নান _نَحٛمَدُه وَ نُصَلِّى وَ نُسَلِّمُ عَلٰى حَبِيٛبِهٖ الٛكَرِيٛمবিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীমনাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লী ওয়া নুসাল্লিমু আলা হাবীবিহিল করীম!
ভূমিকাআল্লাহ তা’আলা এরশাদ ফরমানঃ “ইন্নাদ্দী-না ইনদাল ্লা-হিল ইসলাম।” অর্থাৎ আল্লাহর নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য দ্বী ন হচ্ছে ইসলাম।” ্টির প্রারম্ভিক কাল থেকে এ পর্যন্ত বহু রকমের ধ র্মের সৃষ্টি হয়েছে। তাই, গোটা বিশ্বে মুসলমান ছ াড়াও ইহুদী, খৃষ্টান, বৌদ্ধ, হিন্দু ইত্যাদি ধর্ মাবলম্বী মানুষও দেখা যায়। কিন্তু এসব ধর্মের ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলা স্পষ্ট ভাষাযস রেছেন- “আমার নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম আর এট াই পূর্ণাঙ্গ, নির্ভুল। আল্লাহ তা’আলা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছে ” মতু আলায়কুম নি’মাতী।” অর্থাৎ “আজ (বিদায় হজ্বের) আমি তোমাদের জন্য তোমাদের (ইসলাম) -কে পূর্ণতা পূর্ণতা দান তোমাদের অনুগ্রহকে পরিপূর্ণ করে দিলাম।”সুতরাং মানুষের ইহ ও পারলৌকিক জীবনের কোন একটা বিষয়ও ইসলাম থেকে বাদ পড়েনি। সমস্ত বিষয়ে নির্ভুলভাবে দিশাদান করা হয়েছে এ পূর্ণাঙ্গ দ্বীন-ইসলামে।ইসলামের ে। ‘পবিত্র ক্বোরআন’। ক্বোরআন হচ্ছে আল্লাহ পাকের কালাম। তাঁরই ভাষায়, ক্বোরআন হচ্ছে- ‘তিব্ইয়ানুল লিকু ল্লি শায়ইন’। অর্থাৎ অনু-পরমাণু থেকে আরম্ভ করে সর্ববৃহৎ সৃষ ্টির প্রত্যেকটির বিবরণ রয়েছে মহান গ্রন্থ পাক See Moreবলা বাহুল্য, ইসলামের পূর্ণাঙ্গ বিধান সূ স্ত হয় এর ‘চতুর্দলীল’ বা ক্বোরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও ক্বিয়াসে। কিন্তু, ইসলামের বিধানাবলীর প্রধানতম উৎস হচ্ছ ে এ পবিত্র ক্বোরআন মজীদ। অবশিষ্ট তিনটা হচ্ছে এরই কার্যতঃ তাফসীর বা ব্য াখ্যা।কাজেই, ইসলামের চতুর্দলীলের ভিত্তিতে মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র যদি নিয়ন্ত্রিত হয় তব ে কার্যক্ষেত্রেও ইসলামের পূর্ণাঙ্গতা, শ্রেষ্ ঠত্ব ও সর্বাধিক কল্যাণকর হওয়া প্রমাণিত হতে বা ধ্য। বিশ্বনবী, নবীকুল সরদার, সাইয়্যেদুল কাওনাঈন হ ুযূর পুরনূর সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াস াল্লাম-এর পবিত্র জীবনাদর্শ এবং বিশেষ করে, খোলা ফা-ই-রাশেদীন রাদিআল্লাহু তা’য়ালা আনহু-এর জীবন াদর্শ থেকে একথাটা মধ্যাহ্ন সূর্প ্ববাসীর নিকট সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণেই, যে পাশ্চাত্য দেশগুলো আজ বিশ্বে সভ্য তার দাবীদার সেজে বসেছে তারাও সর্বপ্রথম সভ্যতা র তা’লীম নিয়েছে মুসলমানদের নিকট থেকে। সুতরর রেষ্ঠ জাতি।কিন্তু পরবর্তী যুগগুলোর মুসলিয ্য কি যথাযথভাবে অক্ষুন্ন রয়েছে? -دی آذانیں کبھی یورپ کے کلیساؤں میں اور کبھی افریقہ کے تپتے ہوئے صحراؤں میں دشت تو دشت ہیں دریا بھی نہ چھوڑے ہم نے بحر ظلمات میں دوڑادے گھوڑے ہم نے”আমরা কখনো ইউরোপের গীর্জাগুলোতে আযানের রব ধ্ব নিতকরেছি, কখনো আফ্রিকার উত্তপ্ত মরুভূমিগুলোতেও ।শুধু মাঠ আর ধূধূ ময়দান নয়; সমুদ্রগুলোকেও আমরা ছাড়িনি; সুদূরপ্রশান্ত মহাসাগরেও আমরা বিজয়ের ঘোড়া নামিয ়ে দিয়েছি।”সে মুসলিম জাতির ঐ গৌরবময় যোগ্যতা কি এখনো অক্ ষুন্ন আছে? মুসলিম জাতি ইসলামী আদর্শের মাধ্যমে পৃথিবীর য েখানেই পদার্পণ করেছে সেখানেই হয়েছে বরিত, এনেছ ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। তাঁরা রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, ধর্মীয় ও আ – বিভ্রান্তি, শোষণ-পীড়ন, লাঞ্ছনা ও বঞ্চনা থেকে ম ুক্ত করে শান্তি ে পেরেছেন বলেই এ জাতি এক মহান জাতি হিসেবে স্বীক ৃত হয়েছে। কিন্তু, তাদের পরবর্তী বংশধরেরা কি সেই বিশ্ব স Did you like it? এর জবাবে ‘না’ বললেও অত্যুক্তি হবে না।এর কারণ কি?এ বহুবিধ কারণ রয়েছে। যেমন-
একঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের(ﷺ) প্রতি যেই অকৃত্রি ম বিশ্বাসের কারণে আমাদের ‘সলফ-ই-সালেহীন'(অগ্রণী (গণ) াহায্য লাভে সমর্থ হয়েছিলেন পরবর্তীতে মুসলমা নদের মনেপ্রাণে সে ধরনের দৃঢ় বিশ্বাসে ত্রুটি দ েখা দিয়েছে। এদের মধ্যে এখন আর সেই ঈমানী বল পরিলক্ষিত হচ্ছ ে না। অনেকের মধ্যে ইসলামী অনুশাসন পালনের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে ঔদাসীন্য, অনেকের আবার ইসলামী আক্ব ীদায় অনুপ্রবেশ ঘটেছে বিভিন্ন বিভ্রান্তির।
দুইঃ যেই ঐক্যের অদম্য শক্তিতে বলীয়ান হয়ে মু সলিম জাতি তার স্বকীয়তা ও শ্রেষ্ঠত্বকে প্রতিষ ্ঠা করেছিল এখন তো আর সেই শক্তি নেই। ‘ আহলে সুন্নাত ওয়া জামা’আত’-এর আদর্শ থেকে বিচ্যু ত হয়ে নানা ভ্রান্ত আক্বীদার ভিত্তিতে বিচ্ছিন See More ে আঘাত হেনেছে। আত্মাশুদ্ধির উদার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এসে সে ই ঐক্যের ভিতকে মজবুত রাখার পরিবর্তে নিজেদের ভ্ রান্ত মতবাদকে ইসলামের রূপ দেয়ার পাং তে থাকে। সরলপ্রাণ মুসলমানদেরকে সরল ফ ্রতারণার মাধ্যমে বাতিল আক্বীদায় বিশ্বাসীদের দলে ভেড়ানোর ষড়যন্ত্র চলছে নিয়মিতভাবে।
তিনঃ যেই অব্যাহত কর্ম-তৎপরতা ও সচেতনতার মাধ্য মে মুসলিম জাতি তাদের বিজয় যাত্রাকে অব্যাহত র েখেছে, ক্রমশঃ সেই কর্মতৎপরতায় দুঃখজনকভাবে ভা টা পড়েছে। একদিকে ইসলামের সঠিক রূপরেখা তথা সুন্নর ্শের অনুসারীরা তাঁদের যতটুকু কর্মতৎপর ও সচেতন হওয়া উচিত ছিল, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁরা এখনো প র্যন্ত অনড় ও অচেতন ভূমিকা পালন করছেন। অথবা, পার্থিব ক্ষুদ্র স্বার্থের মধ্যে নিজেদে রকে ব্যস্ত রাখার ফলে সুন্নী মতাদর্শের ভিত্তিত ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার গুরু-দায়িত্ব পালনের সুযোগ বা সময়ই পাচ্ছেন না। আত্ম-কোন্দল ও পারস্পরিক অনৈক্যের কারণে তাঁরা নিতে পারছেন না সম্মিলিত কোন উদ্যোগই। অন্যদিকে, এরই সুবাদে গজিয়ে উঠেছে বিভিন্ন বাত িল ঐক্য’ হয়ে পড়েছে এক দুষ্কর ব্যাপার। অপরদিকে, ইসলামের শত্রুরা হয়ে উঠেছে শক্তিশাল ী। আর লাঞ্ছিত হচ্ছে তাদেরই হাতে ঐ এককালের অজেয় মুসলিম জাতি।
চারঃ ক্বোরআন, সুন্নাহ্, ইজমা ও ক্বিয়াস- ইসলাম ের এ চার মৌলিক দলীল ক্বিয়ামত পর্যন্ত সব সমস্য ার সমাধান দিতে পারে, যা বাস্তবায়িত করে ইসলাম অ পূর্ব সাফল্য লাভ করেছে। তা বাদ দিয়ে পরবর্তী মুসলিম বিশ্বের শাসকগোষ্ ঠী বিভিন্ন মানবগড়া বিধি-বিধান দ See More ফলে তাদের নিশ্চিত অকৃতকার্যতা ইসলামকেও কলংক িত করেছে। এককালে যে পবিত্র ক্বোরআন-সুন্নাহর আদর্শ দিয় ে মুসলিম জাতি নিজেদেরকে এবং বিশ্বের অন্যান্য জ াতিকেও ধন্য করেছিল এবং যার আলোকে তাদের পার্থি ব ও পারলৌকিক ক্ষেত্রে মুক্তি দিয়ে শান্তি ও সমৃ দ্ধি দান করেছিল সে মুসলিম জাতি নিজেদেরই দুর্ব লতার কারণে আপন আপন ভূমিতেও সে নি’মাত থেকে বঞ্চি ত হচ্ছে।আমাদের বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। আমাদের এ দেশ বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এদেশ ইসলামের প্রকৃত মতাদ র্শ ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থার সূ ি। এর কারণ খুঁজতে গেলেও উপরোক্ত কারণগুলোই সামনে আসে। একদিকে সত্যপন্থী সুন্নী মতাদর্শীরা এ ব্যাপা রে কোন পদক্ষেপ নেননি, অন্যদিকে ইসলামের মুখোশ পর ে ইসলামেরই দোহাই দিয়ে রাজনীতি করতে এসে কিছু ক িছু ভ্রান্ত মতবাদী সম্প্রদায় তাদের ভ্রান্ত আ ক্বীদাসঞ্জাত বিভিন্ন ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ইসলামের স্বচ্ছ সুন্দর চেহারায় কালিমি See More বিগত স্বাধীনতা যুদ্ধেই এদের অনেকের স্বরূপ বি শেষভাবে উন্মোচিত হয়েছে। এসব দলের মধ্যে পাকিস্তানের কুখ্যাত মওদুদীর অ নুসারী জামায়াতপন্থীদের কথাই সবিশেো গ্য।বিগত স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াত পন্থীদের হীন কর্মকাণ্ডকে শুধু ধর্ম নয়, দেশের কোন শ্রেণীর ম ানুষই ধিক্কার না দিয়ে পারেনি। তদানিন্তন সরকার উক্ত দলটা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জ নগণেরই সেই ঘৃণা ও ধিক্কারের যথাযথ বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিল। অতঃপর সেই সরকার প্রধানের আবার উদারতার ফলে সাধ ারণ ক্ষমার সুবাদে আবারও তারা ক্রমশঃ এদেশে রাজ নৈতিকভাবে নিজেদের স্থান গড়ে নিয়েছে। এর পরবর্তী সরকারের নেপথ্যে পৃষ্ঠপোষকা রে তারা তাদের বিভিন্ন চক্রান্তমূলক কর্মতৎপরত া চালানোর সুযোগ লাভ করলো; যা বর্তমানে এদেশবাসীর নিকট গোপন নয়। সে জামায়াতীদের উদ্দেশ্যেমূলক পদক্ষেপসমূহে র মধ্যে তাফসীরুল ক্বোরআনের নামে বিভিন্ন জায়গ ায় সভা-মাহফিলের আয়োজন অন্যতম। এদেশের লোক সাধারণতঃ ধর্মপ্রাণ। আউলিয়া কেরাম ও ওলামা কেরামের প্রচেষ্টার ফলে এদেশের সরলপ্রাণ মুসলমানগণ পবিত্র ক্বোরআনের প ্রতি বিশেষভাবে ধাবিত। এ সত্যটা জামায়াতীরা বুঝতে পেরে সেটাকে নিজেদ ের স্বার্থে ব্যবহার করতে কসূর করেনি। তারা সুপরিকল্পিতভাবে এমন কিছু লোককে মুফাসসি রে ক্বোরআন সাজালো, যাদের কন্ঠ ও বাক-চাতূর্যই এক মাত্র সম্বল; যাদের না আছে মাদ্রাসা শিক্ষার কোন সনদ। কারো কারো সনদ থাকলেও তাদের র মত শরীয়তসম্মত যোগ্যতা নেই। অথচ সুললিত কন্ঠে ও বাক-চাতূর্য্যের মাধ্যমে ক্ বোরআনের তাফসীরের সূরে মওদুদী মতবাদ প্রচারেই ত ারা ট্রেনিংপ্রাপ্ত। জামায়াত-পন্থীদের আয়োজিত মাহফিলে স্বপক্ষীয ়দের দ্বারা সংরক্ষিত মঞ্চে সেই পরিকল্পিত বক্ত ব্য অনেকটা জোর কন্ঠে আওড়াতেও ওরা পটু।উক্তসব সাজানো মুফাসসিরের মধ্যে মৌলভী দেলাওয ়ার হোসাইন সাঈদীর নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। বেশ কয়েক বৎসর দ ্ষ্য করে আসছি। বেশ কয়েক বার পত্র – ি যোগাযোগের মাধ্যমে তার বিভ্রান্তিমূলক বক্তব ্যের প্রতি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কিন্তু তার পক্ষ থেকে কোনরূপ সাড়া পাওয়া যায় নি। বিধায় তার ও তার সহকারীদের ভ্রান্ত তাফসীর-এর স্বরূপ উন্মোচনের উদ্দেশ্যে আমি এ প্রামাণ্য পু স্তকখানা লেখার প্রয়াস পেলাম।এ পুস্তককে মৌং দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও তার স হকারীদের তথাকথিত তাফসীরের ক্যাসেট ও জামায়াতপ See More আপত্তিমূলক বক্তব্যের খণ্ডন করা হয়েছে।পুস্তকখানা ‘মাসিক তরজুমানে’ বিগত ‘৮৭ সালে ধারাব াহিকভাবে প্রকাশ করা হলে তা পাঠক সমাজে বিশেষভা বে সমাদৃত হয়। দেশের কোন কোন সাপ্তাহিক পত্রিকায় এর বরাত দিয ়ে সাঈদী সাহেবকে জবাব দেয়ার প্রতি আহ্বানও জা নানো হয়েছে। কিন্তু তবুও তার পক্ষ থেকে কোন জবাব আসেনি। পরিশেষে, পাঠক সমাজে বিশেষ চাহিদার প্রেক্ষিতে পুস্তকটা প্রকাশিত হওয়া যুগের দাবী হিসেবে বিব েচিত হয়।এতে তর থমে হুবহু উদ্ধৃতি দেয়া হয়। দ্বিতীয় অধ্যায়ে উক্ত বক্তব্য ফ রে তা থেকে pointout করা হয়েছে। আর তৃতীয় অধ্যায়ে সেটার সপ্রমাণ খণ্ডন করা হয ়েছে।পুস্তকখানা একদিকে জামায়াতপন্থীদের ভ্রান্ত তাফসীরের স্বরূপ উন্মোচন করবে, অন্যদিকে সংশ্লি ষ্ট বিষয়ে শরীয়তের সঠিক ফয়সালা সম্পর্কে পাঠ ক সমাজকে সম্যক অবগত করবে বলে দৃঢ় আশা। Thank you! আমীন!***********************
ভ্রান্ত তাফসীরঃ নমুনা–১জানুয়ারী মাসে চট্টগ্রাম কলেজি য়েট স্কুল ময়দানে ‘ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ’ কর ্তৃক আয়োজিত ‘তাফসীরুল কোরআন মাহফিল’-এর ২য় দিন ে নিম্নলিখিত আয়াতের তাফসীর (?) করেন–তথাকথিত আন্ তর্জাতিক মুফাস্সিরে ক্বোরআনমৌং দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীঃحٰم۞تَنۡزِيۡلُ الۡكِتٰبِ مِنَ اللّٰهِ الۡعَزِيۡزِ الۡلِيۡمِ۞ۙغَافِرِ الذَّنۢبِ وَ قَا بِلِ التَّوۡبِ شَدِيۡدِ الۡعِقَابِ ذِیۡ الطَّوۡلِ۔لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ۔اِلَيۡهِ الۡم َصِيۡرُ۞ (سورة المؤمن)
একএ আয়াতের তাফসীরের নামে মৌং সাঈদী সাহেব সেদিন যে দীর্ঘ বক্তব্য পেশ করলেন তা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, তিনি তার বক্তব্যে কোন নির্ভরযোগ্ য ‘তাফসীর’-এর তোয়াক্কা করেননি; বরং he মনগড়াভাবে ইসলামের নামে আত্মপ্রকাশ করা এ কটা ভ্রান্ত মতবাদী সম্প্রদায়ের রাজনক তব্যই পেশ করেছেন মাত্র। এ দিনের বক্তব্যে তিনি উল্লেখিত আয়াতের ذِیۡ الطَّو ۡل ও اِلٰه (‘যিত্ তাওলি’ ও ‘ইলাহ’) এ দু’টি শব্দের উপর বিশ েষ গুরুত্ব আরোপ করেন। আর এ দু’টি শব্দের এমন ব্যাখ্যা (তাফসীর) পেশ করল েন, যা একদিকে পবিত্র ক্বোরআন মজীদের নির্ভরযোগ্ য কোন তাফসীরের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ, তাই বিভ্ রান্তিপূর্ণ; অন্যদিকে, তাদের ভ্রান্ত আক্বীদা যারা পোষণ করে না, তাদের সবাইকে মনগড়াভাবে ‘মুশরিক'(!) ইত্যাদি ন ামে আখ্যায়িত করার উদ্দেশ্যেই প্রকাশ করে মাত্ র।যেমন, তিনি اِلٰه (ইলাহ) শব্দের অর্থ বলেন–
“সাহায্যক ারী, সহযোগী, সর্বশক্তিমান, সব কিছুর মালিক, আইনদা তা, বিধানদাতা, শাসনকর্তা” । তিনি আরো বলেন,
মওতের মালিক। তিনি হচ্ছেন ‘ইলাহ্’। ‘ইলাহ’ মানে ‘আইনদাতা, বিধান দাতা।’ সুতরাং এক কথায়, আল্লাহ্ যে একমাত্র ইলাহ্, এ কথ া মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে, আর অন্যদেরকে যত ক্ষমতা আছে বলে মনে করা হয়, সমস্ত বিশ্বাসকে একই জায়গায় কেন্দ্রীভূত করতে হবে। কোন খাজার ক্ষমতা নাই কাউকে একটা ছেলে দেয়ার, ক োন খাজাবাবার ক্ষমতা নাই কারো বিপদ থেকে মুক্ত ক রার। See More দ-মুসীবৎ থেকে রক্ষা করার, ব্যবসায় বিরাট উন্নত ি করে দেয়ার। এযে মানুষের উপর এ জাতীয় বিশ্বাস করা হয়- এ সমস ্ত মুশরিকানা বিশ্বাস।” কোন খাজাবাবার ক্ষমতা নাই কারো বিপদ থেকে মুক্ত করার। See More দ-মুসীবৎ থেকে রক্ষা করার, ব্যবসায় বিরাট উন্নত ি করে দেয়ার। এযে মানুষের উপর এ জাতীয় বিশ্বাস করা হয়- এ সমস ্ত মুশরিকানা বিশ্বাস।” কোন খাজাবাবার ক্ষমতা নাই কারো বিপদ থেকে মুক্ত করার। See More দ-মুসীবৎ থেকে রক্ষা করার, ব্যবসায় বিরাট উন্নত ি করে দেয়ার। এযে মানুষের উপর এ জাতীয় বিশ্বাস করা হয়- এ সমস ্ত মুশরিকানা বিশ্বাস।”‘ইলাহ’ শব্দের তিনি (মৌং সাঈদী) যে অর্থ পেশ করলেন, সে অর্থের ভিত্তিতে তিনি আরো বলেন–
“মানুষ অনেককে ‘ইলাহ’ বলে মেনে নিয়েছে। তা নাহলে কবরের কাছে গিয়ে এত কান্নাকাটি কেন? াদর কেন? ম্বুজ কেন? তার কারণ কি? রা কবরে শুয়ে আছেন তাদেরকে ‘ইলাহ’ মেনে করেছে। কবরে যার া শুয়ে আছে তাদের কোন ক্ষমতা নাই। খোদার কছম, কবর ে যিনি শুয়ে আছেন তাঁর কোন ক্ষমতা নাই। অন্য কাউ কে ক্ষমতাবান যদি মনে করেন, তবে মুসলমানদের খাতা “তিনি আরো বলেন,
“মানুষের ভিতরে কেউ খাজা বাবারে ই লাহ বানাইছে, কেউ দয়াল বাবারে ‘ইলাহ’ বানিয়ে নিয ়েছে, কেউ প্রেসিডেন্টকে ‘ইলাহ’ বানিয়ে নিয়েছে কেউ দেশের আইনকে “ইলাহ” ইলাহ’ বানিয়েছে, কেউ নিজের কোন হুযূরকে নিজের ‘ইলাহ’ বানিয়েছে, কেউ নিজের নাফসকে ‘ইলাহ’ বানিয় ে নিয়েছে। কিন্তু আল্লাহ তা’আলা বলেন– “লাইলাহা ই ল্লাহুয়া” অর্থাৎ এগুলো ‘ইলাহ’ না; ‘ইলাহ’ হলেন- লাহ্ রাব্বুল আলামীন।”
দুই
পর্যালোচনামৌং সাঈদী সাহেব পবিত্র ক্বোরআনের দোহাই দিয়ে যা বলতে চান তার টার্গেট এদেশের মুশরিক – রা নয়, বরং এদেশের সত্যপন্থী, সরলপ্রাণ মুসলমানর াই। এদেশের মুসলমানদেরকে ইসলামের সঠিক রূপরেখা ‘সু ন্নী মতাদর্শ’ থেকে ফিরিয়ে বিপথে (সাঈদী সাহেবের সমর্থিত মওদুদী মতবাদের দিকে) ধাবিত করা-ই তার উদ ্দেশ্য। তিনি বলতে চানঃএক) উক্ত আয়াতটা সেসব মুসলমানদের প্রসঙ্গে নায িল হয়েছে, যারা আউলিয়া কেরামের খোদা-প্রদত্ত ও ক্ষমতায় বিশ্বাসী।দুই) এ দেশের মুসলমানরা আউলিয়া কেরাম প্রমুখকে ‘ইলাহ’ (উপাস্য) বলে বিশ্বাস করেন।তিন) নবী ও ওলীগণের মাযার যিয়ারতের উদ্দেশ্যে যাওয়া শির্ক।(চার) থাকেনা।পাঁচ) মাযার নির্মাণ , গিলাফ দেয়া লানো ইত্যাদি শির্ক।আর মৌং সাঈদী তার এসব দাবীর স্বপক্ষে নিম্নলিখি ত তথাকথিত প্রমাণাদিও পেশ করেনঃএক) ক্বোরআন তার সামনে আছে।দুই) ‘খোদার শপথ করে বলছি।’তিন)يَا اَيُّهَا النَّاسُ اذۡكُرُوۡا نِعۡمَةَ اللهِ عَلَيۡكُمۡ هَلۡ مِنۡ خَالِقٍ غَيۡر ِ اللهِ يَرۡزُقُكُمۡ مِنَ السَّمَاءِ وَ الۡاَرۡضِ
(আল্লাহ্ ছাড়া কোন রিয্কদাতা নাই।)চার) لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ فَاَنّٰی تُؤۡفَكُوۡنَ
(আল্লাহ্কে ছেড়ে অন্যত্র যাওয়া নিষিদ্ধ।)পাঁচ) قُلۡ اَرَأَيۡتُمۡ اِنۡ اَخَذَ اللهُ سَمۡعَكُمۡ وَ اَبۡصَارَكُمۡ وَ خَتَمَ عَلٰی قُلُوۡبِكُمۡ مَنۡ اِلٰهٌ غَيۡرُ اللهِ يَأۡتِيۡكُمۡ
(আল্লাহর বাতিলকৃত শ্রবণ শক্তি ও দৃষ্টি শক্তি ফ িরিয়ে দেয়ার মত কোন ‘ইলাহ্’নেই।)ছয়) قُلۡ اَرَأَيۡتُمۡ اِنۡ جَعَلَ اللهُ عَلَيۡكُمُ اللَّيۡلَ سَرۡمَدًا اِلٰی يَوۡمِ الۡقِ يٰمَةِ مَنۡ اِلٰهٌ غَيۡرُ اللهِ يَأۡتِيۡكُمۡ بِضِيَاءٍ۔ اَفَلَا تَسۡمَعُوۡنَ۞
(আল্লাহ্ রাতকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত দীর্ঘ করতে চ ()সাত) قُلۡ اَرَأَيۡتُمۡ اِنۡ جَعَلَ اللهُ عَلَيۡكُمُ النَّهَارَ سَرۡمَدًا اِلٰی يَوۡمِ الق ِيٰمَةِ مَنۡ اِلٰهٌ غَيۡرُ اللهِ يَأۡتِيۡكُمۡ بِلَيۡلٍ تَسۡكُنُوۡافِيۡهِ۔ اَفَلَا تُبۡصِرُوۡنَ۞
(আল্লাহ্ যদি চান দিনকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত লম্ব া করে দিতে, তবে দিনকে সরিয়ে রাত আনার মত কোন হ’ নেই।)[এ আয়াতের ব্যাখ্যায় মৌং সাঈদী বলেন,
“কোন খাজা বাবার শক্তি আছে– রাতকে সরিয়ে দিনের আলো এনে দেয ়ার? দে দৌঁড়াবে” । ]আট)وَاتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِهٖ اٰلِهَةً لَايَخۡلُقُوۡنَ شَيۡئًا وَّهُمۡ يُخۡلَق ُوۡنَ۞
(আল্লাহকে বাদ দিয়ে এ লোকগুলোকে, যাদেরকে ‘ইলাহ’ বলে মেনে নিয়েছে ওরা কেউ কিছু সৃষ্টি করতে পারে না, বরং ওরা সৃষ্ট হয়েছে। –সাঈদী)][এ আয়াতের ব্যাখ্যায় সাঈদী বলেন, –
“ওরা কিছুই সৃ ষ্টি করতে পারে না। আল্লাহ্ বলেন– যাদেরকে ‘ইলাহ’ ব ানিয়েছে, সেটা দেব-দেবী হোক আর সেটা খাজা হোক, আর যাই হোক না কেন, ওরা নিজেরাই তৈরী হয়েছে। তারা ক িছুই তৈরী করতে পারেনা।” এমনকি একটা ঘাস বা একটা পিঁপড়াও না” ।]নয়)وَلَايَمۡلِكُوۡنَ لِاَنۡفُسِهِمۡ ضَرًّا وَّ لَا نَفۡعًا وَّ لَايَمۡلِكُوۡنَ مَو ۡتًا وَّ ۞لَاحَيٰوةً وَّ لَانُشُوۡرًا
(ওরা নিজেরা নিজের উপকার করতে পারেনা, কোন ক্ষতি থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারেনা। ওরা হায়াত ও মওতে র মালিক না। পুনরুত্থানের ব্যাপারেও তাদের কোন ক্ষমতা নেই। –সাঈদী)দশ) قُلۡ اَرَأَيۡتُمۡ مَّا تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللهِ اَرُوۡنِیۡ مَاذَا خَلَقُوۡا مِن ۡ الۡارۡضِ اَمۡ لَهُمۡ شِرۡكٌ فِی السَّمٰوٰتِ۔
(আসমান ও যমীন বানানোর ব্যাপারে ‘মিন-দূনিল্লাহ্’ -এর কোন ক্ষমতা নেই। –সাঈদী)এগার)لَوۡ كَانَ فِيۡهِمَا اٰلِهَةٌ اِلَّا اللهُ لَفَسَدَتَا ج……….عَمَّا يَصِفُوۡنَ
(একাধিক ‘ইলাহ’ থাকলে আসমান-যমীন ধ্বংস হয়ে যেত। যেমন মাঝি বেশী হলে নৌকার অবস্থা খারাপ হয়ে যায ়।)
তিন
মৌং সাঈদীর প্রতি জবাব
প্রথমতঃ মৌং সাঈদী সাহেব ‘ইলাহ’ শব্দের যে অর্থ ব লেছেন তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।কারণ, ‘ইলাহ্’ শব্দের প্রকৃত অর্থ হচ্ছে– ‘মা’বুদ’ ব া ‘উপাস্য’। যেমন– “আল্লামা রাগেব ইস্পাহানীকৃত প্রসিদ্ধ ‘আল মুফরাদাত’-এ উল্লেখ করা হয়েছে– اِلٰه (ইলাহ) শব্দটা الله (আল্লাহ) শব্দের সমার্থক। ‘আলিফ-লাম’ (ال) সেটার সাথে সংযোজন করা হয়েছে। অতঃপর ‘ইলাহ’ (اِلٰه)- এর ‘হামযাহ’-(همزه) টা বিলুপ্ত করা হয়েছে। ‘ইলাহ’ (اِلٰه) শব্দটা আল্লাহর জন্য খাস। এদিকে ইঙ্গিত দিয়ে আ ল্লাহ্ তা’আলা এরশাদ করেন– هَلۡ تَعۡلَمُ لَهٗ سَمِيًّا ; তাছা ড়া, কাফির ও মুশরিকগণ তাদের সমস্ত উপাস্য বস্তু কে ‘ইলাহ ‘ বলে আখ্যায়িত করতো। যেমন– তারা সূর্যের উপাসন া করতো, তাই তারা সেটাকে ‘ইলাহ’ বলে আখ্যায়িত করতো । لَآِ اِلٰهَ اِلَّا الله (আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য ন েই), لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ (তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।) ইত্ যাদি কলেমা দ্বারা সেসব মুশরিকদের দাবীর খণ্ডন ক রা হয়েছে। তাদেরই উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ্ ব্যতী ত অন্য কারো উপাসনা বা ইবাদত করলে সে মুশরিক হয়ে যাবে। যেমন– মুশরিকগণ মূর্তিকে তাদের উপাস্য মনে করে সেগুলোর পূজা করে। (আল-মুফরাদাতঃ ২১ পৃষ্ঠা)এ কারণেই নির্ভরযোগ্য সমস্ত তাফসীরে সাঈদী সাহ েবের তাফসীরকৃত (!) আয়াতের অংশ” ়া’ – এর মধ্যেকার ‘ইলাহ্’ শব্দের অর্থ বলা হয় ‘মা’বূ দ’ বা উপাস্য। (তাফসীরে বায়যাবী, কাশশাফ, খাযাইন ই ত্যাদি দ্রষ্টব্য।) বস্তুতঃ সাঈদী সাহেব ‘ইলাহ’ শব্দের অর্থ করতে গিয়ে আল্ল াহর যেসব গুণবাচক শব্দের অবতারণা করলেন সেগূ লাহ’ শব্দের শাব্দিক অর্থ-নয়; বরং সেগুলো বুঝানো র জন্য نَصِيۡرٌ (সাহায্যকারী), وَلِیٌّ (সাহায্যদাতা), مُعِين( সাহায্য প্রদানকারী), مُغۡنِیٌّ (অভাব দূরকারী) , قدير (সর্বশক্তিমান), مَالك (সব কিছুর মালিক), شارع (আইনদাতা , বিধানদাতা), احكم الحاكمين (সর্বশ্রেষ্ঠ শাসনকর্তয) াদি আলাদা আলাদা গুণবাচক নাম বা শব্দ রয়েছে। কি ন্তু সাঈদী সাহেব ‘ইলাহ’ শব্দের প্রকৃত অর্থকে সম্ পূর্ণরূপে বাদ দিয়ে অন্য এমনসব অর্থ বললেন, যাতে তার পরিকল্পিত মতলব পূরণ করতে পারে ন, যা ক্বোরআনের মনগড়া তাফসীরেরই নামান্তর মাত্ র।
দ্বিতীয়তঃ আয়াতাংশ ذی الطول – এর প্রকৃত অর্থ হচ্ছে – আল্লাহ্ অধিক সাওয়াবদাতা, অবধারিত শাস্তি ক্ষ মা করে অনুগ্রহ প্রদর্শনকারী। (বায়যাবী, জালালাঈন, খাযাইন ইত্যাদি) কিন্তু সা ঈদী সাহেব এ শব্দটার অর্থ বা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বললেন- এটা নাকি নবী ও ওলীগণের নিকট সাহায্যের জ ন্য না যাওয়ার নির্দেশবহ। (নাঊযুবিল্লাহ্!)
তৃতীয়তঃ সাঈদী সাহেবের বক্তব্য থেকে একথা সুস ্পষ্ট মনে হয় যেন সূরা ‘আল-মু’মিনের’ প্্রর প্রথম আয়াতটা সেসব মু’মিন-মুসলমানের প্রসঙ্গে নাযিল হ য়েছে, যারা আউলিয়া কেরামের খোদাপ্রদত্ত ক্ষমত া ও মর্যাদায় বিশ্বাসী। বস্তুতঃ আয়াতের শানে নুযূল ও মর্মার্থ নয়। আয়াতের মর্মার্থ ও উদ্দেশ্য হচ্ছে- যেহেতু সূর াটা মক্কী, ইসলামের প্রাথমিক যুগে সূরা নাযিল হয ়েছে, যখন মক্কার লোকেরা আল্লাহর সঠিক পরিচয় পা য়না বিশেষ করে সূরাট তি প্রদর্শনের মাধ্যমে মক্কাবাসী তথা গোটা বিশ্ববাসীকে একমাত্র আল্লাহ্কেই উপাস্য বলে ম েনে নেয়ার অপরিহার্যতা সম্পর্কে অনুধাবন করিয় েছেন। যেমন-এক) তাফসীরে বায়যাবী শরীফে উল্লেখিত আয়াতের ত াফসীর উল্লেখ করা হয় এভাবেঃ۞ِحٰم ۞ تَنۡزِيۡلُ الۡكِتٰبِ مِنَ اللهِ الۡعَزِيۡزِ الۡعَلِيۡم(অর্থাৎ “এ কিতাব (ক্বোরআন মজীদ) অবতীর্ণ হয়েছে এ মন এক সত্তার নিকট থেকে, যিনি পরাক্রমশালী, সর্বজ ্ঞ।) এখানে আল্লাহর দু’টি গুণ বিশেষভাবে এজন্য উল ্লেখ করা হয়েছে যে, যেহেতু পবিত্র ক্বোরআনে এমন অকাট্য দলীলাদি এবং হিকমত বিদ্যমান, যা আল্লাহর প রিপূর্ণ কুদরত এবং যথাযথ হিকমত (প্রজ্ঞা)-এর প্রমাণ বহন করে।غَافِرِ الذَّنۡبِ وَقَابِلِ التَّوۡبِ شَادِيۡدِ الۡعِقَابِ ذِیۡ الطَّوۡلِ(অর্থাৎঃ এবং গুনাহ্ ক্ষমাকারী, তওবা কবুলকারী, তার শাস্তি অতীব কঠিন, মহা পুরস্কারদাতা।) এগুলো হচ্ছে আল্লাহর আরো কতেক গুণ। এগুলো এ কথা প্রমাণ করার জন্য যে, পবিত্র ক্বোরআ ন মজীদে উৎসাহ প্রদান, ভীতি প্রদর্শন এবং ক্বোরআ ন মজিদের উদ্দেশ্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ ইত্যা দি বিষয়বস্তু বিদ্যমান। ক্বোরআন পাকের উদ্দেশ্য হচ্ছে পূ েই মহান আল্লাহর দিকে মানুষকে ঝুঁকিয়ে দেয়া, যি নি গুনাহ্ ক্ষমাকারী, তওবা কবুলকারী। পক্ষান্তরে, তাঁকে অস্বীকারকারী মুশরিক-কাফির দের জন্য তাঁর শাস্তি অতীব কঠিন। তিনি ذی الطوۡل ; এখানে طول মানে মুসলমদের মধ্যে যারা শাস্তির উপয ুক্ত তাদের শাস্তি মওকুফ করে দিয়ে তাদের প্রতি অ নুগ্রহ করা। সুতরাং ذی الطول মানে– ‘শাস্তি মওকুফ করে দিয়ে অনুগ্ রহ প্রদর্শনকারী।’ অতঃপর এরশাদ হয় لَٓااِلٰهَ اِلّاهُوَ (তিনি ব্যতীত অন্য কোন ‘মা’বূদ’ নেই।) ্রতি পরিপূর্ণভাবে মনোনিবেশ করা বাঞ্ছনীয়।اِلَيۡهِ الۡمَصِيرُ (তাঁরই প্রতি ফিরে যেতে হবে।) অতঃপর ত িনি অনুগত ও অবাধ্যদেরকে নিজ নিজ কর্মফল প্রদান ক রবেন। (তাফসীরে বায়যাবীঃ ২য় খণ্ডঃ ২৫২ পৃষ্ঠা)
দুই) তাফসীরে জালালাঈন শরীফে উল্লেখ করা হয়- মীম (এ বিচ্ছিন্ন অক্ষরগুলোর উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লাহ্ই সর্বাধিক জ্ঞাত।) কিতাব বা ক্বোরআন মজ ীদ নাযিল হয়েছে সেই মহান আল্লাহর নিকট থেকে যিনি আপন রাজত্বে পরাক্রমশালী, (স্বীয় সৃষ্টি সম্পর ্কে) সর্বজ্ঞ, (মু’ মিনদের জন্য) গুনাহ্ ক্ষমাকারী, এবং (তাদের) তওবা কবুলকারী, তাঁর শাস্তি অতীব কঠিন, প্রশস্ত পুরস্ কারের মালিক, (অধিক সাওয়াবদাতা); শাস্তির উপযোগী গুনাহ্গারদেরকে ক্ষমা করে দিয়ে তাদের প্রতি অন ুগ্রহকারী। তিনি ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই এবং তাঁরই প্রতি প্রত্যাবর্তন করতে হবে ।” (তাফসীরে জালালাঈন শরীফ)তিন) তফসীরে ‘খাযাইনুল ইরফান’- এ উল্লেখ করা হয়– “হ া-মীম। এ কিতাব নাযিল করা আল্লাহর নিকট থে, যিনি ইজ্জতওয়ালা, গুনাহ্ ক্ষমাকারী এবং তাওবা কবুল কারী (ঈমানদারদের), কঠিন শাস্তিদাতা (কাফিরদেরকে), ম হা পুরস্কারের মালিক (‘আরিফ ‘ বান্দাদের জন্য), তিনি ব্যতীত অন্য কোন’মা’বূদ'(উ পাস্য) নেই। তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে (অর্থাৎ বান ্দাদেরকে আখিরাতে)। ন )তাছাড়া, এ পবিত্র আয়াত নাযিল