নামাজ ছাড়াও ১১ স্থানে আজানের বিধান

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

আব্দুল আজিজ আনোয়ারী

সাধারণ মানুষ মনে করে শুধু নামাযের জন্য আযান দেয়া হয়। এটা ধর্মীয় জ্ঞানের স্বল্পতা।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও জুমার নামাজ ছাড়াও আরো ১১স্থানে আযান দেয়ার কথা হাদিস-ফিকহ্’র কিতাবে এসেছে।

১.নবজাতক সন্তান জন্মগ্রহণের পরপর কানে আযান দিতে হয়।

২.অগ্নিকাণ্ড দেখলে হাদিস শরীফে আযানের নির্দেশ আছে।

৩.যুদ্ধ যখন তুমুল ও চরম আকার ধারণ করে তখনো আযান দেয়ার বিধান আছে।

৪.কোন ব্যক্তির উপর জিনের আছর হলে কিংবা কোন ঘরে দুষ্ট জিনের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে তখনো আযান দিয়ে এদেরকে তাড়াতে হয়।

৫.কবর তালক্বীনে আযান দেয়ার কথা হাদিসেই রয়েছে।

৬.কারো রাগ প্রশমনে,কিংবা দুঃশ্চিন্তা দুরীকরনে আযান খুব উপকারী।

৭.মৃগী রোগীর হুশ আনতে এবং মূর্ছা যাওয়া/অজ্ঞান হওয়া ব্যাক্তির হুশ-জ্ঞান ফিরিয়ে আনতেও আযান একটি কার্যকর ও পরীক্ষিত তদবীর।

৯.মুসাফির পথ হারিয়ে ফেললে আযান দিলে আল্লাহ পাক রিজালুল গায়েব দ্বারা তাকে পথ দেখান।

১০.মহামারীর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেলেও আযান দিতে হয়।

১১.ভুমিকম্প হলে একমাত্র কাজ আযান দেয়া।

(সুত্রঃ মেরাত শরহে মিশকাত, দুররে মোখতার ও রদ্দুল মোহতারের বরাতে, ১ম খন্ড কিতাবুল আযান)

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment