*জওয়া‘হিরুল কুর’আন (পর্ব-১৫৮)*

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

মূল: হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহ.)

অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন

[ইংরেজি অনুবাদক মুহাম্মদ আবূল ক্বা’সেম কর্তৃক লিখিত ভূমিকা ও টীকা-টিপ্পনীসহ]

*সূরাহ সোয়াফ্-ফাত হতে আটটি আয়াত (ومن سورة الصَّافَّات ثماني آيات):

আল্লাহতায়ালার বাণী:

وَقَالَ إِنِّي ذَاهِبٌ إِلَىٰ رَبِّي سَيَهْدِينِ، رَبِّ هَبْ لِي مِنَ ٱلصَّالِحِينَ، فَبَشَّرْنَاهُ بِغُلاَمٍ حَلِيمٍ، فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ ٱلسَّعْيَ قَالَ يٰبُنَيَّ إِنِّيۤ أَرَىٰ فِي ٱلْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَٱنظُرْ مَاذَا تَرَىٰ قَالَ يٰأَبَتِ ٱفْعَلْ مَا تُؤمَرُ سَتَجِدُنِيۤ إِن شَآءَ ٱللَّهُ مِنَ ٱلصَّابِرِينَ، فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ، وَنَادَيْنَاهُ أَن يٰإِبْرَاهِيمُ، قَدْ صَدَّقْتَ ٱلرُّؤْيَآ إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي ٱلْمُحْسِنِينَ، إِنَّ هَـٰذَا لَهُوَ ٱلْبَلاَءُ ٱلْمُبِينُ.

অর্থ: এবং বল্লো (ইবরাহীম), ‘আমি আপন রবের দিকে চল্লাম। এখন তিনি আমাকে পথ প্রদান করবেন। হে আমার রব, আমাকে উপযুক্ত সন্তান দান করুন!’ সুতরাং আমি তাকে সুসংবাদ শুনালাম এক বুদ্ধিসম্পন্ন সন্তানের। অতঃপর যখন সে (পুত্র ইসমাঈল) তার সঙ্গে কাজ করার উপযুক্ত হলো, তখন (ইবরাহীম) বল্লো, ‘হে আমার পুত্র, আমি স্বপ্নে দেখলাম, আমি তোমাকে যবেহ করছি, এখন তুমি দেখো তোমার অভিমত কী?’ (ইসমাঈল) বল্লো, ‘হে আমার পিতা, করুন যা আপনি আদিষ্ট হচ্ছেন, আল্লাহ ইচ্ছা করলে অবিলম্বে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।’ অতঃপর যখন উভয়ে আমার নির্দেশের প্রতি আত্মসমর্পণ করলো এবং পিতা পুত্রকে মাথার উপর ভর করে শায়িত করলো, ওই সময়কার অবস্থা জিজ্ঞাসা কোরো না; এবং আমি তাকে আহ্বান করলাম, ‘হে ইবরাহীম, নিশ্চয় তুমি স্বপ্নকে সত্য করে দেখালে।’ আমি এভাবেই পুরস্কৃত করে থাকি সৎকর্মপরায়ণদেরকে। নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা ছিলো। [কুর’আন, ৩৭/৯৯-১০৬; নূরুল ইরফান; পরবর্তী ১০৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “এবং আমি এক মহান কুরবানী/জান্নাতী দুম্বা তার বিনিময়ে দিয়ে তাকে মুক্ত করে দিয়েছি।”]

*সূরাহ সোয়াদ হতে ছয়টি আয়াত (ومن سورة صٓ سِتٌّ آيات):

আল্লাহ পাক ফরমান:

يٰدَاوُودُ إِنَّا جَعَلْنَاكَ خَلِيفَةً فِي ٱلأَرْضِ فَٱحْكُمْ بَيْنَ ٱلنَّاسِ بِٱلْحَقِّ وَلاَ تَتَّبِعِ ٱلْهَوَىٰ فَيُضِلَّكَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَضِلُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدُ بِمَا نَسُواْ يَوْمَ ٱلْحِسَابِ، وَمَا خَلَقْنَا ٱلسَّمَآءَ وَٱلأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا بَاطِلاً ذَلِكَ ظَنُّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنَ ٱلنَّارِ، أَمْ نَجْعَلُ ٱلَّذِينَ آمَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّالِحَاتِ كَٱلْمُفْسِدِينَ فِي ٱلأَرْضِ أَمْ نَجْعَلُ ٱلْمُتَّقِينَ كَٱلْفُجَّارِ، كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِّيَدَّبَّرُوۤاْ آيَاتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُوْلُواْ ٱلأَلْبَابِ.

অর্থ: হে দাউদ, নিশ্চয় আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি। সুতরাং তুমি লোকদের মধ্যে সঠিক ফায়সালা করো এবং খেয়াল-খুশির অনুসরণ কোরো না, যা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে দেবে। নিশ্চয় ওই সব লোক, যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়, তাদের জন্যে কঠিন শাস্তি রয়েছে এ জন্যে যে, তারা হিসাব-নিকাশের দিনকে ভুলে বসেছে। এবং আমি আসমান, জমিন এবং যা কিছু সেগুলোর মধ্যখানে রয়েছে, অনর্থক সৃষ্টি করি নি। এটা কাফিরদের ধারণা। সুতরাং কাফিরদের দুর্ভোগ আগুন থেকে। আমি কি ওই সব মানুষ যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে তাদেরকে ওদেরই মতো করে দেবো, যারা জমিনের মধ্যে সন্ত্রাস বিস্তার করছে? অথবা আমি কি খোদাভীরুদেরকে অসৎ পাপীদের সমান স্থির করবো? এটা এক কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, বরকতময়; যাতে তারা সেটার আয়াতগুলোর মধ্যে চিন্তাভাবনা করে এবং বিবেকবান মানুষেরা উপদেশ মান্য করে। [কুর’আন, ৩৮/২৬-২৯; নূরুল ইরফান]

আল্লাহতায়ালা বলেন:

قُلْ مَآ أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَمَآ أَنَآ مِنَ ٱلْمُتَكَلِّفِينَ، إِنْ هُوَ إِلاَّ ذِكْرٌ لِّلْعَالَمِينَ، وَلَتَعْلَمُنَّ نَبَأَهُ بَعْدَ حِينِ.

অর্থ: আপনি বলুন, ‘আমি এ কুর’আনের জন্যে তোমাদের নিকট থেকে কোনো প্রতিদান চাই না এবং আমি কপট লোকদের অন্তর্ভুক্ত নই।’ তা তো নয়, কিন্তু উপদেশ সমগ্র জাহানের জন্যে। এবং অবশ্যই একটা সময়ের পর তোমরা সেটার সংবাদ জানবে। [কুর’আন, ৩৮/৮৬-৮৮; হাকিমুল উম্মত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন রহমতুল্লাহি আলাইহ কৃত নূরুল ইরফান শীর্ষক তাফসীরগ্রন্থ]

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment