ভাবলে জ্ঞানের আলো, না ভাবলে অন্ধ কালো!#
একদল অন্ধ ব্যক্তি যখন হাতিকে স্পর্শ করেছিল, তখন কেউ বলল হাতি দেয়ালের মতো, কেউ বলল গাছের কাণ্ডের মতো, আবার কেউ বলল দড়ির মতো! অথচ কেউই পুরো হাতিটা বুঝতে পারেনি। যাইহোক আসি মূল পয়েন্টে :
ইসলামে সদকার গুরুত্ব অপরিসীম। এটি শুধু জীবিত ব্যক্তির জন্যই নয়, মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকেও করা যায়, এবং এতে মৃতের আত্মার উপকার হয়। কুরআন ও হাদিসে মৃতের জন্য দোয়া, মিলাদুন্নাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহফিল,ইস্তিগফার, এবং সদকার মাধ্যমে উপকার পৌঁছানোর বিষয়ে বহু নির্দেশনা রয়েছে। মুসলিম সমাজে মৃত ব্যক্তির আত্মার মাগফিরাতের জন্য বিভিন্নভাবে সদকা করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম হলো খাবার বিতরণ বা “শিরনি” দেওয়া।
সঠিক মত অনুযায়ী এটি বৈধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, যদি তা নিছক সদকার নিয়তে করা হয় এবং কোনো বাধ্যতামূলক সামাজিক প্রথা হিসেবে গ্রহণ করা না হয়। যুগ যুগ ধরে মুসলিম সমাজে এটি পালিত হয়ে আসছে, যেখানে আত্মীয়স্বজন, গরিব-দুঃখী ও মিসকিনদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। তবে এটি নিয়ে কিছু ভুল ধারণা ও বিতর্কও রয়েছে।
এই প্রবন্ধে আমি কুরআন, হাদিস ও ফিকহের দৃষ্টিকোণ থেকে মায়্যিতের জন্য শিরনি বা খাবার ও সদকার বিধান বিশ্লেষণ করব, যাতে এর বৈধতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
এর স্বপক্ষে কয়েকটি দলিল নিম্নে উপস্থাপন করলাম।
কুরআন মাজিদ ও হাদিসে রাসুল ﷺ থেকে দলিল:
মৃতের জন্য দোয়া ও ইস্তিগফার
﴿رَّبَّنَا ٱغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَٰنِنَا ٱلَّذِينَ سَبَقُونَا بِٱلْإِيمَٰنِ﴾
(সূরা আল-হাশর: ১০)
এই আয়াতে আল্লাহ আমাদের শিখিয়েছেন, যারা আমাদের আগে ইমানের সঙ্গে দুনিয়া ছেড়েছে, তাদের জন্য আমরা ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারি। এটি মৃতের জন্য দোয়া ও ইস্তিগফারের বৈধতা প্রমাণ করে।
আয়াতের তাফসির নিম্নে উল্লেখ করলাম:
ইমাম ইবন কাসির (রহ.) এর তাফসির:
قال ابن كثير:
“يعني الصحابة، ومن دخل في الإيمان بعدهم، إلى يوم القيامة، كما قال الله تعالى: (وَالَّذِينَ جَاءُوا مِن بَعْدِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا ٱغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَٰنِنَا ٱلَّذِينَ سَبَقُونَا بِٱلْإِيمَٰنِ) فهذا فيه الحضّ على التَّرَحُّمِ على مَنْ سَبَقَنَا مِنَ المُؤْمِنِينَ.”
(তাফসীরে ইবনে কাসীর, আল হাশার:১০)
অনুবাদ:”এই আয়াতে মূলত সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী সকল মুমিনের জন্য দোয়া করার আদেশ রয়েছে। এটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে, আমরা যেন পূর্ববর্তী মুমিনদের জন্য ক্ষমা ও রহমতের দোয়া করি।”
এই আয়াত প্রমাণ করে যে, পূর্বে ইমানের সাথে দুনিয়া ত্যাগ করা ব্যক্তিদের জন্য মাগফিরাত ও রহমতের দোয়া করা জায়েজ।
ইমাম আল-তাবারি (রহ.) এর তাফসির:
قال الإمام الطبري:
“وأمر الله جلّ ثناؤه من بعد المهاجرين الأولين والأنصار أن يقولوا: (رَبَّنَا ٱغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَٰنِنَا ٱلَّذِينَ سَبَقُونَا بِٱلْإِيمَٰنِ) أي: ولإخواننا الذين كانوا من أهل الإيمان بالله ورسوله فماتوا عليه، أن يغفر لهم ذنوبهم.”
(তাফসির আত-তাবারি:১০)
অনুবাদ:”আল্লাহ তাআলা পরবর্তী মুমিনদের আদেশ দিয়েছেন, তারা যেন তাদের পূর্ববর্তী ঈমানদার ভাইদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। অর্থাৎ, যারা ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করা উচিত।”
এই ব্যাখ্যা স্পষ্ট করে যে, মৃত মুমিনদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা শরীয়তসম্মত।
ইমাম কুরতুবি (রহ.) এর তাফসির:
قال القرطبي:
“فيه دليل على أن دعاء المؤمن للمؤمن ينفعه بعد موته، خلافا لمن يقول: إن الميت لا ينتفع بغيره. وهذه الآية رد على من منع الدعاء للميت.”
(তাফসির আল-কোর্তবী, আল হাশার:১০)
অনুবাদ: “এই আয়াত প্রমাণ করে যে, একজন মুমিন অন্য মুমিনের জন্য দোয়া করলে, তা মৃত্যুর পরও উপকারে আসে। এটি তাদের মতের বিপরীত যারা মনে করে যে, মৃত ব্যক্তি অন্যের দোয়ার দ্বারা উপকৃত হয় না। এই আয়াত প্রমাণ করে যে, মৃতদের জন্য দোয়া করা বৈধ ও প্রমাণিত।”
এই ব্যাখ্যা থেকে বোঝা যায়, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করার অনুমোদন রয়েছে এবং এটি শরীয়তসম্মত।
হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দলিল :
সদকার সওয়াব মৃতকে পৌঁছে,
حديث أبي عمرو، وقيل غير ذلك، بعضهم يقول: هو أبو عبد الله، وبعضهم يقول: أبو ليلى، عثمان بن عفان قال: كَانَ النَّبِيُّ ﷺ إِذَا فَرَغَ مِنْ دَفْنِ الْمَيِّتِ وَقَفَ عَلَيْهِ، وَقَالَ: اسْتَغْفِرُوا لِأَخِيكُمْ، وَسَلُوا لَهُ التَّثْبِيتَ، فَإِنَّهُ الْآنَ يُسْأَلُ.
[رواه أبو داود]
অনুবাদ: আবূ আমর (أَبُو عَمْرٍو) হাদিস বর্ণনা করেছেন, তবে অন্যরাও বিভিন্নভাবে বলেছেন। কেউ কেউ বলেন, তিনি আবূ আব্দুল্লাহ (أَبُو عَبْدِ اللَّهِ), আবার কেউ বলেন, তিনি আবূ লাইলা (أَبُو لَيْلَى)।উসমান ইবন আফফান (رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:নবী (ﷺ) যখন কোনো মৃত ব্যক্তির দাফন শেষ করতেন, তখন তার পাশে দাঁড়িয়ে বলতেন:”তোমরা তোমাদের এই ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং তার জন্য দৃঢ়তার (স্থিরতার) দোয়া করো, কেননা এখন তাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে।”
(এই হাদিসটি আবূ দাউদ বর্ণনা করেছেন।)
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِلنَّبِيِّ ﷺ: إِنَّ أُمِّي افْتُلِتَتْ نَفْسُهَا، وَلَمْ تُوصِ، وَأَظُنُّهَا لَوْ تَكَلَّمَتْ تَصَدَّقَتْ، فَهَلْ لَهَا أَجْرٌ إِنْ تَصَدَّقْتُ عَنْهَا؟ قَالَ: نَعَمْ، فَتَصَدَّقَ عَنْهَا
(বুখারি: ২৭৬১, মুসলিম: ১০০৪)
এই হাদিসে এক ব্যক্তি তার মৃত মায়ের জন্য সদকা করার অনুমতি চেয়েছেন, এবং নবী ﷺ তাকে অনুমোদন দিয়েছেন।
মৃতের জন্য সদকার গুরুত্ব
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ تُوُفِّيَتْ أُمُّهُ وَهُوَ غَائِبٌ عَنْهَا، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمِّي تُوُفِّيَتْ وَأَنَا غَائِبٌ عَنْهَا، أَيَنْفَعُهَا شَيْءٌ إِنْ تَصَدَّقْتُ بِهِ عَنْهَا؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: فَإِنِّي أُشْهِدُكَ أَنَّ حَائِطِيَ الَّذِي بِالْمِخْرَافِ صَدَقَةٌ عَلَيْهَا
(বুখারি: ২৭৫৬, নাসাঈ: ৩৬১৯)
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, سعد بن عبادة (সাদ ইবন উবাদাহ) (রাঃ)-এর মা মৃত্যুবরণ করেন, অথচ তিনি তখন অনুপস্থিত ছিলেন। তখন তিনি বললেন,”হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা মৃত্যুবরণ করেছেন, আর আমি তখন তার কাছাকাছি ছিলাম না। যদি আমি তার পক্ষ থেকে সদকা করি, তাহলে কি তা তার কোনো উপকারে আসবে?”
তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “হ্যাঁ।”
তখন তিনি বললেন, “আমি আপনাকে সাক্ষী করছি যে, মিখরাফ নামক স্থানে আমার যে বাগান রয়েছে, সেটি আমি তার জন্য সদকা করে দিলাম।”
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, মৃতের জন্য দান-সদকা করা তার জন্য উপকারী হয় এবং নবী ﷺ তা অনুমোদন করেছেন।
মৃতের জন্য ইবাদত ও সদকার বৈধতা
إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ، انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثٍ: صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ، أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ، أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ
(মুসলিম: ১৬৩১, তিরমিজি: ১৩৭৬)
এই হাদিসে বলা হয়েছে, মৃতের জন্য সদকা জারিয়া (চলমান দান), উপকারী জ্ঞান এবং নেক সন্তান দোয়া করলে তার আমল বন্ধ হয় না, বরং তা চলমান থাকে।
মৃতের পক্ষ থেকে হজ ও রোযা আদায় করা যায়
عَنْ امْرَأَةٍ مِنْ جُهَيْنَةَ، أَنَّ أُمَّهَا نَذَرَتْ أَنْ تَحُجَّ فَمَاتَتْ، فَسَأَلَتْ النَّبِيَّ ﷺ فَقَالَ: “حُجِّي عَنْهَا”
অর্থ: এক মহিলা রাসুলুল্লাহ ﷺ-কে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমার মা মৃত্যুর আগে হজ করতে পারেননি। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ করতে পারি?” রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন: ‘হ্যাঁ, তুমি তার পক্ষ থেকে হজ করো।’
(সহিহ বুখারি: ১৮৫২, সহিহ মুসলিম: ১১৪৯)
কবরস্থানে কুরআন পাঠের ফজিলত
مَنْ دَخَلَ الْمَقَابِرَ فَقَرَأَ سُورَةَ يس يَخِفُّ عَنْهُمُ الْعَذَابُ يَوْمَئِذٍ وَيَكُونُ لَهُ أَجْرًا
অর্থ: “যদি কেউ কবরস্থানে গিয়ে সূরা ইয়াসিন পাঠ করে, তাহলে কবরবাসীদের কষ্ট লাঘব হয় এবং পাঠকারী ব্যক্তির জন্যও সওয়াব হয়।”
(মুসতাদরাক হাকিম: ১৭৭৫, বায়হাকি: ৫/৫৬)
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, কুরআন তিলাওয়াতের সওয়াব মৃতদের উপকারে আসে।
হাদিস বিশারদ ও ফকিহগনের দৃষ্টিকোণ থেকে:
ইবনে কুদামা (রহ.) বলেন:
إِذَا قَرَأَ الْإِنْسَانُ وَأَهْدَى ثَوَابَهُ إِلَى الْمَيِّتِ، وَصَلَهُ ذَلِكَ
অর্থ: “যদি কেউ কুরআন পড়ে এবং তার সওয়াব মৃতের জন্য দান করে, তবে তা মৃতের কাছে পৌঁছে যায়।”
(আল-মুগনি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৫৬৭)
হানাফি ফিকহের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থসমূহে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, জীবিত ব্যক্তি যদি মৃতের জন্য সদকা করে, তাহলে তার সওয়াব মৃত ব্যক্তির কাছে পৌঁছে। নিম্নে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল উপস্থাপন করা হলো—
আল-মাবসুত – ইমাম সারাখসি (রহ.)
وَيَصِلُ إِلَى الْمَيِّتِ صَدَقَةُ الْحَيِّ عَنْهُ عِنْدَنَا، وَهُوَ قَوْلُ الْفُقَهَاءِ كَافَّةً
(আল-মাবসুত, ২/২২৫)
অর্থ: আমাদের (হানাফি) মতে, জীবিত ব্যক্তি যখন মৃতের জন্য সদকা করে, তা মৃতের কাছে পৌঁছে। এবং এটি সমস্ত ফকিহদের অভিমত।
বিশ্লেষণ:
এই বক্তব্যে ইমাম সারাখসি (রহ.) স্পষ্ট করেছেন যে, এটি শুধু হানাফি মাজহাবের মত নয়, বরং সমস্ত ফকিহগণ এই মতের ওপর একমত।
রদ্দুল মুহতার – ইবনে আবেদীন (রহ.)
وَيُسَنُّ لِلْجِيرَانِ وَالْأَقَارِبِ تَفْطِيرُهُمْ وَإِطْعَامُهُمْ، لَا سِيَّمَا لِأَهْلِ الْمَيِّتِ
(রদ্দুল মুহতার, ২/২৪০)
অর্থ: মৃতের পরিবারের জন্য, প্রতিবেশীদের এবং আত্মীয়দের খাওয়ানো সুন্নত।
বিশ্লেষণ:
এই দলিল থেকে বোঝা যায়, মৃত ব্যক্তির স্মরণে এবং তার মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে খাদ্য বিতরণ করা সুন্নত আমলগুলোর মধ্যে একটি।
ফাতাওয়া হিন্দিয়া – আলমগীরি ফিকহ সংকলন
لَا بَأْسَ بِالتَّصَدُّقِ عَنِ الْمَيِّتِ وَيَصِلُ إِلَيْهِ الثَّوَابُ عِنْدَ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া, ১/১৬৮)
অর্থ: মৃতের পক্ষ থেকে সদকা করা জায়েজ, এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মতে এর সওয়াব মৃতের কাছে পৌঁছে।
বাদায়েউস সানায়ে – ইমাম কাসানি (র.)
وَأَمَّا صَدَقَةُ الْمَالِ، فَالْأَصْلُ فِيهَا أَنَّهَا تَصِلُ إِلَى الْمَيِّتِ عِنْدَنَا، وَهُوَ قَوْلُ جُمْهُورِ الْعُلَمَاءِ
(বাদায়েউস সানায়ে, ৭/৩৩৯)
অর্থ: আমাদের মতে, মৃত ব্যক্তির জন্য অর্থ-সম্পদের সদকা পৌঁছে যায়, এবং এটি অধিকাংশ উলামার মত।
এই বক্তব্য প্রমাণ করে যে, হানাফি মাজহাবে মৃতের জন্য সদকা করা জায়েজ এবং এতে মৃত উপকৃত হন।
ইমাম নববি (রহ.) বলেন:
وَأَجْمَعَتِ الْأُمَّةُ عَلَى جَوَازِ الدُّعَاءِ لِلْمَيِّتِ، وَوُصُولِ ثَوَابِ الصَّدَقَةِ وَالْحَجِّ إِلَيْهِ
অর্থ: “উম্মতের ইজমা হয়েছে যে, মৃতদের জন্য দোয়া করা এবং সদকা ও হজের সওয়াব তাদের কাছে পৌঁছানো বৈধ।”
(শরহে নববি আলা মুসলিম, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৯০)
উপরোক্ত দলিলসমূহ থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, মৃত ব্যক্তির জন্য সদকা,দোয়া, দরুদ ও মিলাদ মাহফিল করে সাওয়াবের হাদিয়া প্রেরণ করা বৈধ এবং শরিয়তসম্মত। এটি শুধু ব্যক্তিগত আমল নয়, বরং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সর্বসম্মত মত। অতএব, মায়্যিতের জন্য শিরনি বা খাবার সদকার নিয়তে বিতরণ করা কোরআন, হাদিস, তাফসির ও ফোকাহাগনের দৃষ্টিকোণ থেকে দৃষ্টিতে বৈধ।
লেখক :
অধ্যক্ষ শেখ শিব্বির আহমদ
সিরাজনগর ফাজিল মাদ্রাসা
সিরাজনগর দরবার শরীফ
শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার।