আযানের দু’আয় ওয়াদ্দারাজাতার রফি’আহ যোগ করা প্রসঙ্গ

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

আমরা অনেকেই আযানের দু’আ হিসেবে পড়ে থাকি যার বাংলা উচ্চারণ অনেকটা এরকম

❝আল্লাহুম্মা রব্বাহাযিহিদ দা’ওয়াতিত তাম্মাহ।ওয়াসসালাতিল ক্ব-ইমাহ। আ-তি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদ্বিলাতা ওয়াদ দারাজাতার রফি’আহ’। ওয়াবাআছহু মাক্বোমাম মাহমুদানিল্লাযি ওয়া’আদতাহ। ওয়ারযুক্না শাফাআতাহু ‘য়াওমাল ক্বিয়ামাহ। ইন্নাকা লা তুখলিফুল মি’আদ।❞

অনেকে ‘ওয়াজাআলনা শাফাআতাহু ইয়াওমাল ক্বিয়ামাহ’ এভাবেও পড়েন।

আযানের দু’আয় শাফায়াতের শব্দযোগ করার ব্যাপারে আপত্তি উঠলে আমরা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।যা এই লিংকে  দেখে নেওয়া যেতে পারে।

দ্বিতীয় এক আপত্তি তোলা হয়েছে, যেখানে বলা হচ্ছে ‘ওয়াদ্দারাজাতার রাফিয়াহ’ শব্দযুগল নাকি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। এক্ষেত্রে আমরা প্রথমে আপত্তিকারকের আপত্তি বিশ্লেষণ করবো, এরপর জবাবের দিকে অগ্রসর হবো, ইন শা আল্লাহ।

স্ক্রিনশটে দেখাই যাচ্ছে, হাফেয ইবনু হাজার আস্কালানি রহি. এর বক্তব্য তুলে ধরে বলা হয়েছে উনি নাকি বলেছেন,❝এই হাদিসের কোনো সনদসূত্রেই এর উল্লেখ নেই।❞

এবার পূর্ণ বক্তব্যটি তুলে ধরা যাক। 

হাফিয বলেন,

من المحبوبات أن يصلى المؤذن وسامعه على النبي ﷺ بعد الأذان ويقول : «اللهم رب هذه الدعوة التامة ، والصلاة القائمة ، آت محمد الوسيلة، الفضيلة، والدرجة الرفيعة ، وابعثه المقام المحمود الذي وعدته ،أخرجه مسلم وغيره من حديث عبد الله بن عمرو أنه سمع النبي ﷺ يقول : إذا سمعتم المؤذن فقولوا مثل ما يقول ثم صلوا علي الحديث . وأخرج البخاري وأصحاب السنن من حديث جابر مرفوعا و من قال حين يسمع النداء ، اللهم رب هذه الدعوة التامة … » الحديث ، لكن ليس فيه والدرجة الرفيعة ، وقال : مقاما محمودا ، وعند النسائي ، وابن خزيمة بالتعريف فيهما ، وليس في شيء من طرقه ذكر الدرجة الرفيعة

 এটা পছন্দ করা হয়েছে (المحبوبات) যে, মুয়াজ্জিন যখন আযান দেয় তারপরে দুরুদ পড়ে যেনো এরকম বলা হয়, ‘আল্লাহুম্মা রব্বাহাযিহিদ দা’ওয়াতিত তাম্মাহ।ওয়াসসালাতিল ক্ব-ইমাহ। আ-তি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদ্বিলাতা ওয়াদ দারাজাতার রফীয়া’। ওয়াবাআছহু মাক্বোমাম মাহমুদানিল্লাযি ওয়া’আদতাহ।’ এটা হযরত আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর রা. এর হাদীস থেকে ইমাম মুসলিম রহ. এবং অন্যান্য ইমামগণ বর্ণনা করেছেন।তিনি নবিজী ﷺ কে বলতে শুনেছেন,❝ তুমি আযান শোনার সময় মুয়াযযিন যা বলে তা ই বলবে এবং এরপর আমার ওপর দুরুদ পাঠ করবে।❞  আবার ইমাম বুখারী এবং সুনান প্রণেতাগণ (অর্থাৎ সুনানে আরবাআ) বর্ণনা করেছেন সে হাদিস যার ভাষ্য হল, ❝ যে নিদা/আহবান তথা আযান শুনে অতঃপর সে যেনো বলে, আল্লাহুম্মা রাব্বা হাযিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ…।❞ হযরত জাবের রা. থেকে মরফু সূত্রে এ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে ‘ওয়াদ্দারাজাতার রাফিয়াহ’ নেই। বরং আছে ‘মাক্বোমাম মাহমুদা’! নাসায়ি এবং ইবনু খুযাইমাতেও এটাই লক্ষণীয়। কিন্তু এ জিনিসটি অর্থাৎ দারাজাতার রাফিয়াহ সেসবের কোনো সূত্রেই উল্লিখিত নেই।❞ 

ইমাম ইবনু হাজার ‘طرقه বা সে সকল তুরুক বা পদ্ধতি তথা সনদে‘ — দারাজাতের কথা উল্লেখ নেই বলেছেন। এখন প্রশ্ন হলো কোন সকল সনদে? কেনোনা ‘তুরুকিহি’ দ্বারা ‘সেসব সনদ’ বুঝানো হয়। এখানে ه/হি এর নিসবত হলো উল্লিখিত কিতাবগুলোর দিকে।অর্থাৎ সোজা কথায় ইবনু হাজার বলেছেন, সিহাহ সিত্তাহ এবং ইবনু খুযাইমার যেসব হাদিসের কথা উনি উল্লেখ করেছেন, সেগুলোতে সনদ সহকারে এ শব্দগুলো পাওয়া যায়না। এর দ্বারা উক্ত সাত কিতাবের বাইরে এই হাদিসের উল্লেখ থাকার পক্ষে ‘নফি’ বা ‘না বোধকতা’ প্রতিষ্ঠিত হয়না।

দ্বিতীয় জবাব হলো, ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী রহি. এই বক্তব্য শুরু করেন এভাবে, من المحبوبات বা ‘পছন্দনীয় কাজ গুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো’ — যা ‘দারাজাতার রাফিয়াহ’ কথাকে ‘মুস্তাহাব’ হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। 

হাফেয সাখাভী এবং শায়খুল ইসলাম ইবনু হাজার মাক্কি রহি. এর বক্তব্য মুহাদ্দিসানা। এবং এর উপস্থিতি অন্য কোনো বর্ণনায় আছে কিনা, খতিয়ে দেখা দরকার।

প্রমাণ ১

আল্লামা ইবনে তায়মিয়া আল হাররানি উনার মজমু’আতুল ফাতাওয়া গ্রন্থের ১ম খণ্ডে নবি ﷺ এঁর জীবদ্দশায় উসিলা তালাশের দলিল দিতে গিয়ে সহিহ বুখারীর রেফারেন্সে হযরত জাবির রা. এর হাদিস উল্লেখ করেছেন দারাজাতার রফি’আহ শব্দে।

একটু আশ্চর্য হয়েছিলাম এই রেফারেন্স দেখে। কারণ ইবনে তায়মিয়ার মতো লোক যে কিনা নিজের পক্ষের হাদিস না হলে অপকটে সহিহ কে ছলে বলে দূর্বল বানায়, তার পক্ষে ‘অপ্রমাণিত’ শব্দ সহকারে হাদিস বর্ণনাটা এক প্রকার অসম্ভব মনে হয়। তথাপি ধরে নেয়া যায় যে ইবনে তায়মিয়া বেখেয়ালে এই হাদিস বুখারির দিকে নিসবত করেছেন।

কিন্তু উনার ছাত্র ইবনুল কাইয়্যিম এর দ্বারাও এই হাদিসের উল্লেখ থাকা আমাদেরকে একটু ভাবার জন্য বাধ্য করে যে, আসলেই এই হাদিসের কোনো রেফারেন্স আদৌ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা আবশ্যক!

প্রমাণ ২:

হাফেয ইবনুল কাইয়্যিম আল-জাওযিয়াহ স্বীয় হাদিয়িল আরোয়াহ ইলা বিলাদিল আফরাহ গ্রন্থে في ذكر أعلى درجاتها واسم تلك الدرجة অধ্যায়েও একই কাজ করেছেন।

প্রমাণ ৩:হাফেয ইবনুল কাইয়্যিম আল-জাওযিয়াহ উনার আরেক গ্রন্থ সিফাতুল জান্নাত গ্রন্থের (দারুল কুতুব ইলমিয়াহ,তাহকিক আলি আল-ত্বাহতাভি) ৪৪ পৃ. সহিহাইনের বরাতে শব্দগুলো সহ এই হাদিস উল্লেখ করেছেন।

প্রমাণ ৪:

হুযুর গাউসুল আযম দস্তগীর মেহবুবে সুবহানি গাউসে সামাদানি শায়খুল ইসলাম ইমাম মুহিউদ্দীন আবু মুহাম্মাদ আবদুল ক্বাদের আল জিলানি কুদ্দিসাস সিররুহ স্বীয় ‘গুনিয়াহ লি ত্বালিবিত ত্বারিকিল হাক্ব’ গ্রন্থের ১ম খন্ডে ইমাম মুহাম্মাদ বিন মুনকাদির হয়ে হযরত জাবির রা. এর সূত্রে দারাজাত শব্দযোগে হাদিস উল্লেখ করেছেন।


প্রমাণ ৫: 

আল্লামা হাফেয ইউসুফ বিন ইসমাইল আন-নাবাহানি প্যালেস্টাইনি রহ. জাওয়াহিরুল বিহার ফি ফাযায়েলে নবিয়্যিল মুখতার গ্রন্থের ৩য় খন্ডে হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম আবু হামিদ গাযালিরহ. এর ‘ফাদ্বিলাতুস সালাতি আলা রাসুলিল্লাহ ﷺ’ গ্রন্থের উদ্ধৃতি টেনে বলেন, ইমাম গাযালি ঐ কিতাবে দারাজাত শব্দ সহকারে হাদিসটি বর্ণনা করেন।

প্রমান ৬:

ইমাম গাযালি রহ. সুলওয়াতুল আরিফিন গ্রন্থের প্রথম খন্ডে (দারুল কুতুব ইলমিয়াহ) নবি ﷺ থেকে হাদিস হিসেবে সেসব শব্দ সহকারে আযানের দুয়া উল্লেখ করেছেন। 

প্রমাণ ৭: 

আল্লামা ইমাম বুরহানুদ্দিন আল-লাক্বানি (১০৪১ হি) উনার ‘উমদাতুল মুরিদ লি জাওহারাতুত তাওহিদ, আল মুসাম্মা শরহুল কবির‘ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডে ❝আমি বলছি: নিশ্চয়ই (ফাক্বাদ) নবিজি ﷺ আদেশ করেছেন…❞ মর্মে উল্লেখ করে আযানের দু’আয় দারাজাতের শব্দ অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

প্রমাণ ৮: 

শাফি’য়ি মাযহাবের মুজতাহিদতূল্য ব্যক্তিত্ব দামেষ্কের প্রধান বিচারপতি শায়খুল ইসলাম হাফেয ইবনু দাক্বিক আল-ঈদ রা. (৭০৬হি.) উনার আল-ইলমাম বি আহাদিসিল আহকাম (দারুল কুতুব ইলমিয়াহ) গ্রন্থে ইমাম মুসলিমের সূত্রে হযরত জাবির রা. এর পদ্ধতিতে আযানের দু’আয় দারাজাতের শব্দ অন্তর্ভুক্ত করে হাদিস উল্লেখ করেছেন। 

প্রমাণ ৯: আক্বিদার মাস’আলায় পুরোধা ব্যক্তিত্ব শায়খুল ইসলাম শিহাবউদ্দিন আল-ক্বিরাফি আল-মালিকি (৬৮৪ হি.) উনার বিশ্বনন্দিত আল-ফুরুক্ব গ্রন্থে এই হাদিস উল্লেখ করেন।

প্রমাণ ১০:

আল-ফুরুক্ব গ্রন্থের ফুটনোটে আল্লামা আবুল কাসিম ইবনুশ শা—ত্ব আল-সাবিতি আল মাগরিবি আল মালিকি (৭২৩হি.) উনি উল্লেখ করেছেন একই হাদিস।

প্রমাণ ১১:

কিংবদন্তি হাদিস বিশারদ যার উপাধী হল ‘রুকুনউদ্দিন‘ বা দ্বীনের স্তম্ভ এবং ‘মুহিউস সুন্নাহ‘ বা সুন্নাহকে পুনঃজীবন দানকারী ইমাম আবুল ফাররা আল-বাগাভি (৫১৬ হি.) উনার মাসাবিহুস সুন্নাহ গ্রন্থে হযরত জাবির রা. এর বরাতে এই হাদিস সনদবিহীন ভাবে উল্লেখ করেছেন যেখানে ‘ওয়াদ্দারাজাতার রাফিয়াহ’ শব্দ উল্লেখ আছে। 

মাসাবিহের সমস্ত ব্যাখ্যাগ্রন্থগুলো যেমন, শরহে আল্লামা কিরমানি,তালভিহ ,মুয়াসসির প্রভৃতিতে এসব শব্দেই হাদিস উল্লেখ করেছেন ইমামগণ, অথচ কোনো মন্তব্য করেন নি। 

প্রমাণ ১২:

আল্লামা ইবনুস সুন্নি আলাইহির রাহমাহ (৩৬৪ হি.) বিখ্যাত আমালিল ইয়াওমি ওয়াল লায়লাহ কিতাবের মধ্যে সনদ সহকারে এই হাদিস পূর্ণরূপে মাওজুদ আছে। ইবনুস সুন্নির বর্তমান অনেক নুস্খায় এশব্দগুলো পাওয়া না গেলেও এশব্দগুলো যে পুরাতন কিছু পাণ্ডুলিপিতে ছিলো এটা খোদ আলবানি পর্যন্ত স্বীকার করেছে।

হাফেয ইবনু হাজার এর মতামত এবং সাখাভীকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সে শব্দগুলোকে হাদিসের অংশ নয় বলে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত প্রদান করলেও ইবনুস সুন্নির প্রাচীন পাণ্ডুলিপিগুলোকে সে অস্বীকার করেনি। আর এটাই ইবনুস সুন্নির হাদিসের অস্তিত্বশীলতার প্রমাণ।

প্রমাণ ১৩:

আল্লামা মোল্লা আলি ক্বারি মিরকাত গ্রন্থে দারাজাতার রফি’আহ এর আলোচনা কালে সাখাভীকে প্রাধান্য দিয়ে উনার মতামত বর্ণনা করলেও


শরহুশ শিফা 
গ্রন্থে এটা স্বীকার করেছেন যে বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস কাযি আবুল ফযল আইয়ায রহ. উনার শিফা শরিফ গ্রন্থে এই হাদিসকে এসব শব্দ সহকারে উল্লেখ করেছেন
 বলে বিভিন্ন নোস্খায় পাওয়া যায়।

প্রমাণ ১৪

আল্লামা হাফেয আবদুল হক ইশবিলি (৫৮১হি.) উনার কিতাবুত-তাহাজ্জুদ গ্রন্থেও এই হাদিসটি বুখারীর সূত্রে অথচ ওয়াদ্দারাজাতার রাফিয়াহ শব্দে উল্লেখ করেন।

এভাবে অগণিত ফিক্বহ এবং মাসনূন যিকরের গ্রন্থ সমূহতে এই দু’আ এসব শব্দ সহকারে উল্লেখ আছে যা কোনোমতেই অগ্রাহ্য নয়।

মোটকথা হল, হাফিয ইবনু হাজার যা বলেছেন তা ঐসব কিতাবের জন্য সত্যই বটে। আবার হাফেয সাখাভী কোনো রেওয়ায়তে খুজে না পাওয়া, এটা মুহাদ্দিসদের নিকট আশ্চর্যের কিছু নয়। অন্যদিকে ইমাম ইবনু হাজার মক্কির ‘কোনো ভিত্তি নেই’ এর বিপরীতে অনেক ফকিহ মুহাদ্দিসকে দেখা যায় এটা বর্ণনা করতে যারা নিজেরাই ভিত্তি হিসেবে পরগণিত হন।

১।শায়খুল ইসলাম গাউসুল আযম জিলানি

২।ইমাম মুহিউস সুন্নাহ বাগাভি

৩।আল্লামা ইমাম ইবনুস সুন্নি

৪।ইমামুল হুমাম আবু হামেদ গাযালী সহ অনেক ফকিহগণের দ্বারা স্থানে স্থানে এই রেওয়ায়তের উল্লেখ করাটা ‘দারাজাতার রাফিয়াহ’ শব্দযুগল হাদিসের অংশ হবার পক্ষে জোর দাবি জানায়। 

তবে এখানে বিবাদের কিছুই নেই, নবি ﷺ এর শান আযমত বাড়ানোর ব্যাপারে কেউ কাউকে জবরদস্তি করতে পারেনা। একারণে ফতোয়ায়ে শামির ফুটনোট জাদ্দুল মুমতার এ আ’লা হযরত আযিমুল বরকত ইমামে ইশক্বো মুহাব্বাত আহমদ রেযা খান মুহাদ্দিসে বেরেলভি কুদ্দিসাস সিররুহ, ইবনু হাজার মক্কির ‘ভিত্তি নেই’ এর জবাবে বলেন,

قلت: ومع ذلك لا يمنع منهما فإن زيادة خير خير، كما زاد عمر وابنه رضي الله تعالى عنهما في التلبية كما ثبت في الصحاح، والله تعالى أعلم

❝আমি বলছি: (ইমাম ইবনু হাজার মক্কির বক্তব্যের সূত্রে) এতদসত্ত্বেও আযানের দুয়ায় শব্দযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়না। কেননা উত্তম শব্দ বর্ধিতকরণের ধারণাটাও উত্তম। যেমনটা সহিহ হাদিসে পায় যায় যে, সাইয়্যিদুনা উমর এবং উনার পুত্র রা. তালবিয়া পাঠকালে শব্দ বর্ধিত করেছেন।❞

শেষকথা হচ্ছে, তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেয়া হয় যে আযানের দু’আয় ওয়াদ্দারাজাতার রাফিয়াহ যোগ করা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয় বলে পাঠ করা বিদ’আত, তবে এ ধারণাটি ভুল। এবং দ্বিতীয়ত বিস্তারিত গবেষণা প্রমাণ করে যে ওয়াদ্দারাজাতার রাফিয়াহ শব্দ হাদিস শরিফেও অস্তিত্বশীল আছে।

মা’আসসালাম।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment