হায়াতুল আউলিয়া (অলীগণের বারযখী জীবন)

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

আল্লাহর ওলীগণ মৃত্যুর পরও জীবিত

قَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: أَوْلِيَاءُ اللَّهِ لَا يَمُوتُونَ وَلَكِنْ يُنْقَلُونَ مِنْ دَارٍ إِلَى دَارٍ

-“রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেন: সাবধান! নিশ্চয় আল্লাহর ওলীগণের মৃত্যু নেই।”

*আল্লামা ইসমাঈল হাক্বী: তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৫ম খন্ড, ২২৪ পৃ:; 

*ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১৩৬৬ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; 

*ইমাম ফখরুদ্দিন রাবী: তাফছিরে কবীর, ৯ম খন্ড, ৪২৭ পৃ: সূরা আলে ইমরানের ১৬৯-৭০ নং আয়াতের তাফছিরে; 

*তাফছিরে নিছাপুরী, ৪র্থ খন্ড, ৩৮৩ পৃ:; গাউছে পাক: সেররুল আসরার

হিজরী ১১শ শতাব্দির মোজাদ্দিদ, আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) হাদিসটি এভাবে উল্লেখ করেন:

أَوْلِيَاءُ اللَّهِ لَا يَمُوتُونَ وَلَكِنْ يَنْتَقِلُونَ مِنْ دَارٍ إِلَى دَارٍ -“আল্লাহর ওলীগণ মৃত্যুবরণ করেনা, বরং তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়।” (ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১৩৬৬ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;)

হিজরী ৬ষ্ঠ শতাব্দির মোজাদ্দিদ, আল্লামা ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এভাবে হাদিসটি উল্লেখ করেন:

قَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: أَوْلِيَاءُ اللَّهِ لَا يَمُوتُونَ وَلَكِنْ يُنْقَلُونَ مِنْ دَارٍ إِلَى دَارٍ

-“আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: আল্লাহর ওলীগণ মৃত্যুবরণ করেনা, বরং তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়।” (তাফছিরে কবীর, ৯ম খন্ড, ৪২৭ পৃ: সূরা আলে ইমরানের ১৬৯-৭০ নং আয়াতের তাফছিরে;)

আল্লামা নিজামুদ্দিন হাছান ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হুছাইন নিছাপুরী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৮৫০ হিজরী তদীয় কিতাবে এভাবে উল্লেখ করেন,

وكقوله صلى الله عليه وسلم: أولياء الله لا يموتون ولكن ينقلون من دار إلى دار

-“আর আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) এর বাণী হল: আল্লাহর ওলীগণ মৃত্যুবরণ করেনা, বরং তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়।”(তাফছিরে নিছাপুরী, ৪র্থ খন্ড, ৩৮৩ পৃ:;)

হেরেম শরীফে অন্যতম ইমাম, আল্লামা ইসমাঈল হাক্বী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এভাবে হাদিসটি উল্লেখ করেন,

قوله عليه السلام اولياء الله لا يموتون بل ينقلون من دار الى دار

-“আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বাণী: আল্লাহর ওলীগণ মৃত্যুবরণ করেনা, বরং তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়।”(তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৫ম খন্ড, ২২৪ পৃ:;)

আল্লামা আবুল ফায়েয যুবাইদী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এভাবে উল্লেখ করেছেন,

أَنَّ أَوْلياءَ اللهِ لَا يَمُوتُونَ، ولكِنْ يُنْقَلُون من دارٍ إِلَى دارٍ،

-“নিশ্চয় আল্লাহর ওলীগণ মৃত্যুবরণ করেনা, বরং এক স্থান থেকে আরেক স্থানে প্রত্যাবর্তন করে।”(আল্লামা যুবাইদী: তাজুল আরুছ, ২৪তম খন্ড, ১৩৬ পৃ:; আল উবাবুজ জুখার, ১ম খন্ড, ৪৭৩ পৃ:;)

ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী, ইমাম নিছাপুরী ও আল্লামা ইসমাঈল হাক্বী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ইহাকে রাসূল ( ﷺ‎‎) এর হাদিস বলে দাবী করেছেন কিন্তু ইহার কোন সনদ নেই তবে ইহার ভাবার্থ ছহীহ্। ছালেহীন বান্দারা ইন্তেকালের পরেও স্বীয় কবরে কোরআন তেলাওয়াত করেছেন বলে বিভিন্ন রেওয়ায়েতে পাওয়া যায়, আর মৃত ব্যক্তিরা কবরে কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেনা, জিবীতরাই পারে। আল্লাহর ওলীরা হলেন এ যুগের সর্বোত্তম ছালেহীন বা নেক বান্দাহ। যেমন নিচে কয়েকটি সমর্থিত রেওয়ায়েত উল্লেখ করা হল,

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَمْرِو بْنِ مَالِكٍ النُّكْرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الجَوْزَاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: ضَرَبَ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِبَاءَهُ عَلَى قَبْرٍ وَهُوَ لاَ يَحْسِبُ أَنَّهُ قَبْرٌ، فَإِذَا فِيهِ إِنْسَانٌ يَقْرَأُ سُورَةَ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ حَتَّى خَتَمَهَا،

-“হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন, জনৈক সাহাবী এক কবরের উপর তাবু স্থান করলেন, তিনি জানতেন না এখানে কবর। তিনি শুনতে পেলেন কবর থেকে একজন মানুষ সূরা মুলুক সম্পূর্ণ তেলাওয়াত করলেন।”

*তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ২৮৯০; 

*ইমাম আবু নুয়াইম: হিলিয়াতুল আউলিয়া, ৩য় খন্ড, ৮১ পৃ:; 

*ইমাম তাবারানী: মুজামুল কবীর, হাদিস নং ১২৮০১; 

*ইমাম বায়হাক্বী: ইছবাতু আজাবিল কাবর, হাদিস নং ১৫০; 

*ইমাম বায়হাক্বী: শুয়াইবুল ঈমান, হাদিস নং ২২৮০

ইমাম তিরমজি ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন: এ বিষয়ে হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। সুতরাং প্রমাণিত হল প্রিয় নবীজির সাহাবীরা স্বীয় মাজারে জিবীত থাকেন ও কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন। আর তারাই হলেন সর্বোত্তম আউলিয়া আল্লাহ। এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত লক্ষ্য করুন,

وَأخرج الْخلال فِي كتاب السّنة من طَرِيق إِبْرَاهِيم بن الحكم بن أبان وَفِيه ضعف عَن أَبِيه عَن عِكْرِمَة قَالَ قَالَ إِبْنِ عَبَّاس الْمُؤمن يعْطى مُصحفا فِي قَبره يقْرَأ فِيهِ

-“খিলাল তার কিতাবুস সুন্নাহ’র মধ্যে ইব্রাহিম ইবনে হাকাম ইবনে আবান এর সূত্রে বর্ণনা করেন,.. হযরত ইকরিমা বলেন, হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেছেন: মু’মীন বান্দাকে কবরে কোরআনের একটি কপি দেওয়া হয় তারা সেখানে কোরআন তেলাওয়াত করেন।” (ইমাম ছিয়তী: শরহে সূদুর, হাদিস নং ১৭;)

ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করেছেন, যেমন:

وَأخرج إِبْنِ مَنْدَه وَأَبُو أَحْمد وَالْحَاكِم فِي الكنى بِسَنَد ضَعِيف عَن طَلْحَة بن عبيد الله قَالَ أردْت مَالِي بِالْغَابَةِ فأدركني اللَّيْل فأويت إِلَى قبر عبد الله بن عَمْرو بن حرَام فَسمِعت قِرَاءَة من الْقَبْر مَا سَمِعت أحسن مِنْهَا

-“ইবনে মানদাহ, আবু আহমদ, হাকেম তার আল কুনা গ্রন্থে দুর্বল সনদে বর্ণনা করেছেন। হযরত তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ বলেছেন: আমি ইচ্ছা পোষন করলাম অনে দূরে যাব, পথিমধ্যে রাত্র দেখা দিল ফলে আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (رضي الله عنه) এর কবরের কাছে গেলাম। অত:পর তার কবর থেকে আমি কোরআন তেলাওয়াতের আওয়াজ শুনতে পেলাম। যা সেখান থেকে শুনলাম ইহা অতি উত্তম ছিল।”(ইমাম ছিয়তী: শরহে সূদুর, হাদিস নং ১৯;)

এই হাদিস থেকেও প্রমাণ হয় সাহাবীরা স্বীয় মাজারে কোরআন তেলাওয়াত করতেন। অতএব তারা জিবীত। এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়,

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحٍ الْعَدَوِيُّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ الصِّمَّةِ الْمُهَلَّبِيُّ، حَدَّثَنِي الَّذِينَ كَانُوا يَمُرُّونَ بِالْجِصِّ بِالْأَسْحَارِ قَالَ: كُنَّا إِذَا مَرَرْنَا بِجَنَبَاتِ قَبْرِ ثَابِتٍ سَمِعْنَا قِرَاءَةَ الْقُرْآنِ

-“ইব্রাহিম ইবনে ছিম্মাহ মুহাল্লী তার সূত্রে বলেন: যখন আমরা হযরত ছাবেত আল বেনানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর মাজারের পাশ দিয়ে যেতাম তখন তার কবর থেকে কোরআন তেলাওয়াতে আওয়াজ শুনতাম।” (ইবনে জারির তাবারী: তাহজিবুল আছার, হাদিস নং ৭৩৮; ইমাম ছিয়তী: শরহে সূদুর, হাদিস নং ৮;)

এই রেওয়ায়েত দ্বারাও প্রমাণিত হয়, আল্লাহর প্রিয় বান্দারা কবরে জিবীত থাকেন ও কোরআন তেলাওয়াত করেন। এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়,

وَأخرج إِبْنِ مَنْدَه عَن أبي النَّضر النَّيْسَابُورِي الحفار وَكَانَ صَالحا ورعا قَالَ حفرت قبرا فانفتح فِي الْقَبْر قبر آخر فَنَظَرت فِيهِ فَإِذا أَنا بشاب حسن الْوَجْه حسن الثِّيَاب طيب الرّيح جَالِسا متربعا فِي حجره كتاب مَكْتُوب بخضرة أحسن مَا رَأَيْت من الخطوط وَهُوَ يقْرَأ الْقُرْآن

-“আবী নাদ্বরা নিছাপুরী খাফার যিনি নেক বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। আমরা একটি কবর খনন করছিলাম, এতে পাশর্^স্থ আরেকটি কবর খুলে যায়। আমি তাতে দেখলাম, একজন সুন্দর চেহারার যুবক ও উত্তম পোশাক, পবিত্র সুগন্ধিযুক্ত অবস্থায় তার স্থানে বসে আছেন। তার কাছে একটি অতি সুন্দর কিতাব রয়েছে, এত সুন্দর যা আমি পূর্বে দেখিনি আর তিনি তা পাঠ করছেন।” (ইমাম ছিয়তী: শরহে সূদুর, হাদিস নং ২৮;)

এই রেওয়ায়েত দ্বারাও প্রমাণিত হয়, কবরে নেক বান্দাহগণ জিবীত থাকেন। এ সম্পর্কে আরেকটি বর্ণনা উল্লেখ করা যায়,

وَقَالَ وَمن الْمَشْهُور أَن الْفَقِيه الْكَبِير الْوَلِيّ الشهير أَحْمد بن مُوسَى بن عجيل سَمعه بعض الْفُقَهَاء الصَّالِحين من قرائه يقْرَأ سُورَة النُّور فِي قَبره

-“ইমাম রাফেয়ী মক্কী বলেন: এই কথা প্রসিদ্ধ যে, একজন ধার্মিক বড় মাপের ফকিহ্, প্রসিদ্ধ ওলী আহমদ ইবনে মূসা ইবনে আজিল ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর কবর থেকে কতিপয় ফোকাহা সূরা নূর তেলাওয়াত করতে শুনেছেন।” (ইমাম ছিয়তী: শরহে সূদুর, রেওয়াত নং ৩৫;)

ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী আরো উল্লেখ করেছেন,

وَقَالَ اليافعي فِي كِفَايَة المعتقد أخبرنَا بعض الأخيار عَن بعض الصَّالِحين أَنه كَانَ يَأْتِي قبر وَالِده فِي بعض الْأَوْقَات ويتحدث مَعَه

-“ইমাম ইয়াফী তার কিফায়াতুল মুতাকাদ গ্রন্থে বলেন, কতিপয় লোক আমাকে কোন কোন নেক বান্দাহ থেকে সংবাদ দিয়েছেন যে, নিশ্চয় তিনি তার পিতার কবরের কাছে বিভিন্ন সময়ে আসতেন তার সাথে কথা বলতেন।” (ইমাম ছিয়তী: শরহে সূদুর, রেওয়ায়েত নং ৩৪;)

আল্লাহর ওরীগণ ইন্তেকালের পরেও জিবীত, এই বিষয়টি নিম্নে উল্লেখিত হাদিস গুলো থেকেও প্রমাণিত। হাফিজুল হাদিস ইমাম ইবনু আব্দিল র্বা ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বর্ণনা করেছেন,

وذكر بن أَبِي الدُّنْيَا قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ خِدَاشٍ قَالَ سَمِعْتُ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ يَقُولُ بَلَغَنِي أَنَّ أَرْوَاحَ الْمُؤْمِنِينَ مُرْسَلَةٌ تَذْهَبُ حَيْثُ شَاءَتْ

-“ইবনু আবী দুনিয়া ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) উল্লেখ করেছেন,খালেদ ইবনু খিদাশ হাদিস বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন আমি হযরত মালেক ইনবু আনাস ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন আমার কাছে হাদিস পৌছেছে যে, নিশ্চয় মু’মীন বান্দাগণের রুহসমূহ প্রেরিত হয় এবং যেখানে খুশি সেখানে ভ্রমন করেন।”(ইমাম ইবনু আব্দিল র্বা: আল ইস্তেজকার, ৩য় খন্ড, ৯৩ পৃ:;)

শারিহে বুখারী, ইমাম ইবনু রজব হাম্বলী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তদীয় কিতাবে আরেকটি হাদিস উল্লেখ করেছেন,

حدث عن موسى بن شعيب أبي عمران السمرقندي، قال : ثنا محمد بن سهيل، ثنا أبو مقاتل السمرقندي، ثنا أبو سهل، عن الحسن، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أَرْوَاحَ الْمُؤْمِنِينَ فِي السَّمَاءِ السَّابِعَةِ يَنْظُرُونَ إِلَى مَنَازِلِهِمْ فِي الْجَنَّةِ

-“হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে আকরাম ( ﷺ‎‎) বলেছেন: নিশ্চয় মু’মীনগণের রুহ সমূহ সপ্তম আকাশে থাকে। তারা জান্নাতে তাদের স্থান সমূহ দেখতে পায়।”

*ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী: আহওয়ালুল কুবুর, হাদিস নং ৫৭১; 

*ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী: আখবারু ইস্বাহান, হাদিস নং ৫৭১; 

*মুসনাদু ফিরদৌছ, হাদিস নং ৯১৩; 

*ইমাম মানাভী: আত তাইছির বি’শারহি জামেইছ ছাগীর, ১ম খন্ড, ৩১০ পৃ:;

ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারক ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তদীয় কিতাবে আরেকটি রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন,

أَخْبَرَكُمْ أَبُو عُمَرَ بْنُ حَيَوَيْهِ، وَأَبُو بَكْرٍ الْوَرَّاقُ قَالَا: أَخْبَرَنَا يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ قَالَ: أَخْبَرَنَا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ قَالَ: حَدَّثَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَاصِ قَالَ: إِنَّ أَرْوَاحَ الْمُؤْمِنِينَ فِي طَيْرٍ كَالزَّرَازِيرِ يَتَعَارَفُونَ، يُرْزَقُونَ مِنْ ثَمَرِ الْجَنَّةِ

-“খালেদ ইবনু মা’দান বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনু আস (رضي الله عنه) হাদিস বর্ণনা করেছেন: নিশ্চয় মু’মীনগণের রুহ সমূহ পাখির ন্যায় বিচরণ করে, তারা পরস্পর পরস্পরকে চিনেন ও জান্নাতী ফল ভক্ষন করেন।” (ইমাম ইবনু মুবারক: আয যুহুদ, হাদিস নং ৪৪৬;)

অতএব, আল্লাহর ওলীগণ যার যার মাজারে জিবীত থাকবেন ও কোরআন তেলাওয়াত করবেন, জান্নাতী খাবার গ্রহণ করবেন, রুহানীভাবে বিচরণ করবেন এটাই স্বাভাবিক। উল্লেখিত হাদিস সমূহ দ্বারা ছালেহীন তথা আল্লাহর ওলীগণের সে মহান মর্যাদা অনুধাবন করা যায়।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment