লেখক: অধ্যক্ষ মওলানা মুহাম্মদ আবদুল করীম নঈমী
সম্পাদনা: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
কেউ একজন কতোই না সুন্দর বলেছেন:
ھنر منداں بمیرند بے ھنراں جاۓ انشان بگيرند ۔
জ্ঞানীগুণীজন করবেন মৃত্যুবরণ,
মূর্খরা জবরদখল করবে তাঁদের আসন। (ভাবানুবাদ)
[সম্পাদকের নোট: আমরা বর্তমানে এ সত্যভাষণের সাক্ষী।]
কবির ভাষায় বলতে হয়:
کس نیايد بزير سايہ بوم ۔ ورھما از جھاں شود معدوم ۔
হুমা পাখি ধরাধাম হতে হলেও নিশ্চিহ্ন,
পেঁচার ছায়াতলে কেউই হবে না শরণাপন্ন। (ভাবানুবাদ)
সুতরাং আহলে সুন্নাতভুক্ত ভ্রাতৃবৃন্দের কর্তব্য হলো আল্লাহর শত্রুদলকে আল্লাহ-ওয়ালা তথা আউলিয়া/বুযূর্গানে দ্বীনের মসনদে কোনোক্রমেই না বসানো। নতুবা এর ফল শুভ হবে না।
منشیں با بدان کہ صحبت بد ۔ گرچہ پاکی ترا پليد کند ۔
অসৎ সঙ্গ হতে হও সাবধান, তার সাথে কোরো না উপবেশন,
তুমি যদিও হও পবিত্র, তবু সঙ্গদোষে হবে তোমার (আত্মিক) দূষণ। (ভাবানুবাদ)
এতদ্বিষয়ে সবিস্তার বিবরণ জানার জন্যে আমার প্রণীত নিচের পুস্তক দুটো দেখুন:
(১) – طرد المبتدعين عن مجالس المسلمين – মুসলিম সমাজের মজলিশ থেকে বিদ’আতীদের বহিষ্কার করুন; এবং
(২) – قهر كبريائي برقلعه ثنائي – আমার দুর্গই আমার (পক্ষে) বড় বিজেতা।
والله يهدى من يشاء إلى صراط المستقيم.
অর্থ: এবং আল্লাহই যাকে ইচ্ছা সোজা-সরল পথে পরিচালিত করেন। [জামেউল ফতাওয়া, ৮ম খণ্ড, ৪০৪-৪০৮ পৃষ্ঠা]
*বাতিল আকীদা-সম্পন্ন ব্যক্তির ইমামতিতে নামায পড়া জায়েয আছে কি?*
এ সম্পর্কেও কিছু আলোচনা করা একান্ত জরুরি বিবেচনা করি।
১/ – ফতাওয়ায়ে আলমগীরী ১ম খণ্ডের ৪৩ পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ আছে:
”বাতিল আকীদা-সম্পন্ন ব্যক্তির আকীদা-বিশ্বাস যদি এ রকম হয়ে থাকে যে তাকে ওই কারণে কাফের বলে অভিহিত করা যায় না, তাহলে তার ইমামতিতে নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমা হবে। আর যদি তার বাতিল আকীদার দরুন তাকে কাফের বলে অভিহিত করা যায়, তবে তার ইমামতিতে নামায পড়া না-জায়েয/অবৈধ। এরকম সিদ্ধান্ত তাব্-ঈনুল হাকায়েক, খুলাসা ও বাদায়ে কিতাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে।