পবিত্র_শবে_বরাত_দলীল_গুরুত্ব_তাৎপর্য_ও_আমল (পোস্ট-৩)

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

দলীল নং-০৬

হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, শাবানের মধ্যবর্তী রাত তথা শবে বরাত যখন আগমন করে তখন মহান আল্লাহ তায়ালা রহমতের তাজাল্লী ফরমান এবং তিনি তার সমস্ত বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু মুশরিক বা মুসলমান ভাইয়ের প্রতি বিদ্বেষপোষণকারীকে ক্ষমা করেন না। (বাজ্জার ১ম খন্ড, ৯৩ পৃষ্ঠা ও বায়হাকী ৩য় খন্ড, ৩৭৮ পৃষ্ঠা)

এছাড়াও হাদীসটি যেসব গ্রন্থে বর্ণিত আছে-

“শুয়াবুল ঈমান” ৩য় খন্ড পৃ. -৩৮০, হাদীস নং-৩৮২৭। আহলে হাদীস তথা লা-মাযহাবীদের নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি নাসির উদ্দিন আলবানীর “সহিহ্ আত তারগীব ওয়াত তারহীব” এর ৩য় খন্ড, হাদীস নং-২৭৬৯। “মাজমাউজ জাওয়ায়েদ” এর ৮ম খন্ড, পৃ.-৬৫।

দলীল নং-০৭

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা:) থেকে বণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাতে মহান আল্লাহ রহমতের ভান্ডার নিয়ে তার সকল সৃষ্টির প্রতি এক বিশেষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং এ রাতে হিংসুক ও হত্যাকারী ব্যাক্তি ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। (মুসনাদে আহমদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাদীস নং-১৬৪২, পৃষ্ঠা-২৩৮)

এছাড়াও হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রঃ) তদ্বীয় কিতাব “মুকাশাফাতুল কুলুব” এর ৬৪০ পৃঃ ইমাম সবুকীর (রঃ) বরাতে উল্লেখ করেন-

উক্ত শবে বরাতের রাত্রে বান্দার সারা বৎসরের গুনাহ মাফের বদলা হয়ে যায়। শুক্রবার রাত্রের ইবাদত সাপ্তাহিক গুনাহ মাফের বদলা এবং শবে ক্বদরের রাত্রের ইবাদত সারা জিন্দেগীর গুনাহ মাফের বদলা হয়ে যায়। এই জন্যই এ রাত্রসমূহে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় জাগ্রত থেকে ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে গুনাহ মাফের উছিলা হয়ে যায়। তাই এ রাত্র সমূহকে গুনাহ মাফের উছিলা বলা হয়।

উপরিউক্ত বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হয়, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বপ্রথম শবে বরাত উদ্যাপন করেন এবং তাঁরই অনুসরণে যুগে যুগে মুসলমানগণ এ রাতকে বরকতময় রজনী হিসেবে পালন করে আসছেন।

শবে বরাতের আমলঃ

শাবানের ১৫ তারিখ রাতে (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) গোসল করবেন। যদি কোন অসুবিধার কারণে গোসল করতে সক্ষম না হন, তবে শুধু ওযু সহকারে দু’ রাকা‘আত ‘তাহিয়্যাতুল ওযু’ পড়বেন। প্রত্যেক রাকা‘আতে সুরা ফাতেহার পর আয়াতুল কুরসী একবার, সুরা ইখলাস তিন বার পড়বেন। এ নামাজ অতি উত্তম। এ রাতে বিশেষভাবে দু রাকা‘আত নামাজ পড়া যায়। প্রত্যেক রাকা‘আতে সুরা ফাতেহার পর আয়াতুল কুরসী একবার, সুরা ইখলাস পনের বার করে পড়বেন। সালাম ফেরানোর পর দুরুদ শরীফ একশ’ বার পড়ে রিযিক (জীবিকা) বৃদ্ধির জন্য দো‘আ করবেন। ইনশা-আল্লাহ, এ নামাজের কারণে রিযিক (জীবিকা) বৃদ্ধি পাবে।

শাবানের ১৫ তারিখের রাতে (শবে বরাতে) ৮ রাক‘আত নামায ৪ সালামে পড়বেন। প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতেহার পর সূরা ক্বদর একবার করে পড়বেন। আর সূরা ইখলাস পড়বেন ২৫ বার করে। গুনাহ ক্ষমার জন্য এ নামায অতি উত্তম। ইনশা-আল্লাহ এ নামায সম্পন্নকারীকে আল্লাহ পাক ক্ষমা করে দিবেন।

শা’বানের ১৫ তারিখের রাতে আরো ৮ রাক‘আত নফল নামায রয়েছে। দু’সালামে এ নামায পড়তে হয়। প্রত্যেক রাক‘আাতে সূরা ফাতেহার পর সূরা ইখলাস দশবার করে পড়বেন। আল্লাহ তা’আলা এ নামায সম্পন্নকারীর জন্য অগণিত ফিরিশতা নিয়োগ করবেন যাঁরা কবরের আযাব থেকে নাজাত ও বেহেশতে প্রবেশের সু-সংবাদ দেন।

শাবানের ১৫ তারিখের রাতে সাত সালাম সহকারে (অর্থাৎ প্রতি নিয়্যতে দু’ রাক‘আত করে) ১৪ রাক‘আত নফল নামায পার্থিব ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যাদি হাসিলের জন্য অতি উত্তম। তা পড়ার নিয়ম হচ্ছে প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতেহার পর সূরা কাফিরূন একবার, সূরা ইখলাস একবার পড়বেন। তার সাথে সূরা ফালাক্ব ও না-স্ একবার পড়বেন। সালাম ফেরানোর পর আয়াতুল কুরসী একবার পড়বেন। তারপর সূরা তাওবার শেষ আয়াতগুলো “লাক্বদ জা-আকুম রসূ-লুম্” থেকে ‘আযী-ম’ পর্যন্ত একবার পড়বেন।

শাবানের ১৫ তারিখের রাতে আরো ৮ রাক‘আত নফল নামায দু’সালাম সহকারে পড়া যায়। প্রথম দু’ রাক‘আতে সূরা ফাতেহার পর সূরা ‘আলাম নাশরাহ্ লাকা’ দশবার, তৃতীয় রাতে সূরা ফাতেহার পর সূরা ক্বদর দশবার এবং চতুর্থ রাক‘আতে সূরা ফাতেহার পর সূরা ইখলাস দশবার পড়বেন। সালাম ফেরানোর পর সত্তর বার ইস্তিগফার ও সত্তর বার দরূদ শরীফ পড়বেন। ইনশ-আল্লাহ্ এ নামায সম্পন্নকারীর সগীরাহ ও কবীরা গুনাহ আল্লাহ পাক ক্ষমা করে তাকে পাপমুক্ত করবেন।

তাছাড়া, শবে বরাতে ছয় নিয়্যতে বার রাক‘আত নফল নামায পড়লেও প্রচুর সাওয়াব পাওয়া যায়। প্রথম রাক‘আতে সূরা ফাতেহার পর সূরা ‘ক্বদর’ ও দ্বিতীয় রাক‘আতে সূরা ফাতেহার পর তিনবার সূরা ইখলাস পড়বেন। সূরা ক্বদর মুখস্ত না থাকলে উভয় রাক‘আতে সূরা ফাতেহার পর তিনবার করে সূরা ইখলাস (ক্বূল হুয়াল্লাহু আহাদ) পড়বেন।

রাসূলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, শাবান মাসে কেউ তিন হাজার বার দরূদ শরীফ পড়ে আমার নিকট পেশ করলে হাশরের দিনে তার জন্য সুপারিশ করা আমার জন্য অবধারিত হয়ে যায়।

কুরআন শরীফ তিলাওয়াতঃ

শবে বরাতে সূরা ইয়াসিন তিনবার পড়লে এ উপকারাদি রয়েছে- রিযক্ব বা জীবিকা বৃদ্ধি, দীর্ঘায়ু এবং আকষ্মিক বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকা যায় ইত্যাদি।

শবে বরাতে সূরা দুখান তিনবার তিলাওয়াত করা অতি উত্তম। ইনশা-আল্লাহ তা’আলা বিশ্ব প্রতিপালক তিলাওয়াতকারীর সত্তরটি দুনিয়ার প্রয়োজন এবং সত্তরটি আখিরাতের প্রয়োজন এর বরকতে পূরণ করবেন।

সূরা আর-রাহমান, সূরা ওয়াকেয়া, সূরা মূলক ইত্যাদি তেলাওয়াত করতে পারেন। এতে অনেক ফায়দা অর্জন হবে।

নফল রোযাঃ

শা’বান মাসের ১৫ তারিখের রোযার অনেক ফযীলত রয়েছে। যে কেউ এ রোযা রাখবে মহান রব তার পঞ্চাশ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।

কবর যিয়ারতঃ

এ রাত্রে আপনজন যারা কবরে তাদের কবর যিয়ারত করবেন। স্ব স্ব এলাকার আওলিয়ায়ে কেরাম, বুজুর্গানে দ্বীনদের মাজার যিয়ারত করা অতি উত্তম। এতে ফয়েজ ও বরকত হাসেল হয়। তবে হ্যাঁ কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে সারা রাত্র ব্যয় করে দেওয়াটা বোকামী। যেহেতু সুন্নত আদায়ের লক্ষ্যে আয়ত্বের ভিতরে নিকটতম মাজার শরীফ ও কবর জিয়ারত করলে আদায় হয়ে যায়। কেনান, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মা আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) শা’বানের ১৫ তারিখের রাতে জান্নাতুল বাকীতে মোনাজাতরত অবস্থায় পেয়েছেন। (“জামে তিরমিজি” ১ম খন্ড ৯২ পৃষ্ঠা, “মুসনাদে আহমদ” ১৮তম খন্ড, পৃ.-১১৪, হাদীস নং-২৫৯৬। “মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা” ১০ম খন্ড, পৃ.-৪৩৮, হাদীস নং-৯৯০৭। “শরহুস্সুন্নাহ” ৪র্থ খন্ড, পৃ.-১২৬, হাদীস নং-৯৯২। “আত তারগীব ওয়াত তারহীব” ৪র্থ খন্ড, পৃ.-২৪০, হাদীস নং-২৪। “আল মুনতাখাব মিনাল মুসনাদ” ১ম খন্ড, ১৯৪ পৃষ্ঠা।)

শবে বরাতের হালুয়া-রুটিঃ

শবে বরাতে হালুয়া-রুটি ও অন্যান্য উন্নত খাবার তৈরী করা শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ। কারণ ইহা এক ধরণের উন্নত হালাল খাবার। আর প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিষ্টি অধিক ভালবাসতেন। (বুখারী শরীফ ২য় খন্ড ৮১৭ পৃষ্ঠা সহ আরো বিভিন্ন পৃষ্ঠায় ১১টি হাদীস রয়েছে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) থেকে বর্ণিত, মিশকাত শরীফ ৩৬৪পৃষ্ঠা )

এছাড়া তিরমিযী শরীফে উল্লেখ আছে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন- “হে লোক সকল, তোমরা সালামের প্রচলন কর, মানুষকে অন্য দাও, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করো এবং লোকজন যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন নামাজে দন্ডায়মান হও, তবেই তো শান্তিতে বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে।

এতে বুঝা গেল যে, লোকদের খাওয়ানো ও বেহেস্ত লাভের একটি উছিলা।

পবিত্র শবে বরাতে উপরোক্ত হাদীসের উপর আমল করার সুযোগ হয়। প্রথমত: মুসলমানগণ নামাজে যাবে একে অপরের সাথে সাক্ষাত হবে এবং একে অপরের সাথে সালাম আদান-প্রদান করবে। আর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন সালাম আদান-প্রদান একটি উত্তম আমল।

দ্বিতীয়ত: শবে বরাতে ভাল খাবার বন্টনের মাধ্যমে মানুষকে খাবার খাওয়ানো হলো। পাশাপাশি গরিব-মিসকিনরা একদিন ভাল খাবার খাওয়ার সুযোগ পেল। তৃতীয়ত: আত্বীয়-স্বজন একে-অপরের বাসা/বাড়িতে খাবার বিতরণের মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক আরো মজবুত হবে।

সুতরাং হালুয়া রুটিসহ উন্নত খাবার পাকানো ও লোকজনকে খাওয়ানো কোন অবস্থায় নাজায়েজ নয়।

এ রাতে আমাদের করণীয়-

ফরজ নামাজ সমূহ জামায়াত সহকারে আদায় করা।

কোরআন শরীফ তিলাওয়াত করা।

প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর বেশী বেশী দরুদ শরীফ পড়া।

বেশী বেশী নফল নামাজ আদায় করা।

সালাতুত তাসবীহ ও তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা।

মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন ও আওলিয়ায়ে কেরামসহ নিকটবর্তী কবর জিয়ারত করা।

তাওবা করা, জিকির ও তাসবীহ-তাহলীল পড়া।

পবিত্র মিলাদ শরীফ ও তাজিমসহকারে ক্বিয়ামের মজলিস কায়েম করা সর্বোপরি -মুসলিম মিল্লাত, দেশ, আত্মীয়-স্বজন, মা-বাবা ও নিজেদের জন্য দোয়া করা।

পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, তাফসীর, হাদীস ও ফিকহের অসংখ্য গ্রন্থে শবে বরাতের এত ফযিলত থাকার পরও যারা এর অস্তিত্বকে স্বীকার করবে না, এ রকম লোকদের ব্যাপারেই মহান আল্লাহ পাক সূরায়ে আরাফের ১৭৯ নাম্বার আয়াতে ইরশাদ করেন-

ولقد ذرأنا لجهنم كثيرا من الجن والانس- لهم قلوب لا يفقهون بها, ولهم اعين لا يبصرون بها, ولهم اذان لا يسمعون بها, اولئك كا لانعام بل هم اضل, اولئك هم الغافلون-

অর্থাৎ : নিশ্চয়ই আমি জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি বহু জিন ও মানবকে, তারা এমন সব হৃদয় ধারণ করে, যে গুলোর মধ্যে বোধ-শক্তি নেই, তাদের এমন সব চক্ষু রয়েছে, যে গুলো দ্বারা তারা দেখে না এবং তাদের এমন সব কান রয়েছে, যে গুলো দ্বারা তারা শুনে না, তারা চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় বরং তা হতেও অধম, তারাই আলস্যের মধ্যে পড়ে রয়েছে।

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও ইরশাদ করেন- আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। একদল ছাড়া বাকী সবাই জাহান্নামী। সাহাবায়ে কেরাম জানতে চাইলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাযাত প্রাপ্ত একদল কোনটি? উত্তরে নবীজি বললেন “যারা আমি এবং আমার সাহাবায়ে কেরামের পথে আছে তারাই নাযাত প্রাপ্ত দল। এর ব্যাখ্যায় আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (র:) বলেন- সে দলটি হল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত। তাইতো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অনুসারীদের কাছে পবিত্র শবে বরাতের গুরুত্ব আছে, যেহেতু প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শবে বরাতের ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছেন, সাহাবায়ে কেরাম প্রতিযোগিতা করে পালন করেছেন, আমরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অনুসারী সে পথে ও মতে আছি বিধায় আমরাও পালন করে চলছি এবং কিয়ামত পর্যন্ত হক পথের অনুসারিগণ পালন করবে। আর যারা ৭২ ফের্কা জাহান্নামী তাদের কাছে অন্য অনেক বিষয়ের মত এই শবে বরাতেরও কোন গুরুত্ব থাকবে না এটাই স্বাভাবিক, তারা এর বিরোধিতা করবে। আবার ৭২ ফের্কার একদল আছে পবিত্র শবে বরাত আসলে মসজিদে তালা ঝুলায়। অথচ আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফের সূরায়ে বাকারার ১১৪ নাম্বার আয়াতে ইরশাদ করেন-

ومن اظلم ممن منع مساجد الله ان يذكر فيها اسمه وسعى فى خرابها- اولئك ما كان لهم ان يدخلوها الا خائفين- لهم فى الدنيا خزئ ولهم فى الاخرة عذاب عظيم-

এবং তার চেয়ে অধিকতর যালিম কে, যে আল্লাহর মসজিদগুলোতে বাধা দেয় সেগুলোতে আল্লাহর নামের চর্চা হওয়া থেকে, আর সেগুলোর ধ্বংস সাধনে প্রয়াসী হয়? তাদের জন্য ভয়-বিহ্বল না হয়ে মসজিদে প্রবেশ করা সঙ্গত ছিলো না, তাদের জন্য রয়েছে পৃথিবীতে লাঞ্ছনা, রয়েছে পরকালে মহাশাস্তি।

তাই আসুন, ফযিলতের এই রাতে আমরা সকলেই ইবাদতের মধ্যে অতিবাহিত করি, আল্লাহর দরবারে কৃত গুনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করি, নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্ঠি অর্জন করি।

আল্লাহ পাক আমাদরকে সহীহ বুঝ ও সে অনুযায়ী আমল করার তাওফীক দান করুন, আমীন!

বিহুরমাতে সায়্যিদিল মুরসালিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment