পথিকৃৎ

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

—–পথিকৃৎ—-

কাজী আহমদ এয়ার খান নাহিয়ান

চলিছে পথিক,তিমির রাত্রি,
একেলা নিঝুম পথে
চক্ষু তাহার ভ্রমিতেছে হায়,
মুসাফির মুসিবতে ।

পথের প্রান্তরে শেয়ালের ডাক,
নিশিথে দানিল ভয়,
ভয়ার্ত পথিক চলিছে কাঁপিয়া
তবু,মানে নাই পরাজয়।।

পান্থ দেখিল পথেরি পাশে
আঁকা-বাঁকা মোড় কত,
দিশাহীন পথে ছুটিবে কোথায়?
বাঁধা যেথা অবিরত ।।

দূরপথ রেখা,পাইল না দেখা;
নাই কেন কোন আলো,
ঘনিয়াছে যেন আমাবস্যার রাত,
চারদিকে ঘোর কালো।।

মেঠোপথ পাশে বায়ে শত মোড়,
ডানে দেখে সোজা হেথা,
বিষাদগ্রস্থ পথিকের বুকে
তাই বিধিঁল ভয়ের ব্যাথা।।

সহসা তন্দ্রা লাগিল নেত্রে,
 শক্তি   পাইল   বুকে;
“হস্তে প্রদীপ,আলোকিত তায় “
হেরিল সে একোন লোকে?

এবার ঘুম ছুটিয়া পালাইল,
চক্ষু  উঠিল  জাগি,
দিগন্তে কোন প্রদীপ চিহ্ন
দিশা দিল তার লাগি?

অদূরে পথিকৃতের প্রদীপ
দিশা দেয় যেই আলো,
সে আলোয় পথিক খুজে পেল পথ
পেল সত্যের সব ভালো।।

পথিকৃৎ যেন বলিল তাহাকে
এসো এসো এই দিকে-
সত্যের পথ,সাম্যের পথ-
শান্তিচিহ্ন লিখে।।

পথিকৃতের পদধ্বনি শুনি,
পথিক ছুটিয়া চলে
চির- চেনা গন্তব্যে পৌঁছিল তায়
দিশারির আলো জ্বলে।।

পথিক বুঝিল এইবারঃযদি চলে
দিশাহীন,পথহারা প্রান্তরে
সর্বহারার দুয়ারে ভিড়িবে
         –ক্রন্দন অন্তরে।।

বিঃ দ্রঃ উপরোক্ত কবিতাটি রূপক কবিতা
—–শব্দ চাবি—–
পথিকৃৎ — আ’লা হযরত রহ.কে বুঝানো হয়েছে।
তিমির – আঁধার।
ভ্রমিতেছে– ভ্রম হচ্ছে।
নিশিথ– রাত্রি।
দানিল- দিল/ দান করল।
পান্থ- পথিক।
হেথা- এখানে।
তন্দ্রা- ঘুম।
নেত্র- চোখ। হেরিল– দেখল
দিশা দিল– চিনিয়ে দিল
তার লাগি– তার জন্য।
পথিকৃৎ – যে পথ দেখায়।
শান্তিচিহ্ন– ইসলামের চিহ্ন
পথহারা — পথ(মাযহাব)হারা বা লা-মাযাহাবি বোঝানো হয়েছে।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment