তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি।
• রোগীর সেবা ও অশ্রূষাকারী নিজ গৃহে ফিরে না আসা পর্যন্ত বেহেশতের পথে চলতে থাকে।
• পুরাতন কাপড় পরিধান করো, অর্ধপেট ভরে পানাহার করো, এটা নবীসুলভ কার্যের অংশ বিশেষ।
• সেই ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী যে স্বল্পাহারে সন্তুষ্ট থাকে, অল্প হাসে এবং লজ্জাস্থান ঢাকার উপযোগী বস্ত্রে পরিতুষ্ট।
• অল্প আহারের অভ্যাস করে অন্তরকে সজীব রাখ এবং জঠরানলে দগ্ধীভূত করে হৃদয়কে পবিত্র করে লও। এরূপ করলে হৃদয় স্বচ্ছ এবং হাল্কা হয়ে কার্যপটু হতে পারবে।
• যে ব্যক্তি উদর পূর্তি করে আহার করে, বেহেশতের দিকে তার জন্য পথ উন্মুক্ত হয় না।
• যা ইচ্ছা আহার করতে পারো, যা ইচ্ছা পরিধান করতে পারো, যদি তোমাকে অপব্যয় ও গর্ব স্পর্শ না করে।
• স্বদেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।
• বিনয় ও সৌন্দর্য ঈমানের দু শাখা এবং বৃথা বাক্যালাপ ও জাঁকজমক কপটতার (মুনাফেকির) দু শাখা।
• স্বভাব চরিত্রে যিনি সর্বোত্তম, ঈমানদারদের মধ্যে সে শ্রেষ্ঠ।
• পবিত্রতা ঈমানের এক অঙ্গ।
ব্যভিচারী হতে ঈমান দূরে পলায়ন করে, কিন্তু সে ব্যভিচার ত্যাগ করলেই ঈমান আবার তার নিকট প্রত্যাবর্তন করবে।
• পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।
• পরিচ্ছন্নতার উপর ইসলামের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে।
• যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের উপর ঈমান রাখে তার ভালো ও পরিচ্ছন্ন কথা বলা উচিত অথবা নীরব থাকা বাঞ্ছনীয়। পরিচ্ছন্ন কথা হচ্ছে দান কাজের সমতুল্য চরিত্রের লক্ষণ।
• স্পষ্টভাষিতা, মধুর ভাষণ ও দ্ব্যর্থহীন আলোচনা মানুষের উন্নত বিপরীত পক্ষে অস্পষ্ট কথাবার্তা, তিক্ত ও কর্কশ আলোচনা এবং মিথ্যা কথা কলুষতাপূর্ণ চরিত্রের লক্ষণ। ইসলাম পরিচ্ছন্ন কথাবার্তাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দান করে।
• আল্লাহ যদি তোমাদের অর্থ-সম্পদ দান করেন তবে তা নিজের ও পরিবারের পক্ষ হতে বণ্টন শুরু করো।
• ব্যয় করার আগে নিজের পরিবার-পরিজনের কথা খেয়াল করো, সর্বাগ্রে নিজ পরিবার হতে ব্যয় শুরু করো।
• যে ব্যক্তি সওয়াবের (পুণ্যের) নিয়তে পরিবারের জন্য খরচ করে আল্লাহ তাকে সদকার সওয়াব দান করবেন।
• প্রতিটি কাজের বিচার হবে নিয়ত-এর উপর।
• যা নিজের এখতেয়ারের মধ্যে পড়ে না, তার দিকে দৃষ্টি না দেয়াই মুসলমানের পরিচয়।
• কোনো ব্যক্তি মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না সে নিজের জন্যে যা চাইবে তা তার ভাইয়ের জন্যেও চাইবে।
• কোন্টা হালাল ও কোন্টা নয় তা স্পষ্ট, কিন্তু এই দুয়ের মাঝামাঝি কিছু আছে যা সন্দেহের আবর্তে, তা থেকে বিরত হওয়াই উত্তম।’
• আল্লাহ্ গুণাবলিতে তোমরা ভূষিত হও।
• জ্ঞানের জন্যে যে জীবন উৎসর্গ করে, তার মৃত্যু নেই।
• জ্ঞানীকে যে সম্মান করে সে যেন আমাকেই সম্মান করল।
• সুবেহ্ সাদেকে ও সন্ধ্যার সময়ে আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনায় মশগুল হও, আর দিবাভাগ আপন পেশায় নিয়োজিত থাকো।
• যে নিজের জন্য বা অপরের জন্যে শ্রম স্বীকার করে না, সে আল্লাহর পুরস্কার থেকে বঞ্চিত।
• যে সমর্থ ও কর্মক্ষম হওয়া সত্ত্বেও কর্মবিমুখ, আল্লাহ্ তার প্রতি সদয় হবেন না।
• আবু দাউদের মতে, রাসূল (সা)-এর শুধু এই চারটি বাণী মানুষের ধর্মীয় পথ প্রদর্শনে অপরিহার্য এবং ইসলামি আইন-এর সারবস্তু।
• যারা সৎ জীবিকায় নিয়োজিত, তারাই আল্লাহ্র প্রিয় মানুষ।
• যে আপন শ্ৰমে জীবিকা অর্জন করে, ভিক্ষা করে নয়, আল্লাহ তার প্রতি অনুগ্রহ করেন।
• সেই দানই শ্রেষ্ঠ দান যা ডান হাত দিয়ে দিলে বাম হাত জানতে পারে না।
• গোপন দান আল্লাহ্ ক্রোধ প্রশমিত করে।
• যে কথা বলতে গেলে মিথ্যার আশ্রয়ী, প্রতিজ্ঞা করার পর ভঙ্গকারী, দায়িত্ব অর্পিত হলে পালনকারী নয়, সে আমার উম্মত নয়, বরং অন্তরে বিরুদ্ধাচারী।
• তারাই মুমিন যারা দায়িত্ব পালন করে, কথার খেলাপকারী নয় ও অঙ্গীকার পালন করে।
• আল্লাহ্ বলেছেন : যথার্থই যারা দুর্দিনে ধৈর্যধারণ করে ও ক্ষমাশীল, তারাই উত্তম কর্মশীল।
• নম্রতা ও সৌজন্য সওয়াবের কাজ।
• প্রকৃত বিনয় সকল সদ্গুণেরই উৎস।
• নম্রতা ও চরিত্রগুণ ঈমানেরই অংশ।
• মজলুমের অন্তর্বেদনা লাঘব করার জন্যে যে সান্ত্বনাবাণী হৃদয় থেকে উৎসারিত হয়ে উচ্চারিত হয়, তা-ই শ্রেষ্ঠ দান।
• মজলুমের অন্তর্বেদনা লাঘব করার জন্যে যে সান্ত্বনাবাণী হৃদয় থেকে উৎসারিত হয়ে উচ্চারিত হয়, তা-ই শ্রেষ্ঠ দান।
• পরম সুখের বেহেশতী বাগানে সে-ই প্রবেশাধিকার পাবে, যার হৃদয় সত্য, পবিত্র ও ক্ষমার আধার।
• আল্লার সৃষ্ট মখলুকাত ও আপন সন্তানদের জন্যে যার মায়ামমতা নেই, আল্লাহ্ তার প্রতিও মমতা করবেন না।
• যে নবীন বয়স্কদের সম্মান করে, আল্লাহ্তায়ালা যেন তার বার্ধক্যকাল এলে তার জন্যে তেমনি সম্মানকারী নিয়োগ করেন।
• সে আমার উম্মতদের মধ্যে নয়, যে আপন শিশুদের স্নেহ করে না, প্রবীণদের সম্মান করে না; আর সে আমার উম্মতদের মধ্যে নয়, যে সুকর্মের নির্দেশ দেয় না ও মন্দ কাজে নিষেধ জানায় না।
• সে-ই খাঁটি মানুষ, যে তার ভাইকে রক্ষা করে উপস্থিত ও অনুপস্থিত যে-কোনো অবস্থাতেই।
• যে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে তাকে প্রফুল্ল হতে সাহায্য করা ও আর্তজনের হাহাকার দূর করার মধ্যেই লুকিয়ে আছে পুরস্কার। আমরা নিজেরাই যখন দুর্দিনের স্বীকার হই, তখন এই সুকর্মের কল্যাণ বেগবানন্নাধারার মতোই কষ্টের ভারকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
• যা ভালো কাজ, তার মধ্যেই জড়িয়ে রাখবে নিজেকে।
• যে ব্যক্তি তার পড়শী ও সৃষ্ট জীবের বিপদের দিনে এগিয়ে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে ও মজলুমের পাশে দাঁড়াবে, তার নিজের বিপদে আল্লাহ্ তাঁকে সাহায্য করবেন।
• কোন্ কাজকে বলা যাবে শ্রেষ্ঠ কাজ? মানুষের মন প্রফুল্ল করতে সাহায্য করা, ক্ষুধিতকে অন্নদান, ক্লিষ্টকে সাহায্য দান, ব্যথিতের ব্যথা লাঘব ও মজলুমের পক্ষে অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেহাদ।
• আল্লাহ্ কাছে সবচেয়ে বেশি অনুগ্রহ পেতে পারে কে? যার কাছে আল্লাহ্ সৃষ্ট জীবন সবচেয়ে বেশি উপকার পায়।
• কেউ যদি তার ভাইয়ের অভাব মোচনের চেষ্টা করে সফল না-ও হয়, তবু আল্লাহ্ তার গুনাহ্ মাফ করে দেবেন।