এক গ্রামে অধিকাংশ মানুষই মিথ্যে বলত।সেই গ্রামে একজন লোক গোপনে এক মহিলাকে বিয়ে করে, কিন্তু তাদের বিয়েটা হয়েছিল শরিয়ত মেনেই , দুজন সাক্ষী ও মহিলার অভিভাবকের উপস্থিতিতেই।
কয়েক মাস পর স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়, অতঃপর স্বামী তার স্ত্রীকে ঘরছাড়া করে এবং তার অধিকার ও প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করে, ফলে উক্ত মহিলা বিচার চেয়ে কোর্টের আশ্রয় নেয়।
বিচারক জিজ্ঞেস করেনঃ
তোমার কি বিয়ের কোন ডকুমেন্ট আছে? মহিলা বলল, অবশ্য
আছে,আমি শীঘ্রই তাদের হাজির করছি।
মহিলা তার স্বামী ও সাক্ষিদের উপস্থিত করলো, সংশ্লিষ্ট সকলেই বিচারকের সামনে অস্বীকার করল এবং বলল এই মহিলাকে তারা কখনোই দেখে নি।
এবার বিচারক কথিত স্বামী-স্ত্রী উভয়ের দিকে ই তাকালেন এবং মহিলাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ
তোমার স্বামীর বাড়িতে কি কুকুর আছে?
মহিলা বললঃ জ্বি আছে।
বিচারক আদেশ দিলেন কুকুরটিকে আদালতে হাজির করা হোক। কুকুর যদি মহিলাকে দেখে ঘেউ ঘেউ শুরু করে,তবে এই মহিলা মিথ্যেবাদী।
আর যদি ঘেউ ঘেউ না করে বরং মাথা নীচু করে ও লেজ নাড়িয়ে মহিলাকে মুনীব সূলভ আচরণ করে, তবে এই তিনজনকেই মিথ্যে সাক্ষী দেয়ার অপরাধে দণ্ডিত করা হবে এবং অতিরিক্ত চল্লিশ বেত্রাঘাত করা হবে।
এ আদেশ শুনে স্বামী ও সাক্ষীদের মুখ মন্ডল লাল হয়ে উঠে ,ফলে বিচারক প্রকৃত ঘটনা বুঝতে পেরে মহিলার পক্ষে রায় দেন।
যে জনপদের লোকজনের চেয়ে নিকৃষ্ট প্রানী কুকুর ই অধিক সত্যবাদী।