১৭- بَابُ مَا جَاءَ فِيْ فَضْلِ الْعُمْرَةِ فِيْ رَمَضَانَ
٢٥٤- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، عَنِ النَّبِيِّ ، قَالَ: «عُمْرَةٌ فِيْ رَمَضَانَ تَعْدِلُ حَجَّةً».
বাব নং ১১৫. ১৭. রমযান মাসে উমরার ফযীলত
২৫৪. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আতা থেকে, তিনি ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে, তিনি নবী করিম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন- রমযান মাসে উমরা আদায় করা (সওয়াবের দিক দিয়ে) হজ্জের সমান।
(সুনানে নাসাঈ কুবরা, ২/৪৭২/৪২২৫)
ব্যাখ্যা: ইমাম মালিক ও ইমাম শাফেঈ (رحمة الله)’র মতে হজ্জের ন্যায় উমরা ফরয। ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله)’র মতে উমরা সুন্নত। তিনি উমরা শুরু করলে তা সমাপ্ত করা ফরয বলেছেন। কারণ
❏কুরআনে আছে واتموا الحج والعمرة لله “তোমরা আল্লাহর জন্য হজ্জ ও উমরা পূর্ণ কর।” (সূরা বাকারা, আয়াত, ১৯৬) শুরু করলেই পূর্ণ বা সমাপ্ত করতে হয়।
❏তাছাড়া তিরমিযী শরীফে একটি সহীহ হাদিস রয়েছে, যাতে আছে- হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (رضي الله عنه) বলেন, একদা রাসূল (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! উমরা কি ফরয? উত্তরে তিনি বলেন, না, তবে উমরা করা উত্তম।
❏উমরার ফযীলত সম্পর্কে অনেক হাদিস রয়েছে। বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে- العمرة الى العمرة كفارة لما بينهما “এক উমরা থেকে অপর উমরা পর্যন্ত যে গুনাহ হয়ে থাকে, উমরা ঐ গুনাহের কাফ্ফারা হয়।” ১৮০
➥ ইমাম বুখারী (رحمة الله), (২৫৬ হিঃ) সহীহ বুখারী, খন্ড ২, পৃষ্ঠাঃ ৬২৯, হাদিস নং ১৬৮৩, বৈরুত
❏বিশেষ করে রমযান মাসে উমরা পালনে বিশেষ সওয়াব রয়েছে। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, রমযানে উমরা পালন করা এমন এক হজ্জের তুল্য, যা আমার সাথে সমাপণ করা হয়েছে।
❏মুয়াত্তা ইমাম মালিক গ্রন্থে হযরত আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে, একজন মহিলা নবী করিম (ﷺ) এর খেদমতে এসে আরয করল, আমি হজ্জের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি কিন্তু আমার এমন এক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে যার ফলে হজ্জ আদায় করতে অক্ষম হয়ে পড়েছি। তখন তিনি বললেন, তুমি রমযান মাসে উমরা আদায় কর। কেননা রমযান মাসের উমরা এক হজ্জের সওয়াব পাওয়া যায়।
٢٥٥- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ عَلَىٰ بَعِيْرٍ أَوْرَقَ إِلَىٰ سَوَادٍ، وَهُوَ نَاقَتُهُ الْقَصْوَاءُ، مُتَقَلِّدًا بِقَوْسِهِ، مُتَعَمِّمًا بِعِمَامَةٍ سَوْدَاءَ مِنْ وَبَرٍ.
২৫৫. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আব্দুল্লাহ থেকে, তিনি ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী করিম (ﷺ) মক্কা বিজয়ের দিন একটি কাল রঙের উটনীর উপর আরোহণ করেছিলেন, যা কাসওয়া নামে প্রসিদ্ধ ছিল। তাঁর গলায় কামান লটকানো এবং মাথায় উলের কাল পাগড়ী বাঁধা ছিল।
ব্যাখ্যা: নবী করিম (ﷺ) ইহরাম ব্যতীত মক্কায় প্রবেশ করা তাঁর জন্য খাস ব্যাপার।