কবরে আযানের ১৫টি উপকারিতাঃ
📝আব্দুল আজিজ আনোয়ারী
১.আল্লাহর মেহেরবানীতে শয়তান থেকে মুক্তি।
২.আযানের তাকবীর গুলোর উসিলায় আগুনের(জাহান্নামের) আযাব থেকে মুক্তি।
৩.সাওয়াল জবাব স্মরণ হয় ও আসান হয়।
৪.যেহেতু আযানের আরেক নাম জিকর,এর কারনে আযাবে কবর থেকে নাজাত লাভ করে।
৫.যেহেতু আযানে জিকরে মুস্তফা আছে, এটা রহমত নাযিলের অন্যতম উসিলা।
৬.আযানের বদৌলতে ভীতিকর পরিস্থিতি وحشتদুর হয়।
৭.দুশ্চিন্তা দুর হয়,আনন্দ লাভ হয়।
(এ সাতটি স্পেশাল মাইয়াতের জন্য খাস)
বাকী আটটি জীবিত সকল মুসলমানদের জন্য।
৮.আযান দিলে মাইয়াতের পক্ষে এবং শয়তানের বিপক্ষে তদবীর করার মাধ্যমে সুন্নতের অনুসরণ হয়।
৯.মুনকার-নাকীরের সাওয়াল জবাব জানিয়ে দেয়ার মাধ্যমে এবং মাইয়াতের উপকার করার মাধ্যমে কোরানের আয়াত(وذكر فان الذكري تنفع المؤمنين)র উপর আমল হয়।
১০.”কবরের পাশে তাকবীর পড়ো” এই হাদিসের উপর আমল হয়।
১১.জিকিরের ফজিলতের উপর অসংখ্য কোরানের আয়াত ও হাদিসের উপর আমল হয়।
১২.আযান একটা দোয়া। “মাইয়াতের জন্য দোয়া করো”রাসুলে পাকের এই নির্দেশও বাস্তবায়িত হয়।
১৩.আযানে নবীর জিকির থাকার কারনে রহমত নাযিলের কারন হয়।
১৪.আযান একটা দোয়া,আর দোয়া এবাদতের মগজ তথা মুল।হেতু কবরে আযান দিলে সে মগজ ইবাদত করার সৌভাগ্য অর্জিত হয়।
১৫.আযান দেয়ার আলাদা ফজিলত আছে। আর তা হলো আযান যতদূর শোনা যায় ততদুর পর্যন্ত সব বস্তু মুয়াজ্জিনের পক্ষে ক্ষমা চায়,তার পক্ষে ঈমানের সাক্ষ্য দেয়।কবরে আযান দিলে সে ফজিলতটাও অর্জিত হয়।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আজানের মুল বাক্য ৭টি আর মোট বাক্য ১৫টি। আজকের আলোচনায় কবরের আযানে মাইয়াতের ফায়দা ৭টি আর মোট ফায়দা ১৫টি। সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আকবার।
আর সবতথ্য ফতোয়া রজভীয়া থেকে সংগৃহীত।