নবী-রাসূলদের আলাইহিস সালাম ‘বিলাদাত শরীফ’ এবং ‘বিসাল শরীফ’ উভয়ই কল্যাণময়।
দলীলঃ
** পবিত্র কুর’আন থেকে
১. যেমন, আল্লাহ পাক হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার ব্যাপারে ইরশাদ করেন ,
وسلم عليه يوم ولد و يوم يموت ويوم يبعث حيا
অর্থ : উনার প্রতি সালাম (শান্তি), যেদিন তিনি বিলাদত শরীফ লাভ করেছেন এবং যেদিন তিনি বিসাল শরীফ লাভ করবেন এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন!”
[সূরা মরিয়াম১৫]
২. অনুরুপ হযরত ইয়াহয়া আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলা হয়েছে, যেটা তিনি নিজেই বলেন-
والسلم علي يوم ولدت ويوم اموت ويوم ابعث حيا
অর্থ : আমার প্রতি সালাম বা শান্তি যেদিন আমি বিলাদত শরীফ লাভ করি, যেদিন আমি বিসাল শরীফ লাভ করি, যেদিন পুনুরুত্থিত হবো!”
[সূরা মরিয়াম ৩৩]
** হাদীস শরীফ থেকে
১.
عن ابن مسود رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي عليه و سلم حياتي خير لكم و مماتي خير لكم
অর্থ : আমার হায়াত-বিসাল (ইন্তেকাল) সব অবস্থাই তোমাদের জন্য কল্যাণ বা উত্তম বা খায়ের বরকতের কারন !””
[কানযুল উম্মাল শরীফ; শিফা শরীফ ২য় খন্ড ১৯ পৃষ্ঠা]
উক্ত হাদীস শরীফে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই বলতেছেন, উনার বিসাল শরীফ এর দিনও কল্যাণময়!
আদম আলাইহিস সালাম যে দিন বিছাল লাভ করেছেন সেই শুক্রবার দিনটিকেই ঈদ বলা হয়েছে-
দলীলঃ-
১.
ان من افضل ايامكم يوم الجمعة فيه خلق ادم وفيه قبض
অর্থ : তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে, জুমুয়ার দিন। এদিনে আদম আলাইহিস সালাম পয়দা হয়েছেন এবং এদিনেই তিনি বিসাল বা ইন্তেকাল লাভ করেন!
[সহীহ নাসায়ী শরীফ -জুমুয়ার অধ্যায়]
অতপর এই জুমুয়ার দিন ঈদের দিনকেই ঘোষনা করে ইরশাদ হঃ
২.
ان هذا يوم جعله الله عيدا
অর্থ :এ জুমুয়ার দিন হচ্ছে এমন একটি দিন, যেদিনকে আল্লাহ পাক ঈদের দিন সাব্যস্ত করেছেন!”
[সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ; মুসনাদে আহমদ শরীফ; মিশকাত শরীফ – জুমুয়ার অধ্যায়]
উক্ত হাদীস শরীফ থেকে প্রমানিত হলো জুমুয়ার দিন আল্লাহ পাক উনার নবী এবং রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার বিসাল শরীফ এর দিন হওয়ার সত্ত্বেও আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই সে দিনটিকে উত্তম দিন হিসাবে নিদৃষ্ট করে দিয়েছেন! এবং স্বয়ং হুজুর পাক সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে জুমুয়ার দিনকে ঈদের দিন বলে ঘোষনা দিয়েছেন!
সুতরাং উপরোক্ত কুর’আন ও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হল নবী-রাসূলগণের আলাইহিস সালাম ‘বিলাদাত শরীফ’ এবং ‘বিসালাত শরীফ’ উভয়ই উম্মতের জন্ম কল্যাণময়।