রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসালাম) হাজির নাজির হওয়ার বিষয়ে:-
قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه وسلم.وقد رأيتني في جماعه من الأنبياء، فإذا موسي قائم يصلي،فاذا رجل ضرب،جعدكأنه من رجال شنوءة،واذا عيسي ابن مريم عليه السلام قائم يصلي،اقرب الناس به شبها عروة بن مسعود الثقفيّ،واذا ابراهيم عليه السلام قائم يصلي،اشبه الناس به صا حبكم يعني نفسه قحانت الصلاة فأممتهم
রাসুল (দ) বলেন আমি মেরাজ রাত্রে আম্বিয়া (আ) এর বিরাট এক জামাআতকে দেখেছি,মুসা (আ)কে তার কবরে নামাজ পডতে দেখেছি।তাকে দেখতে মধ্য আকৃতির চুল কোকডানো সানওয়া দেশের লোকের মত।এর পর আমি ইসা (আ)কে দন্ডায়মান অবস্হায় নামাজ পডতে দেখেছি,তিনি দেখতে ওরওয়া ইবনে মাসউদ সাকাফী (রা) মত।তারপরে নামাজের সময় আসলো আমি সকল নবী রাসুল (আ) এর ইমামতি করলাম।
সুত্র:-মুসলিম শরীফের,ফাজায়েলে মুসা (আ) ১/১৫৭ হাদীস ১৭৩,
🍒 সম্মানীত ভাইয়েরা অন্যান্য নবীগন যদি একি সময় কখনো কবরে আর কখনো মসজিদে বা বিভিন্ন স্হানে থাকতে পারে, তাহলে সমস্হ নবী থেকে আমাদের নবীর ক্ষমতা নিশ্চয়ই বেশী,তাহলে আমাদের নবী কেন একি সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্হানে কেন আসতে পারবেনা?নিশ্চয়ই আমাদের নবী(দ) আপন ইচ্ছায় যেখানে ইচ্ছা সেখানে আসতে পারেন।
🍒বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস জালালুদ্দীন সুয়ুতী (র) বলেন যদি কেউ বিশ্বাস করে,হুজুর (দ) এর রুহ মোবারাক ও তার জিসমে মিছালী মিলাদ পাঠের সময়,রমজানে খতমে কোরআনের সময় এবং নাত পাঠ করার সময় উপস্হিত হয়,তবে এ বিশ্বাস পোষন করা জায়িজ।
সুত্র:-শরহুস সুদুর
🍒বিশ্ব বিখ্যাত মুফাস্সির আল্লামা ইসমাইল হক্কী (র) সুরা মুলুকে ২৯ নং আয়াতের ব্যখ্যায় তাফসীরে রুহুল বায়ানে লিখেন,ইমাম গাযযালী (র) বলেছেন,হুজুর (দ) সাহাবীদের রুহ মোবারক সাথে নিয়ে জগতের বিভিন্ন স্হানে পরিভ্রমনের ইখতিয়ার আছে।তাই অনেক আউলিয়ায়ে কিরাম তাদেরকে দেখেছেন।
🍒এজন্য শিফা শরীফে কাজী আয়াজ (র) লিখেন,
قال ان لم يكن في البيت احد فقل السلام علي النبي ورحمة اللّٰه وبركاته
অর্থাৎ যে ঘরে কেউ না থাকে সে ঘরে (প্রবেশের সময়) বলবেন, হে নবী আপনার প্রতি সালাম,আপনার উপর আল্লাহর অশেষ রহমত ও বরকত।
সুত্র:-শিফা শরীফ,তাহরীফে হুকুকে মোস্তফা ২/৪৩পৃ:।
এর ব্যাখ্যায় মোল্লা আলী কারী (র) শরহে শিফা ২/১১৮পৃ: বলেন।
اي لان روحه عليه السلام حاضر في بيوت اهل الإسلام অর্থাৎ, কেননা রাসুল(দ) এর পবিত্র রুহ মোবারাক মুসলমানদের ঘরে ঘরে বিদ্যমান।
🍒এজন্য হাদীস শরীফে নবীজি মসজিদে প্রবেশে নিজের উপর নিজে সালাম দিয়ে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন-
كان رسول اللّٰه صلي اللّٰه عليه وسلم اذا دجل المسجد قال السلام على النبي ورحمة اللّٰه
অর্থাৎ রাসুল (দ)যখনি মসজিদে প্রবেশ করতেন তিনি বলতেন আল্লাহর নবীর উপর সালাম ও রহমত।
🍒এ প্রসঙ্গে মোল্লা আলী কারী (র) মিরকাতের ২য় খন্ডে মাসাজিদ অধ্যায়ে লিখেন-ইমাম গাযালী (র) বলেছেন-فانه عليه السلام يحضر في المسجد কারন রাসুল(দ) মসজিদ সমুহে বিদ্যমান আছেন।