প্রকৃত বন্ধু বাছাই..

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

অতি কাছের বন্ধুর থেকেও প্রতারণা কিংবা বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আসে অহরহ। যার সাথে অন্তরঙ্গতারও কমতি ছিল না। বন্ধুতের সময়কালটাও ছিল দীর্ঘ।

কিন্তু তার কাছ থেকে পাওয়া গেল এমন ব্যবহার, যার আশা আপনি কল্পনায়ও করতেন না। আক্বা কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন– ‘মানুষ তার বন্ধুর দ্বীন এবং চালচলনের ওপর হয়ে থাকে। অতএব এটা খুব জরুরি যে, তার দেখা উচিত সে কার সাথে বন্ধুত্ব রাখছে।’ [১] স্পষ্ট বুঝা যায়, বন্ধুর চালচলন এর প্রভাব গভীরভাবে আপনার ওপর পরে। তাই বন্ধু নির্বাচনে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, যেনো এই সংস্পর্শ দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষতির সম্মুখীন না করে বসে।

কিভাবে সঠিক বন্ধু বাছাই করবেন? ইসলাম এর কিছু প্যারামিটার দিয়েছে। আক্বা কারীম আলাইহিস সালাম বলেন– ভালো বন্ধুর উদাহরণ আতর বিক্রেতার মতো। হয়তো আপনি তার থেকে আতর কিনে নিবেন, না হয় সে এমনিতেই দিবে। আর তাও যদি না হয়, তার কাছ থেকে আপনি সুগন্ধটা কমপক্ষে পাবেন। আর মন্দ সাথীর উদাহরণ চুল্লী প্রজ্বলনকারীর মতো। সেখানে গেলে হয়তো, আপনার কাপড় জ্বালিয়ে দিবে না হয় দুর্গন্ধ পাবেন তার কাছ থেকে। [২]

উত্তম বন্ধু কে? এই প্রসঙ্গে আক্বা কারীম আলাইহিস সালাম ফরমান– উত্তম সাথী হলো সে, যাকে দেখলে তোমার আল্লাহর কথা স্মরণ হয়, যার কথা শুনলে নেক আমল বৃদ্ধি পায় এবং তার আমল তোমাকে আখিরাতের স্মরণ করিয়ে দেয়। [৩]

এই মোতাবেক যদি হয় আপনার বন্ধু নির্বাচন, তাহলে আপনাকে আর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে না। সেটা দুনিয়া হোক কিংবা আখিরাতে। ইরশাদ হচ্ছে– মানুষ হাশরে তার সাথেই থাকবে, যাকে সে ভালোবাসে। তাই যার সাথে বন্ধুত্ব রাখছেন, খেয়াল রাখবেন– সে যেন হয় দ্বীনমুখী। তাকে দেখলে যেনো এই ধারণাটা আসে– হাশরে এই মানুষটা হয়তো নেককারদের দলে থাকবে।

Reference:

[১] আল মুসনাদ লিইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ৩/২৩৩, হাদীস- ৮৪২৫।

[২] সহিহ মুসলিম, ১০৮৪ পৃষ্ঠা।

[৩] জামেউস সগীর, ২৪৭ পৃষ্ঠা।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment