তাহাজ্জুদের বর্ণনা

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

৬৭- بَابُ مَا جَاءَ فِي التَّهَجُّدِ

١٧٢- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ زِيَادٍ، عَنِ الْـمُغِيْرَةِ ، قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللهِ  يَقُوْمُ عَامَّةَ اللَّيْلِ حَتَّىٰ تَوَرَّمَتْ قَدَمَاهُ، فَقَالَ لَهُ أَصْحَابُهُ: أَلَيْسَ قَدْ غُفِرَ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ؟ قَالَ: «أَفَلَا أَكُوْنُ عَبْدًا شَكُوْرًا».

বাব নং ৭৯. ৬৭. তাহাজ্জুদের বর্ণনা

১৭২. অনুবাদ: আবু হানিফা যিয়াদ থেকে, তিনি মুগীরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)  রাতের অধিকাংশ সময় দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতেন। ফলে তাঁর পবিত্র পা দু’খানা ফুলে যেত। সাহাবায়ে কিরাম আরয করলেন, আল্লাহ আপনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গুনাহ ক্ষমা করে দেন নি (তবু কেন এত কষ্ট করছেন)? তখন তিনি বলেন, আমি কি আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হবো না? 

(বুখারী, ১/৩৮০/১০৭৮)

١٧٣- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ أَبِيْ جَعْفَرٍ، أَنَّ صَلَاةَ النَّبِيِّ  بِاللَّيْلِ كَانَتْ ثَلَاثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً مِنْهُنَّ ثَلَاثُ رَكَعَاتِ الْوِتْرِ، وَرَكْعَتَا الْفَجْرِ.

১৭৩. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আবু জাফর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করিম (ﷺ) ’র রাতের নামায ছিল তের রাকাত। এর মধ্যে তিন রাকাত ছিল বিতর এবং দু’রাকাত ছিল ফজরের সুন্নত।

ব্যাখ্যা: এই হাদিস দ্বারা তাহাজ্জুদের নামায আট রাকাত প্রমাণিত হয়। এর সাথে বিতর অধ্যায়ে বর্ণিত হাদিসে হানাফী মাযহাবের সত্যতা প্রমাণ করে। 

❏তাহাজ্জুদ সম্পর্কে তিরমিযী শরীফে হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল (ﷺ)  মাহে রমযানে ও রমযানের বাইরে এগার রাকাতের অধিক তাহাজ্জুদ পড়তেন না। দু’বার চার রাকাত করে পড়তেন যার সময়ের দীর্ঘতা ও সৌন্দর্য সম্পর্কে প্রশ্নের অবকাশ নেই। অতঃপর তিন রাকাত বিতর পড়তেন। 

❏ইমাম তিরযিমী এই হাদিসকে হাসান ও সহীহ বলেছেন। তাহাজ্জুদ সম্পর্কে মুসলিম শরীফে ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত হাদিসের শেষাংশে বলা হয়েছে- ثم اوتربثلاث “এরপর তিন রাকাত বিতর আদায় করেন।”

ফজরের সুন্নতকে তাহাজ্জুদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে শুধু একই সময়ে হওয়ার কারণে। কেননা অধিকাংশ রেওয়ায়েত অনুযায়ী রাসূল (ﷺ)  এরপর আরাম করতেন না। তাই কোন কোন রেওয়ায়েতে আছে- সুবহে সাদিক উদয় হওয়ার পর তিনি সুন্নত আদায় করেন। আবার কোন কোন বর্ণনায় আছে আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে সুন্নত পড়তেন। 

মোটকথা ফজরের সুন্নত তাহাজ্জুদের সাথে আদায় করা হয়নি বরং সুবহে সাদিকের পর তা পড়া হত। তাহাজ্জুদের নামায সম্পর্কে বিভিন্ন রেওয়ায়েত পাওয়া যায়। এতে তের, এগার, সাত ও পাঁচ রাকাতের বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে তের রাকাতের অধিক কোন বর্ণনা নেই। এ ছাড়া তাহাজ্জুদ রাসূল (ﷺ)  এর উপর ফরয ছিল না উম্মতের উপরও ফরয ছিল তা নিয়েও মতপার্থক্য রয়েছে। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হলো- তাহাজ্জুদ শুধু রাসূল (ﷺ) ’র উপর ফরয ছিল, অথবা উম্মতের উপরও কিন্তু পরে তা রহিত করা হয়। (এখন তাহাজ্জুদের নামায নফল হিসেবে বহাল রয়েছে)। 

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment