মূল: হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহ.)
অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
[ইংরেজি অনুবাদক মুহাম্মদ আবূল ক্বা’সেম কর্তৃক লিখিত ভূমিকা ও টীকা-টিপ্পনীসহ]
*সূরাহ মু’মিন (গাফির/মিসরীয় সংস্করণ) হতে দুটি আয়াত (ومن سورة المؤمن آيتان):
আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন:
يٰقَوْمِ إِنَّمَا هَـٰذِهِ ٱلْحَيَاةُ ٱلدُّنْيَا مَتَاعٌ وَإِنَّ ٱلآخِرَةَ هِيَ دَارُ ٱلْقَـرَارِ، مَنْ عَمِـلَ سَـيِّئَةً فَلاَ يُجْزَىٰ إِلاَّ مِثْلَهَا وَمَنْ عَمِـلَ صَالِحاً مِّن ذَكَـرٍ أَوْ أُنْثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُوْلَـٰئِكَ يَدْخُلُونَ ٱلْجَنَّةَ يُرْزَقُونَ فِيهَا بِغَيْرِ حِسَابٍ.
অর্থ: [ফেরাউনের জাতির একজন যিনি ঈমান এনেছিলেন, তিনি বলেন]: হে আমার সম্প্রদায়, এ দুনিয়ার জীবন তো কিছুদিন ভোগ করা মাত্র। আর নিশ্চয় ওই পরবর্তী (জগৎ) হচ্ছে চিরস্থায়ী আবাস। যে (ব্যক্তি) মন্দ কাজ করে, সে প্রতিফল পাবে না, কিন্তু (পাবে) ততোটুকুই। আর যে (ব্যক্তি) সৎকর্ম করে – পুরুষ হোক কিংবা নারী এবং সে যদি হয় মুসলমান, তবে তারা জান্নাতে প্রবিষ্ট হবে। সেখানে অগণিত রিযক্ব পাবে। [কুর’আন, ৪০/৩৯-৪০; নূরুল ইরফান]
*সূরাহ হা-মী—-ম আস্ সাজদা (ফুস্সিলাত/মিসরীয়) হতে চারটি আয়াত (ومن سورة حم السجدة أربع آيات):
আল্লাহ পাক ফরমান:
وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلاً مِّمَّن دَعَآ إِلَى ٱللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحاً وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ ٱلْمُسْلِمِينَ، وَلاَ تَسْتَوِي ٱلْحَسَنَةُ وَلاَ ٱلسَّيِّئَةُ ٱدْفَعْ بِٱلَّتِي هِيَ أَحْسَنُ فَإِذَا ٱلَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ عَدَاوَةٌ كَأَنَّهُ وَلِيٌّ حَمِيمٌ، وَمَا يُلَقَّاهَا إِلاَّ ٱلَّذِينَ صَبَرُواْ وَمَا يُلَقَّاهَآ إِلاَّ ذُو حَظٍّ عَظِيمٍ، وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ ٱلشَّيْطَٰنِ نَزْغٌ فَٱسْتَعِذْ بِٱللَّهِ إِنَّهُ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ.
অর্থ: এবং তার চেয়ে কার কথা অধিক উত্তম, যে আল্লাহর প্রতি আহ্বান করে এবং সৎকর্ম করে; আর বলে, ‘আমি মুসলমান।’ এবং ভালো ও মন্দ সমান হয়ে যাবে না। হে শ্রোতা, মন্দকে ভালো দ্বারা প্রতিহত করো! তখনই ওই ব্যক্তি, যে তোমার মধ্যে ও তার মধ্যে শত্রুতা ছিলো, এমন হয়ে যাবে যেমন অন্তরঙ্গ বন্ধু। এবং এ সম্পদ পায় না, কিন্তু ধৈর্যশীলবর্গ এবং তা পায় না, কিন্তু মহা সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। এবং যদি তোমাকে শয়তানের কোনো কুমন্ত্রণা স্পর্শ করে তখন আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো! নিশ্চয় তিনিই শুনেন, জানেন। [কুর’আন, ৪১/৩৩-৩৬; নূরুল ইরফান]