কদরের রাত কেন এত মর্যাদাশীল? কারণ এ রাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।
কুরআন কেন এত মর্যাদাশীল? কুরআনের মূল বানীতো আল্লাহ যুগে যুগে বিভিন্ন নবী-রাসুলগণের কাছে পাঠিয়েছেন। কুরআন এত মর্যাদাশীল কারণ এ কুরআন সর্ব শ্রেষ্ঠ মহামানব যিনি সমগ্র বিশ্বসমূহের জন্য রহমত তাঁর পবিত্র জবান দিয়ে আল্লাহ বলিয়েছেন। এজন্যেই আল্লাহ ঘোষণা করেন।
“আপনি উম্মাহকে বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক অনুগ্রহ (দীন) ও রহমত (হুজুর পাক(সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) প্রেরণ করেছেন, সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে। এ খুশি প্রকাশ করাটা সবচাইতে উত্তম, যা তারা সঞ্চয় করে রাখে!” (ইউনূছ ৫৮)
পবিত্র কুরআন মুত্তাকির জন্য হেদায়েতকারী আর রাসুল(সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমগ্র বিশ্বসমূহের জন্যে রহমত। (২১: ১০৭)
কুরআন অবতীর্ণ হবার রাতে অর্থাৎ লাইলাতুল কদরে ফেরেশতা ও রূহ অবতীর্ণ হয় (৯৭ : ৪) আর নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিলাদাতের মুহূর্তে মা আমেনা (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু)এর ঘরে বেহেস্তের বিশেষ ফেরেশতাগণের আগমণ ঘটে। হযরত আদম (আলাইহিস সালাম) থেকে শুরু করে অনেক মশহুর নবী-রাসুল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমণ ঘটে এবং প্রত্যেকে মা আমেনাকে নিজের পরিচয় দিয়ে সম্মানের সাথে সালাম জানান। আর ৪ জন বিখ্যাত নারী যথা হযরত মা হাওয়া (আলাইহিস সালাম), বিবি রহীমা, বিবি আসিয়া এবং বিবি মরিয়ম (আলাইহিস সালাম) মা আমেনা (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) এর খেদমতে হাজির হন। সে রাতে প্রতিটি পশুপাখি আনন্দে বলাবলি করছিল, আজ রাহমাতুল্লিল আলামীন ধরায় আগমণ করেছেন।
(বেদায়া-নেহায়া ২য় খণ্ড, ৪৮৭-৯০ পৃ)
রাসুল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মের রাতে শয়তান কেঁদেছিল। এখনো শয়তানের শাগরেদরা এই মহিমান্বিত রাতে আনন্দিত ও খুশী হওয়াকে সহ্য কজরতে পারে না। ফতুয়া দেয় ঈদে মীলাদুন্নাবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদাত, নাউজুবিল্লাহ!
(ডঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজী)