অন্তর কেন কঠিন হয়ে যায়?

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

ক্বলব কেন কঠিন হয়ে যায়?

মুসলিম উম্মাহ আজ যে সব মহাপরীক্ষা, মহা মুছিবতে পতিত এবং কঠিন ও ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত  হয়েছে, তন্মধ্যে ভয়ানক রোগ হলো: কলব কঠিন হয়ে যাওয়া। কারণ, অন্তর কঠিন হয়ে গেলে সে ব্যক্তির ওপর থেকে আল্লাহর রহমর চলে যায়।

যে সকল কারণে কলব বা অন্তর কঠিন হয়ে যায়:- 

১- নামাযের ব্যাপারে অবহেলা ও গাফলতি করা।

২- কুরআনকে পরিত্যাগ করা অর্থাৎ বিনয়-নম্রতা আর মনোযোগ এবং চিন্তা গবেষণাসহকারে কুরআন তেলাওয়াত না করা।

৩- হারাম রুজি যেমন: সুদ, ঘুষ, ইন্স্যুরেন্স এবং বেচাকেনাসহ বিভিন্ন লেনদেনে প্রতারণা ও জালিয়াতি সহ অন্যান্য হারাম পদ্ধতিতে রুজি-রোজগার করার কারণে।

৪- অহংকার, বড়াই, প্রতিশোধপরায়ণতা, মানুষের দোষ-ত্রুটি বা অপরাধকে মাফ না করা, মানুষকে অবহেলা করে নিকৃষ্ট মনে করা, মানুষকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা।

৫- দুনিয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে ঝুঁকে পড়া, দুনিয়া দ্বারা প্রতারিত হওয়া ও মৃত্যুকে, কবরকে এমনকি আখেরাতকে ভুলে যাওয়া।

৬- যে কোনো বেগানা নারীর দিকে তাকানো হারাম; যা অন্তরকে কঠোর করে দেয়।

৭- দাঁড়ি গজায়নি এখনো এমন সুন্দর ছেলের দিকে অযথা তাকানো হারাম; তাই সেটাও অন্তর কঠোর করে দেওয়ার অন্যতম কারণ।

৮- আমি নিজে প্রতিদিন কি কি খারাপ কাজ করলাম? নিজের সমালোচনা নিজে না করা, বরং মানুষের সমালোচনা করা।

৯- অনেক দিন দুনিয়ায় থাকবো, অনেক কিছুর মালিক হবো এমন ভুল ধারণা মনের ভিতর থাকা।

১০- আল্লার যিকির বেশী বেশী না করে বরং বেশী বেশী কথা বলা, বেশী বেশী হাসাহাসি-তামাশা ও মশকারী করা।

১১- বেশী খাওয়া-দাওয়া করা।

১২- বেশী ঘুম যাওয়া।

১৩- মানুষের উপর জুলুম করা।

১৪- শরীয়তের কোনো আদেশ-নিষেধ লঙ্গণ হওয়ার কারণ ব্যতীত অন্য কোনো কারণে রাগ করা।

১৫- মিথ্যা, গীবত (পরচর্চা) এবং একজনের কথা অন্যের নিকট গিয়ে বলার মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি করা।

১৬- খারাপ মানুষের সাথে উঠাবসাও চলাফেরা করা।

১৭- অন্য মুসলিমকে মনে মনে অথবা প্রকাশ্য হিংসা করা।

১৮- একজন মুসলিমের উন্নতি সহ্য করতে না পারা, বরং তার ধ্বংস কামনা করা।

১৯- অন্য মুসলিম ভাইয়ের সাথে শত্রুতা করা, ঘৃণা করা এবং তাকে অপছন্দ করা।

২০- আপনার নিজের বা মুসলিম ভাইয়ের কোনো লাভ বা ফায়েদা ব্যতীত নিজের ও অপরের সময় নষ্ট করা।

২১- ইসলামী জ্ঞান শিক্ষা না করা এবং ইসলামী শিক্ষা হতে নিজকে দূরে সরিয়ে রাখা।

২২- জাদুকর, গণক, জোতিষী, তন্ত্রমন্ত্রকারীর নিকট যাওয়া।

২৩- মাদক, নেশাজাতীয় দ্রব্য, বিড়ি-সিগারেট, হুক্কা, লতা ওয়ালা হুক্কা সহ যাবতীয় তামাক ও তামাকজাত এবং ক্ষতিকর দ্রব্য পান করা।

২৪- সকাল-সন্ধ্যার যিকরসমুহ পাঠ না করা।

২৫- গান শুনা, হিন্দী সহ, যাবতীয় চরিত্রহীন হারাম ফিল্ম দেখা।

২৬- রাসুল ﷺ এর প্রতি দরুদ পাঠ না করার কারণে।

২৭- অন্তরে রাসুল ﷺ এর পর্যাপ্ত ভালোবাসা না থাকায়।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment