নারী এবং পুরুষের নামাজ আদায়ের পদ্ধতিতেও বিস্তরপার্থক্য রয়েছে যেমন-
১.স্ত্রী লোকগণ নামাজ আদায়ের সময় বড়চাদর দ্বারা সমস্ত শরীর ঢেকে নামাজপড়বে, যেনশরীরের বর্ণ বা মাথার কেশ কারো দৃষ্টিগোচর না হয়। যদি শরীরের বর্ণবা মাথার কেশ অন্যের দৃষ্টিগোচর হয় তবে এটা নামাজী মহিলার ছতর উন্মুক্তবলে বিবেচিত হবে এবং উন্মুক্ত ছতরে নামাজ শুদ্ধ হয় না।
(ফাতাওয়ায়ে-আজীজিয়া, হেদায়া ১ম খন্ড, ৫৯ পৃ.; কবীরী, পৃ. ২১৩)
২.শুধু স্ত্রীলোকদের নামাজে আজান একামতদিতে হয় না। (ফাতাওয়ায়ে আজীজি)
৩.তকবীরে তাহরিমা বলার সময় দুই হাত কানবরাবর না উঠিয়ে কাঁধ বরাবর উঠাতে হবে। (হেদায়া ১ম খন্ড, ৬৪ পৃ.)
৪.তাহরীমা বাঁধা অবস্থায় দুই হাতস্তনের নিচে রাখবে। (কবীরী, ফাতাওয়ায়েআজিজী, পৃ.২৪৮)
৫.সিজদা থেকে উঠে বসার সময় দুই পা ডানদিকে রেখে নিতম্বের উপর রাখবে। (হেদায়া, কবিরী, ফাতাওয়ায়ে আজিজী) তবেমেয়েরা সিজদা থেকে উঠে যদি পুরুষদেরন্যায় বসেন তবুও দোষের কিছু হবে না। হযরত মকহুল (রাহ.) বলেন যে, সাহাবী হযরতআবুদ দারদা (রা.)-এর মাতা পুরুষদের ন্যায় বসতেন। (মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক)
৬.স্ত্রী লোকগণ নামাজের তকবীর, কেরাআত ও সালামউচ্চঃস্বরে আদায় করবেন না।
৭.জামাতে নামাজ আদায় করার বেলায় যদিইমামের কোন ভুল হয়ে যায় তবে স্ত্রীলোকগণ মুখে তকবীর বলে লোকমা দিবেন না; বরং এক হাতের পিঠদ্বারা অন্য হাতের পিঠে আঘাত করে ইমামকে সতর্ক করবেন।
৮.সিজদা করার সময় নিতম্ব পুরুষের ন্যায়খাড়া না করে উদর উরুর সাথেলাগিয়ে নিতান্ত সংযত অবস্থায় সিজদা করবেন। (হেদায়া, কবিরী, ফাতাওয়ায়ে আজিজী)
ফকীহগণের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, স্ত্রী লোকগণ জড়োসড়ো অবস্থায় নিতান্ত সংযতভাবে রুকু-সিজদা করবেন।




Users Today : 379
Users Yesterday : 767
This Month : 14801
This Year : 186672
Total Users : 302535
Views Today : 40014
Total views : 3616757