খুশির দিনে সবাই খুশি উদযাপন করবে এটাই স্বাভাবিক। এই দিনেও যদি কেউ কান্না করে, তাহলে ব্যাপারটা অস্বাভাবিকই বটে।
এমনি এক ঈদ-উল-ফিতরের কথা। মুসলমানদের সবচে খুশির দিনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দিন। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর অঢেল খুশি নিয়ে হাজির হয় ঈদ-উল-ফিতর। মুসলমানদের অন্তরে বইতে থাকে খুশির ফোয়ারা। স্বাভাবিকভাবেই সবাই সেদিন খুশি উদযাপনে ব্যস্ত যে-যার মতো করে।
হঠাৎ মাথায় আসলো আমিরুল মু’মিনীন কোথায়? খোঁজতে সাহাবীরা রওনা হলো ফারুকে আজম রাদ্বিআল্লাহু আনহু’র বাড়ির দিকে। দরজায় সামনে যেতেই আবু হুরায়রা রাদ্বিআল্লাহু আনহু শুনলেন– ভেতর থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে। সবাই মূহুর্তের জন্য স্তব্ধ। সম্ভবত ওমর রাদ্বিআল্লাহু আনহু কাঁদছেন!
অনেক অনুনয়-বিনয়ের পর দরজা খোলা হলো। যা ভেবেছিলেন ঠিক তাই। জিজ্ঞেস করা হলো– এই ঈদের দিনে আপনি কাঁদছেন? ফারুকে আজম রাদ্বিআল্লাহু আনহু’র জওয়াব আসলো– নিঃসন্দেহে ঈদের দিন খুশির দিন, তবে যাদের সিয়ামগুলো আল্লাহর দরবারে মকবুল হয়েছে। আমি আক্বা কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি– ‘যে রমাদ্বান পেল, কিন্তু গুণাহের মাগফিরাত করাতে পারল না, সে দূর্ভাগা।’
আমি তো এখনো নিশ্চিতভাবে জানি না, আমার রোজা, সাহরী, ইফতারসহ নেক আমলগুলো আদৌ আমার রব কবুল করেছেন কি-না! সেই আমি; কিভাবে আনন্দ উদযাপন করি!
‘খলিফাতুল মুসলিমীন এর ঈদ- ২’
__স্বাধীন আহমেদ আত্তারী