আক্বা আলা হযরত আফ্রিকায় গেলেন। ওলামাগণ ঘিরে ধরলেন। জানতে চাইলেন অনেক কিছু। একে একে জবাব দিচ্ছেন তিনি। হঠাৎ একজন মৌলভী প্রশ্ন করল
ওহাবী মৌলভীর প্রশ্ন নাম্বার ২-
মাওলানা আহমদ রেযা খান প্রত্যেক চিঠিতে লিখে থাকেন “লেখক আবদে মোস্তফা ” অথচ মানুষ আল্লাহর আবদ ছাড়া কি করে অন্য কারো আবদ হতে পারে?

আলা হযরতের তাৎক্ষণিক জবাবঃ
১. আল্লাহ বলেন
و انكحو الايامي منكم والصالحين من عبادكم
” তোমরা তোমাদের বিধবাদের বিয়ে দাও এবং তোমাদের عبد এর মধ্যে যারা উপযুক্ত তাদেরও”
(লক্ষ্য করুন এ আয়াতে দাস দাসীদেরকে মানুষের “আবদ” বলা হয়েছে। দাসদাসীকে মানুষের আবদ যদি বলা শুদ্ধ তবে নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আবদ বললে কেন অশুদ্ধ হবে। যদি নবীজীর আবদ বলা শিরক হয় তবে মায়াজাল্লাহ আল্লাহ পাক কি আমাদের শিরক শিক্ষা দিচ্ছেন?)
২. সহীহ বুখারী ও মুসলিমের যাকাত অধ্যায়ের হাদীস
ليس علي المسلم في عبده ولا فرسه صدقة
” মুসলমানদের জন্য তাদের “আবদ” ও ঘোড়ার উপর কোন যাকাত নেই”
(লক্ষ্য করুন, বুখারী, মুসলিমের এ হাদীসে দাস দাসীকে মানুষের আবদ বলা হয়েছে। তবে কি মায়াজাল্লাহ নবিজী আমাদের শিরক শিক্ষা দিয়েছেন?)
এরকম আরো অনেক আয়াত ও হাদীসের দলিল যখন আমার আক্বা আলা হযরত একের পর এক পেশ করতে লাগলেন, আলা হযরত উপস্থিত উত্তর দেয়ার ক্ষমতা দেখে সকলের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। আলহামদুলিল্লাহ
আকা আলা হযরত জিন্দবাদ
তুমিতো আব্দুল্লাহ
শয়তানও আব্দুল্লাহ
তোমার আর তার মধ্যে তো এখানেই পার্থক্য
সে আব্দুন নবী নয়
আর তুমি আব্দুন নবী






Users Today : 507
Users Yesterday : 677
This Month : 7082
This Year : 178953
Total Users : 294816
Views Today : 7737
Total views : 3513866