মহান আল্লাহ তা’য়ালা ক্ষমাশীলঃ

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

মহান আল্লাহ তা’য়ালা ক্ষমাশীলঃ

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার হাজারোগুণের একটি গুণ হলো ক্ষমা। ক্ষমার গুণে তিনি গুণান্বিত।

মহান আল্লাহ সেই গুণের কথা কোরআনে বারবার উল্লেখ করেছেন। যে শব্দে তিনি তাঁর ক্ষমার গুণ উল্লেখ করেছেন তা হলো ‘গফুর’ (غَفُورٌ) আরবী গফুর শব্দের অর্থ হলো- অধিক পরিমাণে ক্ষমা প্রদর্শন করা, বান্দার দোষ গোপন করা,। 

আরবি ব্যাকারণগত অর্থে গফুর হলো সদা ক্ষমা করা। যে সত্তা ক্ষমা করতে করতে নিজেই ক্ষমার গুণে গুণান্বিত হয়ে যায় সেই সত্তাকে গফুর বলে।

এই ‘গফুর’ শব্দটি স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে ৪৮টি আয়াতে। এছাড়াও আরো বহুস্থানে ভিন্ন শব্দে অন্য বয়ানে আল্লাহর ক্ষমাশীলতা বর্ণনা করা হয়েছে। শুধুমাত্র গফুর শব্দটি আছে। এই গফুর শব্দসম্ভলিত আয়াতগুলোর বিশেষ ফজিলত আছে। কেউ শুধু এগুলো পাঠ করে  দোয়া বা তওবা করলে তওবা কবুল হয়। আজকে সেই আয়াতগুলোই অর্থসহ জানবো, ইনশাল্লাহ। 

(১) 

إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنْزِيرِ وَمَا أُهِلَّ بِهِ لِغَيْرِ اللَّهِ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ

তরজমা : ‘তিনি তো তোমাদের জন্য কেবল মৃত জন্তু রক্ত ও শুকরের গোশত হারাম করেছেন এবং সেই জন্তুও, যার প্রতি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নাম উচ্চারণ করা হয়। হ্যাঁ, কোনো ব্যক্তি যদি চরম অনন্যোপায় অবস্থায় থাকে (ফলে এসব বস্তু হতে কিছু খেয়ে নেয়) আর তার উদ্দেশ্য মজা ভোগ করা না হয় এবং সে (প্রয়োজনের) সীমা অতিক্রমও না করে, তবে তার কোনো গুনাহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা: বাকারাহ, আয়াত: ১৭৩)

(২) 

فَمَنْ خَافَ مِنْ مُوصٍ جَنَفًا أَوْ إِثْمًا فَأَصْلَحَ بَيْنَهُمْ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ

তরজমা : ‘হ্যাঁ, কারোর যদি আশঙ্কা হয়, ওসিয়তকারী অন্যায় পক্ষপাতিত্ব বা গুনাহের কাজ করবে আর সে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে মীমাংসা করে দেয় তবে তার কোনো গুনাহ হবে না। নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’ (সূরা: বাকারাহ, আয়াত: ১৮৫)

(৩) 

فَإِنِ انْتَهَوْا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ 

তরজমা : ‘অতপর তারা যদি নিরস্ত হয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’ (সূরা: বাকারাহ, আয়াত: ১৯২)

(৪)

ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ وَاسْتَغْفِرُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ

তরজমা : তাছাড়া (একথা স্মরণ রেখ যে,) তোমরা সেই স্থান থেকেই রওয়ানা হবে, যেখান থেকে অন্যান্য লোক রওয়ানা হয়। আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (সুরা বাকারাহ : আয়াত নং ১৯৯)

(৫)

إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَالَّذِينَ هَاجَرُوا وَجَاهَدُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أُولَئِكَ يَرْجُونَ رَحْمَتَ اللَّهِ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ

তরজমা : ‘(অপর দিকে) যারা ঈমান এনেছে এবং যারা হিজরত করেছে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ কেরেছে, তারা নিঃসন্দেহে আল্লাহর রহমতের আশাবাদী। আর আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা: বাকারাহ, আয়াত: ২১৮)

(৬)

لِلَّذِينَ يُؤْلُونَ مِنْ نِسَائِهِمْ تَرَبُّصُ أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ فَإِنْ فَاءُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ

তরজমা : ‘যারা নিজেদের স্ত্রীদের নিকট গমন করবে না বলে কসম খেয়ে বসে তাদের জন্য চার মাসের অবকাশ রয়েছে অতঃপর যদি পারস্পরিক মিল-মিশ করে নেয়, তবে আল্লাহ ক্ষামাকারী দয়ালু।’ (সূরা: বাকারাহ, আয়াত: ২২৬)

(৭)

قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ

তরজমা : ‘(হে নবী! মানুষকে) বলে দাও, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবেসে থাক, তবে আমার অনুসরণ করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ‘ (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ৩১)

(৮)

إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ وَأَصْلَحُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ 

তরজমা : ‘অবশ্য যারা এর পরও তাওবা করবে ও নিজেদেরকে সংশোধন করবে, (তাদের জন্য) আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ৮৯)

(৯)

وَلِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ يَغْفِرُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيُعَذِّبُ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ 

তরজমা : ‘আকাশমন্ডল ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, তা আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন, আর যাকে চান শাস্তি দেন। আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।’ (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ১২৯) 

(১০)

وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ مِنْكُمْ طَوْلًا أَنْ يَنْكِحَ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ فَمِنْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ مِنْ فَتَيَاتِكُمُ الْمُؤْمِنَاتِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِإِيمَانِكُمْ بَعْضُكُمْ مِنْ بَعْضٍ فَانْكِحُوهُنَّ بِإِذْنِ أَهْلِهِنَّ وَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ مُحْصَنَاتٍ غَيْرَ مُسَافِحَاتٍ وَلَا مُتَّخِذَاتِ أَخْدَانٍ فَإِذَا أُحْصِنَّ فَإِنْ أَتَيْنَ بِفَاحِشَةٍ فَعَلَيْهِنَّ نِصْفُ مَا عَلَى الْمُحْصَنَاتِ مِنَ الْعَذَابِ ذَلِكَ لِمَنْ خَشِيَ الْعَنَتَ مِنْكُمْ وَأَنْ تَصْبِرُوا خَيْرٌ لَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ

তরজমা : ‘তোমাদের মধ্যে যারা স্বাধীন মুসলিম নারীদের বিবাহ করার সামর্থ্য রাখেনা, তারা তোমাদের অধিকারভুক্ত মুসলিম দাসীদেরকে বিবাহ করতে পারে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিফহাল। তোমরা সকলে পরস্পরে সমতুল্য। সুতারাং সেই দাসীদেরকে তাদের মালিকদের অনুমতিক্রমে বিবাহ করবে এবং তাদেরকে ন্যায়ানুগভাবে তাদের মাহর প্রদান করবে। এই শর্তে যে, (বিবাহের মাধ্যমে) তাদের চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষা করা হতে, তারা কেবল কাম-চরিতার্থকারিণী হবে না এবং গুপ্ত প্রণয়ী গ্রহণকারিনীও নয়। তারা যখন বিবাহের হেফাজতে এসে গেল, তখন যদি কোনো গুরুতর অশ্লীলতায় (ব্যভিচারে) লিপ্ত হয়ে পড়ে, তবে তাদের শাস্তি হবে স্বাধীনা (অবিবাহিতা) নারীর জন্য ধার্যকৃত শাস্তির অর্ধেক। এসব (অর্থাৎ দাসীদেরকে বিবাহ করার বিষয়টা) তোমাদের মধ্য হতে যারা (বিবাহ না করলে) গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা বোধ করে, তাদের জন্য। আর তোমরা যদি সংযমী হয়ে থাক, তবে সেটাই তোমাদের পক্ষে শ্রেয়। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা: নিসা, আয়াত: ২৫)

(১১)

حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ وَالدَّمُ وَلَحْمُ الْخِنْزِيرِ وَمَا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ وَالْمُنْخَنِقَةُ وَالْمَوْقُوذَةُ وَالْمُتَرَدِّيَةُ وَالنَّطِيحَةُ وَمَا أَكَلَ السَّبُعُ إِلَّا مَا ذَكَّيْتُمْ وَمَا ذُبِحَ عَلَى النُّصُبِ وَأَنْ تَسْتَقْسِمُوا بِالْأَزْلَامِ ذَلِكُمْ فِسْقٌ الْيَوْمَ يَئِسَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ دِينِكُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَاخْشَوْنِ الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا فَمَنِ اضْطُرَّ فِي مَخْمَصَةٍ غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِإِثْمٍ فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ

তরজমা : ‘তোমাদের প্রতি হারাম করা হয়েছে মৃত জানোয়ারের রক্ত শুকরের গোশত, সেই পশু যাতে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নাম উচ্চারিত হয়েছে, শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, উপর হতে পতনের মৃত জন্তু অন্য কোনো পশুর শিংয়ের আঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খেয়েছে এমন জন্তু, তবে (মরার আগে তোমরা) যা যবাহ করেছে তা ছাড়া এবং সেই জন্তুও (হারাম) যাকে (প্রতিমার জন্য) নিবেদনস্থলে (বেদিতে) বলি দেয়া হয়। এবং জুয়ার তীর দ্বারা (গোশত ইত্যাদি) বণ্টন করাও (তোমাদের জন্য হারাম)। এসব বিষয় কঠিন গুনাহের কাজ। আজ কাফিরগণ তোমাদের দ্বীনের (পরাস্ত হওয়ার) ব্যাপারে হতাশ হয়ে গেছে। সুতরাং তারেকে ভয় করো না। আমাকেই ভয় করো। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের উপর আমার নিয়ামত পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে ইসলামকে (চিরদিনের জন্য) পছন্দ করে নিলাম। (সুতরাং এ দ্বীনের বিধানাবলি পরিপূর্ণভাবে পালন করো) হ্যাঁ, কেউ যদি ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হয়ে যায় (এবং সে কারণে কোনো হারামবস্তু খেয়ে নেয়) আর গুনাহের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে, তবে আল্লাহ নিশ্চয়ই অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ‘ (সূরা: মায়েদাহ, আয়াত ০৩)

(১২)

إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا مِنْ قَبْلِ أَنْ تَقْدِرُوا عَلَيْهِمْ فَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ

তরজমা : ‘তবে সেই সব লোক ব্যতিক্রম, যারা তোমাদের আয়ত্বাধীন আসার আগেই তাওবা করে। এরূপ ক্ষেত্রে জেনে রাখো আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা মায়েদাহ, আয়াত: ৩৪)

(১৩)

فَمَنْ تَابَ مِنْ بَعْدِ ظُلْمِهِ وَأَصْلَحَ فَإِنَّ اللَّهَ يَتُوبُ عَلَيْهِ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ

তরজমা : ‘অতপর যে ব্যক্তি নিজ সীমালঙ্ঘনমূলক কার্যক্রম থেকে তাওবা করবে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেবে, আল্লাহ তার তাওবা কবুল করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা: মায়েদাহ, আয়াত: ৩৯)

(১৪)

أَفَلَا يَتُوبُونَ إِلَى اللَّهِ وَيَسْتَغْفِرُونَهُ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ 

তরজমা : ‘তারপরও কী তারা ক্ষমার জন্য আল্লাহর দিকে রুজু করবে না এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে না? অথচ আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা: মায়েদাহ, আয়াত: ৭৪)

(১৫)

اعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ وَأَنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ

তরজমা : ‘জেনে রাখ আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর এবং এটাও জেনে রাখ যে, তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা: মায়েদাহ, আয়াত: ৯৮)

(১৬)

وَإِذَا جَاءَكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِآيَاتِنَا فَقُلْ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ كَتَبَ رَبُّكُمْ عَلَى نَفْسِهِ الرَّحْمَةَ أَنَّهُ مَنْ عَمِلَ مِنْكُمْ سُوءًا بِجَهَالَةٍ ثُمَّ تَابَ مِنْ بَعْدِهِ وَأَصْلَحَ فَأَنَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ

তরজমা : ‘আর যখন তারা আপনার কাছে আসবে যারা আমার নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস করে, তখন আপনি বলে দিনঃ তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তোমাদের পালনকর্তা রহমত করা নিজ দায়িত্বে লিখে নিয়েছেন যে, তোমাদের মধ্যে যে কেউ অজ্ঞতাবশতঃ কোনো মন্দ কাজ করে, অনন্তর এরপরে তওবা করে নেয় এবং সৎ হয়ে যায়, তবে তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, করুণাময়।’ (সূরা: আনআম, আয়াত: ৫৪)

(১৭)

قُلْ لَا أَجِدُ فِي مَا أُوحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَى طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَمًا مَسْفُوحًا أَوْ لَحْمَ خِنْزِيرٍ فَإِنَّهُ رِجْسٌ أَوْ فِسْقًا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَإِنَّ رَبَّكَ غَفُورٌ رَحِيمٌ

তরজমা : ‘(হে নবী! তাদেরকে) বল, আমার প্রতি যে ওহি নাযিল করা হয়েছে, তাতে আমি এমন কোনো জিনিস পাই না, যা কোনো আহারকারীল জন্য হারাম, তাবে যদি তা মৃত জন্তু বা বহমান রক্ত কিংবা শূকরের গোশত হয় (তা হারাম)। কেননা তা নাপাক। অথবা যদি হয় এমন গুনাহের পশু, যাকে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর নামে যবাহ করা হয়েছে। হ্যাঁ যে ব্যক্তি (এসব বস্তুর মধ্যে কোনোটি খেতে) বাধ্য হয়ে যায়, আর তার উদ্দেশ্য মজা লোটা না হয় এবং প্রয়োজনের সীমা অতিক্রম না করে, তবে নিশ্চয়ই তোমার রব (আল্লাহ) অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা: আনআম, আয়াত ১৪৫)

(১৮)

وَهُوَ الَّذِي جَعَلَكُمْ خَلَائِفَ الْأَرْضِ وَرَفَعَ بَعْضَكُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجَاتٍ لِيَبْلُوَكُمْ فِي مَا آتَاكُمْ إِنَّ رَبَّكَ سَرِيعُ الْعِقَابِ وَإِنَّهُ لَغَفُورٌ رَحِيمٌ 

তরজমা : ‘এবং তিনিই সেই সত্তা, যিনি পৃথিবীতে তোমাদের কতককে কতকের স্থলাভিষিক্ত করেছেন এবং কতককে কতকের উপর মর্যাদায় উন্নীত করেছেন, যাতে তিনি তোমাদেরকে যা কিছু দিয়েছেন সে সম্বন্ধে তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন। নিশ্চয়, তোমার প্রতিপালক দ্রুত শাস্তিদাতা এবং নিশ্চয়ই, তিনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা: আনআম, আয়াত: ১৬৫)

(১৯)

وَالَّذِينَ عَمِلُوا السَّيِّئَاتِ ثُمَّ تَابُوا مِنْ بَعْدِهَا وَآمَنُوا إِنَّ رَبَّكَ مِنْ بَعْدِهَا لَغَفُورٌ رَحِيمٌ

তরজমা : ‘আর যারা মন্দ কাজ করে ফেলে তারপর তাওবা করে নেয় ও ঈমান আনে, তোমার প্রতিপালক সেই তাওবার পর (তাদের পক্ষে) অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা: আরাফ, আয়াত: ১৫৩)

(২০)

وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكَ لَيَبْعَثَنَّ عَلَيْهِمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ مَنْ يَسُومُهُمْ سُوءَ الْعَذَابِ إِنَّ رَبَّكَ لَسَرِيعُ الْعِقَابِ وَإِنَّهُ لَغَفُورٌ رَحِيمٌ

তরজমা : ‘এবং (সেই সময়ের কথা স্মরণ কর) যখন তোমর প্রতিপালক ঘোষণা করলেন, তিনি কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তাদের উপর এমন লোকদেরকে কর্তৃত্ব দান করতে থাকবেন, যারা তাদেরকে নিকৃষ্ট রকমের শাস্তি দেবে। নিশ্চয়, তোমার প্রতিপালক দ্রুত শাস্তিদানকারী এবং নিশ্চয়ই, তিনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালুও বটে। (সূরা: আরাফ, আয়াত: ১৬৭)

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment