৭- بَابُ مَا جَاءَ فِيْ اِسْتِيْذَانِ بِكْرٍ وَثَيِّبٍ
٢٦٣- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ذَكَرَ لِفَاطِمَةَ :إِنَّ عَلِيًّا يَذْكُرُكِ
বাব নং ১২৩. ৭. কুমারী ও সায়্যেবা নারীর বিবাহে অনুমতি প্রসঙ্গে
২৬৩. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা, আতা থেকে, তিনি ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করমি (ﷺ) হযরত ফাতেমা (رضي الله عنه)কে বলেন, আলী তোমার আলোচনা করেছে। অর্থাৎ তোমাকে বিবাহের প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
ব্যাখ্যা: বিবাহের অনুমতি নেওয়ার এটাই অত্যন্ত আদব ও ভদ্রজনোচিত পদ্ধতি, যা প্রস্তাব পাঠানোর সময় অতীব প্রয়োজন। স্পষ্ট ও খোলামেলা বাক্যের দ্বারা অনুমতি নেওয়া লজ্জা ও পর্দার বিপরীত।
٢٦٤- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ يَحْيَىٰ، عَنِ الْـمُهَاجِرِ، عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ ، قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللهِ إِذَا أَرَادَ أَنْ يُزَوِّجَ إِحْدَىٰ بَنَاتِهِ، يَقُوْلُ: إِنَّ فُلَانًا يَذْكُرُ فُلَانَةً، ثُمَّ يُزَوِّجُهَا.
وَفِيْ رِوَايَةٍ: عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ إذَا زَوَّجَ إِحْدَىٰ بَنَاتِهِ أَتَىٰ خِدْرَهَا، فَيَقُوْلُ: انَّ فُلَانًا يَذْكُرُ فُلَانَةً، ثُمَّ يُزَوِّجُهَا. وَفِيْ رِوَايَةٍ، قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللهِ إِذَا خُطِبَ إِلَيْهِ ابْنَةٌ مِنْ بَنَاتِهِ أَتَىٰ خِدْرَهَا، فَقَالَ: إِنَّ فُلَانًا يَذْكُرُ فُلَانَةً، ثُمَّ ذَهَبَ فَأَنْكَحَ.
২৬৪. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা শায়বান থেকে, তিনি ইয়াহিয়া থেকে, তিনি মুহাজির থেকে তিনি আবু হোরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) যখন নিজের কোন মেয়েকে কারো সাথে বিবাহ দেয়ার ইচ্ছে করতেন, তখন তিনি বলতেন, অমুক ব্যক্তি (নাম উচ্চারণ করে) অমুকের (স্বীয় মেয়ের) কথা আলোচনা করেছেন। অতঃপর তার বিবাহ ঐ ব্যক্তির সাথে সম্পন্ন করতেন।
অন্য এক বর্ণনায় হযরত আবু হোরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করমি (ﷺ) তাঁর কোন কন্যাকে কারো সাথে বিবাহ দিতে চাইলে তাঁর পর্দার নিকটে গিয়ে বলতেন, অমুক ব্যক্তি অমুকের নাম আলোচনা করেছে। (সম্মতি নেওয়ার পর) তার বিবাহ ঐ ব্যক্তির সাথে সম্পন্ন করতেন।
অপর এক বর্ণনায় বর্ণিত আছে- নবী করমি (ﷺ) ’র কোন কন্যার ব্যাপারে বিবাহের প্রস্তাব তাঁর নিকট আসলে তিনি তাদের হুজরায় গিয়ে বলতেন, অমুক ব্যক্তি অমুকের নাম আলোচনা করেছে। (সম্মতি নেওয়ার পর) তার বিবাহ ঐ ব্যক্তির সাথে সম্পন্ন করতেন।
অপর এক বর্ণনায় বর্ণিত আছে- নবী করমি (ﷺ) ’র কোন কন্যার ব্যাপারে বিবাহের প্রস্তাব তাঁর নিকট আসলে তিনি তাদের হুজরায় গিয়ে বলতেন, অমুক ব্যক্তি অমুকের কথা বলেছে। অতঃপর চলে গিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করতেন।
٢٦٥-أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْـمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَائِشَةَ زَوَّجَتْ يَتِيْمَةً كَانَتْ عِنْدَهَا فَجَهَّزَهَا رَسُوْلُ اللهِ مِنْ عِنْدِهِ.
২৬৫. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা মুহাম্মদ ইবনে মুনকাদির থেকে, তিনি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) নিজের পালিত এক ইয়াতীম মেয়েকে বিবাহ দেন আর রাসূল (ﷺ) নিজের পক্ষ থেকে তাকে উপহার প্রদান করেন।
ব্যাখ্যা: বিবাহে কনে পক্ষে নিজের মেয়েকে কিংবা পাত্রীকে স্বেচ্ছায় কিছু দিলে সেটি হবে উপহার। যেমন রাসূল (ﷺ) হযরত আয়েশা (رضي الله عنه)’র পালিত ইয়াতীম মেয়েকে উপহার দিয়েছেন। রাসূল (ﷺ) করেছেন বলে এটি সুন্নত হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। পক্ষান্তরে বরপক্ষ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে দাবী করলে তা নিশ্চয় যৌতুক। যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি এটি সম্পূর্ণ হারাম।






Users Today : 441
Users Yesterday : 767
This Month : 14863
This Year : 186734
Total Users : 302597
Views Today : 42666
Total views : 3619409