সহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারা শবে বরাত প্রমাণিত। রেজালবিদগন সনদ সহীহ হওয়ার ব্যাপারে একমত। বিশ্ব বিখ্যাত হাদীছ শরীফের কিতাব “ইবনে হিব্বানে” সহীহ সনদ সহ বর্ণনা করেছেন,
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُعَافَى الْعَابِدُ بِصَيْدَا ، وَابْنُ قُتَيْبَةَ وَغَيْرُهُ ، قَالُوا : حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْرَقُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو خُلَيْدٍ عُتْبَةُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ ، وَابْنِ ثَوْبَانَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ مَكْحُولٍ ، عَنْ مَالِكِ بْنِ يُخَامِرَ ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : يَطْلُعُ اللَّهُ إِلَى خَلْقِهِ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلاَّ لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ
অর্থ: হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, মধ্য শাবানের রাতে মহান আল্লাহ পাক রহমতের ভান্ডার নিয়ে সকল সৃষ্টির প্রতি বিশেষ ভূমিকায় অবর্তীণ হন এবং মুশরিক অথবা হিংসুক ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (দলীল: সুনানে ইবনে হিব্বান- হাদীস ৫৬৩৬,মুজামুল কবীর লি তাবরানী ১৬৬৩৯, মুজামুল আওসাত লি তাবরানী ৬৭৭৬, সুনানে ইবনে মাজাহ ১৩৯০, শুয়াবুল ঈমান ৩৫৫২, হুলয়িতুল আওলিয়া ৫/১৯১)
পবিত্র এই হাদীছ শরীফ সম্পর্কে বিখ্যাত রিজাল বিশারদ আল্লামা হযরত নূরউদ্দীন ইবনে হাজার হায়ছামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব “মাযমাউয যাওয়ায়েদ ওয়া মানবাউল ফাওয়ায়েদ” কিতাবে বলেছেন,
وعن معاذ بن جبل عن النبي صلى الله عليه وسلم قال:
“يطلع الله إلى جميع خلقه ليلة النصف من شعبان، فيغفر لجميع خلقه، إلا لمشرك، أو مشاحن”.
رواه الطبراني في الكبير والأوسط ورجالهما ثقات
হাদীস শরীফখানা উল্লেখ করে বলেছেন, “ইমাম তাবরানী উনার মুজামুল কবীর ও আওসাত গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। হাদীস শরীফের সকল রাবী সেকাহ। (মাযমাউয যাওয়ায়েদ ওয়া মানবাউল ফাওয়ায়েদ ৬/১২৬ : হাদীছ নম্বর ১২৯৬০)
বিখ্যাত ইমাম হযরত মুনযিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “আত তারগীব ওয়াত তারহীব” গ্রন্থে উক্ত হাদীছ উল্লেখ পূর্বক বলেছেন,
ইমাম হিব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সহীহ হিসাবে উনার কিতাবে উল্লেখ করেছেন। (আত তারগীব ওয়াত তারহীব – হাদীছ নম্বর ১৫৪৪)
ইমাম মুনযিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উক্ত গ্রন্থের ভূমিকায় লিখেছেন এই কিতাবে যে হাদীছ শরীফ “ওয়া আন” দ্বারা শুরু সেকল হাদীছ শরীফ সমূহ সনদ সহীহ। উক্ত হাদীছ শরীফখানা তিনি ওয়া আন দিয়েই শুরু করেছেন।
বর্তমানে যারা শবে বরাত অস্বীকার করে তাদের মূল গুরু সালাফী লা’মাযহাবীদের অন্যতম ইমাম, নাছির উদ্দীন আলবানী তার “সিলসিলাতু আহাদীসি আস সহীহা” কিতাবে পবিত্র শবে বরাতের হাদীস শরীফকে সহীহ বলে উল্লেখ করে লিখেছে,
حديث صحيح ، روي عن جماعة من الصحابة من طرق مختلفة يشد بعضها بعضا و هم معاذ
ابن جبل و أبو ثعلبة الخشني و عبد الله بن عمرو و أبي موسى الأشعري و أبي هريرة
و أبي بكر الصديق و عوف ابن مالك و عائشة .
أما حديث معاذ فيرويه مكحول عن مالك بن يخامر عنه مرفوعا به
“ হাদীসটি সহীহ। কেননা একদল সাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বিভিন্ন সূত্রে নিসফে শাবানের মর্যদা ওপর একাধিক হাদীস শরীফ বর্ণিত আছে। বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হওয়ার কারনে হাদীস শরীফটি মজবুতি লাভ করেছে। যে সকল সাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে হাদীস শরীফ বর্ণিত আছে উনারা হলেন, হযরত মু’আয ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু , হযরত আবু সালাবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু,হযরত আবু মূসা আল আশ’আরী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু , হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আউফ বিন মালেক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা। এছাড়াও অনেক আকাবীর সাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুগন হাদীস শরীফ বর্ণনা করেরন। (দলীল: সিলসিলাতু আহাদীসি আস সহীহা ৩য় খন্ড ১৩৫ পৃষ্ঠা: হাদীস নম্বর ১১৪৪ , মূল কিতাবের স্ক্যন কপি দেয়া হলো)
সূতরাং প্রমাণ হলো উক্ত হাদীছ শরীফ সহীহ।