হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার সম্পৃক্ততা না থাকলে তাহলে সহীহ সনদে কার কথা আছে, এ বর্ণনা সম্পর্কে হুকুমঃ
গতপর্বে মদপান সংশ্লিষ্ট বর্ণনা সম্পর্কে হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ থেকে দলীল দেয়ার পর আজকে এ বিষয়ে একটা সনদ দেখবো যা সম্পূর্ন ভিন্ন। যেখানে হযরত হাম্মাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেছেন,
حدثني المُثَنَّى، حدثنا الحجَّاج بن المِنْهال، حدثنا حَمَّاد، عن عطاء بن السائب، عن عبد الله بن حبيب -وهو أبو عبد الرحمن السَّلَمي؛ أن عبد الرحمن بن عَوْفٍ صنع طعامًا وشرابا، فدعا نفرا من أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم فصلى بهم المغرب، فقرأ: قل يا أيها الكافرون. أعبد ما تعبدون. وأنتم عابدون ما أعبد. وأنا عابد ما عبدتم. لكم دينكم ولي دين. فأنزل الله، عز وجل، هذه الآية: { يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَقْرَبُوا الصَّلاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ }
একদিন হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু একদিন খাদ্য ও পানীয়ের আয়োজন করে একদল ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমদের দাওয়াত করলেন। খাওয়া শেষ হলে হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার ইমামতিতে সকলে মাগরিবের নামায আদায় করলেন। তিনি সূরা কাফিরুন পড়তে গিয়ে أعبد ما تعبدون. وأنتم عابدون ما أعبد. وأنا عابد ما عبدتم. لكم دينكم ولي دين পড়ে ফেললেন। তখন আল্লাহ পাক এই আয়াত শরীফ নাযিল করলেন, হে ঈমানদারগন তোমরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না। (তাফসীরে তাবারী ৭/৪৬: ৯৫৭৮, তাফসীরে ইবনে মুনজির ২/৭১৯ : ১৭৯৮, তাফসীরে ইবনে কাছীর ২/৩১০)
উক্ত বর্ণনার সনদ দেখুন,
حدثني المُثَنَّى، حدثنا الحجَّاج بن المِنْهال، حدثنا حَمَّاد، عن عطاء بن السائب، عن عبد الله بن حبيب -وهو أبو عبد الرحمن السَّلَمي
হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে হযরত হাম্মাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করছেন। আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে হযরত শোবা রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত হাম্মাদ বিন সালামা রহমতুল্লাহি আলাইহি যে বর্ণনা শুনেছেন শুধু সেগুলোই সহীহ। এই সনদে হাম্মাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করছেন। সূতরাং এ বর্ণনাই সহীহ। আর এ বর্ণনায় হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার নাম পর্যন্ত উল্লেখ নেই।
ইমাম হযরত হাকেম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুস্তাদরাকে হাকেম কিতাবে বর্ণনা করেন, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম বলেন,
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دُحَيْمٍ الشَّيْبَانِيُّ ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَازِمٍ الْغِفَارِيُّ ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ ، وَقَبِيصَةُ ، قَالاَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ دَعَانَا رَجُلٌ مِنْ الْأَنْصَارِ قَبْلَ تَحْرِيمِ الْخَمْرِ فَحَضَرَتْ صَلاَةُ الْمَغْرِبِ فَتَقَدَّمَ رَجُلٌ فَقَرَأَ: قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ فَأُلْبِسَ عَلَيْهِ، فَنَزَلَتْ لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ الآية- هذا حديث صحيح ولم يخرجاه- وقال الذهبي : صحيح-
‘মদ হারাম হওয়ার পূর্বে জনৈক আনসার ব্যক্তি খাবারের আয়োজন করে দাওয়াত দেন । এমন সময় মাগরিবের নামাযের ওয়াক্ত হয়ে যায়। তখন জনৈক ব্যক্তি এগিয়ে যায় ও সালাতে সূরা কাফিরূণ পাঠ করে। কিন্তু তাতে যোগ-বিয়োগ করে। তখন নাজিল হয় তখন নাযিল হয় হে ঈমানদারগন তোমরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না’।
ইমাম হাকেম বলেন, হাদিসটি সহীহ। যদিও ইমাম বুখারী ও মুসলিম তা বর্ণনা করেননি’। ইমাম যাহাবীও হাদিসটিকে ‘সহীহ’ বলেছেন’। (আল মুস্তাদরাক ২/৩৬৬ : হাদীছ ৩২৫৯)
উপরোক্ত বর্ণনা সমূহে থেকে বোঝা যায় মূলত উক্ত নামাযে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম ইমামতি করছিলেন না বরং আনছার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমদের মধ্যে অন্য কোন ব্যক্তি সে নামাযের ইমামতি করেন।
পবিত্র কুরআন শরীফের কোন আয়াত শরীফ কেন নাযিল হয়েছে সে বিষয়ের উপর সর্বপ্রথম ও প্রাচীণ একখানা কিতাব “আসবাবুন নুযুল” । সে কিতাবে সূরা নিছা ৪৩ নং আয়াত শরীফ নাযিলের শানে নযূলে সনদসহ একখানা হাদিছ শরীফে এসেছে,
أخبرنا أبو بكر الأصفهاني قال: أخبرنا أبو الشيخ الحافظ قال: حدثنا أبو يحيى قال: حدثنا سهل بن عثمان قال: حدثنا أبو عبد الرحمن الأفريقي قال: حدثنا عطاء، عن أبي عبد الرحمن قال: صنع عبد الرحمن بن عوف طعاما ودعا أناسا من أصحاب رسول الله – صلى الله عليه وسلم – فطعموا وشربوا، وحضرت صلاة المغرب فتقدم بعض القوم فصلى بهم المغرب، فقرأ: { قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ } فلم يقمها، فأنزل الله تعالى: { يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَقْرَبُوا الصَّلاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ }
হযরত আবি আব্দুর রহমান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু খাবার তেরী করলেন এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাদের থেকে কয়েকজনকে দাওয়াত করলেন, উনারা খেলেন এবং পান করলেন। এসময় মাগরিবের নামাযের সময় হলো। কিছু লোক মাগরিবের নামাযের জন্য দাঁড়ালেন এবং পাঠ করলেন, (ক্বুল ইয়া আইয়ূহাল কাফিরুন) ব্যতিক্রম পড়ে ফেললেন। তখন আল্লাহ পাক নাযিল করেন, হে ঈমানদারগন তোমরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না যতক্ষনা তোমরা যা বলছো তা বুঝতে না পারো। [আসবাবুন নুযুল ১/১৪৬ ; লেখক: হযরত আবুল হাসান আলী ইবনে আহমদ ইবনে মুহম্মদ ইবনে আলী ওয়াহেদী নাইসাবুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ৪৬৮ হিজরী) ]
ভালো করে খেয়াল করে দেখেন, উক্ত হাদীছ শরীফে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক পর্যন্ত উল্লেখ নাই।
এছাড়াও আরো কিছু সনদসহ বর্ণনা দেখবো যেখানে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার কথা মোটেও উল্লেখ করা হয়নি।
বিখ্যাত ইমাম হযরত হাকিম নাইসাবুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুস্তাদরাকে অন্য স্থানে ভিন্ন ভিন্ন তিনটি সনদ উল্লেখ করে এ বিষয়ে ফয়সালা দিয়েছেন। প্রথম সনদে বর্নিত আছে,
حدثنا أبو عبد الله محمد بن يعقوب الحافظ ثنا علي بن الحسن ثنا عبد الله بن الوليد ثنا سفيان
و حدثنا أبو زكريا يحيى بن محمد العنبري ثنا أبو عبد الله البوشنجي ثنا أحمد بن حنبل ثنا وكيع ثنا سفيان عن عطاء بن السائب عن أبي عبد الرحمن السلمي عن علي رضي الله عنه قال : دعانا رجل من الأنصار قبل أن تحرم الخمر فتقدم عبد الرحمن بن عوف و صلى بهم المغرب فقرأ { قل يا أيها الكافرون } فالتبس عليه فيها فنزلت : { لا تقربوا الصلاة و أنتم سكارى }
هذا حديث صحيح الإسناد و لم يخرجاه وقد اختلف فيه على عطاء بن السائب من ثلاثة أوجه هذا أولها و أصحها
হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম বলেন, ‘জনৈক আনসার ব্যক্তি দাওয়াত দেন মদ হারাম হওয়ার পূর্বে। এমন সময় মাগরিবের সালাতের সময় হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু নামায পড়ান এবং সালাতে সূরা কাফিরূণ পাঠ করে। কিন্তু তাতে আগ পিছ হয়ে যায়। তখন নাজিল হয় তখন নাযিল হয় হে ঈমানদারগন তোমরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না’।
ইমাম হাকিম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এই হাদীছ শরীফখানার সনদ সহীহ । হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে মতবিরোধপূর্ণ তিনটি রেওয়ায়েতের সাথে এটা সম্পর্কযুক্ত নয়। বরং এটা উত্তম ও সহীহ। (মুস্তাদরাকে হাকেম : হাদীছ ৭২২০)
প্রথম সনদে হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি উনার সনদে বর্ণনা করেন। হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি উনার থেকে বর্ণনা করবেন তখন বর্ণনা গ্রহনযোগ্য হবে তা আমরা ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি যা ইমাম হাকিম রহমতুল্লাহি আলাইহি হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যায় বলছেন।
এরপর ২য় সনদে বর্ণিত হাদীছ শরীফে বোঝা যায় হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি ইমামতি করেননি। ৩য় সনদে খালিদ ইবনে আবব্দুল্লাহ তিনি হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি থেকে বর্ণনা করছেন। অথচ ইমামগন স্পষ্ট করে দিয়েছেন হযরত শোবা রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত হাম্মাদ বিন সালামা রহমতুল্লাহি আলাইহি ব্যতীত হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি থেকে বর্ণনা করলে তা গ্রহনযোগ্যই হবে না। যা ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।
আর সে বিষয়টাই এই তৃতীয় সনদে বর্ণনা করার পর ইমাম হযরত হাকিম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
هذه الأسانيد كلها صحيحة و الحكم لحديث سفيان الثوري فإنه أحفظ من كل من رواه عن عطاء بن السائب
হাদীছের প্রতিটা সনদই সহীহ কিন্তু হাদীছ সমূহের হুকুম হচ্ছে হযরত ইমাম সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি যা হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি থেকে বর্ণনা করেছেন তা নিরাপদ বা সংরক্ষিত। (মুস্তাদরাকে হাকেম : হাদীছ ৭২২২)
আর এ বিষেয়ে হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “আল ইজাবু ফি বায়ানিল আসবাব” কিতাবের ২/৮৭৩ পৃষ্ঠায় বলেন,
أصح طرقه لأن الثوري سمع من عطاء قبل اختلاطه
অর্থ: ঐ সূত্র বা সনদই সহীহ যেখানে ইমাম হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি উনার স্মৃতিশক্তি বিনষ্ট হওয়ার পূর্বে শ্রবন করেছেন।”
সূতরাং এ আলোচনা থেকে প্রমাণ হলো, নির্ভর যোগ্য রাবী হযরত হাম্মাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা যেখান থেকে প্রমাণ হয় মদপান এবং নামায কোনটাতেই হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার বিন্দুমাত্র উপস্থিতি নেই। হযরত সুফিয়ার ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে মুত্তাছিল সনদে যে হাদীছ এসেছে তাতে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। বরং যেসকল হাদীছ শরীফ সমূহে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে তা হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি উনার স্মরনশক্তি বিনষ্ট হওয়ার পরে বছরী রাবীদের দ্বারা বর্ণিত। তা মোটেও গ্রহনযোগ্য নয়।
উক্ত বর্ণনার সম্পর্কে চুড়ান্ত ফয়সালা: আলোচ্য বর্ণনার সকল মতন ও সনদ সম্পর্কে বিস্তর গবেষনা করে যেটা প্রমাণ হয়েছে,
কোন বর্ণনায় হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে দাওয়াতকারী বলা হয়েছে। কোন বর্ণনায় এসেছে আনছার ছাহাবীদের মধ্যে কেউ একজন দাওয়াত দিয়েছেন । কোন বর্ণনায় এসেছে মুহাজির ছাহাবীদের মধ্যে কেউ একজন দাওয়াত দিয়েছেন। কোন বর্ণনায় এসেছে জনৈক এক ব্যক্তি দাওয়াত দিয়েছেন। কোন বর্ণনায় এসেছে হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু নামাযে ইমামতি করেছেন। কোন বর্ণনায় এসেছে মুহাজির ছাহাবীদের মধ্যে কেউ একজন ইমামতি করেছেন। কোন বর্ণনায় এসেছে কোন ব্যক্তিকে নামাযে এগিয়ে দেয়া হলো। কোন বর্ণনায় হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আবার কোন বর্ণনায় উনার নাম পর্যন্ত উল্লেখ নাই। অর্থাৎ মতনে বা বর্ণনাটির বক্তব্যে ব্যাপক মতবিরোধ রয়েছে।
একারনে সংশ্লিষ্ট বর্ণনা সর্ম্পকে আবু দাউদ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ আওনুল মা’বুদ শরহে সুনানে আবু দাউদ কিতাবে ইমাম মুনজিরির বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন,
وَقَدْ اُخْتُلِفَ فِي إِسْنَاده وَمَتْنه
এর সনদ ও মতনে মতবিরোধ রয়েছে। (আওনুল মা’বুদ শরহে সুনানে আবু দাউদ ১০/১০৮)
হযরত ইয়াহিয়া ইবনে মুঈন রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন
قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ : لَا يُحْتَجُّ بِحَدِيثِهِ ،
হযরত ইয়াহিয়া ইবনে মুঈন রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এ হাদীছ দলীলযোগ্য নয়। (তুহফাতুল আহওয়াজী শরহে জামিউত তিরমিযী ৭/৩৪৭: হাদীছ ২৯৫২)
এ ধরনের বর্ণনাকে মুদ্বতারিব বর্ণনা বলে। যা আক্বীদার ক্ষেত্রেতো দূরের কথা আমলের বেলায়ও দলীলযোগ্য হয়না। তাই এ বর্ণনা সমূহ কোন রেফারেন্স হিসাবেই ব্যবহার করা যাবে না। (চলবে…..)