হাদীস ১:
أخرج مسلم، والترمذي، والنسائي عن زيد بن أرقم رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: أذكركم الله في أهل بیتی
ইমাম মুসলিম, তিরমিজী ও নাসায়ী প্রমূখ হযরত ইয়াজিদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেছেন, আমি তােমাদেরকে আমার আহলে বায়তের (হক্বের) ব্যাপারে আল্লাহর (আদেশের) কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।
তথ্যসূত্রঃ
১. জামেউল বয়ান- তাবারী -১১:১৪৪।
২. যাবায়েরুল উকবা, মুহব্বত তাবারী- পৃষ্ঠা: ৩
৩. অনুরূপ দাবি করেছেন- ইবনুসসির।
৪. আদদুররুল মনছুর, লিখক জালালুদ্দীন সুয়তী, ৫: ৭০১।
৫. বুখারীতেও অনুরূপ রয়েছে।
❏ হাদীস ২:
أخرج ابن عدی، والبيهقي في شعب الأيمان عن علی رضی الله عنه قال: قال رسول اللهﷺ من لم يعرف حق عترتی، والأنصار، فهو لإحدى ثلاث: إما منافق، وإما لزنية، وإما لغير طهور، یعنی حملته أمه علی غیر طهر;
ইবনে আদি এবং ইমাম বায়হাক্বী ‘শুয়াবুল ঈমান’ এ হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমার পরিবারবর্গ (বংশধর) ও আনসারদের অধিকার সম্পর্কে জানেনা (তাদের হক আদায় করেনা) সে নিশ্চয় তিনজনের একজন।
১. হয়ত সে মুনাফিক,
২. অথবা সে জারজ,
৩. অথবা সে নাপাকীর সন্তান; অর্থাৎ তার মা তাকে ঋতুকালীন (হায়েজ) অবস্থায় গর্ভধারণ করেছেন।
তথ্যসূত্রঃ
১. আল কামেল-ইবনুল আদি-৩:১০৬০।
২. শুয়াবুল ঈমান-২:২৩২ (১৬১৪)।
৩. আল ফেরদৌস-ইমাম দায়লামী ৩:৬৬২ (৫৯৫৫)।
৪. জাওয়াহিরুল ইকৃদিয়্যীন- আস সামহুদী-২: ২৪।
৫. আছ-ছাওয়াব- আবিশ শাইখ।
❏ হাদীস ৩:
أخرج البخاري عن ابي بكر الصديق رضي الله عنه:قال: “ارقبوا محمدا صلى الله عليه وسلم في أهل بيته .
ইমাম বুখারী (رضي الله عنه) হযরত আবু বকর সিদ্দীক (رضي الله عنه) এর সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, তােমরা হযরত মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সম্মান রক্ষা করবে তার পরিবারবর্গকে সম্মান করার মাধ্যমে।
তথ্যসূত্রঃ
১. বুখারী, বাবু মানাকিবি কারাবাতি রাসূলিল্লাহি (ﷺ)-ইমাম আবু আব্দিল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী – ৩:২৫ (৩৭১৩)/ বাবু মানাক্বিবিল হাসান ওয়াল হুসাইন ((رضي الله عنه)) – ৩২:(৩৭৫১)।
২. ইমাম সামহুদী তার জাওয়াহেরুল ইকদিয়্যীন -২:৩১১।
৩, দারু কুত্বনী – বিভিন্ন সনদে বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে কোন কোন বর্ণনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে এসেছে। তিনি বলেছেন, ارقبوا محمداﷺفی اهل بیته অর্থ, ‘তােমরা মুহাম্মদ (ﷺ) এর পরিবারবর্গের মাধ্যমে তাকে সর্বোচ্চ সম্মান দেখাবে। অপর বর্ণনায় ارقبوا এর স্থলে اخفظوا (তােমরা সংরক্ষণ করবে) আছে।
❏ হাদীস ৪:
أخرج الحاكم في تاريخه، والديلمي عن أبی سعید رضی الله عنه قال: قال رسول اللهﷺ ثلاث من حفظهن حفظ الله له دينه ودنياه، ومن ضيعهن، لم يحفظ الله له شيئا: حرمة الإسلام، وحرمتی، وحرمة رحمی۔
ইমাম হাকেম তাঁর তারীখ এ এবং ইমাম দায়লামী হযরত আবু সাঈদ (رضي الله عنه)’র সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “তিনটি জিনিস যে সংরক্ষণ করবে, আল্লাহ তার দ্বীন ও দুনিয়ার বিষয়গুলি হেফাজত (সংরক্ষণ) করবেন। আর যে এ গুলিকে নষ্ট করবে (সংরক্ষণ করবেনা) আল্লাহ তা’আলা তার কোন কিছুই সংরক্ষণ করবেনা। (সে তিনটি জিনিস হচ্ছে),
১. ইসলামের সম্মান,
২. আমার সম্মান ও,
৩. আমার বংশের সম্মান।
তথ্যসূত্রঃ
১. আল মু’জামুল কাবীর, তাবরানী ৩:১২৬ (২৮৮১)।
২. আল মু’জামুল আওসাত, তবরানী ১৬২ (২০৫)।
❏ হাদিস ৫ :
‘গাদীরে খোম’ নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
«وَأَهْلُ بَيْتِي أُذَكِّرُكُمُ اللهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي، أُذَكِّرُكُمُ اللهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي، أُذَكِّرُكُمُ اللهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي»
“আমার আহল, আমার আহলের ব্যাপারে তোমাদেরকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। আমার আহলের ব্যাপারে তোমাদেরকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। আমার আহলের ব্যাপারে তোমাদেরকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।” [সূত্রঃ সহীহ মুসলিম, হা/ ২৪০৮]।