• সমস্ত কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়তের উপর। আর প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়ত করেছে,তাই পাবে। – আল হাদিস
• যে ব্যক্তি দুই রাকাত নামাজ পড়িয়াছে আর উহাতে ভুল করে নাই, আল্লাহ তায়ালা তাহার ছগিরা গুনাহ মাফ করিয়া দিবেন, যাহা ইতিপূর্বে হইয়াছে। – আল হাদিস
• সে ব্যক্তিই ঈমানের প্রকৃত স্বাদ পাইয়াছে যে আল্লাহ তায়ালাকে রব (প্রভু), ইসলামকে দীন (জীবন বিধান) এবং মুহাম্মদ (স)-কে রাসূল হিসাবে পাইয়া সন্তুষ্ট হইয়াছে। – আল হাদিস
• তোমাদের সন্তানদেরকে সালাতের জন্য আদেশ করিবে যখন তাহারা সাত বৎসর বয়সে পৌঁছিবে। আর যখন তাহারা দশ বৎসর বয়সে পৌঁছিবে তখন (সালাতের জন্য) মারধর করিবে এবং এই বয়স থেকে তাহাদের শুইবার স্থান পৃথক করিয়া দিবে। – আল হাদিস
• যে লোক (ইচ্ছাকৃত) সালাত কাজা করিবে সে যখন আল্লাহ তায়ালার দরবারে হাজির হইবে তখন আল্লাহ তায়ালাকে রাগান্বিত অবস্থায় দেখিবে, অর্থাৎ তাহার হিসাব কড়াকড়ির সাথে আদায় করা হইবে। -আল হাদীস
• যদি কেহ সালাত আদায়কারীর সামনে দিয়া চলিয়া যায় ঐ লোক যদি জানিত নামাজির সামনে দিয়া চলিয়া গেলে কি পরিমাণ গুনাহ হয় তবে সে ঐভাবে সামনে দিয়া চলিয়া যাওয়ার চেয়ে চল্লিশ বৎসর দাঁড়াইয়া থাকা ভাল মনে করিত। –
আল হাদীস
• আউয়াল ওয়াক্তে অর্থাৎ প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায় করলে আল্লাহ তায়ালা খুশী হন। – আল হাদীস
• যে ব্যক্তি নিজে সালাতুল তাহাজ্জুদ আদায় করিবে এবং আপন বিবিকে পড়াইবে তাহার উপর রহমত বর্ষিত হইবে। তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারীরা সত্তর গজ লম্বা হইবে। অন্য হাদীসে আছে তাহাজ্জুদ নামাজ হইল কবরের চাঁদ। – আল হাদীস
• যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত নিয়মিতভাবে আদায় করে আল্লাহ তাহাকে পাঁচটি নেয়ামত দান করিবেন। সেইগুলো হইল। ১. মউতের কষ্ট হইতে রেহাই দিবেন। ২. কবর আযাব লাঘব করিবেন। ৩. ডান হাতে আমলনামা প্রদান করিবেন। ৪. বিজলীর ন্যায় পুলছিরাত পার করাইবেন। ৫. বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করাইবেন। -আল হাদিস
• যে ব্যক্তি সালাতে দাঁড়াইয়া এইদিক ঐদিক তাকায়, আল্লাহ তায়ালা তাহার নামাজকে উল্টা দিকে ঠেলিয়া দেন। অর্থাৎ এ ধরনের সালাত আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন না। – আল হাদীস
• একা একা নামাজ পড়ার চেয়ে জামাতে নামাজ পড়ায় ২৭ গুণ ছওয়াব বেশী এবং প্রত্যেক রাকাতে ইমামের সাথে তাকবিরে তাহরিমায় যোগদান করা দুনিয়া এবং তাহার ভিতর যাহা আছে তাহার চেয়েও উত্তম । – আল হাদিস
• মেছওয়াক করিয়া নামাজ পড়া বিনা মেছওয়াকের নামাজ হইতে সত্তর গুণ ছওয়াব বেশী। – আল হাদিস
• রাসূলুল্লাহ (স) বলিয়েছেন, বেহেশতের ৮টি দরজা রহিয়াছে। তন্মধ্যে ১টি দরজার নাম রাইয়ান। এ দরজা দিয়া শুধু রোজাদারগণই প্রবেশ করিবে। – আল হাদিস
• আল্লাহ্ কাছে কে সবচেয়ে প্রিয়? – যিনি সৃষ্ট-জীবের প্রতি সবচেয়ে বেশি উপকারী, তিনিই। সব সৃষ্ট-জীবই আল্লাহ্র পরিবারভুক্ত। যিনি সৃষ্ট জীবের প্রতি সবচেয়ে বেশি উপকার করতে চেষ্টা করেন, আল্লাহ্ কাছে তিনিই প্রিয়তম। – আল হাদিস
• যে নিজের জন্য যা কাম্য মনে করে, তা অন্যের জন্যও কামনা করে না, সে কখনো প্রকৃত ঈমানদার নয়। – আল হাদিস
• দান করা প্রত্যেক মুসলমানেরই কর্তব্যকর্ম। যার দান করার সামর্থ নেই, সে যেন সৎকার্য করে, অন্তত সে যেন অসৎকার্য পরিহার করে চলে। এ হচ্ছে ওর পক্ষে দানের সমতুল্য। – আল হাদিস
• যে সব তরুণ বয়স বিবেচনা করে বৃদ্ধদের সম্মান করে, আল্লাহ্ যেন তাদের যখন বয়স হবে তখন তাদেরে সম্মান দেওয়ার লোক নিয়োগ করেন অর্থাৎ ওরাও যেন বৃদ্ধ বয়সে অনুরূপ সম্মান পায়। – আল হাদিস
• সে ব্যক্তি আমার নিজের লোক নয় যে নিজের বাচ্চাদের প্রতি স্নেহশীল নয় ও যে সম্মান করে না বৃদ্ধদের খ্যাতিকে। আর সে-ও আমার আপনজন নয় যে সৎকাজের নির্দেশ দেয় না ও নিষেধ করে না মন্দকাজ। – আল হাদিস
• অভাবের দিনে যে অন্যকে সাহায্য করে এবং সাহায্য করে নির্যাতিতকে মহা বিপদের দিনে (অর্থাৎ শেষ বিচারের দিন) আল্লাহ্ তাকে সাহায্য করবেন। – আল হাদিস
• যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে, ওয়াদার বরখেলাপ করে এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, সে ব্যক্তি আমার অনুসারী নয়, বরং নিজ অন্তরের বিরোধিতাকারী (মুনাফিক)। – আল হাদিস
• যারা তাদের দায়িত্ব পালন করে, কথার নড়চড় করে না এবং ওয়াদা রক্ষা করে, তারাই প্রকৃত বিশ্বাসী (মুসলমান)। – আল হাদিস
• আল্লাহ্ বলেছেন, “নিশ্চয়ই, যারা দুঃখ-যন্ত্রণায় ধৈর্য ধারণ করে এবং ভুলভ্রান্তিকে ক্ষমা করে, তারা মহৎ কাজ করে।
• যে ব্যক্তি আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি এবং নিজের সন্তানের প্রতি স্নেহশীল নয়, আল্লাহও তার প্রতি স্নেহশীল নন। – আল হাদিস
• যে ব্যক্তি ছোটদের স্নেহ ও বড়দের সম্মান করে না, সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়; এবং যে ব্যক্তি ভালো কাজে আদেশ ও খারাপ কাজে নিষেধ করে না, সে ব্যক্তিও আমাদের দলভুক্ত নয়। – আল হাদিস
• তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই সর্বপেক্ষা উত্তম, যে চরিত্রের দিক দিয়ে উত্তম। – আল হাদিস
• কোনো মহিলা যখন তার উপর নির্ধারিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়বে, রমযানের রোযা রাখবে, লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে এবং স্বামীর অনুগত থাকবে তখন সে বেহেশতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা ঢুকতে পারবে। – আল হাদিস
• নবী করীম (স) বলেছেন, মহিলারা হলো পর্দায় থাকার জিনিস। সুতরাং তারা যখন (পর্দা ছেড়ে) বাইরে যায় শয়তান তখন তাদেরকে (অন্য পুরষের চোখে) সুসজ্জিত রূপে দেখায়। – আল হাদিস
• কোনো স্ত্রী তার স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ছাড়া রোযা (নফল) পালন করবে না। স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ছাড়া কাউকে ঘরে প্রবেশের অনুমতি দেবে না। স্বামীর উপার্জন থেকে তার হুকুম ছাড়া কোনো স্ত্রীলোক যে পরিমাণ দান করবে তার সাওয়াব স্বামীও অর্ধেক পাবে। – আল হাদিস
• যদি কোনো স্ত্রীলোক (পরিবারে) অশান্তি সৃষ্টি না করে স্বামীর ঘর থেকে কিছু দান করে কিংবা যদি কোনো স্ত্রীলোক স্বামীর ঘর থেকে কাউকে কিছু খেতে দেয় তবে সে সাওয়াব পাবে এবং তার স্বামীও অনুরূপ সাওয়াব পাবে। আর খাজাঞ্চিও ঐ পরিমাণ সাওয়াব পাবে। স্বামী এজন্য পাবে যে, সে উপার্জন করেছে। আর স্ত্রী পাবে যেহেতু সে দান করেছে। – আল হাদিস
• হে মুসলিম মহিলাগণ! এক প্রতিবেশী অন্য প্রতিবেশীকে অল্প পরিমাণ দান করাকে যেন তুচ্ছ মনে না করে। যদিও তা বকরির একটি খুর (পায়া) হয়। – আল হাদিস
• শেষ যামানায় কিছু সংখ্যক মিথ্যাবাদী দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। তারা তোমাদের নিকট এমন সব অলীক কথা-বার্তা উপস্থিত করবে, যা না তোমরা শুনেছ না তোমাদের বাপ-দাদা শুনেছে। সাবধান! তোমরা তাদের থেকে বেঁচে থাকো এবং তাদেরকে তোমাদের থেকে বাঁচাও। অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে বিরত থাক। যাতে তোমাদের পথভ্রষ্ট করতে না পারে এবং তোমাদের বিপথগামী করতে না পারে। – আল হাদিস
• ঈমানের ৭০টিরও বেশি শাখা-প্রশাখা রহিয়াছে উহার মধ্যে সর্বোত্তম (প্রধান) শাখা হইল লা ইলাহা ইল্লাহতে বিশ্বাস করা ও সাক্ষ্য দেওয়া। আর সর্বাপেক্ষা নিম্ন শাখা হইতেছে পথের মধ্য হইতে কষ্টদায়ক জিনিসসমূহ দূর করা, আর হায়া বা লজ্জা ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। – আল হাদিস
• হযরত আবু হোরায়রা (রা) হইতে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) বলিয়াছেন, আচ্ছা বলত যদি তোমাদের কাহারো দরজার কাছে একটি পানির ফোয়ারা (পুকুর) থাকিত, যাহাতে সে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে, তাহার শরীরে কি কোন ময়লা অবশিষ্ট থাকিতে পারে? তাহারা (ছাহাবীরা) বলিলেন, তাহার শরীরে কোন ময়লা থাকিতে পারে না। রাসূল (স) বলিলেন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের উদাহরণ এইরূপই, (নামাজী দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পড়ার ফলে) ইহাদের বিনিময়ে আল্লাহ (নামাজীর) আপরাধসমূহ মোচন করিয়া দেন। – আল হাদিস
• রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, যারা আমার মর্যাদার খাতিরে পরস্পরে ভালবাসা স্থাপন করেছে, তারা কোথায়? আজ আমি তাদেরকে আমার বিশেষ ছায়ায় স্থান দিব। আজ এমন দিন, আমার ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া নেই’।
• কোন ব্যক্তি জেনে শুনে এক দিরহাম বা একটি মুদ্রা সুদ গ্রহণ করলে ছত্রিশবার যেনা করার চেয়ে কঠিন হবে।
• যে বিষয়টি নিজের নয়, সেই বিষয়ে লক্ষ না করা প্রকৃত মুসলমানের লক্ষণ। – আল হাদিস
• কোনো ব্যক্তি প্রকৃত মুমিন নয়, যদি সে নিজের জন্য যা কামনা করে, তার ভাইয়ের জন্য তাই কামনা না করে। – আল হাদিস
• কোনটি অনুমোদিত ও কোনটি অনুমোদিত নয়, তা স্পষ্ট। কিন্তু এই দুয়ের মাঝামাঝি কিছু আছে সন্দেহজনক, তা থেকে বিরত থাকাই উত্তম। – আল হাদিস
• আল্লাহ তাআলার গুণাবলিতে তোমরা ভূষিত হও। – আল হাদিস
• বিদ্যার জন্য যে জীবন উৎসর্গ করে তার মৃত্যু নেই। – আল হাদিস
• বিদ্বানকে যে ব্যক্তি সম্মান করে, সে আমাকেই সম্মান করে। – আল হাদিস
• সকালে ও সন্ধ্যাকালে আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করো, দিনের বেলা নিজ পেশায় নিজেকে নিয়োগ করো। – আল হাদিস
• যে ব্যক্তি নিজের জন্য বা অপরের জন্য পরিশ্রম করে না, সে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার পুরস্কার পাবে না। – আল হাদিস
• যে ব্যক্তি সমর্থ ও কর্মক্ষম হয়েও কাজবিমুখ, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি সদয় নন।- আল হাদিস
• যে ব্যক্তি নিজ পরিশ্রম দ্বারা জীবিকার্জন করে, ভিক্ষা দ্বারা নয় আল্লাহ তাআলা – তার প্রতি অনুগ্রহশীল। – আল হাদিস
• যারা সৎ উপায়ে জীবিকার্জন করে, তারাই আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে প্রিয়পাত্র।- আল হাদিস
• সেই দানই শ্রেষ্ঠ, যা ডান হাত দিয়ে প্রদান করলে বাম হাত জানতে পারে না। – আল হাদিস
• যে ব্যক্তি গোপনে অন্যের উপকার করে তার ওপর আল্লাহ তাআলার ক্রোধ কমে যায়। – আল হাদিস
• সে ব্যক্তি আমার অনুসারি নয় বরং অন্তরে বিরুদ্ধাচারী – যে ব্যক্তি কথা বললে মিথ্যা বলে, প্রতিজ্ঞা করলে তা ভঙ্গ করে এবং কোনো দায়িত্ব অর্পণ করলে তা পালন করে না। – আল হাদিস
• তারাই মুমিন ব্যক্তি—যারা দায়িত্ব পালন করে, কথার খেলাফ করে না এবং অঙ্গীকার পালন করে। – আল হাদিস
• যারা দুর্দিনে ধৈর্যবান ও ক্ষমাশীল তারাই উত্তম কর্মশীল। – আল হাদিস
• নম্রতা ও সৌজন্য হলো ভালো কাজ। – আল হাদিস
• নম্রতা ও সচ্চরিত্রতা হলো ঈমানেরই অঙ্গ। – আল হাদিস
• প্রকৃত বিনয় হলো সকল সদগুণেরই উৎস। – আল হাদিস
• নির্যাতিত ব্যক্তির দুঃখ কমানোর জন্য যে সান্ত্বনাবাণী হৃদয় থেকে উচ্চারিত হয় তা-ই শ্রেষ্ঠ দান। – আল হাদিস
• পরম সুখের উদ্যানে সে-ই প্রবেশ করবে, যার হৃদয় সত্য, পবিত্র ও ক্ষমাশীল। – আল হাদিস
• আল্লাহ তাআলার সৃষ্ট জীবদের প্রতি ও আপন সন্তানদের প্রতি যার মমতা নাই, তার প্রতিও আল্লাহ তাআলার মমতা হবে না। – আল হাদিস
• যে তরুণ প্রবীণদের বয়সের জন্য সম্মান করে, আল্লাহ তাআলা তার বার্ধক্যকালে তেমনি সম্মানকারী নিয়োগ করবেন। – আল হাদিস
• পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহ্ সন্তুষ্ট আর পিতা- মাতার অসন্তুষ্টে আল্লাহ্ অসন্তুষ্ট। – আল হাদিস
• যে ব্যক্তি নিষ্ঠার সাথে শহীদি মৃত্যু কামনা করে, আল্লাহ্ তাকে শহীদদের মর্যাদায় পৌছিয়ে দিবেন, যদিও সে তার বিছানায় মৃত্যুবরণ করে।
• নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের দেহ এবং তোমাদের আকৃতি দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমল দেখেন।’’