নবীগণের সংখ্যা
وقد اختلف في عدد الأنبياء والمرسلين، والمشهور في ذلك ما في حديث أبي ذر عند ابن مردويه في تفسيره، قال: قلت يا رسول الله، كم الأنبياء؟ قال: مائة ألف وأربعة وعشرون ألفًا، قال: قلت: يا رسول الله، كم الرسل منهم؟ قال: ثلثمائة وثلاثة عشر جم غفير، قال قلت: يا رسول الله، من كان أولهم؟ قال: آدم،
-“নবী ও রাসূলদের সংখ্যা নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। সু-প্রসিদ্ধ মত হল, যা হযরত আবু যার গিফারী (رضي الله عنه) এর হাদিসে ‘ইবনে মারদুবিয়া’ তার তাফছিরে বর্ণনা করেছেন। আবু যার (رضي الله عنه) বলেন, আমি রাসূল ( ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! নবীদের সংখ্যা কত? প্রিয় নবীজি ( ﷺ) বলেন: এক লক্ষ চব্বিশ হাজার। আমি বললাম: তাদের মধ্যে রাসূলে সংখ্যা কতজন? প্রিয় নবীজি ( ﷺ) বললেন: ৩১৩ জন। আমি বললাম: তাদের মধ্যে প্রথম কে? প্রিয় নবীজি বললেন: আদম (عليه السلام) হলেন প্রথম।”১০১০, শরহে যুরকানী, ৮ম খন্ড, ৩০৭ পৃ:;
এ বিষয়ে মারফূ‚ পর্যায়ের হাদিস লক্ষ্য করুন,
حَدَّثَنَاهُ أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ الْفَضْلِ بْنِ إِدْرِيسَ السَّامِرِيُّ بِبَغْدَادَ، ثنا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ بْنِ يَزِيدَ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ السَّعْدِيُّ الْبَصْرِيُّ، ثنا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ ..فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَمِ النَّبِيُّونَ؟ قَالَ: مِائَةُ أَلْفٍ وَأَرْبَعَةٌ وَعِشْرُونَ أَلْفَ نَبِيٍّ قُلْتُ: كَمِ الْمُرْسَلُونَ مِنْهُمْ؟ قَالَ: ثَلَاثُ مِائَةٍ وَثَلَاثَةَ عَشَرَ
-“হযরত আবী যার (رضي الله عنه) বলেন, আমি রাসূল ( ﷺ) এর কাছে গেলাম আর তখন তিনি মসজিদে ছিলেন।.. আমি রাসূল ( ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! নবীদের সংখ্যা কত ? প্রিয় নবীজি ( ﷺ) বলেন: এক লক্ষ চব্বিশ হাজার। আমি বললাম: তাদের মধ্যে রাসূলে সংখ্যা কতজন ? প্রিয় নবীজি ( ﷺ) বললেন: ৩১৩ জন।” ১১১১, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ৪১৬৬; মেসকাত শরীফ, হাদিস নং ৫৭৩৭; আল্লামা আল্লামা ছানআনী: আত তানবীর শরহু জামেউছ ছাগীর, ৩য় খন্ড, ৪৬৬ পৃ:; তাফছিরে ইবনে কাছির, ২য় খন্ড, ৪৭১ পৃ:; ইমাম আইনী: উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী, ১৫তম খন্ড, ২০৪ পৃ:; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৩২২৭৬;
এই হাদিসের রাবী يحيى بن سعيد السَّعْديّ العَبشميّ، (ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ সাঈদী আবিসমী) সম্পর্কে ইমাম উকাইলী সমালোচনা করলেও ইমাম ইবনে হিব্বান ( رَحْمَةُ الله عليه) তার ব্যাপারে বলেছেন:
وَقَالَ ابْنُ حِبّان: لَا يجوز الاحتجاج به إذا انفرد. -“ইবনে হিব্বান ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেছেন: তার একক বর্ণনা গুলো গ্রহণ করা জায়েয হবেনা।” ১২১২, ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ৪৫৪;
সকলেই অবগত আছে, নবীদের সংখ্যার বিষয়ে يحيى بن سعيد ‘ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ’ এর বর্ণনাটি একক নয় বিধায় অবশ্যই ইহা দলিল হিসেবে গ্রহণ করা জায়েয হবে। অপরদিকে উকাইলীর বক্তব্য ব্যাখ্যা সাপেক্ষ, কারণ তিনি অসংখ্য ছিক্বাহ রাবীর ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন, এমনকি ইমাম বুখারীর উস্তাদ ও বিশ্ব নন্দিত ইমাম ও মুহাদ্দিছ ‘আলী ইবনে মাদানীকে’ তিনি গাইরে ছিক্বাহ বা দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। নবীদের সংখ্যার হাদিসটি ভিন্ন আরেকটি সূত্রে বর্ণিত আছে,
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ الْحَسَنِ، ثَنَا جَعْفَرٌ الْفِرْيَابِيُّ،. وَحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَا: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ هِشَامِ بْنِ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى الْغَسَّانِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ وَإِذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ وَحْدَهُ، فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ فَقَالَ: يَا أَبَا ذَرٍّ إِنَّ لِلْمَسْجِدِ تَحِيَّةً، وَإِنَّ تَحِيَّتَهُ رَكْعَتَانِ، فَقُمْ فَارْكَعْهَا.. قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ كَمِ الْأَنْبِيَاءُ؟ قَالَ: مِائَةُ أَلْفٍ وَأَرْبَعَةٌ وَعِشْرُونَ أَلْفًا، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ كَمِ الرُّسُلُ؟ قَالَ: ثَلَاثُمِائَةٍ وَثَلَاثَةُ عَشَرَ جَمًّا غَفِيرًا
-“হযরত আবী যার (رضي الله عنه) বলেন, আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম যখন রাসূল ( ﷺ) একা বসা ছিলেন। ফলে আমি তাঁর কাছে গিয়ে বসলাম। রাসূল ( ﷺ) আমাকে বললেন: হে আবু যার! নিশ্চয় মসজিদের পবিত্রতা রয়েছে আর মসজিদের পবিত্রতা হল ২ রাকাত নামাজ।.. আমি রাসূল ( ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! নবীদের সংখ্যা কত ? প্রিয় নবীজি ( ﷺ) বলেন: এক লক্ষ চব্বিশ হাজার। আমি বললাম: তাদের মধ্যে রাসূলের সংখ্যা কতজন ? প্রিয় নবীজি ( ﷺ) বললেন: ৩১৩ জন।” ১৩১৩, ইমাম আবু নুয়াইম: হিলিয়াতুল আউলিয়া, ১ম খন্ড, ১৬৭ পৃ:;
এই হাদিসের রাবী إِبْرَاهِيمُ بْنُ هِشَامِ بْنِ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى الْغَسَّانِيُّ (ইব্রাহিম ইবনে হিশাম ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া গাচ্ছানী) নির্ভরযোগ্য রাবী। যদিও ইমাম যাহাবী ( رَحْمَةُ الله عليه) ইমাম আবু হাতিমের মত উল্লেখ করেন: قال أبو حاتم وغيره، ليس بثقة، -“ইমাম আবু হাতেম ও অন্যান্য ইমামরা বলেন: সে বিশ্বস্ত নয়।” ১৪১৪, ইমাম যাহাবী: দেওয়ানুদ দোয়াফা, রাবী নং ২৬৯; ইমাম যাহাবী: আল মুগনী ফিদ দোয়াফা, রাবী নং ২০১;
তবে অন্যান্য ইমামগণ তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন। যেমন লক্ষ্য করুন:-
وذكره ابن حبان في الثقات. وخرج حديثه الطّويل وصحّحه.
-“ইমাম ইবনে হিব্বান ( رَحْمَةُ الله عليه) তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। তার থেকে লম্বা হাদিস বর্ণনা করেছেন ও ছহীহ্ বলেছেন।” ১৫১৫, ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ৪৭;
وثقة الطَّبَرَانِيّ ইমাম তাবারানী ( رَحْمَةُ الله عليه) তাকে ثقة বিশ্বস্ত বলেছেন। ১৬১৬, ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ৪৭; ইমাম যাহাবী: আল মুগনী ফিদ দোয়াফা, রাবী নং ২০১;
অতএব, তার হাদিস গ্রহণযোগ্য হওয়াতে কোন বাধা নেই, কারণ ইমামরা তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন ও ছহীহ্ বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এই হাদিস সম্পর্কে হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী ( رَحْمَةُ الله عليه) ও আল্লামা জামালুদ্দিন যায়লায়ী ( رَحْمَةُ الله عليه) স্ব স্ব কিতাবে উল্লেখ করেন,
صَححهُ بن حبَان -“ইমাম ইবনে হিব্বান ( رَحْمَةُ الله عليه) এই হাদিসকে ছহীহ্ বলেছেন।”১৭১৭, ইমাম আসকালানী: ফাতহুল বারী শরহে বুখারী, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৩৬১ পৃ:; তাখরিজু আহাদিসুল কাশ্শাফ, ৮২২;
স্বয়ং নাছিরুদ্দিন আলবানী তার কিতাবে বলেন,
وفي حديث أبي ذر من ثلاث طرق، فهو صحيح لغيره. -“হযরত আবু যার গিফারী (رضي الله عنه) হাদিসটি ৩টি সূত্রে থাকায় ইহা ‘ছহীহ্ লিগাইরিহী’ পর্যায়ের হয়ে গেছে।”১৮১৮, মওছুয়াতু আলবানী ফিল আকিদাহ, ৮ম খন্ড, ১৪০ পৃ:;
তিনি আরো বলেন,
لكن عدد الرسل صحيح؛ جاء من طريق أخرى عن أبي أمامة بسند صحيح، وعدد الأنبياء صحيح لغيره،
-“কিন্তু রাসূলগণের সংখ্যা ছহীহ্। হযরত আবু উমামা (رضي الله عنه) থেকে আরেকটি ছহীহ্ সনদে ইহা এসেছে। আর নবীদের সংখ্যার বিষয়টি হল ‘ছহীহ্ লি’গাইরিহী’।” ১৯১৯, মওছুয়াতু আলবানী ফিল আকিদাহ, ৮ম খন্ড, ১৩৯ পৃ:;
নবীদের সংখ্যা বিষয়ক হাদিসটি আরেকটি সূত্রে বর্ণিত আছে,
حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا مُعَانُ بْنُ رِفَاعَةَ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَسْجِدِ ..قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، كَمْ وَفَّى عِدَّةُ الْأَنْبِيَاءِ؟ قَالَ: مِائَةُ أَلْفٍ وَأَرْبَعَةٌ وَعِشْرُونَ أَلْفًا الرُّسُلُ مِنْ ذَلِكَ ثَلَاثُ مِائَةٍ وَخَمْسَةَ عَشَرَ جَمًّا غَفِيرًا
-“হযরত আবু উমামা বাহেলী (رضي الله عنه) বলেন, আল্লাহর রাসূল ( ﷺ) মসজিদে বসা ছিলেন।.. আমি রাসূল ( ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! নবীদের সংখ্যা কত ? প্রিয় নবীজি ( ﷺ) বলেন: এক লক্ষ চব্বিশ হাজার। তাদের মধ্যে রাসূলে সংখ্যা ৩১৫ জন।” ২০২০, মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ২২২৮৮; ইমাম তাবারানী: মুজামুল কবীর, হাদিস নং ৭৮৭১; তাফছিরে ইবনে আবী হাতেম, হাদিস নং ৯৬২; তাফছিরে দুর্রে মানছুর, ১ম খন্ড, ১২৬ পৃ:; হাফিজ ইবনে কাছির: জামেউল মাসানিদ ওয়াস সুনান, হাদিস নং ১১০৪৮; কাজী শাওকানী: তাফছিরে ফাতহুল কাদির, ১ম খন্ড, ৮২ পৃ:; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৩২২৭৭; ইমাম হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, হাদিস নং ৭২৫; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: শরহে শিফা, ১ম খন্ড, ৫৩৫ পৃ:; হাফিজ ইবনে কাছির: কাছাছুল আম্বিয়া, ১ম খন্ড, ৬৪ পৃ:;
এই হাদিসের রাবীالقاسم أَبُو عَبْد الرَّحْمَن (কাশেম আবু আব্দুর রহমান) একজন বিশিষ্ঠ তাবেঈ, তার মূল নাম হল:
القاسم بن عَبْد الرَّحْمَنِ الشامي ‘কাশেম ইবনে আব্দুর রহমান শামী’। যিনি ১০০ জনের মত সাহাবীকে দেখেছেন। ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইবনে মাঈন ( رَحْمَةُ الله عليه) তাকে ثقة ছিক্বাহ বা বিশ্বস্ত বলেছেন। ২১২১, ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ২২৬;
وَقَال يعقوب بْن شَيْبَة السدوسي: ثقة. -“ইয়াকুব ইবনে শাইবাহ ছাদুছী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন: সে বিশ্বস্ত।” ২২২২, ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৪৮০০;
وقال يعقوب بن سفيان والترمذي ثقة -“ইয়াকুব ইবনে সুফিয়ান ( رَحْمَةُ الله عليه) ও ইমাম তিরমিজি ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেছেন: সে বিশ্বস্ত।” ২৩২৩, ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ৫৮৩;
ذكره عبدان المروزي في الصحابة، -আব্দান মারুজী তাকে সাহাবীদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। ২৪২৪, ইমাম আসকালানী: আল ইছাবা ফি তামিজিছ ছাহাবা, রাবী নং ৭৩৪২;
তাই ‘কাশেম আবু আব্দুর রহমান’ এর রেওয়ায়েত নির্ভরযোগ্য। এবার দ্বিতীয় রাবী مُعان بْن رفاعة السَّلاميُّ (মুআন ইবনে রিফায়া সালামী)। তার ব্যাপারে অভিমত লক্ষ্য করুন:-
قال محمد بن عوف عن أحمد لم يكن به بأس وقال علي بن المديني ثقة وقال عثمان الدارمي عن دحيم ثقة وقال محمد بن عوف لا بأس به وقال الآجري عن أبي داود ليس به بأس
-“মুহাম্মদ ইবনে আউফ ইমাম আহমদ ( رَحْمَةُ الله عليه) থেকে বর্ণনা করেন, তার ব্যাপারে অসুবিধা নেই। ইমাম আলী ইবনে মাদানী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন: সে বিশ্বস্ত। উছমান দারেমী ইমাম দুহাইম ( رَحْمَةُ الله عليه) হতে বর্ণনা করেন: সে বিশ্বস্ত। মুহাম্মদ ইবনে আউফ বলেন: তার ব্যাপারে অসুবিধা নেই। আজরী ইমাম আবু দাউদ ( رَحْمَةُ الله عليه) থেকে বলেন: তার ব্যাপারে অসুবিধা নেই।” ২৫২৫, ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ৩৭৪; ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৬০৪৩;
অতএব, مُعان بْن رفاعة ‘মুয়ান ইবনে রিফায়া’ এর রেওয়ায়েত ছহীহ্ হওয়াতে কোন বাধা নেই। তৃতীয় রাবী عَلِيُّ بْنُ يَزِيدَ بْنِ أَبِي هِلالٍ (আলী ইবনে ইয়াজিদ ইবনে আবী হিলাল)। ইমাম হাকেম ( رَحْمَةُ الله عليه) তার রেওয়ায়েত কে ছহীহ্ বলেছেন। ২৬২৬, ইমাম মুগলতাঈ: ইকমালু তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৩৮৯৭;
ইমামদের একটি বড় অংশ তাকে দ্বায়িফ বলেছেন। তবে অন্যান্য রেওয়ায়েত দ্বারা এই হাদিস সমর্থন পাওয়ায় ইহা শক্তিশালী হবে। ছহীহ্ হাদিসের আলোকে রাসূলগণের সংখ্যা নিম্নরুপ,
أخرجه أبو جعفر الرزاز في “مجلس من الأمالي” (ق ১৭৮ / ১) : حدثنا عبد الكريم ابن الهيثم الديرعاقولي: حدثنا أبو توبة يعني الربيع بن نافع: حدثنا معاوية بن سلام عن زيد بن سلام أنه سمع أبا سلام يقول: حدثني أبو أمامة: أن رجلا قال: يا رسول الله! كم كانت الرسل؟ قال: ثلاثمائة وخمسة عشر. قلت: وهذا إسناد صحيح، رجاله كلهم ثقات رجال مسلم غير الديرعاقولي، وهو ثقة ثبت كما قال الخطيب في تاريخه وكذلك قال ابن حبان في الثقات
-“হযরত আবু উমামা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, নিশ্চয় এক ব্যক্তি বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাসূল কতজন ? রাসূল ( ﷺ) বললেন: ৩১৫ জন। আমি আলবানী বলি: এই সনদ ছহীহ্, এর সকল বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত ও মুসলীমের রাবী। তবে ‘দিরায়া কাউলী’ ব্যতীত। আর সেও বিশ্বস্ত প্রমাণিত, যেমনটি খতিবে বাগদাদী তার ‘তারিখে’ বলেছেন, অনুরূপ ইমাম ইবনে হিব্বান ( رَحْمَةُ الله عليه) তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন।”২৭২৭, আলবানী: ছিলছিলায়ে আহাদিসুছ ছাহিহা, হাদিস নং ২৬৬৮;
হাফিজ ইবনে কাইয়ূম জাওযী বলেন,
وَكَذَلِكَ اخْتِيَارُهُ سُبْحَانَهُ لِلْأَنْبِيَاءِ مِنْ وَلَدِ آدَمَ عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمُ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَهُمْ مِائَةُ أَلْفٍ وَأَرْبَعَةٌ وَعِشْرُونَ أَلْفًا، وَاخْتِيَارُهُ الرُّسُلَ مِنْهُمْ، وَهُمْ ثَلَاثُمِائَةٍ وَثَلَاثَةَ عَشَرَ،
-“এমনিভাবে মহান আল্লাহ তা’আলা আদম সন্তানদের মধ্যে নবীদের সংখ্যা নির্ধারণ করেছেন। আর তারা হলো ১ লক্ষ ২৪ হাজার, তাদের মধ্যে হতে রাসূল নির্ধারণ করেছেন এবং তাদের সংখ্যা হলো ৩১৩ জন।” ২৮২৮, হাফিজ ইবনে কাইয়ূম: যাদুল মাআদ, ১ম খন্ড, ৪৪-৪৫ পৃ:;
ইমাম বাগভী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেছেন,
وَجُمْلَتُهُمْ مِائَةُ أَلْفٍ وَأَرْبَعَةٌ وَعِشْرُونَ أَلْفًا، وَالرُّسُلُ مِنْهُمْ ثَلَاثُمِائَةٍ وَثَلَاثَةَ عَشَرَ، وَالْمَذْكُورُونَ فِي الْقُرْآنِ بِاسْمِ الْعَلَمِ ثَمَانِيَةٌ وَعِشْرُونَ نَبِيًّا،
-“সমষ্ঠিগত ভাবে নবীদের সংখ্যা হলো ১ লক্ষ ২৪ হাজার এবং তাদের মধ্যে রাসূলে সংখ্যা হলো ৩১৩ জন। পবিত্র কোরআনে নবীদের উল্লেখ রয়েছে ২৮ জনের।” ২৯২৯, তাফছিরে বাগভী, সূরা বাকার ২১৩ নং আয়াতের তাফছির;
ইমাম কাজী আয়্যাজ ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন,
أَنَّ كُلَّ رَسُولٍ نَبِيّ وَلَيْسَ كُلُّ نَبِيّ رَسُولًا وَأَوَّلُ الرُّسُلِ آدَمُ وآخِرُهُمْ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
-“নিশ্চয় সকল রাসূলই নবী কিন্তু সকল নবী রাসূল নয়, এর মধ্যে প্রথম হল আদম (عليه السلام) এবং শেষ হলো হযরত মুহাম্মদ ( ﷺ)।” ৩০৩০, কাজী আয়্যায: শিফা শরীফ, ১ম খন্ড, ২৫১ পৃ:;
আল্লামা নূরুদ্দিন আলী হালভী ( رَحْمَةُ الله عليه) উল্লেখ করেছেন,
وفي رواية، مائتا ألف وأربعة وعشرون الفا -“আরেক বর্ণনায় আছে, নবীদের সংখ্যা হলো ১ লক্ষ ২৪ হাজার।” ৩১৩১, সিরাতে হালবিয়া, ৩য় খন্ড, ৩৯১ পৃ:;