আহলে বাইত নাযাতপ্রাপ্তঃ
❏ হাদীস ১:
أخرج الحاكم عن أنس رضي الله عنه قال: قال رسول اللهﷺ وعدنی ربی فی أهل بیتی، من أقر منهم بالتوحید، ولی بالبلاغ، أنه لايعذبهم –
হাকেম হযরত আনাস (رضي الله عنه) এর সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “আমার প্রতিপালক (আল্লাহ) আমাকে আমার পরিবারবর্গের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। (আহলে বাইতের) যারাই আল্লাহর একত্ববাদের স্বীকৃত দিবে, তাদের ব্যাপারে আমাকে এ কথা বলতে নিযুক্ত করা হয়েছে যে, তাদেরকে আযাব দেয়া হবেনা”।
[আল মুসতাদরিক, ৩:১৬৩ (৪৭১৮)]
❏ হাদীস ২:
أخرج ابن جرير في تفسيره عن ابن عباسی رضی الله عنهما في قوله تعالى: «ولسوف يعطيك ربك فترضی» قال:من رضا محمد: أن لا يدخل أحد من أهل بيته النار؛
হযরত ইবনে জারীর তাঁর ‘তাফসীর’-এ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এর সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি (হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস) আল্লাহ তা’আলার বাণী ولسوف يعطيك ربك فترضی; অর্থ: আপনার প্রতিপালক (আল্লাহ) অচিরেই আপনাকে দিবেন; যাতে আপনি সন্তষ্ট হয়ে যাবেন।’ এর তাফসীরে বলেন, “রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সন্তুষ্টি হচ্ছে যে, তার পরিবারবর্গ (আহলে বাইত) এর কেউ যেন জাহান্নামে প্রবেশ না করে”।
তথ্যসূত্রঃ
১. ‘জামেউল বায়ান’, ইবনে জারীর ১২:৬২৪ (৩৭১৫)।
২. আদ দুররুল মনসুর, লিখক জালালুদ্দীন সুয়ূতী, ৬:৬১০।
৩. ‘আল জামে লি আহকামিল কুরআন (তাফসীরে কুরতুবী),ইমাম কুতুবী ১০:৮৪।
❏ হাদীস ৩:
হযরত ইমরান ইবনে হােসাইন (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমি আমার মহামান্বিত প্রতিপালককে আবেদন করেছি এজন্য যে, আমার পরিবারবর্গের (আহলে বাইতের) একজনও যেন জাহান্নামে না যায়। অতঃপর, তা আমাকে দেয়া হয়েছে।
[আল ফেরদৌস’- ইমাম দায়লামী ২:৩১০ (৩৪০৩)]
❏ হাদীস ৪:
أخرج البزار، وأبو يعلى، والعقیلی، والطبرانی، وابن شاهين عن ابن مسعود رضي الله عنه قال: قال رسول اللهﷺ فاطمة أحصنت فرجها، فحرم الله ذريتها على النار؛
ইমাম বাযযার, আবু ইয়ালা, উকাইলী, তাবরানী এবং ইবনে শাহীন প্রমূখ (মুহাদ্দীসীন) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) এর সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “নিশ্চয় ফাতেমা (رضي الله عنه) নিজের লজ্জাস্থানকে পবিত্র রেখেছেন। তাই আল্লাহ তা’আলা তাঁর সন্তানদেরকে জাহান্নামের জন্য হারাম করেছেন।
তথ্যসূত্রঃ
১. কাশফুল আসতার, হাইছামী, ৩:২৩৫ (২৬৫১)।
২. আল মু’জামুল কাবীর, তাবরানী, ৩:৪১ (২৬২৫)।
৩. আল মাতালিবুল আলিয়া, ইবনুল হাজর, ৪:২৫৮ (৩৯৫৯)।
৪. আল ফাওয়ায়েদ, তাম্মাম রাজী, ১:১৫৪ (৩৫৬)/১৫৫ (৩৫৭)।
৫. মুখতাসারু ইত্তিহাফুল খাইর, বুসরী ৯:২১৭ (৭৫৬৪)।
৬. আল হুলিয়্যাহ, আবু নঈম, ৪:১৮৮।
❏ হাদীস ৫:
أخرج الطبرانی عن ابن عباس رضي الله عنهما قال: قال رسول اللهﷺ لفاطمة رضي الله عنها: إن الله غير معذبك ولا ولدک;
ইমাম ত্বাবরানী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)র সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত ফাতেমা (رضي الله عنه)কে বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা তােমাকে এবং তােমার সন্তানদেরকে আযাব দিবেন না।
[আল মু’জামুল কাবীর, ১১:২১০, হাদিস-১১৬৮৫]
❏ হাদীস ৬:
أخرج الديلمي عن علی رضی الله عنه سمعت رسول اللهﷺ يقول: أول من يرد على الحوض، أهل بیتی؟
ইমাম দায়লামী হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি, “সর্ব প্রথম যারা আমার কাছে হাউজে কাউছারে অবতরণ করবে, তারা হচ্ছেন আমার পরিবারবর্গ (আহলে বাইত)। অর্থাৎ, তাদেরকে সর্ব প্রথম পান করানাে হবে।
তথ্যসূত্রঃ
১.কানযুল উম্মাল, আল মুত্তাকী আল হিন্দ, ১২:১০০ (৩৪১৭৮)।
২. ইমাম দায়লামী ও এটা সম্পৃক্ত করেছেন।
❏ হাদীস ৭:
أخرج الطبراني عن ابن عمر رضي الله عنهما قال: قال رسول اللهﷺ أول من أشغع له من أمتي، أهل بیتی؛ .
ইমাম ত্বাবরানী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহ আনহুমার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, ‘আমি আমার উম্মতের যাদের জন্য সর্বপ্রথম শাফায়াত (সুপারিশ) করব, তারা হলেন, আমার পরিবারবর্গ (আহলে বাইত)।
তথ্যসূত্রঃ
১. আল মু’জামুল কাবীর, ১২:৩২১ (১৩৫৫০)।
২. মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাইছামী, ১:৩৮০।
৩. আল মাওদাহ, খতীব বাগদাদী ২:৪৮।
৪. আল ফেরদৌস, দায়লামী, ১:২৩ (২৯)।
৫. আল কামেল, ইবনে আদী, ২:৭৯০।
❏ হাদিস ৮ :
হযরত আবু সাইদ খুদরী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসুল (صلى الله عليه و آله و سلم) বলেছেন, “হাসান-হোসাইন জান্নাতি যুবকদের নেতা। (একই হাদীস, হযরত আলী, হযরত ওমর, আবদুল্লাহ্ বিন ওমর, ও আবু হুরাইরা থেকেও বণির্ত হয়েছে) হযরত হুযাইফা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, হযরত রাসূল (صلى الله عليه و آله و سلم) বলেন, একটি ফেরেশতা যিনি ইতিপূর্বে পৃথিবীতে কখনো আসেননি। তিনি আল্লাহর নিকট অনুমতি চাইলেন যে তিনি যেন আমাকে সালাম দিতে পারেন এবং আমাকে সুসংবাদ দিতে পারেন যে, ফাতেমা (عليه السلام) জান্নাতের মহিলাদের নেত্রী এবং হাসান-হোসাইন জান্নাতের সকল যুবকদের নেতা”।
[সূত্রঃ সহীহ তিরমিযী, খঃ-৬, হাঃ-৩৭৬৮ (ইঃ ফাঃ); সহীহ্ তিরমিযী (সকল খণ্ড একত্রে), পৃঃ-১০৮১, হাঃ-৩৭৩০, (তাজ কোং); মেশকাত শরীফ, খঃ-১১, হাঃ-৫৯০৩, (এমদাদীয়া); তিরমিযী আল জামউস সুন্নাহ, খঃ-৫, পৃঃ-৬৫৬, হাঃ-৩৭৬৮; নাসায়ী আস সুনানুল কুবরা, খঃ-৫, পৃঃ-৫০, হাঃ-৮১৬৯; ইবনে হিববান-আস সহীহ্, খঃ-১৫, পৃঃ-৪১২, হাঃ-৬৯৫৯; আহম্মদ ইবনে হান্বাল আল মুসনাদ, খঃ-৩, পৃঃ-৩, হাঃ-১১০১২]।