কিছু-কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করলেই, চোখের সামনে স্পষ্ট ভেসে ওঠে আমরা আসলেই আমাদের রব’কে দুনিয়ার মানুষের ওপর কতটা প্রাধান্য দেই!
কেন আমি তো আমার রবকেই সবচে বেশি প্রাধান্য দেই? দেব না কেন তিনি আমার স্রষ্টা?— হ্যা, প্রিয় ভাই আমার আমাদের এই শব্দগুচ্ছগুলো ফেসবুকের টাইমলাইন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। বাস্তব জীবনে এর প্রতিফলন নজর এড়ানোর মতোই। আমরা যখন কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পরিকল্পনা করি অথবা যেকোনো ধরণের মিটিংয়ে, যেখানে সাক্ষাৎ হবে উচ্চ-পদস্থ সব লোকের সাথে। সমাগম হবে মানুষের। তখন আমরা নিজের পোশাকের আভিজাত্যের কথাটা মোটেও ভুলে যাই না। বরং সেদিকেই নজর থাকে বেশি। মানুষের চোখে আমাকে কেমন দেখাবে? পোশাক-আশাকে স্মার্ট হতে হবে।
কিন্তু যখন দ্বীনের বিষয়গুলো সামনে আসে, তখন আমরা ছেড়া-ফাটা আর অপরিচ্ছন্ন পোশাককেই তাকওয়া আর বুজুর্গির প্রতিফলন বানাই। আফসোস! আমাদের সাঁজগোজ আমার রবের জন্য নয়। যখন মসজিদে নামজে যাই তখনও পোশাকের ব্যাপারে বড়ই উদাসীন থাকি। কোনো রকমে একটা পরলেই তো হলো। কিন্তু একটা বার চিন্তা করুন, দুনিয়ার মানুষের সামনে গেলে আপনি নিজের পোশাকের আভিজাত্যের কথাটা মোটেই ভুলে যান না, সেখানে সৃষ্টিজগতের প্রতিপালকের বারগাহে দাঁড়াতে আপনি কতটা সচেতন ছিলেন? তাহলে আবার রবের চেয়ে মানুষকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না তো?
আমার রব তায়ালা পবিত্র কালামে ফুরকানে ইরশাদ ফরমাচ্ছেন-
يَا بَنِي آدَمَ خُذُواْ زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ
‘হে বনী আদম! তোমরা সুন্দর পোশাক পরিধান করো যখন মসজিদে যাবে।’ [সূরা আরাফ, আয়াত : ৩১]
আমরা রব বান্দার ওপর তাঁর দান করা নিয়ামতের প্রভাব দেখতে চান। যিনি আমাকে সৃষ্টি করলেন, এতো এতো নিয়ামত দিলেন— আমার ফ্যাশনগুলো যদি তাঁর জন্য না হয় তো হবে কার জন্য?
আমার এবং আমাদের সকল কিছুই যেন হয় শুধুমাত্র আমার রব তায়ালার জন্য।
~ স্বাধীন আহমেদ