হযরত আনাছ ( রাঃ ) বর্ণনা করেন , একদা জনৈক সাহাবী জিহাদে যাওয়ার সময় স্ত্রীকে একথা বলে গিয়েছেন যে , “ তুমি সর্বদা ঘরের দু’তলাতেই অবস্থান করবে । কখনো নীচ তলায় নামবে না । ” নীচ তলায় স্ত্রীর পিতা বসবাস করতো । একদা তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন । তখন উক্ত মহিলা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করলেন এবং আপন পিতার সেবা – যত্ন করার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করলেন । কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অনুমতি দিলেন না । তিনি বললেন “ হে মহিলা ! আল্লাহকে ভয় কর এবং স্বামীর নির্দেশ মেনে চল । ” অনুমতি না পেয়ে উক্ত মহিলা স্বামীর নির্দেশ মত দু’তলাতেই অবস্থান করতে থাকলেন । এ ঘটনার কয়েক দিন পর তাঁর পিতা পরজগতে পাড়ি জমালেন । তখন শোক প্রকাশ করার জন্য আবারও তিনি নীচ তলায় যাওয়ার অনুমতি চাইলেন । কিন্তু এবারও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বামীর নির্দেশের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে যেয়ে উক্ত মহিলাকে নীচে নামতে বারণ করলেন । অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং উক্ত মহিলার বাসভবনে উপস্থিত হলেন এবং তাঁর পিতার কাফন দাফন সমাপ্ত করে তাকে এই সুসংবাদ দিলেন যে , স্বামীর নির্দেশ মেনে চলার কারণে আল্লাহ তা’আলা ( খুশি হয়ে ) তোমার আব্বাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন । ”
( দুররে মানসূর খন্ড -২ পৃঃ ১৫৪ )
উল্লেখিত ঘটনা পাঠ করে আজ থেকেই প্রত্যেক মা – বোনদের আন্তরিকভাবে এ প্রতিজ্ঞা করা উচিত যে , আমরা আর কোনদিন স্বামীর নির্দেশ অমান্য করবো না । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , “ স্বামী যদি স্ত্রীকে কালো পাহাড় থেকে পাথর স্থানান্তর করে সাদা পাহাড়ে নিয়ে যাবার নির্দেশ দেয় তবে তাও স্ত্রীর জন্য পালন করা উচিত হবে । ” অর্থাৎ এ কাজ যদিও নিষ্প্রয়োজন ও নিষ্ফল তথাপি স্বামীর আদেশ পালনার্থে তার জন্য এ কাজ করা জরুরী হয়ে পড়ে । এখন বুঝে নিন স্বামীর আদেশ পালন করা কত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।